![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]
কলকাতার ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ ব্যান্ডটির একটি অ্যালবামের প্রচ্ছদ । ব্যান্ডটি বাংলাদেশেও বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয়। কিন্তু,ব্যান্ডটির নাম নিয়ে শ্রোতারা আজও ঘোর অন্ধকারের মধ্যে রয়েছে । ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’-কি এর মানে? একে ওকে জিগ্যেস করে কিংবা উইকিপিডিয়ায় ক্লিক করেও যথাযথ উত্তর মেলে না। উইকিপিডিয়ায় 'মহিনের ঘোড়াগুলি' শীর্ষক আর্টিকেলে Meaning of the band's name নামক শিরোনামে লিখেছে: The literal meaning of Moheen'er Ghora-guli is "Moheen's horses". While this obscure phrase puzzles many of the band's fans, it is actually taken from a poem Ghora ('Horses') by the great modernist Bengali poet Jibanananda Das. The second line of the poem is: Moheener ghoragulo ghash khae Kartiker jyotsnar prantorey... loosely translated as: "Moheen's horses graze on the horizon, in the Autumn moonlight" One of the band's most popular songs, Bhalobashi jyotsnae, is a tribute to the natural beauty of the Bengali countryside; the influence of Jibanananda's pastoral poetry is evident throughout the song. জীবনানন্দ দাশ রূপসী বাংলার রূপে মগ্ন ছিলেন বৈ কী। সেই রকম কলকাতার "মহীনের ঘোড়াগুলি" ব্যান্ডের সদস্যরাও বাংলার রূপে মুগ্ধ । কিন্ত তাতে কি মহীনের ঘোড়াগুলি -এই বাক্যবন্ধের অর্থের কোনও কূলকিনারা হয়? না, হয় না। উইকিপিডিয়ায় আরও লিখেছে: There are other parallels: Jibanananda broke with the literary tradition of his time and introduced modernist themes and diction to Bengali poetry. He is often considered the first Bengali poet to truly break free of Rabindranath's imposing presence. To some extent, Moheener Ghoraguli attempted to do the same for Bengali popular music. জীবনানন্দ দাশ আধুনিক ছিলেন বৈ কী। এবং তিনি রবীন্দ্রনাথের ওপর অচলা ভক্তি রেখেই রবীন্দ্রপ্রভাব এড়িয়েই কবিতা-গল্প এবং উপন্যাস লিখেছেন, ঠিক সেরকমই "মহীনের ঘোড়াগুলি" ব্যান্ডটি attempted to do the same for Bengali popular music. ভালো কথা। কিন্তু তাতে কি মহীনের ঘোড়াগুলি -এই বাক্যবন্ধের অর্থ বোঝা গেল?
না।
কাজেই নিজেদের পথই ধরি। ইতিহাস অনুসন্ধানে ব্রতী হই, এবং জীবনানন্দের "ঘোড়া" কবিতাটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি।
১৯৪৮ সাল। জীবনানন্দ দাশ ‘সাতটি তারার তিমির’ নামে তাঁর পঞ্চম কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফকরুল আলম 'সাতটি তারার তিমির' এর ইংরেজি অনুবাদ করেছেন: The Darkness of Seven Stars. ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় কবিতার শিরোনাম ‘ঘোড়া’। কবিতাটি পাঠ করা যাক:
আমরা যাইনি ম’রে আজো -তবু কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয়;/
মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে;/
প্রস্তরযুগের সব ঘোড়া যেন -এখানে ঘাসের লোভে চরে/
পৃথিবীর কিমাকার ডাইনামোর প’রে।
আস্তাবলের ঘ্রান ভেসে আসে একভিড় রাত্রির হাওয়ায়;
বিষন্ন খড়ের শব্দ ঝ’রে পড়ে ইস্পাতের কলে;
চায়ের পেয়ালা ক’টা বেড়ালছানার মতো -ঘুমো-ঘেয়ো
কুকুরের অস্পষ্ট কবলে
হিম হয়ে নড়ে গেল ও-পাশের পাইস্ -রেস্তরাঁতে,
প্যারাফিন -লন্ঠন নিভে গেল গোল আস্তাবলে
সময়ের প্রশান্তির ফুঁয়ে;
এইসব ঘোড়াদের নিওলিথ-স্তব্দতার জ্যোৎস্নাকে ছুঁয়ে।
চল্লিশের দশকের কলকাতা ; জীবনানন্দের কলকাতা ...যে শহরে রাতভর হাঁটতেন কবি
বলেছি যে, ১৯৪৮ সালে জীবনানন্দ দাশ ‘সাতটি তারার তিমির’ প্রকাশ করেন। সে সময়টায় কবি কলকাতায় থাকতেন। কবি বলেই কী এক ঘোরের মধ্যে রাতভর নিঝঝুম কলকাতা শহরের অলিতে-গলিতে এবং বড় রাস্তায় হাঁটতেন । সে সময়ই একবার এক জোৎস্নারাতে রাস্তার পাশে একটি আস্তাবল দেখে থমকে দাঁড়ালেন কবি। পরবর্তীতে সে অভিজ্ঞতার কথা ‘ঘোড়া’ কবিতায় কবি লিখেছেন এভাবে:
আস্তাবলের ঘ্রান ভেসে আসে একভিড় রাত্রির হাওয়ায়;
তার পরপরই কবির মনে হল:
বিষন্ন খড়ের শব্দ ঝ’রে পড়ে ইস্পাতের কলে;
কি এর মানে? কবি কি নাগরিক যান্ত্রিকতা বুঝিয়েছেন? সম্ভবত। কবি এর পর আস্তাবলের চারপাশের সুরিয়ালিষ্ট বর্ণনা দিয়ে লিখেছেন:
চায়ের পেয়ালা ক’টা বেড়ালছানার মতো -ঘুমো-ঘেয়ো/
কুকুরের অস্পষ্ট কবলে/
হিম হয়ে নড়ে গেল ও-পাশের পাইস্ -রেস্তরাঁতে,/
প্যারাফিন -লন্ঠন নিভে গেল গোল আস্তাবলে/
সময়ের প্রশান্তির ফুঁয়ে;/
এইসব ঘোড়াদের নিওলিথ-স্তব্দতার জ্যোৎস্নাকে ছুঁয়ে।
বোঝা যায়। আস্তাবলের পাশেই একটি পাইস্ -রেস্তরাঁ। তার ‘ চায়ের পেয়ালা ক’টা বেড়ালছানার মতো -ঘুমো-ঘেয়ো কুকুরের অস্পষ্ট কবলে হিম হয়ে নড়ে গেল’। কি বিকল্পধারার বাক্য বিন্যাস!, কি ভীষণ অন্যরকম ভাবনা! আধুনিক জীবনবোধে আক্রান্ত জীবনানন্দের বিক্ষত হৃদয়টি উপলব্দ হয় যেন। সেই যাই হোক। কবিতার শেষ তিনটি লাইন এরকম:
প্যারাফিন -লন্ঠন নিভে গেল গোল আস্তাবলে/সময়ের প্রশান্তির ফুঁয়ে;/এইসব ঘোড়াদের নিওলিথ-স্তব্দতার জ্যোৎস্নাকে ছুঁয়ে।
গোল আস্তাবলে সময়ের প্রশান্তির ফুঁয়ে প্যারাফিন -লন্ঠন নিভে গেল। এইসব ( অর্থাৎ আস্তাবলের) ঘোড়াদের নিওলিথ-স্তব্দতার জ্যোৎস্নাকে ছুঁয়ে। নিওলিথ-স্তব্দতার জ্যোৎস্নাকে ছুঁয়ে-মানে কি? তার কিছু ইঙ্গিত পেতে কবিতাটির প্রথমে ফিরে যেতে হবে।
আমরা যাইনি ম’রে আজো -তবু কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয়; /
মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে;/
প্রস্তরযুগের সব ঘোড়া যেন -এখানে ঘাসের লোভে চরে/
পৃথিবীর কিমাকার ডাইনামোর প’রে। /
তখন একবার বলেছিলাম যে কবি রাতভর হাঁটতেন নিঝঝুম কলকাতা শহরের অলিতে-গলিতে এবং বড় রাস্তায়। সে সময়ই একবার রাস্তার পাশে আস্তাবল দেখে থমকে দাঁড়ালেন। কবির মনে হচ্ছিল আস্তাবলের ঘোড়াগুলি যেন বলছে: আমরা যাইনি ম’রে আজো -তবু কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয়। কিন্ত, কি এর মানে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফকরূল আলম অনুবাদ করেছেন:Not that we are all done for-new scenes still come to sight; কিন্তু কি এর মানে? এতেও তো মানে বোঝা যাচ্ছে না। এই লাইনের অর্থ কি এই যে... ঘোড়ারা আজও মরে যায়নি। অর্থাৎ, ঘোড়ারা আজও বেঁচে আছে । এই বক্তব্যের সঙ্গে ‘তবু কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয়’-এই বাক্যর সম্পর্ক বোঝা যাচ্ছে না; যাই হোক। অগ্রসর হই -
মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে;
মহীনের ঘোড়াগুলো মনে কি? মহীন নামে কোনও সহিসের ঘোড়া কি? নাকি কবি প্রাচীন কোনও সময়ে ইঙ্গিত দিচ্ছেন? সেরকম হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আমরা জানি জীবনানন্দর কবিতাগুলি ইতিহাসচেতনায় মুখর। যিনি নিজের পরিচয় দিয়েছেন ‘হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে।’ এ কারণেই মনে হয়: মহীনের ঘোড়াগুলো মানে সুপ্রাচীন সেই মহেঞ্জোদারো নগরের ঘোড় নয় তো? হরপ্পা সভ্যতার যে নগরটির উদ্ভব সেই ২২০০ থেকে ১৭০০ খ্রিস্টপূর্বে । হ্যাঁ, সেরকমই হওয়ার কথা।
প্রস্তরযুগের সব ঘোড়া যেন -এখানে ঘাসের লোভে চরে/
পৃথিবীর কিমাকার ডাইনামোর প’রে।
জীবনানন্দ লিখেছেন: প্রস্তরযুগের সব ঘোড়া যেন। হরপ্পা সভ্যতা তাম্রপ্রস্তর যুগের সভ্যতা হলেও Neolithic period বা নব্যপ্রস্তর যুগে সভ্যতাটির সূত্রপাত ; মাঠ পর্যায়ে গবেষনা করে প্রত্নতাত্ত্বিকগণ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, নবোপলীয়, অর্থাৎ নব্যপ্রস্তর যুগে খাদ্য ও ঘাসের অভাব দেখা দিয়েছিল। নিজেদের এবং পশুদের খাদ্য যোগানোর জন্য নদীর তীরই ছিল উপযুক্ত জায়গা। কাজেই ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ নদীর তীরে বসতি গড়তে থাকে। ঐতিহাসিকদের মতে হরপ্পা সভ্যতার কালসীমা খ্রিস্টপূর্ব ২২০০ থেকে ১৭০০।
ধুতি পাঞ্জাবি পরা সাদাসিদে চেহারার বরিশালের এই কলেজ শিক্ষকটি ছিলেন তীব্র আধুনিক ... সেই চল্লিশের দশকেই যাঁর কবিতার বইয়ের নাম The Darkness of Seven Stars.
এবার কবিতার শেষ তিনটি লাইনে আবার ফিরে যাই।
প্যারাফিন -লন্ঠন নিভে গেল গোল আস্তাবলে
সময়ের প্রশান্তির ফুঁয়ে;
এইসব ঘোড়াদের নিওলিথ-স্তব্দতার জ্যোৎস্নাকে ছুঁয়ে।
চল্লিশের দশকে কলকাতার রাত্রিতে হাঁটতে হাঁটতে জীবনানন্দ আস্তাবলে যে ঘোড়াদের দেখেছিলেন তাঁর ‘মহিনের ঘোড়া’ প্রাচীন মহেঞ্জোদারোর ঘোড়া মনে হয়েছিল । যে ঘোড়াগুলি ঘাস খেত কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে। আজও পৃথিবীতে জ্যোৎস্নার আলো ছড়ায়; কলকাতার আস্তাবলের ঘোড়াদের নিওলিথ-স্তব্দতার জ্যোৎস্নাকে ছুঁয়ে। প্যারাফিন -লন্ঠন নিভে গেল গোল আস্তাবলে সময়ের প্রশান্তির ফুঁয়ে; ...ঘোড়া তাহলে কোনও কিছুর প্রতীক? সময়ের কি? যে সময়ের দুটি প্রান্তে ঘোড়ারা বেঁচে রয়েছে এবং দৃশ্যের জন্ম হচ্ছে। যা হোক। এত প্রশ্ন আর উদ্বৃতির পরও হয়তো সবটা বোঝানো গেল না। কবিতা বলেই।
সে যাই হোক। কলকাতায় ১৯৭৫ সালে "মহীনের ঘোড়াগুলি" ব্যান্ডটি গড়ে ওঠে কয়েকজন তরুণ মিউজিশিয়ানের উদ্যেগে। আর তখনই ব্যান্ডটির নাম "মহীনের ঘোড়াগুলি" রাখা হয় । ঘটনাটি হয়তো অনেকটাই আকস্মিক। হয়তো খানিকটা অ্যাবসার্ডও। কেননা, তখনকার কলকাতার সাহিত্যমহলে ‘সুরিয়ালিজম’,‘যাদুবাস্তবতা’, কিংবা ‘ অ্যাবসার্ডবাদ’ ইত্যাদি শব্দগুলি সাহিত্যরসিকের মুখে মুখেই ফিরছিল। এসব হয় তো অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু, 'মহীনের ঘোড়াগুলো'-র মানে যে মহেঞ্জোদারো নগরের ঘোড়া তারই একটা ইঙ্গিত তো আমরা এই আলোচনায় পেলাম এবং যথারীতি জীবনানন্দের ইতিহাস চেতনার গভীরতায় মুগ্ধ হলাম।
জীবনানন্দ দাশ-এর ‘ঘোড়া’ কবিতার ইংরেজি অনুবাদ ।
Horses (Ghora)
Not that we are all done for-new scenes still come to sight;
Maheen’s horses yet munch grass in Kartik’s late autumn moonlight;
As if horses from some Paleolithic age-lured
Into grazing in a dreadful dynamo of a world.
The stink from the stable drifts in with the onrushing night breeze;
The sad sound of rustling straw rubs onto steel machines;
The few empty teacups are like kittens-asleep-under the slack watch
of many dogs.
Chilled, they make for the cheap restaurant close by,
The placid puff of time blows out the paraffin lamp of the stable
Caressing the neolithic –still moonlight of these horses.
(অনুবাদ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফকরুল আলম।)
শেষ করছি ঈষৎ অপ্রাসঙ্গিক অথচ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি প্রসঙ্গের অবতারণা করে। মহিনের ঘোড়াগুলি সম্বন্ধে ইউইকিপিডিয়া লিখেছে ( যা আগেও উল্লেখ করেছি) He (মানে জীবনানন্দ দাশ ) is often considered the first Bengali poet to truly break free of Rabindranath's imposing presence. To some extent, Moheener Ghoraguli attempted to do the same for Bengali popular music. কিন্তু আমি মনে করি রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করা যায় না। অঞ্জন দত্ত পরিচালিত ব্যান্ড মিউজিক নিয়ে নির্মিত ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’ ছবিটির একটি রবীন্দ্রসংগীতই তার প্রমান:
রবীন্দ্রনাথ। চিরকালের, চিরদিনের। জীবনানন্দ যাঁকে উল্লেখ করেছেন "আমাদের সময়ের শ্রেষ্ঠ মনিষী হিসেবে।"
মহিনের ঘোড়াগুলি নিয়ে ব্লগার নাহোল এর একটি পোস্ট
Click This Link
তথ্যসূত্র:
আবদুল মান্নান সৈয়দ সংকলিত ও সম্পাদিত প্রকাশিত-অপ্রকাশিত কবিতাসমগ্র জীবনানন্দ দাশ
Fakrul Alam; Jibanananda Das Selected Poems with an Introduction , Chronology, and Glossary
Click This Link
উৎসর্গ:
ডাক্তার মুগ্ধকে, যিনি গতকাল আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন, যাঁকে আমি কখনও দেখিনি, তবে জানি যে তিনিও জীবনানন্দ ভালোবাসতেন, আর "মহিনের ঘোড়াগুলি" শুনতেন ...
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৮
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৬
নষ্ট কবি বলেছেন:
নীলচে জোছনার মাঝে আমি দেখেছিলাম সেই কোন গাঁয়ের বালিকার কেশ
আমি সেই থেকে আবার মরে গিয়ে বালিকা হতে চেয়েছিলাম
গভীর সমুদ্রের মাঝে উত্তাল ঝড়ে মরতে মরতে বেঁচে যাওয়া নাবিক দেখে
আমি নাবিক হয়ে যেতে চেয়েছিলাম অন্য কোন জনমে।
জানি আমার মৃত্যু হবেনা কোন ভাবেই - কিনবা নিজের ইচ্ছায়
এবং এও জানি কাপুরুষ ছিলাম আমি - নিজেকে নিজেও মারতে পারিনি ।।
অনেক ভাল লাগ্লো ভাই]
তাই লাইন গুলো লিখলাম। আপনার জন্যই।।
ভাল থাকবেন সব সময় ।।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৯
ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমার জন্য?
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৮
জটিল বলেছেন: কলকাতার ছবিটাই টানলো ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২১
ইমন জুবায়ের বলেছেন: তাহলে তো এই পোস্টটাও টানবে
Click This Link
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব প্রিয় একটা ব্যান্ড। ভালো লাগলো লেখাটা ইমন ভাই।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৮
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২০
ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:
'দৃশ্যের জন্ম
'পৃথিবীর কিমাকার ডাইনামোর'
'নিওলিথ-স্তব্দতার জ্যোৎস্না'
'মাহিনের ঘোড়া'
এসব যার মাথায় থাকে তাকে আসলে মানুষ বলা যায় না, তিনি হলেন ইশ্বর -'বিষাদের ইশ্বর' ।
অসাধারন বিশ্লেষন বস, অসাধারন । এই কবিতা নিয়ে কত্ত চিন্তা করছি । কখনই কিছুর কুল কিনারা পাইতাম না । কোথায় যেন পড়েছিলাম, কেউ একজন বলছেন যে এই পঙতিটা বাংলা কবিতার দুর্বোধ্যতম পঙ্ক্তি । আর কবিতাটা দুর্বোধ্যতম কবিতা । এবার কিছুটা অনুধাবন করতে পারলাম । কিছুদিন আগে আমি 'ঘোড়া' নিয়ে নিচের লিখাটা পড়েছিলাম -
Click This Link
পোষ্টটার জন্য অজশ্র ধন্যবাদ। প্রিয়তে ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩৮
ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ। জীবনানন্দ হলেন ইশ্বর -'বিষাদের ইশ্বর' । আর এই এই পঙতিটা যে বাংলা কবিতার দুর্বোধ্যতম পঙ্ক্তি তাতে আর সন্দেহ কী । কিন্তু আমি মনে করি বিশ্লেষনের সূত্রটি কবিই রেখে গিয়েছেন কবিতায়।
আর লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ।
৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২৫
শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
মহীনের ঘোড়াগুলো'- খুব পছন্দের একটি নাম।
আমিও প্রথমে আশ্চর্য হতাম এই অদ্ভুত নামের কারনে, ভেবেচিন্তে কূল কিনারা করতে পারতাম না।
আপনার বিশ্লেষন আমার কৌতুহল মিটিয়ে দিল, ধন্যবাদ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪০
ইমন জুবায়ের বলেছেন: অদ্ভূত নামটি আমাকেও ভীষণ ভাবাত এক সময়। তারপর মেনে নেওয়ার মতো একটি ব্যাখ্যায় পৌঁছনো গেল।
অনেক ধন্যবাদ।
৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৪৬
মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: interesting....
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০০
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৪৮
ডেজা-ভু বলেছেন: মহীনের ঘোড়াগুলি'র গান ভালো লাগে।
ব্যাখ্যা ভালো লাগলো।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০১
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৭
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: পোস্ট কথা থেকে কোথায় গেল!! মহীনের ঘোড়াগুলো তাহলে এই!!
পোস্ট পড়ে মুগ্ধ। চমৎকার, উনি আসলেই এটা বুঝিয়ে থাকুন আর নাই থাকুন। আমি বিশ্বাস করে ফেললাম।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৪৮
ইমন জুবায়ের বলেছেন: নীচের কথাগুলি পড়ে দেখতে পারেন ...
ভাষা-সংগঠনের মধ্যে মূর্ত করে তোলার এই শক্তি জীবনানন্দ দাশের কবিতাকে বহু বাচনিকতার সমৃদ্ধ এক জগতে পৌঁছে দেয়। ‘ঘোড়া’ কবিতার কয়েকটি পঙ্ক্তি :
আমরা যাই নি মরে আজো – তবু কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয় :
মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান-রে;
প্রস-রযুগের সব ঘোড়া যেন – এখনো ঘাসের লোভে চরে
পৃথিবীর কিমাকার ডাইনাসোর ’পরে।
এই কবিতার প্রথম পঙ্ক্তিটিকে রণজিৎ দাশ বলেছেন, ‘সম্ভবত বাংলা কবিতার একটি দুর্বোধ্যতম পঙ্ক্তি’। কিন’ আমার তা মনে হয়নি কখনই। আমার মনে হয়েছে, ওই পঙ্ক্তিটির মতো পুরো কবিতাটিই নিগূঢ় রহস্যসমৃদ্ধ কবিতা। এবং রণজিৎ দাশ ওই পঙ্ক্তির যে-ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন তাতে আর দুর্বোধ্যতার বিষয় থাকে না। ‘আমরা যাই নি মরে আজো – তবু কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয় :’ কবি এই পঙ্ক্তিতে ‘তবু’ ব্যবহার করে ভাষার ব্যাকরণগত শৃঙ্খলাকে ভেঙে দিয়েছেন। ফলে ভাবনা মুক্তির আস্বাদ লাভ করে। জীবনের সঙ্গে দৃশ্যের সম্পর্ক, ঘটনার সম্পর্ক। কিন’ কবির প্রস-াব সম্পূর্ণ বিপরীত। তাঁর কথা : আমরা বেঁচে আছি, তবু কেন দৃশ্যের অবতারণা। তাহলে তিনি কি এমন কোনো অনুভাবনার বীজ বপন করেন যে, চেতন মানুষের মধ্যে প্রথাগত দৃশ্যের জন্ম নিবে কেন! ‘বরং স্বপ্রকাশ দৃশ্যের ভিতর থেকে, চেতনার আলোয় একের পর এক অদৃশ্যের জন্ম হওয়ার কথা। যে অদৃশ্যের জন্ম থেকেই বোধের বিপন্ন বিস্ময়।’ এবং এর পর কবি যে দৃশ্যের অবতারণা করেছেন সেই দৃশ্যগুলোর মধ্যে নৈয়ায়িক শৃঙ্খলার পরিচয় নেই, পারম্পর্য নেই, যুক্তি-তর্ক ও সিদ্ধানে-র বিষয় নেই – আছে শুধু বোধের বহুতর অংশ-খণ্ডাংশের এক গোপন অবচেতনার প্রবাহ। ধূসর সময়-চেতনাকে তার সর্বাবয়বে উন্মোচনের জন্য এই রহস্যময়তার গূঢ় কৌশল প্রয়োগ ছাড়া কবির কাছে পদ্যাশ্রয়ী কোনো পথ খোলা থাকে না। জীবনানন্দ দাশ আমাদের প্রথম স্মরণ করিয়ে দেন যে, কবিতার অর্থ খুঁজতে যাওয়া নিরর্থক। তিনি আমাদের কতগুলো দৃশ্যের মুখোমুখি করেন, যে দৃশ্যগুলো পাঠকের মধ্যে বহুভাবে জন্ম নেওয়ার সুযোগ পায়। এই কবিতায়ও আমরা কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান-রে মহীনের ঘোড়াগুলোকে ঘাস খেতে দেখি – প্রস-র যুগের ঘোড়া – ঘাসের লোভে চরে পৃথিবীর কিমাকার ডাইনাসোর ’পরে। আছে আস-াবলের ঘ্রাণ, ইস্পাতের কলে বিষণ্ন খড়ের শব্দ ঝরে পড়ে। বেড়াল ছানার মতো ঘুমে চায়ের পেয়ালা কটা খেয়ো কুকুরের অস্পষ্ট কবলে হিম হয়ে নড়ে যায় ওপাশের পাইম রেসে-ারাঁতে ইত্যাদি। সময়ের জরায়ু ছিঁড়ে রক্তাক্ত উপলব্ধির চিত্রসকল এসব কবিতার প্রাণ। আর সেই প্রাণের পরিচয় অর্থময়তার মধ্যে নয় – উপলব্ধির বিচিত্র পাঠে।
সূত্র :
Click This Link
১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫৪
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম পোস্ট। অনেক কিছু জানলাম
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০২
সিনসিয়ার বলেছেন: কবিতা ভালো লাগে, কবিতা নিয়ে বিশ্লেষণ ভালো লাগে না... "মাহিনের ঘোড়াগুলি" ভালো লাগে, কবিতা-ব্যান্ড দুইটাই... জীবনান্দ রবিন্দ্রনাথরে অতিক্রম করতে পারছিল বইলাই অনন্য-বিবেচিত রবিন্দ্রপরবর্তি অন্য কবিকূলের তুলনায়... আর আমরা এখন অপেক্ষা করতে আছি সেই কবির যে জীবনান্দরে অতিক্রম করে নতুন ভঙ্গির জন্ম দেবে... আশায় আশায় বসে আছি ওরে আমার মন...
শুভকামনা।।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৯
স্বাধীকার বলেছেন:
অসাধারণ ব্যাখ্যা আর উপস্থাপনায় অনেক দিনের লুক্কায়িত জিজ্ঞাসার অবসান হলো।
ইমন জুবায়ের ভাই- এ কারণেই অন্যতম, সব সময়, সবখানেই।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২২
ইমন জুবায়ের বলেছেন: গভীর কৃতজ্ঞতা রইল।
১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৮
বৃষ্টিধারা বলেছেন: ১৩ তম ভালো লাগা এবং হলুদ তারকা ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৩
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ,ধন্যবাদ ...
১৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২১
শহিদুল ইসলাম বলেছেন: আ্নার লেখা অনেক ভালো লাগল । ++
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৩
ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৬
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা। এভাবে ভেবে দেখিনি আগে।
প্রয়তে নিলাম।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৫
ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০০
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: হুম।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৮
ইমন জুবায়ের বলেছেন:
১৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: জীবনানন্দ আর সুকান্ত। এই দুইটা নাম আমার রক্তে মিশে আছে, আমার প্রেরণা। মহীনের ঘোড়াগুলি, ঘোর লাগা সূর।
প্রিয়তে
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৯
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ আঙ্কেল।
১৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২০
ব্লাক উড বলেছেন: অসাধারন সুন্দর
প্রিয়তে
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৮
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৬
মুনসী১৬১২ বলেছেন: সেই রকম
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০৪
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
২০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০৬
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ আমাদের সামনে তুলে আনায় ধন্যবাদ।
প্রিয়তে গেল
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২১
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
২১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২৭
অনিক আহসান বলেছেন: ভালো লাগলো ইমন ভাই।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
২২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৬
রাশমী বলেছেন: জীবনানন্দ দাশ এর ''বনলতা সেন'' নিয়ে আমাদের ক্লাসে একটা উপস্থাপনা হয়েছিল!! সেখানে কবিতার সাথে রহস্যের সাথে ইতিহাসের মেলবন্ধন ঘটানো একটা অসাধারন মুলভাব বলেছিল আমার এক বন্ধু!!
''বিম্বিসার অশোকের '' ''বিদর্ভ নগরে'''' বিদিশার নিশা'' ''শ্রাবস্তীর কারুকার্য'' ''দারুচিনি-দ্বীপের '' ইত্যাদি উপমান অলংকারের সাথে ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্তিক নিদর্শনের সাথে তুলনা করে!
জীবনানন্দ দাশ যে রহস্যময় কবি এ নিয়ে কবিতার মুল্যায়নে সে জিজ্ঞেস করেছিল তিনি কি নিজে কোনো ''টাইম মেশিনে'' চড়ে এইসব স্থান ঘুরে এসেছেন??
৯ নং কমেন্টের উত্তরে আপনি বলেছেন'' কবিতার অর্থ খুঁজতে যাওয়া নিরর্থক''
যদিও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কবিতার অর্থে উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভাব ই খোঁজা হয় এবং সেই সুত্রেই mystic poet Jibananda Das যে ইতিহাস কে অপূর্ব রূপে অলংকারে পরিনত করেন সেটা জানতে পারলাম। আজকে আপনার পোস্টে ও কবির অলংকার শিল্পের মৌলিকতা খুঁজে পেলাম!!
ধন্যবাদ আপনাকে !! পোস্টে প্লাস এবং প্রিয়তে গেল
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৪৪
ইমন জুবায়ের বলেছেন: জীবনানন্দকে নিয়ে জানা আমাদের ফুরোবে না। অনেক ধন্যবাদ।
২৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১৭
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট এবং ভাললাগা !!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৪৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ চয়ন।
২৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১২
শশী হিমু বলেছেন: খুব পছন্দের ব্যান্ড,
পোস্ট থেকে অনেক কিছু জানলাম, বুঝলাম।
অনেক ধন্যবাদ
প্রিয়তে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৮
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ
২৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:১০
ডাঃ মাহবুব গাউস বলেছেন: আমার ফ্রেন্ড রেজার কাছে আমি প্রথম এই ব্যান্ড এর নাম এবং গান শুনেছি। তখন মুগ্ধ এবং রেজা এক রুমে থাকত। মুগ্ধ এই গানগুলো প্রায় সময়ই শুনত।
আমি কবিতা খুব কম বুঝি, তারপরও জীবনানন্দ আমার খুব প্রিয় কবি।
আপনার আলোচনা দুর্দান্ত
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪১
ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমি জানতাম মুগ্ধ ...
যাই হোক। কৃতজ্ঞতা রইল ।
২৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫৫
কল্যাণমিত্র বলেছেন: অনেককেই জিগ্গেস করেছি , মহীন কে ? মহীনের ঘোড়াগুলি মানে কি? আপনাকে ধন্যবাদ , সেল্যুট । ভাল থাকবেন । প্রিয়তে ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ
২৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪১
নুভান বলেছেন: ধন্যবাদ ইমন ভাই এত বিস্তারিত লিখবার জন্য। মহিনের ঘোড়াগুলি আমার খুব প্রিয় একটি দল, আর তাদের কিছু গান ইউটিউবেও আপলোড করেছিলাম একদা।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪৪
ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নুভান। এই ব্যান্ডের রুচিশীলতাই এর প্রধান দিক।
২৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:২৮
অক্টোপাস পল বলেছেন: রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করা যায় না। তবে রবীন্দ্র পরবর্তী যুগের এই সাধাসিধা মানুষটাকেও অস্বীকারের উপায় নেই।
মহীনের ঘোড়াগুলি নিয়ে আমার সমস্ত কৌতুহল মিটিয়ে দেয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৩৫
ইমন জুবায়ের বলেছেন: রবীন্দ্র পরবর্তী যুগের এই সাধাসিধা মানুষটাকে অস্বীকার সম্ভব না।
ধন্যবাদ।
২৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৪০
রেজোওয়ানা বলেছেন: মহীনের ঘোড়াগুলি'.....আমার খুব প্রিয় দল।
নামটা অদ্ভুত, মাঝে মাঝেই মনে হতো কেন এমন! এর পেছনে যে এমন চমকপ্রদ একটা ইতিহাস আছে, কে জানতো। চমৎকার সহজবোধ্য ব্যাখ্যায় পুরোটা পরিস্কার হলো এত দিনে!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪৭
শশী হিমু বলেছেন: জন্মদিন!! আমার তো জন্মদিন না আজ
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৯
ইমন জুবায়ের বলেছেন: সরি, ভুল হয়ে গেছে। কী করে হল বুঝতে পারছি না
এনি ওয়ে
৩১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫২
~মাইনাচ~ বলেছেন: নামটা অদ্ভুত সুন্দর মহীনের ঘোড়াগুলি ,
ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টের জন্য
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০০
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৪৩
ভারসাম্য বলেছেন: মহীনের ঘোড়াগুলোর কথা শুনে আমার আবার মঈনের ঘোড়াগুলির কথা মনে পড়ে গেল। মনে পড়ে ট্রয়ের কাঠের ঘোড়ার কথাও।
আমরা যাইনি ম’রে আজো -তবু কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয়; /
মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে;/
প্রস্তরযুগের সব ঘোড়া যেন -এখানে ঘাসের লোভে চরে/
পৃথিবীর কিমাকার ডাইনামোর প’রে। /
কি সুন্দর অথচ দূর্বোধ্য কটা লাইন ! সুন্দর লেগেছে আপনার বিশ্লেষণটাও।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:০১
ইমন জুবায়ের বলেছেন: মঈনের ঘোড়াগুলি
ধন্যবাদ।
৩৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১৭
অপরাজিতার কথা বলেছেন: অসম্ভব ভালো লাগা রইল আপনার এই বিশ্লেষনের জন্য।ধন্যবাদ।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:১০
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:২৩
তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: মহিনের ঘোড়াগুলির উল্লেখ আমাকে উত্তাল ছাত্রজীবনে নিয়ে গেল, নস্টালজিক করে তুলল। এ্যালবামটা যখন কিনি তখন মেডিকেলের ছাত্র; এক বন্ধুর কাছে ময়মনসিংহ গীতিকার গানের ব্যাখ্যা শুনে তখনিই এ্যালবামটা কিনে ফেলি। ব্যান্ডটার গানগুলোও খুব প্রিয় হয়ে যায়। দিনরাত শুনতাম ওদের গান। আমার মেডিকেলে মহিনের ঘোড়াগুলি আমিই ইন্ট্রোডিউস করেছিলাম। এর কিছু দিন পরে দেখি হোস্টেলের অনেকগুলো রুমের খোলা জানালা দিয়েই ভেসে আসছে মহিনের ঘোড়াগুলির গান।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:১৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: বাংলাদেশের রুচিশীল শ্রোতার অন্যতম পছন্দ মহিনের ঘোড়াগুলি ...আর কী বলব।
ধন্যবাদ।
৩৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩৫
শাহেদ খান বলেছেন:
চতুর্দশপদী কবিতা : ৩৭
মহীনের ঘোড়াগুলি মহীনের ঘরে ফেরে নাই
উহারা জেব্রার পাশে চরিতেছে। বাইশ জেব্রায়,
ঘোড়াগুলি অন্ধকার উতরোল সমুদ্রে দুলিছে
কালের কাঁটার মত, ওই ঘোড়াগুলি জেব্রাগুলি
অনন্ত জ্যোৎস্নার মাঝে বশবর্তী ভূতের মতন
চড়িয়া বেড়ায় ওরা - কথা কয় - কী কথা কে জানে?
মানুষের কাছে আর ফিরিবে না এ তো মনে হয়
আরো বহু কথা মনে হয়, শুধু বলিতে পারি না।
বাইশটি জেব্রা কি তবে জেব্রা নয়? ময়ুরপঙ্খীও
হতে পারে এই ভৌত সামগ্রিক জ্যোৎস্নার ভিতরে?
বামনের বিষন্নতা বহে নেয় ও কি নারিকেল
ও কি চলচ্ছবিগুলি লাফায়ে-লাফায়ে যাবে চলে?
ও কী মহীনের ঘোড়া? ও কি জেব্রা নয় আমাদের?
অলৌকিকতার কাছে সবার আকৃতি ঝরে যায়।।
-- (শক্তি চট্টোপাধ্যায় : চতুর্দশপদী কবিতাবলী; ১ম প্রকাশ - ১৯৭২)
আপনার পোস্টে +++, ভাইয়া।
আমি এটা (শক্তি'র কবিতাটা) পড়েছিলাম, আর এখানে এসে পোস্টের বিষয়ও একই দেখলাম বলে কমেন্টে যোগ করে দিলাম।
('মহীনের ঘোড়াগুলি' নিয়ে জীবনানন্দের কবিতাটা আমি আগে পড়িনি। শক্তি'র-টাই পড়েছিলাম। এখন সবটা দেখে আরও জটিল হয়ে গেল দেখছি!)
আপনার বিশ্লেষণের আশা রাখি।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪০
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩৮
শাহেদ খান বলেছেন: শক্তি চট্টোপাধ্যায়-এর লেখাটা নিয়েও আপনার মতামতের অপেক্ষায় থাকলাম।
আর, এই পোস্ট'টা আমি প্রিয়তে নিলাম।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪০
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:২৯
াহবুব বাবুই বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম, এই নামটা নিয়ে কনফিউশন কিছুটা দূর হল। প্রিয়তে
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৩৪
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৩:৩১
বনজ্যোৎস্নায়,সবুজ অন্ধকারে বলেছেন: াহবুব বাবুই বলেছেন: পানিপথের কোন যুদ্ধে হিমুকে পরাজিত করেছিল খুব সম্ভবত মহীনা, এরকম কিছু একটা পড়ছিলাম, তবে এটা শুধু কল্পনা না, ঐতিহাসিক যোগ আছে।
৩০ শে মার্চ, ২০১২ ভোর ৬:৫৭
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৯| ১১ ই মে, ২০১২ রাত ২:৪১
কথাফাজিল বলেছেন: মহীনের ঘোড়াগুলিকে প্রথম ভালোবেসেছিলাম 'তোমায় দিলাম' গানটা শুনে। তারপর 'তাকে যত তাড়াই দূরে', 'পৃথিবীটা নাকি', 'আমার দক্ষিণ খোলা জানালা', 'এলো কি এ অসময়', 'ভিক্ষেতেই যাবো', 'আমার প্রিয় ক্যাফে'
ক্রমে ক্রমে ভালোবাসা বেড়েই গেছে। আজ মনেপ্রানে ভারতবিদ্বেষী হয়েও মহীনের ঘোড়াগুলিকে ছাড়তে পারিনি। কারন আমি মনে করি কাব্য-সাহিত্য, সঙ্গীতের কোন সীমান্ত গণ্ডি নেই।
১১ ই মে, ২০১২ ভোর ৪:২৪
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৪
অচিন্ত্য বলেছেন:
লেখাটা পড়তে পড়তে দ্বৈত শিহরণ জাগছিল। প্রথমত আমার এই বহুপঠিত কবিতার এই অদ্ভুত নব উদ্ভাস ! দ্বিতীয়ত আপনার কবিতাবোধের জায়গা। কবিতাটি আপনি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এমন চমৎকার একটি বাচনভঙ্গি অবলম্বন করেছেন যা কবিতাটি ব্যখ্যার একেকটি সম্ভাবনা প্রস্তাব করে। পাঠক এই সম্ভাবনা নিয়ে নিজে নিজে নাড়াচাড়া করার একটা চমৎকার জায়গা পেয়ে যায়। এমনকি যেসব জায়গায় আপনি কিছুটা সুনির্দিষ্ট, সেখানেও কিভাবে যেন ব্যাখ্যার নবতর সম্ভাবনার কথাটি জিইয়ে রাখেন। আমি মুগ্ধ !
কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক একটি বিষয় শেয়ার করতে ইচ্ছে করছে। ফকরুল আলম স্যার এর অনূদিত জীবনানন্দ দাশ এর ‘স্বপ্নের ধ্বনিরা’ কবিতাটি (অনুবাদটি) আমাকে খুবই আন্দোলিত করেছিল। শব্দ-সুরের খেয়ালিপনার একটা নিজের জগত আমি লালন করে আসছি। স্যারের অনুবাদ কবিতাটি আমি সুর করার চেষ্টা করেছিলাম। ঘটনাচক্রে আমার মাস্টার্স এর ভাইভা’তে স্যার এক্সটারনাল হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ভাইভা শেষে স্যারকে আমি গানটি (?) শোনাই।
[“...কবি যে দৃশ্যের অবতারণা করেছেন সেই দৃশ্যগুলোর মধ্যে নৈয়ায়িক শৃঙ্খলার পরিচয় নেই, পারম্পর্য নেই, যুক্তি-তর্ক ও সিদ্ধানে-র বিষয় নেই –আছে শুধু বোধের বহুতর অংশ-খণ্ডাংশের এক গোপন অবচেতনার প্রবাহ।” ইশ ! এই অনুভব, যা গভীর গোপন সঙ্গোপন, কিভাবে শব্দের বন্ধনে নিয়ে আসেন শব্দ কারিগরগণ ? অবাক হই আমি। আমার পড়া সবচেয়ে দুর্বোধ্য কবিতা জীবনানন্দ দাশ এর ‘গোধুলি সন্ধির নৃত্য’। এই ব্যন্ডের আমার সবচেয়ে প্রিয় গান ‘রানওয়ে’]
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৩০
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৫
কয়েস সামী বলেছেন: ভাল লাগা রইল।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২০
সাদিক সাকলায়েন বলেছেন: এক বছর আগের লেখা কিন্তু আমার পড়ার সৌভাগ্য হলো আজ। অনেক ধন্যবাদ।
৪৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০০
সুজন দেহলভী বলেছেন: ধন্যবাদ এই তথ্যবহুল লেখাটির জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:০৮
ডেভিড বলেছেন: প্রথম ভালা লাগা