নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ত্যজ বাঙালী, আতরাফ মুসলমান ...

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ

ইমন জুবায়ের

জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]

ইমন জুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূন আহমেদ- এর মেঘের ওপর বাড়ি

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৫

হুমায়ূন আহমেদ মেঘের ওপর বাড়ি তে বাস করতে চান। এ রকম একটি (অবচেতন) ভাবনা রূপ দিয়েছেন তাঁর মেঘের ওপর বাড়ি উপন্যাসটিতে। সম্প্রতি সেই উপন্যাসটি পড়ে শেষ করলাম। এত ছোট লেখাকে উপন্যাস বলতে আমার মন সায় দেয় না। তা সত্ত্বেও মেঘের ওপর বাড়ি পড়ার সময় যথারীতি ঘোর লেগেছে। পড়তে-পড়তে অভিভূত হয়ে ভাবছিলাম যে- ঠিক এই মুহূর্তে পৃথিবীর অন্যত্র হুমায়ূন আহমেদ- এর মতো ইন্দ্রজালিক লেখক আর ক’জন আছেন যিনি একটি অভূতপূর্ব ভাবনা কে লেখার মধ্যে অত্যন্ত সুচারু রূপে ছড়িয়ে দিতে পারেন? মনে হয় নেই। হয়তো আমার এই সিদ্ধান্তটি অনেকটাই অবেগপ্রসূত এবং যুক্তিহীন। কেননা, এরকম একটি সিদ্ধান্ত গ্রহনের পূর্বে পৃথিবীর সব লেখকের বইই একবার পড়ে নিতে হয়। তার পরও বলব যে হুমায়ূন আহমেদ সমসাময়িক বিশ্বের বিরল লেখকদের একজন। মনে হয় যে তিনি কেবল লেখক নন। তিনি একজন মহিমান্বিত জাদুকর, বেহালার সেই পাগানিনির মতে ... কিংবা মোর দ্যান দ্যাট ...

আমার ঘরের বইয়ের আলমারীর তাকে ইতিহাস আর দর্শনের ঢাউশ বইয়ের ফাঁকে এই জাদুকর লেখকের লেখা কিছু কৃশকায় বই আছে বৈ কী। মাঝে-মাঝে আমি বইগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকি। এবং ভাবার চেষ্টা করি যে বাংলাদেশের একটি সাধারণ পরিবারে জন্ম-নেওয়া এই জাদুকরটি চিন্তার প্যার্টান এতটা ব্যতিক্রমধর্মী কেন? বাংলার ভাষায় কে এই লেখকের অগ্রজ? কে তাঁর পূর্বসূরি? কে তাঁকে পথ দেখিয়েছেন? জানি যে কেউ না। তিনি এতই অনন্য। এবং স্বাতন্ত্র। বাংলার ভাষার অন্য তালেবর লেখকদের লেখা পড়ার সময় হুমায়ূন আহমেদ-এর স্বাতন্ত্র স্পস্ট করেই যেন বোঝা যায়। তিনি লেখেন নিজস্ব ভাষায়। তাঁর লেখার প্লট এবং থিম ভিন্ন গোত্রের।

মেঘের ওপর বাড়ি উপন্যাসটির প্লটটিও একেবারেই ভিন্ন গোত্রের। কিছুটা দার্শনিকচিন্তায় আচছন্ন মেঘের ওপর বাড়ি র ঘটনা তরতর করে এগিয়ে গিয়েছে। এবং ঘটনাপ্রবাহের ওপর হুমায়ূন আহমেদ-এর অসাধারণ নিয়ন্ত্রন দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেছি। (যারা একটুআধটু গল্প লেখার চেষ্টা করেন তারাই কেবল আমার এই কথার মানে বুঝতে পারবেন) ...যথার্থ শব্দ ও বাক্যের প্রয়োগ, যুক্তির গাঁথুনি একের পর এক সাজিয়ে তুলেছেন একজন নিঃসঙ্গ নির্জন কারিগর। লেখক মাত্রই নিঃসঙ্গ। তবে লেখকদের কারিগরি দক্ষতার মধ্যেও তো ফারাক রয়েছে। চিন্তাই তো যে কোনও লেখার ভিত্তি । এই জন্যই অভিভূত ভাবি যে ... এই বাঙালি জাদুকর লেখকটির চিন্তার প্যার্টান এতটা ব্যতিক্রমধর্মী কেন?

মেঘের ওপর বাড়ি-র কাহিনি এরকম: একজন মানুষ (যিনি জীবদ্দশায় অধ্যাপক ছিলেন) তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অবশ্য তিনি মৃত্যুর পরের দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন। কেবল তাইই নয়, তিনি জীবিত আত্মীয়স্বজনের কথাবার্তাও শুনতে পারছেন। এমন কী তাদের চিন্তাও পরিস্কারভাবে উপলব্দি করতে পারছে। অধ্যাপকের মৃত্যুর কারণটি অস্বাভাবিক বলে মনে হয়। এবং তার স্ত্রীকে সন্দেহ করা হয়। সন্দেহভাজন স্ত্রীটি সুন্দরী, উগ্র ধূমপায়ী, বুদ্ধিমতী এবং স্পস্টবাদী। অধ্যাপকের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনের দায়িত্ব পেয়েছে একজন অদ্ভূতুরে চরিত্রের গোয়েন্দা পুলিশ। এ ধরনের আধ-পাগলা চরিত্র নির্মাণে হুমায়ূন আহমেদ-এর দক্ষতা অপরিসীম। সে যাই হোক। শেষে অবশ্য দেখা গেল যে অধ্যাপকটির মৃত্যু স্বাভাবিক ভাবেই হয়েছে। এবং তাঁর স্ত্রীটি নির্দোষ। স্ত্রীটি (ধূমপান করলেও) অতি ভালো মানুষ-যে কিনা ছোটবোনের অনাকাঙ্খিত (অটিস্টিক) সন্তানের দায়িত্ব নিয়েছে। এভাবে মেয়েটি কেবল ভালো মানষই নয়, মেয়েটির ভিতরে এমন কিছু গুণ/মহত্ত্ব রয়েছে যা অন্য মানুষের মধ্যে অনুপস্থিত। আর এভাবেই হুমায়ূন আহমেদ-এর মানবিক হৃদয়টি প্রকাশিত হয় । এবং এ ধরনের মানবিকতা বারবার আমরা তাঁর লেখায় পাই।

স্ত্রীকে নির্দোষ দেখে মৃত অধ্যাপকটি মেঘের ওপর বাড়ি তে চলে যান ...

হুমায়ূন আহমেদ-এর পাঠকমাত্রই জানেন যে এই মায়াবী লেখকটি দীর্ঘকাল ধরে এক ধরনের মৃত্যুচিন্তায় আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন। মৃত্যুর ঠিক পরের মুহূর্তগুলি নিয়ে তাঁর গভীর আগ্রহের কথা সুবিদিত। আমার প্রায়ই মনে হয় যে হুমায়ূন আহমেদ লেখার মাধ্যমে পাঠকের কাছে তাঁর এই ভাবনাটি পৌঁছে দিতে চান। এসব কারণে হুমায়ূন আহমেদ কে মনে হয় জীবনমৃত্যুর রহস্যে আচ্ছন্ন এক ঘোরলাগা মানুষ। কখনও আধুনিক বিজ্ঞানের কাঠামোয় জীবনমৃত্যুর রহস্য বিষয়টি তিনি বোঝার চেস্টা করেন। স্টিফেন হকিং ও লিওনার্দ ম্লোদিনাও- এর লেখা The Grand Design বইতে যখন পড়ি যে: “পদার্থবিদ্যা ও অধিবিদ্যার মধ্যে দূরত্ব কমে আসছে।” তখন আমার হুমায়ূন আহমেদ- এর কথা মনে হয়। আবার এও দেখেছি যে ... হুমায়ূন আহমেদ কখনও - কখনও সমাজের প্রচলিত বিশ্বাসটি বোঝার চেষ্টা করেন ওই মৃত্যুরহস্য উদঘাটনের জন্যেই ।

মৃত্যুর প্রতি তীব্র আকর্ষণ থাকলেও জীবনের প্রতিও হুমায়ূন আহমেদ-এর আকর্ষন কম নয়। এই কারণেই কি তিনি গান লেখেন? যে গানে উঁকি দেয় মায়াভরা বাংলার মানুষ ও প্রকৃতি। জোছনাপ্রিয় এই লেখকটি প্রচলিত অর্থে মরমি না হলেও হুমায়ূন আহমেদ কে মরমি আখ্যা দেওয়া চলে। (মাঝেমাঝে ভাবি তাঁর মতো রবীন্দ্রপ্রেমীই- বা ক’জন আছে) ... রবীন্দ্রনাথের গান বাদেও বাংলার লোকগানের প্রতি হুমায়ূন আহমেদ-এর গভীর আকর্ষনের কথা সর্বজন বিদিত। এই যে সুনামগঞ্জের বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম-এর কথা শহরবাসী জানতে পারল-তার পিছনে হুমায়ূন আহমেদ- এর অবদান তো কম নয়। আবদুল কুদ্দুস বয়াতীর প্রসঙ্গেও একই কথাই প্রযোজ্য।

এমন একজন ঘোরলাগা মানুষ যে মেঘের ওপর বাড়ি-র কল্পনা করবেন - সে রকমই তো স্বাভাবিক। ঘোরলাগা রহস্যপ্রেমী লেখকটি কি সেই মেঘের ওপর বাড়ি তে বাস করতে চান? কিন্তু মেঘের ওপর বাড়িটি ঠিক কোথায়? অনুমান করি যে মেঘের ওপর বাড়িটি মাটির পৃথিবীর অনেকই উর্ধে । কি উপকরণ দিয়ে বাড়িটি নির্মিত কে জানে। হয়তো সেই বাড়িটিও অদৃশ্য মায়ায় তৈরি। এই জীবনের মতোই ...

দু-বাংলার নতুন প্রজন্ম তাঁর লেখা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পাঠ করে। আমি কেবল সেটুকু দেখিনা। আমি দেখি লেখকটিকেও । জীবনে বেঁচে থেকে জীবনরহস্যের কূলকিনারা করতে না-পারার অস্থিরতা যে লেখকটিকে তাড়া করে বেড়ায়। এই অস্থিরতা আমি যেন বেশ বুঝতে পারি। তাঁর প্রতি যখন বর্ষিত হয় নিন্দা- আমি তখনও দেখি তাঁকে। কেমন অবিচল। অবিচল আর স্থির। যেন অগভীর সমালোচনা তাঁকে কাবু ও বিপর্যস্ত করতে পারছে না। কেবল তিনি এক ফোঁটা লিলুয়া বাতাসের স্পর্শের জন্য উদগ্রীব। এ কারণেই হুমায়ূন আহমেদ মরমি।

পড়তে পড়তে মেঘের ওপর বাড়ি যেন হঠাৎ করেই শেষ হয়ে গেল। হুমায়ূন আহমেদ- এর বেশির ভাগ লেখাই এই রকমের। হঠাৎ করেই যেন শেষ হয়ে যায়। আজ এই মরমি লেখকটির জীবনও যেন ৬৩ বছর বয়েসে পৌঁছে হঠাৎ করেই থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ৬৩- কি এমন বয়স? তবু তাঁর দেহে বাসা বাধা মরণব্যাধির কারণে আমাদের এক অস্বস্তিকর আশঙ্কা ঘিরে ধরেছে ...

হুমায়ূন আহমেদ হয়তো একদিন অনন্তকালের জন্য মেঘের ওপর বাড়ি তে চলে যাবেন। সেই মেঘের ওপর বাড়ি-র অলিন্দে দাঁড়িয়ে থেকে দেখবেন নীচের দৃশ্যাবলী । এ রকম স্বপ্ন তো তাঁর দীর্ঘদিনের। যেন তিনি অপেক্ষায় আছেন। এখন যেন তাঁর স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে ...



বইটির লিঙ্ক



Click This Link

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২১

নির্মল হাওয়া বলেছেন: অনেক ভাললাগার মত একটা লেখা।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: ভাল লাগল আপনার হুমায়ুননামা। আপনার মত যারা খুব সিরিয়াস পাঠক-সমালোচক, তাদের মধ্যে হুমায়ুন আহমেদ বিষয়ে এক ধরনের অ্যালার্জি কাজ করে। আপনার চেয়ে অনেক কম জানে বা পড়ে, এমন লোকও হুমায়ুনের কথা শুনলে নাক সিঁটকান। কিন্তু সবার পথে তো আর আপনি চলেন না, আপনি নিজের পথ নিজেই করে নেন। এজন্যই আপনার লেখা ভাল লাগে। :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমি মনে করি নাক সিঁটকে বেশি দূর যাওয়া যায় না। যার যা প্রাপ্য তাকে তা দিয়েই হবে। সমকালীন সাধকদের পদধূলি গ্রহন না-করলে মোক্ষলাভ সম্ভব না। আমি এটুকুই বুঝি।
অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৫

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: হুমায়ুন স্যার দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমিও এই কামনা করি।
অনেক ধন্যবাদ।

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৬

সমকালের গান বলেছেন: ভাল লিখেছেন। পড়া হয়নি এখনো উপন্যাসটি।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: গভীর মরমি লেখা। পড়বেন আশা করি।
ধন্যবাদ।

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৮

জাহিদুল ইসলাম জুয়েল বলেছেন: আমারও খুব ভালো লেগেছে...!!স্যারের খুব অন্যরকম একটি লেখা...!!

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩২

সামী মিয়াদাদ বলেছেন: তাঁর লেখা এখনও আমি মুগ্ধ হয়ে পড়ি....সহজ ভাষায় খুব কঠিন কোন বিষয় কে উপস্হাপন করার ক্ষমতা একমাত্র হুমায়ূন আহমেদেরই আছে। তিনি সুস্হ্য হয়ে ফিরে আসুন এই কামনা।

রিভিউ ভালো লাগছে। ইমন জুবায়েরীয় রিভিউ হইছে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ... সহজ ভাষায় খুব কঠিন কোন বিষয় কে উপস্হাপন করার ক্ষমতা একমাত্র হুমায়ূন আহমেদেরই আছে।


আমিও তাই মনে করি।
এই বইটি অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ জরুরি।
ধন্যবাদ।

৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৫

জীবন্মৃত০১ বলেছেন: পড়তে হবে উপন্যাসটি। আপনার লেখাটা ভালো লাগলো।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫২

আখতার ০১৭৪৫ বলেছেন: বইটির ডাউনলোড লিংক দেন

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: http://www.prothom-alo.com/eid-2011/

৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫২

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: মেঘের ওপর বাড়ি- পড়া হয়নি। সুযোগ হলেই পড়ে ফেলব।

তবে আমার মনে হয় এই লেখাটা তার চেয়ে কোন অংশেই কম নয়।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: Click This Link

১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫২

ফয়সাল তূর্য বলেছেন: উপন্যাসটির ডাউনলোড লিংক কেউ দিতে পারবেন দয়া করে?

আপনার লেখায় +++

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
Click This Link

১১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৯

শিরীষ বলেছেন:

ভাল বিশ্লেষণ ইমন ভাই। বইটি পড়ি নি। আগ্রহ বাড়ল।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: কবি। এই যে লিঙ্ক ...
http://www.prothom-alo.com/eid-2011/

১২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৫

শিরীষ বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ জানবেন ইমন ভাই।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :)

১৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৮

অণুজীব বলেছেন: ভাললাগার মত একটা লেখা।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: Thanks!
http://www.prothom-alo.com/eid-2011/

১৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৩

গানচিল বলেছেন: যে যা-ই বলুক, আমার কিন্তু হুমায়ুন আহমেদের লেখা ভালই লাগে।এটাও ঠিক,যারা বইয়ের পোকা তারাও কিন্তু হুমায়ুনের বইয়ের লোভ সামলাতে পারেনা। লুকিয়ে হলেও ঠিকই পড়ে। কিন্তু নিজেকে আঁতেল জাহির করার জন্য সেটা তো প্রকাশ করবেইনা, উপরন্তু, তীর্যক মন্তব্য একটা করে বসবে। দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে যে লোকটা সংখ্যাগরিষ্ট পাঠককে হিপনোটাইজ করে রেখেছে, তার মধ্যে কি এমন জাদু আছে , এই জিনিসটা এসব তথাকথিত পাঠকরা বুঝতে চেষ্টা করেনা।

একটা কথা ঠিকই বলেছেন, আব্দুল করিম কোটি জনতার ভালবাসা পাওয়ার পেছনে হুমায়ুন আহমেদেরই মূল অবদান। প্যাকেজ জমানা যদি শুরু না হত, আর হুমায়ুন যদি করিমকে নিয়ে "রঙের বাড়ৈ" অনুষ্টানটা নির্মান না করতেন, তাহলে অজপাড়াগাঁয়ের করিমকে লোকচক্ষুর আড়ালে থেকেই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হত।

বইটা এখনো পড়িনি, তবে পড়ব। ভাল থাকবেন।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে যে লোকটা সংখ্যাগরিষ্ট পাঠককে হিপনোটাইজ করে রেখেছে, তার মধ্যে কি এমন জাদু আছে , এই জিনিসটা এসব তথাকথিত পাঠকরা বুঝতে চেষ্টা করেনা।

এবং


আব্দুল করিম কোটি জনতার ভালবাসা পাওয়ার পেছনে হুমায়ুন আহমেদেরই মূল অবদান।


সুন্দর বলেছেন। সত্যি বলেছেন। সহমত। এবং আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২২

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: ভাল লাগল ++++

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৩

নিশম বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। অবশ্য সুন্দর লিখা আপনার অভ্যাস :)

হুমায়ুন স্যারকে নিয়ে কিছু বলতে গেলে কয়েকবার চিন্তা করি এরপর কিছু বলিনা। এই লেভেলের মানুষকে নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা নেই আমার। তার উপন্যাস, তার বানানো নাটক - সিনেমা গুলো আরও অনেক অনেক দিন মানুষকে হাসাবে, কাঁদাবে। হয়তো, মেঘের ওপর থেকে তিনি সবই দেখবেন আর মুচকি হাসি দিবেন।

স্যারের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমরা কয়েকজন মিলে (সরব ব্লগের) স্যারের জন্মদিনের উপহার স্বরুপ একটি ই-বুক প্রকাশ করেছি আজ। আশা করি আপনার পছন্দ হবে :)

স্যারের জন্য অনেক দোয়া রইলো। আপাততঃ আমার ঝুলি এখানেই শেষ ! দোয়া আর ভালোবাসা ছাড়া দেয়ার কিছুই নেই।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: তার উপন্যাস, তার বানানো নাটক - সিনেমা গুলো আরও অনেক অনেক দিন মানুষকে হাসাবে, কাঁদাবে। হয়তো, মেঘের ওপর থেকে তিনি সবই দেখবেন আর মুচকি হাসি দিবেন।

এই কথাটা কেমন ছুঁয়ে গেল।


আজ টিভিতে দেখলাম মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা পেয়ে তিনিও মুগ্ধ।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

১৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৯

জটিল বলেছেন: বৃশ্চিক নিয়ে একটা কিছু লেখার অনুরোধ কিন্তু ছিলো ইমন ভাই ...
গতানুগতিক না , একটু ভিন্ন কিছু ... :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ। আমার মনে আছে। তবে ভিন্ন কিছু করতে গিয়েই আটকে আছি ... :)

১৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩২

মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: এই উপন্যাসটা পড়া শুরু করেছিলাম (এবার কোনও একটা ঈদ সংখ্যা ম্যাগাজিনে বেরিয়েছিলো) কিন্তু পাতা ছেঁড়া থাকার কারণে শেষ করতে পারিনি। ভয়ঙ্কর রকমের কৌতুহল হচ্ছিলো শেষটা জানার জন্য। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝলাম যে বাকীটুকু এবার আর না পড়লেই না! :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: লিঙ্ক দিয়েছি। ধন্যবাদ।

১৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৬

জটিল বলেছেন: যতখানি প্রস্তুত আর আপনার নিজস্ব পর্যবেক্ষণ মিলিয়ে এক হয়ে আমার মনে হয়- সব মনে মনে আপনার প্রস্তুতই আছে , যেটুকু নিয়ে দ্বিধা আছে সেসবও সবার গ্রহণযোগ্য , দিয়ে দিন ব্লগে :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আসলে এই রাশির বিষয়টি নিয়ে সরাসরি পোস্ট দিতে আমার খানিকটা দ্বিধা বোধ করে। কলেজ জীবনে কৌতূহল ছিল নিউমারোলজি নিয়ে। এখন ততটা উৎসাহ বোধ করি না। আমরা বরং ফেসবুকে এ নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি। কি বলেন?
ধন্যবাদ।

২০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১২

শায়মা বলেছেন: আমার খুব কষ্ট হয় এই কথাটা ভাবতে যে, হুমায়ুন আহমেদ নেই তাই আমি প্রতিবইমেলায় বা ঈদ সংখ্যায় তার অন্যন্য বইগুলি পড়ে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দিতে পারবোনা বা গল্পের নায়ক নায়িকার দুঃখে কেঁদে বুক ভাসাতেও পারবোনা।

তার নাটক মানেই মন ভরিয়ে দেওয়া এমন কোনো মন ভরিয়ে দেওয়া নাটকও দেখা হবেনা আমার আর কোনোদিন!! এমনটা ভাবতেই পারিনা আমি।

এটাই বেশ বুঝতে পারি আর একটা হুমায়ুন আহমেদ কোনোদিন বাংলাদেশে জন্ম নেবেনা।

মনটা খুব খারাপ হয়ে যায় এসব ভাবতে......

আমি চাই হুমায়ুন আহমেদ হাজার বছর পরমায়ূ নিয়ে বেঁচে থাকুন। ভালো থাকুন।:)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমি চাই হুমায়ুন আহমেদ হাজার বছর পরমায়ূ নিয়ে বেঁচে থাকুন।

এই কথাটা এই মুহূর্তে সহস্র বাঙালির মনের কথা ...

২১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৩

চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: ভালো লাগার মত একটা পোষ্ট।

++++++++

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :)

২২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৩০

রেজোওয়ানা বলেছেন: Akta somoya bangladesh er modhobitto somaj ke golpo uponaser porte sikhiyachen ai Humayun Ahamed. Ata oshikar korar kono upai nai. Uni taratari sustho hoya uthun, ai kamona kori. Apnar lakhati khub hridoygrahi hoyache. . . .

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমি চাই হুমায়ুন আহমেদ হাজার বছর পরমায়ূ নিয়ে বেঁচে থাকুন।

এই কথাটা এই মুহূর্তে সহস্র বাঙালির মনের কথা ...

২৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৯

পদ্ম।পদ্ম বলেছেন: +

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :)

২৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৬

আন্ধা পোলা বলেছেন: প্রিয়তে আপাতত ঝামেলায় আছি সময় কইরা পইড়া নিমুনি পরে!!! দোয়া করি সুস্থ হয়ে উঠুক আমার অন্যতম প্রিয় লেখক!!

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন:

আমি চাই হুমায়ুন আহমেদ হাজার বছর পরমায়ূ নিয়ে বেঁচে থাকুন।

এই কথাটা এই মুহূর্তে সহস্র বাঙালির মনের কথা ...

২৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: hats off emon vai.. H.A is 1 of my fab.. Happy birthday 2 him..

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :)

২৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৩

এ হেলাল খান বলেছেন:
আপনার লেখাটা সুন্দর হয়েছে।

স্যারের জন্য শুভ কামনা।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৭

আন্ধা পোলা বলেছেন: চমৎকার লাগলো!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:১০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:১০

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়তে ভাল লাগে; কিন্তু ভাল লাগাই যে একজন লেখকের শ্রেষ্ঠত্বের নির্ণায়ক তা মনে করিনা। এককালে নীলক্ষেতের চটি পড়তেও ভালই লাগত। ভদ্রলোকের লেখার নির্মোহ বিশ্লেষণ হওয়া দরকার। আপনার বিশ্লেষণকে 'মোহাবিষ্ট' বিশ্লেষণ মনে হয়েছে। তবে আপনার লেখা ভাল লেগেছে (এটাও এক ধরণের মোহাবিষ্ট বিশ্লেষণ হতে পারে :D )। তবে এ ধরণের মোহ সৃষ্টি করাটাও কম কথা নয়; ক'জন পারে?

১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:১০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: হুমম। :)

২৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০২

সামী মিয়াদাদ বলেছেন: মেঘের ওপর বাড়ী আজ বইমেলা থেকে নিয়ে এসেছি। পড়া শুরু করবো। আপনার রিভিউটা পড়েই আগ্রহ জন্মেছিলো। আবারো ধন্যবাদ দিয়ে গেলাম। পড়ে জানাবো কেমন লাগলো। ভালো থাকবেন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:১৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩০| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:১৩

সায়েম মুন বলেছেন: সুন্দর একটা রিভিউ। উপন্যাসটা পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি হলো।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:২০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩১| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:১৬

~মাইনাচ~ বলেছেন: ডাউনলোড করে নিলাম, পড়ে দেখতে হবে।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:২১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩২| ০৬ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৩:৪৪

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: চমৎকার রিভিউ ভাইজান। অসাধারন লিখেছেন, অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকবেন...

০৬ ই জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:৪৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.