নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে যাই বলুক , ব্যাপারনা

Why does life keep teaching me lessons, i have no desire to learn.

ব্যাপারনা

ব্যাপারনা !!!! জগতে যে যাই বলুক, যে যাই করুক যদি শান্তি চান তবে মনে মনে ভাবুন ব্যাপারনা !!!

ব্যাপারনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমুদ্র কন্যা !!! শুধু দিন শেষে নয়, সব সময় আপনি একজন মেয়ে, যেমন আমি সবসময়ই একজন ছেলে ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:০৬

অনেকের সাথে চমৎকার সময় কাটিয়ে ফেরার পথে ঘটে যাওয়া অনাকাংখিত ঘটনা থেকে আপনি আপনার নারীত্বের উপর দোষ চাপিয়ে কিছুটা ক্ষোভ ঝারলে ও ব্যাপারটা আরও অনেক ঠান্ডা মাথায় ভাবার অবকাশ আছে বৈকি !!! আমরা সুযোগ পেলে পুরুষদের একগাদা গালি দিয়ে শান্তি পাই, জগতের সব নস্টের গোঁড়া এই পুরুষরা, এই পুরুষদের জন্যই জগতের সব নারী বিপদ সংকুল পথ পাড়ি দিচ্ছে !!!!!



আদিম মানব সভ্যতার আজকের যে বিবর্তন তার মূলে বাকী সব কারন গুলোকে ইগনোর করলেও দুটো কারনকে আমরা কখনো ইগনোর করতে পারবনা- এর একটা হচ্ছে যৌনতা আর অন্যটা হচ্ছে ক্ষুধা । এদুটো না থাকলে পৃথিবী আজকের এই অবস্হানে কখনো আসতনা।



যৌনতার পেছনে রয়েছে অন্য কারন। বংশ বিস্তার ও বংশ রক্ষাই শুধু নয় যোগ্যতম বংশ বিস্তার । ভলগা থেকে গঙ্গা- মানব সভ্যতার এই বিশাল বিবর্তনের শুরুর দিকে নারীই নিজের সঙ্গী খুজে নিত- যোগ্যতম বংশ বিস্তারের জন্য । ধীরে ধীরে নানা বিধ কারনে এই ক্ষমতা পুরুষের হস্তগত হয়, যদিও প্রণী জগতের অন্যকূলে এই ভূমিকা এখনও স্ত্রী প্রজাতিরাই পালন করে।



পুরুষ যখন এই সিলেকশনের দায়িত্ব নিজে নিয়ে নিল- তখন থেকে সে ও শুরু করল যোগ্যতম মা খুজে বেড়ানো। বিত্তবান পরিবারের মেয়ে এবং ছেলেরা কেন দেখতে সুন্দর হয় এই নিয়ে ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল একটা মজার থিউরি দিয়েছেন- তারা এত বেশী ফিল্টার হওয়ার মাধ্যমে এই পৃথিবীতে এসেছেন যে সুন্দর না হয়ে উপায় নেই।



ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখবেন রাজপুত্ররা সব রাজকন্যাদের সাথেই বন্ধনে আবদ্ধ হন। যায় হউক এখানে ইস্যু সেটা না-ইস্যু হচ্ছে যুগ যুগ ধরে আমরা জেনেটিকালি যে ধারা বহন করে চলেছি তা হচ্ছে যোগ্যতম সঙ্গী খুজে নেবার প্রবনতা ।



জেনেটিকালি বহন করা এই প্রবনতার ফল হচ্ছে মেয়ে দেখলেই ছেলেদের ফেলফেল করে তাকিয়ে থাকা, আর সমাজ বিবর্তনের ধারায় মেয়েরা যেহেতু চালকের আসনে নেই তাই তাদের তাকানোটা সরাসরি না হলেও বেশীর ভাগ সময় আঁড়চোখে তাকানোটা তারা মিস করেনা।



ছেলে মেয়ের সম্পর্ক বিবেচনায় প্রেম ভালবাসা বা অন্য যত নামই তাকে দিতে চান না কেন প্রকৃতির কাছে সেসবের তেমন মূল্য নেই। মূল হচ্ছে আদর্শ যৌন সঙ্গী নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজাতির ধারা অব্যাহত রাখা , যোগ্যতম প্রজাতির বিকাশ। তাই দেখবেন যেসব পুরুষ আড্ডায় বড় গলায় বলে আরে বাতি নিভিয়ে দিলে সব মেয়েই এক- বিয়ে করার বা সঙ্গী নির্বাচনের সময় তারা কিন্তু অত সরল সমীকরনে পথ হাঁটেন না । মেয়েরাও একই- একটা ছেলে হলেই হবেনা, তাকে অনেক গুনধারন করতে হবে এই নীতিতেই চলেন -আফটার অল প্রজাতির ধারা গুলোত অব্যাহত রাখতে হবে।



শিক্ষা জ্ঞান বিজ্ঞানের বিকাশের সাথে সাথে যৌনতা , যৌন সঙ্গী নির্বাচন শব্দটায় কেমন যেন খারাপ একটা তকমা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই এটি নিয়ে আলোচনায় আমরা স্বস্তি বোধ করিনা । সো একে ভালবাসা টার্মস এ রেখে দেয়ায় ভাল।



এবার ছেলেদের কিছু বিষয় বলি- আপনি যেসব ছেলেদের সাথে পরিচিত, যাদের সাথে সুন্দর আড্ডার সময় কাটান, মোর অর লেস তারা সবাই আপনার চোখে স্বজ্জন, মেয়েদের প্রতি তাদের অগাধ শ্রদ্ধা , নারী স্বাধীনতায় অগাধ সমর্থন গলে গলে পড়ে। আপনি শ্রদ্ধায় অবনত হন, এমন সুন্দর সম্পর্ক হতে পারে ভেবে মুগ্ধ হন। ভাল লাগায় সময় কেটে যায়।



ব্যাপারটা অত সরল সমীকরনে স্হান দেয়া ঠিকনা । অপরিচিত যে ছেলেটি রাস্তায় এক নজরে আপনার সর্বাঙ্গে দৃস্টি বুলিয়ে নেয় অশ্লীলভাবে, আপনার সাথের প্রিয় বন্ধুটির ঐ অশ্লীলদৃস্টি আপনার চোখে পড়েনা- এক্ষেত্রে সে ছেলেটির শিক্ষা, বিবেকবোধ তার আচার আচরন একটা শালীনতার মুখোশে ঢাকা থাকে, তাই আপনি দেখতে পাননা । মা আর বোন ছাড়া অন্যকোন নারীই ছেলেদের কাছে মহৎ দৃস্টি পেতে পারেনা -এটা সম্ভব না।



আজকের সমাজের অতি উচ্চ আসনে আসীন অনেককেই চিনি অবসরে প্রিয় বান্ধবীটির শরীর নিয়ে দুটো মুখরোচক কথা বলতে দ্বিধা করেনা , এমন অনেকেই আছে-ক্যাম্পাসের শুরুর জীবনে যে নারীর আকর্ষনীয় ফিগার নিয়ে উহু আহা করত বন্ধুমহলে, সময়ের ফেরে সে নারী যখন তার ঘনিস্ঠ বন্ধু হয়ে যায়, আপনি কি মনে করেন ঐ চোখ তখন ফেরেশতা হয়ে যায় !!!! কিন্তু তারা খুব ভাল বন্ধু থাকতে পারেন এতে কোন প্রবলেম আমি দেখিনি । মেয়েদের দিকে ছেলেরা , তা সরাসরি হউক আর বাঁকা চোখে হউক তাকাবেই- এটা ঠেকানোর উপায় নেই, আকর্ষনীয় ফিগার হলে তার মাঝে যৌন কামনা আসবেই এটা নিশ্চিত, অন্তত যৌন সঙ্গী হিসেবে এই মেয়ে ভাল হবে এটা সে ভাববেই, জীবন সঙ্গী হিসেবে না ভাবলেও । মাফ করবেন আমি সুশীল হতে পারলামনা, আমি আমার ভাবনায় যা আসে তা বলে দিলাম, আমার বন্ধুমহল-যারা সবাই এই দেশের বেশ ভাল ভাল অবস্হানে আছে এবং যাদের চরিত্র নিয়ে এক ফোঁটা কালীমাও কেউ দিতে পারবেনা, তাদের অনুভূতিও এর ব্যতিক্রম নয়।



আমরা আমাদের অশিক্ষিত সমাজের উপর ও এর দায়ভার চাপিয়ে দিই অনেকক্ষেত্রে । সুশিক্ষিত পাশ্চাত্যেই বা নারী কতটুকু স্বাধীন বলুন। ধর্ষকামীতায় লন্ডন ,আমেরিকা কেউ কারো থেকে পিছিয়ে নেই, পিছিয়ে নেই নারীর অবমাননায়। নারীকে নিয়ে কত অশালীন হওয়া যায় এই ক্ষেত্রে তারাইত আমাদের শিক্ষক। আমরা যতই শিক্ষিত হইনা কেন- নারীর দিকে আমাদের দৃষ্টিতে যৌনতা থাকবেই, স্বার্থকটা হচ্ছে নিজের শিক্ষা, পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয় মূল্যবোধ দিয়ে আমরা এটাকে কতটুকু চাপিয়ে রাখতে পারছি । জেনেটিকালি যৌনসঙ্গী নির্বাচনের ইস্যুতে যত বেশী মুখোশ পরে থাকা যায় ততই সাধুতা । দেখতে সুন্দরী, ভাল স্বাস্হ্য তথা ফিগার, ভাল বংশ- সব কিছুর ফলাফল আসলে আরেকটি যোগ্য জেনারেশন !!!!



মেয়েদের ভাবনা কি ,কেমন আমি ঠিক জানিনা , ছাত্রী হলের আড্ডায়ত যাওয়ার সুযোগ হয়নি- তবে ব্যক্তিগত ভাবনা খুব বেশী ব্যতিক্রম হওয়ার কথা না, যৌনতা সেখানে থাকবেই-অন্তত একান্ত ভাবনাতেইত অবশ্যই থাকবে।



যারা আমরা আপনার প্রতি এই অশালীন আচরনে মর্মাহত, ঐ অশিক্ষিত ড্রাইভারের গোষ্ঠী উদ্ধার করে ফেলছি, সেই আমাদের অত সাধু ভাবার কোন দরকার নেই। সুযোগ পেলেই আমরা সবাই পুরুষ, ভাব ধরে লাভ নেই। ড্রাইভারের দাঁত ফেলে দিতে বলা অনেক সহজ, সে আমরাই সুযোগ পেলেই প্রিয় বান্ধবীর গা ঘেষে বসতে দ্বিধা করিনা, শুধু মুখোশটা আছে বলেই বাঁচোয়া ।



এবার একটু আপনাদের কথায় আসা যাক। ছেলেরা সব বদমাশ, এটা একেবারে একপেশে হয়ে যায়..........।



{ শুধুতো এই অশিক্ষিত সিএনজিওয়ালাই নয়, খুব ভদ্রবেশী মুখোশপরা শিক্ষিত ভদ্রলোকও সুযোগ পেলে একি কাজ করছে। সুযোগ পেলে না, বলা যায় সুযোগ করে নিচ্ছে। কি তার চোখের দৃষ্টিতে, কি কথায়, সামনাসামনি অথবা ফোনে... }





মাঝরাত্রিতে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া অলীক কল্পনায় শুধু ছেলেরাই ছুঁতে চাওয়া অধরা নারীকে অথবা আশে পাশের নারীকে নিয়ে স্বপ্নীল ভাবনায় মেতে উঠে এটা আমি বিশ্বাস করিনা। কামনা বাসনা মেয়েদেরও কম নেই । অন্তত বিজ্ঞান তাই বলে , যৌন কামনা ছেলে মেয়ে কারোরই কমনা । অধরা চলচ্চিত্রের নায়ক থেকে শুরু করে আশে পাশের সুপুরুষটি নিয়ে মেয়েরাও স্বপ্নীল ভাবনায় হারায় -এটাকে অত দোষের ও কিছু বলার দরকার নাই।



শিক্ষিত নারীরাও যৌনতা বহিঃপ্রকাশে কোন অংশে পিছিয়ে নেই। আজকালকার কর্পোরেট জগৎ যার খুব ভাল উদাহরন । শুধু শিক্ষিত বসটি বেলেল্লাপনায় মেতে উঠে , সুযোগ নেয়, এটা ঠিক নয়, তাকে সুযোগ করে দেয় এমন মেয়ের ও অভাব নেই। সমমর্যাদার সহকর্মীর সব কথায় যার বিরক্তি ঝরে পড়ে, সেই মেয়েরই বসের রুমে হাসতে হাসতে ওড়না ঝরে পড়ে- উঠানোর খেয়াল থাকেনা - শিক্ষা আর রুচীর কি সুন্দর সমন্বয়, দারুন মুখোশে ঢেকে থাকি আমরা সবসময়।



এই বাজারে যেমন সুযোগ না নিতে চাওয়া লোকের অভাব নেই, শিক্ষা বিবেক যার পথে বাঁধা, তেমনি সুযোগ নিতে চাওয়া লোকের ও অভাব নেই। একই কথা সত্য মেয়েদের বেলায় ও।



ফোনে শুধু ছেলেরাই সুযোগ নেয় এই কথা বললে ছেলেদের প্রতি অবিচার হয়ে যাবে। অমন মেয়ের ও অভাব নেই। দুপক্ষই এই কাজ করে।



একটা জিনিস খেয়াল করবেন ছেলে আর মেয়েদের যত ফোনালাপ তার বেশীরভাগই ঘটে রাত্রিতে !!! কেন বলুনতো ??



সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর একমাত্র যে অপ্রাপ্তিটা থাকে দুপক্ষের তা ঐ যৌনতা !!! যৌনতা -এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আমাদের শিক্ষা, মূল্যবোধ হয়ত বেশীরভাগ সময়ই আমাদের এটা প্রকাশ করতে বাঁধা দেয় , তাই আমরা কথা বলেই ক্ষান্ত হই , যৌনতার ব্যাপারটা বালিশের সাথে চাপা দিয়ে দিই । কেউ কেউ অতি আবেগে বাঁধ ভেঙ্গে ফেলে, আবার হয়ত ফিরে ও আসে মুল্যবোধের জগতে অথবা চালিয়ে যায়।



পুরুষদের এক তরফা দোষ দেয়ার মধ্যে তেমন কোন স্বার্থকতা নেই। তার শারীরিক শক্তি বেশী থাকায় তার প্রকাশটা দৃস্টিকটু ভাবেই ফুটে উঠে । সে যত বেশী শিক্ষিত হবে , শুধু মাত্র তার প্রকাশ ভ্ঙ্গীতেই সে পার্থক্যটা ফুটে উঠবে এর বেশী কিছু নয়। আর নারীরা শারীরিক ভাবে একটু পিছিয়ে থাকায় এবং সামাজিক বিবর্তনে লজ্জা তাদের একটি অংশ হয়ে যাওয়াই তাদের প্রকাশটা চোখের আড়ালেই থেকে যাবে- এর বেশী আর কিছু না !!!! একে অন্যের প্রতি আকর্ষন কারোরই কম না ।



আমরা সবাই শিক্ষিত হয়ে উঠি আর সুন্দর মুখোশে যত বেশী নিজেদের আবদ্ধ করতে পারব সমাজটা ততই সুন্দর হবে। যৌনতা (আজকাল এটা বিনোদন ও বটে ) তথা বংশ ধারা রক্ষা প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম। এর ব্যত্যয় হলে জগতে নারী পুরুষ কেউ কারো ধার ধারত বলে মনে হয়না ।

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +৩৯/-৫

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:১১

আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: দিলাম প্লাস

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:২০

ব্যাপারনা বলেছেন: ধন্যবাদ...।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:২০

বিবর্ণ বলেছেন: আংশিক একমত!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:২৩

ব্যাপারনা বলেছেন: ব্যতিক্রম অনেক উদাহরন দেয়া যায়, সেটা ইগনোর করা হইছে.......।

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:২৬

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: সুপার


তাদের তাকানোটা সরাসরি না হলেও বেশীর ভাগ সময় আঁড়চোখে তাকানোটা তারা মিস করেনা।



হমমম


২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:০৯

ব্যাপারনা বলেছেন: হমমমম

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:২৯

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: মোটামুটি বেসিক এইটাই

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:২৪

ব্যাপারনা বলেছেন: ধন্যবাদ...।

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৩৬

হা...হা...হা... বলেছেন: পুরোটা পড়া হলো না। তবে মূলভাবটি ধরতে পেরেছি। চমৎকার লিখেছেন।

সমুদ্র কন্যার লেখায় আমি একটা কথা বলেছিলাম যে, একজন পুরুষ একজন পুরুষই, একজন নারী একজন নারীই। দু'য়ে মিলে মানুষ।

উনার যাদের সাথে আড্ডা দিয়ে ফিরছিলেন তাদের সাথে ওই সিএনজি ড্রাইভারের মানসিকতার কোন পাথর্ক্য নাই। একটি মেয়েকে একটি পুরুষ এই ভাবেই দেখে। সমস্যাটা হলো সেই অনুভূতির প্রকাশে। উনি যাদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন তার অনেক রুচিশীল ও শিক্ষিত। তারা জানে কিছু অনুভুতিকে কিভাবে প্রকাশ করতে হয়। কিন্তু ওই সিএনজি ড্রাইভার তা জানেনা। তারটা সে সরাসরি প্রকাশ করে দিয়েছে। যার মধ্যে কোন ভনিতা ছিল না। এই হলো ব্যপার।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:০৮

ব্যাপারনা বলেছেন: দু'য়ে মিলে মানুষ।এই বোধ যত বিকাশ লাভ করবে সমাজ তত সুন্দর হবে.....।

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৪০

সাধারণমানুষ বলেছেন: পিলাস দেয়ার জন্য লগইন করলাম....

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৪৯

ব্যাপারনা বলেছেন: ধন্যবাদ...।

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫০

যীশূ বলেছেন: অধিকাংশ বিষয়ে একমত না।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫৭

ব্যাপারনা বলেছেন: আপনার শিক্ষা, বিবেকবোধ, রুচী হয়ত অনেক উন্নত-আমারটা অত না .......তাই একমত না হওয়াটা অস্বাভাবিক না ।

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫৩

হামদান বলেছেন: সহমত

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪৯

ব্যাপারনা বলেছেন: ধন্যবাদ...।

৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫৫

আকাশ_পাগলা বলেছেন: মূল বিষয়টাতে একমত, বাকি বিষয়ে বা সেইটার ব্যাখ্যায় না।

"একটা ছেলে হলেই হবেনা, তাকে অনেক গুনধারন করতে হবে এই নীতিতেই চলেন -আফটার অল প্রজাতির ধারা গুলোত অব্যাহত রাখতে হবে।"

এই লাইনে আপনার ব্যাখ্যাটা ভুল আসছে। যৌনতা মেইন ফ্যাক্ট হলে, একটা ছেলে কী একটা মেয়ের শুধুই বুকের সাইজ দেখে বা একটা মেয়ে কী একটা ছেলের শুধুই ফিটনেস দেখে??

তাইলে একজন আরেকজনের বাকি এত স্বভাব নিয়া, টাকা পয়সা নিয়া ঘাঁটাঘাঁটি করে ক্যান?

এইখানে যৌনতার সাথে অর্থ একটা বিশাল ফ্যাক্ট। এইটার মানে হইতাসে, "মানসিকতায় শুধু যৌনতাই থাকে, তা না।"



"ব্যাপারটা অত সরল সমীকরনে স্হান দেয়া ঠিকনা । অপরিচিত যে ছেলেটি রাস্তায় এক নজরে আপনার সর্বাঙ্গে দৃস্টি বুলিয়ে নেয় অশ্লীলভাবে, আপনার সাথের প্রিয় বন্ধুটির ঐ অশ্লীলদৃস্টি আপনার চোখে পড়েনা- এক্ষেত্রে সে ছেলেটির শিক্ষা, বিবেকবোধ তার আচার আচরন একটা শালীনতার মুখোশে ঢাকা থাকে, তাই আপনি দেখতে পাননা । মা আর বোন ছাড়া অন্যকোন নারীই ছেলেদের কাছে মহৎ দৃস্টি পেতে পারেনা -এটা সম্ভব না।"


এই প্যারাটায় বড় মাপের সমস্যা আছে। দেখেন, আপনি যখন একটা মেয়ের দিকে তাকান, শুধুই কী তার বুকের দিকে তাকান? যদি সেটা কোন সুন্দরী মেয়ের পাসপোর্ট সাইজের ছবি হয়, তখন তাকান না? তখনও তাকায় ছেলেরা। লাইট নিভালে যপদি চেহারা না দেখা যায়,তাহলে ক্যান তাকায়? ঘটনা হল "ফ্যান্টাসী"। যার মানে হল, এভাবে চেহারা দেখলে মনে মনে তার ভাবতে ভাল্লাগে। এইখানে বুঝাতে চাচ্ছি, "মানসিকতা একটা ফ্যাক্ট।" মানে হল, শুধু নিজের মা বোন না, বরং অন্য কোন মেয়েকেও সে ঐ চোখে বা মা বোনের পর্যায়ে ফেলতে পারে। আপনার খালা যখন আপনাকে মায়ের স্নেহ করে, তখন আপনি একটা ছেলে হিসেবে কী চোখে দেখেন?

আর, আসলে মানুষের সাথে মিশতে মিশতে সম্পর্ক একটা সময় এমন চলে যায়, যে, কখনই ঐ ধরণের কথা মাথায় আসে না। এইটা ছেলে অনুযায়ী ভ্যারি করে, কে কেমন! একটা মেয়ে রাস্তা ঘাটে সবার সাথে ইজি হয়ে গেলে বলার কিছু নাই, কিন্তু রাস্তার বাকি ছেলে আর তার ফ্রেন্ডদের সবাই মনের ভিতরে একই চোখে দেখছে, এটা ভুল। একেবারেই ভুল। ক্লাসের সব ছেলে একটা মেয়েকে একই চোখে দেখবে না। "খুব ভাল বন্ধু" কথাটা তখনই সত্য যখন সেটা একটা মেয়েকে "বউ" এর দিকে না "বোনের" দিকে নিয়ে যায়।

আমি রাস্তার একটা মেয়ের দিকে যেভাবে তাকাই, আমার ফ্রেন্ডের দিকে সেভাবে তাকাই না। আবার, আমার সব কাজিনের দিকে একভাবে তাকাই না।


"বসের রুমে হাসতে হাসতে ওড়না ঝরে পড়ে- উঠানোর খেয়াল থাকেনা - শিক্ষা আর রুচীর কি সুন্দর সমন্বয়, দারুন মুখোশে ঢেকে থাকি আমরা সবসময়।"
এইটা কী যৌনতার বহিঃপ্রকাশ??? বলেন কী? পুরা পোস্টকে একটা নাজুক অবস্থায় এনে দিল। এইটা হল পুরুষটার যৌনতার সুযোগ নেয়া। আবার, ঠিক তাও না। বনশবৃদ্ধি মেইন কথা হইলে, কেউ কনডম কিনত না। দেখা যাবে, সেই পুরুষ বসের বউ আছে, সে চাইলেই ব্রোথেলে যাইতে পারে। তাও যখন সে অফিসের সেই মেয়ের সাথে সুযোগ খুঁজে, আপনার ধারণা এইটা যৌনতা???? ???? এইটার নাম ফ্যান্টাসী। এইটা মানসিক ব্যাপার, যেইটা যৌনতাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে। যেমন, আমি এই জিনিসটা ভেবে সেক্স ফিল করি, আগে থেকেই। এখন যদি আমি অফিসে যাই, আর সুযোগ পাই,বাজি হই বা না হই, তখন আমার ব্রেইন এই পুরানো আগের ফিল টা মনে করবে। যৌনতার ভিত্তিটা এখন না, আগেই তৈরি হয়ে আসলো(পর্ণের কল্যাণে)।বসের যদি এইটা নিয়া ফ্যান্টাসী না থাকত,তাইলে সে এই মেয়েকে ইজিলি ফিরায়া দিতে পারে। মানে বুঝছেন? পুরা ব্যাপারটা আসলে যৌনতা না বরং অনেকটুকুই মানসিকতা আর মানসিক ফ্যান্টাসীর উপর। আর মেয়েটার বেলায় এই কাজ যৌনতা না, একটা প্রতারক যেই মানসিকতায় থাকে, সেও একই মানসিকতা নিয়ে ঘুরে। ক্যাটাগরী যৌনতা কিন্তু কার্যকারণ তা না। যৌনতা আসল ফ্যাক্ট হলে, তার কলিগ কী তাকে শান্তি দিতে পারত না?
সে কেন বস কে চয়েস করবে?


"একে অন্যের প্রতি আকর্ষন কারোরই কম না ।" এই লাইনটাতে একমত।

উপরে এত ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝাতে চাইলাম, শেষের লাইনে মুখোশ পরে থাকার দরকার নাই। মুখোশ ছাঁড়াও ঠিক থাকা সম্ভব।অনেকেই ত আছে, এই টা মানসিকতার উপর নির্ভর করে।মুখোশ লাগবে না বোধহয়।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:১৩

ব্যাপারনা বলেছেন: আপনার ব্যাখ্যার সাথে একমত । আমি আসলে যে ব্যাপারটা তুলে ধরতে চেয়েছিলাম সেটা হচ্ছে - মেয়েদের প্রতি পুরুষের যে আকর্ষন তা একটা ধারাবাহিক পরিক্রমা । এটাকে স্বল্প শব্দে ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝানো সম্ভব না।

যুগের পরিবর্তনে-শিক্ষা সমাজ ব্যবস্হা, ধর্মীয় মূল্যবোধ আমাদের কে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে , শ্রদ্ধা করতে শিখিয়েছে । তাইত আমার মেয়ে বন্ধু নিঃসংকোচে আমার সাথে ঘুরতে দ্বিধা করেনা । তাকে নিয়ে কোন বাজে অভিরুচীও আমার মাঝে কাজ করেনা, বাট কখনো করে নাই এ কথা আমি বলবনা। কিন্তু সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় এটার বিবর্তন হয়েছে ।

আর মুখোশ বলতে এখানে আসলে বিকাশকেই বুঝাতে চাইছি....। এটা যত বেশী হবে সিচুয়েশন তত স্বাভাবিক হবে।

আর একতরফা সব দোস ছেলেদের ঘাড়ে দেয়াটা মেনে নিতে পারি নাই। তিক্ত অভিজ্ঞতা ছেলেদের পরিমানে কম হলেও যে নাই তা নয় ।

আর ফ্যান্টাসীর যে কথাটা বলেছেন সেটা কিন্তু আমিও উল্লেখ করেছি। হয়ত অন্য প্রেক্ষাপটে................

১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫৭

এক্স বলেছেন: মেডিক্যাল সায়েন্স বলে,
ছেলেদের মধ্যে সেক্সুয়াল প্রয়োজনটা স্পন্টেনিয়াস ভাবে আসে কিন্তু মেয়েদের বেলায় তা নয়, তাদেরটা ট্রিগার করতে হয়.
একটা ছেলে প্রতি ঘন্টায় কয়েকবার সেক্সের কথা চিন্তা করে কিন্তু একটা মেয়ের এই ফ্রিকোয়েন্সি হল সপ্তাহে ১ বার.
একটা ছেলে ইন্টারকোর্সের সময় যে আনন্দ পায় একটা মেয়ে কথা বলে সেই আনন্দ পায়.
===================
একটা ছেলে তার ব্যাক্তিত্ব ও শক্তি দিয়ে মেয়েকে প্রভাবিত করতে চায় কারন মেয়েরা পার্টনার হিসেবে ব্যাক্তিত্বসম্পন্ন ও শক্তিশালী ছেলেদের পছন্দ করে. সিম্পলি মেয়েরা খোঁজে নিরাপত্তা ও সাহায্যকারী. অন্যদিকে মেয়েরা তাদের সৌন্দর্য দিয়ে ছেলেদের প্রভাবিত করতে চায় কারন ছেলেদের মষ্তিষ্ক সৌন্দর্যর প্রতি সেনসিটিভ. যৌনতার সাথে সাইমালটেনাসলি একটা ছেলে চায় সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট. এখানে আসলে অনেক ফ্যাক্টরই আছে.

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:২৮

ব্যাপারনা বলেছেন: একটা ছেলে ইন্টারকোর্সের সময় যে আনন্দ পায় একটা মেয়ে কথা বলে সেই আনন্দ পায়. .. (ভাবনার ইমো হবে ) !!!!!

১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫৮

আকাশ_পাগলা বলেছেন: বাই দ্যা ওয়ে, সমুদ্র কন্যার কোন পোস্ট??(পোস্ট দায়কের নাম কমই দেখি।) সেই পোস্টের কথা মনে নাই বা হয়ত পড়ি নাই। আমার কমেন্ট কিন্তু আপনার পোস্ট নিয়া আসছে, সমুদ্র কন্যার পোস্টের সাথে সম্পর্ক নাই।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:২৯

ব্যাপারনা বলেছেন: Click This Link

১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:০১

শ্রীমান বলেছেন: মা আর বোন ছাড়া অন্যকোন নারীই ছেলেদের কাছে মহৎ দৃস্টি পেতে পারেনা -এটা সম্ভব না... কেন নয় বলবেন কি? আপনার মেয়ে বন্ধুটি বিবস্ত্র হয়ে কামনায় অধীর হলেই আপনাকে তা গ্রহন করতে হবে এমন কোন কথা নেই... তাহলে আপনার 'চরিত্র' শব্দটির মহাত্ত্ব কোথায় থাকবে? আর ঐ অবস্থার উদ্রেক হবে তখনই যখন আপনি নিজে তাকে প্ররোচিত করবেন, তার আগে নয়... তাহলে উনি একাই কেন ভোগান্তির শিকার হবেন?

রাস্তার কোন যৌন কর্মী ক্ষুধার তাড়নায় হোক কিংবা অসৎ চরিত্রেরই কারনেই হোক না কেন, আপনি কি যৌন ক্ষুধা নিবৃত না করেই হাজার টাকার নোটটি বাড়িয়ে দিয়ে এপথ থেকে সরে আসবার পরামর্শ দিবেন?... দিয়ে আসুন সাধুবাদ জানাই....।

আমাদের ধর্মে যৌন ক্ষুধাকে নিবৃত করবার জন্য 'রোজা-সওম'কে ফরজ করেছেন... আরো বলা হয়েছে যথেস্ট সাবালক হবার পরও 'তুমি যদ্দনি পর্যন্ত তোমার সংসার (পত্মি ও সন্তান) পরিচালনা করতে সক্ষম না হ্ও তৎদ্দিন রোজা রাখ'।

বিপরীত লিংগের যাহারাই হোক না কেন, যৌনতায় উদ্বুদ্ধ করাকে না বলা উচিৎ।

সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর একমাত্র যে অপ্রাপ্তিটা থাকে দুপক্ষের তা ঐ যৌনতা--আপনার এ কথাকে মানতে পারলাম না... একপেশে কথা... হয়ত আপনি এরকম তাই বললেন... কারন আপনি নিজেই বলেছেন মেয়েদের ভাবনা কি ,কেমন আমি ঠিক জানিনা..তো আপনি একপেশে কথা বললে তা হবে কেন?

পুরুষকে সৃস্টিকর্তা যথেস্ট সবল করে তৈরী করেছেন যাতে আমি আপনি তাদরেকে দলিত করতে পারি তাকে ধরনীতে ফেলে আর আমরা তার উপর আসীন হয়ে... তাই বলে তার সুযোগ সবক্ষেত্রেই নিতে হবে তার কোন যৌক্তিক কারন নেই.... @সমুদ্র কন্যা শুধু পুরুষের লোভি দৃস্টির লালাময় জিহ্বার প্রদর্শনীর প্রতিবাদ করেছেন মাত্র.... সবক্ষেত্রে পুরুষেরা নিপীড়ন করেন এটাও সত্যি নয়... আবেগ তাড়িত হয়ে অনেক পুরুষকে নি:স্ব হতেও দেখেছি...।

কালোচিতা কিংবা হাতি সঙ্গমের প্রয়োজনে হাজার হাজার মাইল পথ পারি দিতে কৃন্ঠাবোধ করে না। আমরা মানুষ.... সৃস্টির শ্রেস্ট জীব... আমরা লাখ মাইল পারি দিয়ে সঙ্গমের চিন্তা করব... তাই নয় কি?

আপনার লেখনির হাত চমত্কার।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৩০

ব্যাপারনা বলেছেন: বিপরীত লিংগের যাহারাই হোক না কেন, যৌনতায় উদ্বুদ্ধ করাকে না বলা উচিৎ।


দোষটা সবসময় শুধু ছেলেদের ঘাড়ে নিতে আমি নারাজ.....আমার দেখা জগৎ থেকেই এটা আমার উপলোব্ধী ।

১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। দ্বিমত পোষণের কোনো অবকাশ দেখি না- তাহলে মিথ্যা বলা হবে। দেখুন মেয়েদের কথা; লজ্জ পুরুষের ভুষণ:):)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৫২

ব্যাপারনা বলেছেন: ধন্যবাদ...।

১৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:০৫

মানবিক ৩০ বলেছেন: আধুনক সমাজ (সভ্য প্রগতিশীল ইত্যাদি) নারী সব চেয়ে অবমৃল্যায়ন করছে.........এর সমাধারন হিসাবে ধমীর্য় মূল্যবোধ এর্ব নারী ও পরুষ উভয় এর অবাধ মেলামেশা বন্ধ ও হিজাব এর কথা বললে অনেকে আমাকে প্রতিক্রিয়াশীল ,মৌল বাদী .এমন কি জঙ্গী বলে গালি দিবেন ...মাথায় হেলমেট পড়িয়ে ছবিও তুলতৈ পারেন .........কিন্তু প্রকৃত সমাধান দিতে পাবেন কি ? ? ?

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:০৯

ব্যাপারনা বলেছেন: আমি কেমনে বলি !!!

১৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:০৬

মানবিক ৩০ বলেছেন: আধুনক সমাজ (সভ্য প্রগতিশীল ইত্যাদি) নারী কে সব চেয়ে অবমৃল্যায়ন করছে.........এর সমাধারন হিসাবে ধমীর্য় মূল্যবোধ এর্ব নারী ও পরুষ উভয় এর অবাধ মেলামেশা বন্ধ ও হিজাব এর কথা বললে অনেকে আমাকে প্রতিক্রিয়াশীল ,মৌল বাদী .এমন কি জঙ্গী বলে গালি দিবেন ...মাথায় হেলমেট পড়িয়ে ছবিও তুলতৈ পারেন .........কিন্তু প্রকৃত সমাধান দিতে পাবেন কি ? ? ?

১৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:১৫

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: যৌনতা একটা পারমানবিক শক্তি ভালো জিনিস যদি নিয়ত্রন করা যায় আর না হলে বিস্ফোরিত হয়

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৪৯

ব্যাপারনা বলেছেন: নিয়ন্ত্রন করতেই হবে সুস্হ সমাজের জন্য....

১৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:১৭

টানজিমা বলেছেন:
সমুদ্র কন্যা আসলেই মেয়ে........এটা তার প্রমান........

৮১২ বার পঠিত,১০৮ টি মন্তব্য
পোস্টটি ৩৯ জনের ভাল লেগেছে, ২ জনের ভাল লাগেনি।

......................................................

আর আপনে আসলেই ছেলে......এটা তার প্রমান.....

১৮৩ বার পঠিত,২১ টি মন্তব্য
পোস্টটি ১১ জনের ভাল লেগেছে, ১ জনের ভাল লাগেনি ....!!

(বাংগালির হল ফুটবলের স্বভাব। যেদিকে লাথি দিবেন সেদিকেই যাবে আর বলবে, হ ভাই, আপনের কথাই ঠিক)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৩০

ব্যাপারনা বলেছেন: =p~ =p~ 8-|

১৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৩০

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন:
কিছু কিছু বিষয়ে দ্বিমত স্বত্ত্বেও আপনার লেখাটি ভালো লাগলো। কিছু অপ্রিয় চিরন্তন সত্য আপনার লেখায় ফুটে উঠেছে। দ্বিমত নিয়ে আলোচনার লোকের অভাব হবে না, তাই সেগুলো উপেক্ষা করে গেলাম।

প্রাসঙ্গিক আমার একটি পোস্ট আছে । আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৩

ব্যাপারনা বলেছেন: ধন্যবাদ....

১৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৩৪

রাজসোহান বলেছেন: ঐ পোস্ট টিতে সমুদ্র কন্যা ছেলেদের ঢালাও ভাবে দোষারোপ করেনি, বরং কিছু সময়ের জন্য সে অনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলো, যেটা তার সুন্দর সময় থাকাকালীন সময়টাতে মনে হয় নি।


সে ঐ পোস্টে এ রকম শিক্ষিত অশিক্ষিত ছেলেদের খারাপ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে। ঢালাওভাবে ছেলেদের দোষারোপ করে নি ।

আর সে তার বিরক্তির কথাই তুলে ধরেছে, তাতে আপনার জ্বলুনি উঠলো কেন বুঝলাম না ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫৩

ব্যাপারনা বলেছেন: ভ্রাতা জ্বলুনি দেখলেন কই.........আপনার কিছু বলার থকলে সেটা বলেন, অনেকেই বলেছে । ।

মাইনাস দিয়ে সমস্যার সমাধান হবেনা........

{ শুধুতো এই অশিক্ষিত সিএনজিওয়ালাই নয়, খুব ভদ্রবেশী মুখোশপরা শিক্ষিত ভদ্রলোকও সুযোগ পেলে একি কাজ করছে। সুযোগ পেলে না, বলা যায় সুযোগ করে নিচ্ছে। কি তার চোখের দৃষ্টিতে, কি কথায়, সামনাসামনি অথবা ফোনে... } --- মেয়েরাও আজকাল পিছিয়ে নেই । ।

সে তার বিরক্তির কথাই তুলে ধরেছে - আমি আমার যুক্তি বলেছি । । ছেলে হিসেবে সব দোষ নিজেদের ঘাড়ে নিতে আমি রাজিনা, আমারও নিজেকে ডিফেন্ড করার সুযোগ আছে। সব মেয়েকোই সাধু সে শিক্ষিত হউক আর যায় হউক সার্টিফিকেট দিতে আমার আপত্তি আছে।

২০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫০

টেকনলজী বলেছেন:
পোস্টের মূল ভাবের সাথে একমত তবে ব্যাখ্যা টা মোটেও মনঃপুত হয় নি।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:১৬

ব্যাপারনা বলেছেন: ধন্যবাদ.....।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৫৯

ব্যাপারনা বলেছেন: আমার কিছু প্রকাশে হয়ত অতি বেশী রঞ্জক পদার্থ পড়ে গেছে........তবুও সবাইকেই ভাবতে হবে......নিজেকে বদলাতে হবে, শোধরাতে হবে........আমরা যে পারবনা তাও না, আমরাত পারছি, আমাদের বন্ধুরা আর যায় হউক আমাদের কাছে কখনো অনিরাপদ নয়, তা সে যেমনই হউক, আবেগের লাগাম টেনে ধরার অতটুকু বোধ আছে বলেই এখনও পথ চলছি.......।

২১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:২৮

স্বপ্নময় বলেছেন:
সজোরে পিলাস ;)
হুমায়ূন আহমেদ, অশিক্ষিত ব্যাক্তি। নয় কি?

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৫২

ব্যাপারনা বলেছেন: উনি আসল কই থেইকা !!!!

২২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৩৩

ক্লান্ত দুচোখ বলেছেন: সুপার্ভ!
প্রতি লাইনে লাইনে একমত হওয়া ছাড়া উপায় ছিলো না!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:০৩

ব্যাপারনা বলেছেন: ধন্যবাদ...।

২৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৪১

রাজিব খান০০৭ বলেছেন: ঘটনা কি থেকে?

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৫১

ব্যাপারনা বলেছেন: Click This Link

ঘটনা তেমন কিছুনা.............

ছেলে হিসেবে সব দোষ নিজেদের ঘাড়ে নিতে আমি রাজিনা, আমারও নিজেকে ডিফেন্ড করার সুযোগ আছে। সব মেয়েকেই সাধু ,সে শিক্ষিত হউক আর যায় হউক সার্টিফিকেট দিতে আমার আপত্তি আছে।

২৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:১৭

রাজসোহান বলেছেন: আমি আবারও বলছি ঐ পোস্ট টিতে সে ঢালাও ভাবে ছেলেদের দোষ দেয় নি। আপনি কি সমস্ত ছেলেদের প্রতিনিধি হলেন নাকি?

আর একটা কথা যদি আপনি সমস্ত মেয়েদের নিয়েই বলেই থাকেন তাহলে তো আপনার পোস্টের টাইটেলও চেঞ্জ করা দরকার , আপনি যেটা দিলেন সেটা তো মনে হচ্ছে আপনার যত খেদ সব এই সমুদ্র কন্যার প্রতি।

শুধু দিন শেষে নয় একটি মেয়ে সব সময়ই একজন মেয়ে, যেমন আমি সবসময়ই একজন ছেলে ।

টাইটেল যদি এটা হত তাহলে বোঝা যেত যে আপনি ছেলে হিসেবে সব দোষ নিজেদের ঘাড়ে নিতে রাজিনা।সমুদ্র কন্যা কি আপনাকে দোষারোপ করল নাকি?

আপনার টাইটেল দিয়ে কি ব্যাক্তি আক্রমন মনে হয় না?

২৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:১৮

রাজসোহান বলেছেন: আমি আবারও বলছি ঐ পোস্ট টিতে সে ঢালাও ভাবে ছেলেদের দোষ দেয় নি। আপনি কি সমস্ত ছেলেদের প্রতিনিধি হলেন নাকি?

আর একটা কথা যদি আপনি সমস্ত মেয়েদের নিয়েই বলেই থাকেন তাহলে তো আপনার পোস্টের টাইটেলও চেঞ্জ করা দরকার , আপনি যেটা দিলেন সেটা তো মনে হচ্ছে আপনার যত খেদ সব এই সমুদ্র কন্যার প্রতি।

শুধু দিন শেষে নয় একটি মেয়ে সব সময়ই একজন মেয়ে, যেমন আমি সবসময়ই একজন ছেলে ।

টাইটেল যদি এটা হত তাহলে বোঝা যেত যে আপনি ছেলে হিসেবে সব দোষ নিজেদের ঘাড়ে নিতে রাজিনা।সমুদ্র কন্যা কি আপনাকে দোষারোপ করল নাকি?

আপনার টাইটেল দিয়ে কি ব্যাক্তি আক্রমন মনে হয় না?

আর একটা কথা, আমি এই পোস্টে কোন রেটিং দেই নি। মাইনাস প্লাস কিছুই না আর দিবও না।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১২

ব্যাপারনা বলেছেন: লেখা পরেন, বুঝেন, তারপরে বলেন।

সমুদ্র কন্যা : শেষ পর্যন্ত আমি একজন মেয়েই

আমি : সমুদ্র কন্যা !!! শুধু দিন শেষে নয়, সব সময় আপনি একজন মেয়ে, যেমন আমি সবসময়ই একজন ছেলে ।

কিছু বুঝতে পারলেন !!!! এখানে কোন ব্যক্তি আক্রমন করা হয়নি। একজন মেয়ে মেয়েই, একজন ছেলে ছেলেই, নারীত্বকে কাঠ গড়াই দাঁড় করানোর কোন প্রয়োজন নেই । ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে অত বিচলিত ও হবার দরকার নেই । এটা কমন ঘটনা , কখনো প্রকাশ্যে দৃস্টিকটু ভাবে, কখনো অপ্রকাশ্যে এই যা ।

আমাদের চিন্তার যত বিকাশ ঘটবে, যত আমরা শালীন হব চিন্তায় ও পরিশীলতায় ততই আগাবে সমাজ । থমকে যাবার কোন মানে নাই....।

----------------------------------------------------------------------
আপনি কি সমস্ত ছেলেদের প্রতিনিধি হলেন নাকি? - ধরুন হলাম,আপনার কোন কোন অংশে আপত্তি আছে সেটা বলুন।

---------------------------------------------------------------------------
আমি সাধু সাজিনা । আমার এবং আমার পরিচিত অনেকের থেকে এই উপলোব্ধী । আপনি আপনারটা বলতে পারেন, যে কখনো কোন মেয়ে নিয়ে অলীক ভাবনায় ডুবেন নি, কোন উল্টা অনধিকার চিন্তা করেন নি - আপনি তেমন হলে আপনি বলতেই পারেন !!!!

দুঃখিত আমি তেমন না !!! এবং বড় গলায় বলব কেউ যদি এটা বলে সে মিথ্যা বলছে ।

২৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:০৪

সার্থক বলেছেন: কত জটিল জটিল আলোচনা হইতেছে :-B আপনে যা বলছেন তাই ঠিক ভাই, দ্বিমত থাকতেই পারে, কিন্তু মূল কথা এইটাই। কিছু ব্যতিক্রমের উদাহরণ সব ক্ষেত্রেই দেওয়া যায়। ছেলেদের চিন্তা যেইরকম , সেইটাই মেনে নিতে হবে। মেয়েদের চিন্তা যেইরকম, সেইটাও মেনে নিতে হবে। মেয়েরা ওইরকম চিন্তা করেনা দেখে খুঁজে খুঁজে "চিন্তা না করা ছেলে" বের করতে হবে এমন কোন কথা নাই।
নেন প্লাস নেন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:১৯

ব্যাপারনা বলেছেন: দ্বিমত থাকতেই পারে

২৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৪৫

মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন: বেশ ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ।

Click This Link

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:১০

ব্যাপারনা বলেছেন: ok........

২৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ১০০% একমত ভাই, চরম লিখেছেন। ওই পোস্টে আমিও একটা মন্তব্য করেছিলাম, সেখানে আমি এই সমস্যাগুলোর কারণটা আসলে বোঝাতে চেয়েছিলাম। উনি বোঝেন নি।
আপনি খুব বাস্তব জিনিসগুলো তুলে এনেছেন। যাদের বোঝার ইচ্ছা আছে, তারা বুঝবেন।
++++

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:০৩

ব্যাপারনা বলেছেন: বোঝা না বোঝা ব্যক্তিগত ব্যাপার, যে যেভাবে দেখতে চান আর কি...।

২৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:১৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: + দিলাম সহমত কিছু ব্যাপারে দ্বিমত ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৫৫

ব্যাপারনা বলেছেন: দ্বিমত থাকতেই পারে ।ধন্যবাদ....

৩০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩১

অসময়ের আমি বলেছেন: আপনে তো পুরা ফ্রয়েড চালাইয়া দিচেন..............।

একটা জিনিস খেয়াল করবেন ছেলে আর মেয়েদের যত ফোনালাপ তার বেশীরভাগই ঘটে রাত্রিতে !!! কেন বলুনতো ??

সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর একমাত্র যে অপ্রাপ্তিটা থাকে দুপক্ষের তা ঐ যৌনতা !!! পুরা হক কথা......।রুমমেট সারাদিন ওর গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা কয় আমার সামনে কিন্তু রাত হলেই রুমের বাইরে চইলা যায় কথা কইতে,,কেন :P :P :P :P

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৫৯

ব্যাপারনা বলেছেন: ফ্রয়েড যত কথা কইছে তা হজম করতে পারিনাই, এক বার পড়তে নিছিলাম.।হজম হয় নাই.......তাই আর পড়া হয় নাই...।


আপনার বন্ধুতো ভাল মানুষ, আপনার যাতে প্রবলেম না হয় তাই বাইরে চলে যায়.....।

৩১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:২৮

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: বুঝি নাই!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৪৩

ব্যাপারনা বলেছেন: আপনে ভাল পোলা, বুঝনের দরকার নাই....

৩২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:১০

ফেনিল সরোদ বলেছেন: প্রথমতঃ ভালো লাগল, কারণ কিছুটা চিন্তার খোরাক হলো। বা বলতে পারেন আমার চিন্তা বান্ধব পেল। আপনার পোষ্ট এবং কমেন্টগুলো পড়তে পড়তে আসলে অনেককিছুই মনে হচ্ছিল। কিন্তু এতো বেশী বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছিল আলোচনা, যে এরপর কমেন্ট করতে গেলে রীতিমতো উপন্যাস লিখতে হবে। যাক, আমার মনে হয় এখানে অনেকেই, যারা আলোচনাকে মোড় ঘুরিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছে তাদের কেউ কেউ আপনার একটা রেফারেন্স হয় এড়িয়ে গেছে অথবা ধরতে পারে নাই। সেটা হলো রাহুল সাংকৃত্যায়ন-এর ভোলগা থেকে গঙ্গা। আর আপনিও মনে হয় আপনার উপলব্ধিকে প্রকাশ করতে গিয়ে সেটাকে খুব অল্পের উপর দিয়েই ছেড়ে দিলেন। কারণ আমার মনে পড়ে, ওই উপন্যাসে একটা জায়গা ছিলো, যেখানে গোষ্ঠীর সবথেকে আকর্ষণীয় পুরুষটিকে নিজের করে পাবার জন্য গোষ্ঠীপ্রধান মা এবং মেয়ের মধ্যে একটা সংঘাত তৈরী হয়। যদি আমার স্মৃতি বিভ্রাট না হয়ে থাকে। এবং এর থেকে বোঝা যায় মানসিকতাটা আসলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের সামাজিক পরিস্থিতির কারণেই আমরা আত্মসমালোচনায় ভয় পাই। তাই আমরা (ছেলেরা) আমাদের দোষটুকু নিজের কাছেও স্বীকার করতে চাই না। যদি ভুলে কখনো লোকজন জেনে যায়।

তবে আমি বলতে পারি, আমরা প্রত্যেকেই আসলে আমাদের মেয়েবন্ধুই হোক আর পথ চলতে অপরিচিত কোন পথচারীই হোক, তাকে দেখে যে অনুভূতিটা হয়, তা প্রকাশ করিনা বোধের বিকাশ নামের মুখোশটার কারণেই।

আর বাড়ছি না। আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো লাগল।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:২৭

ব্যাপারনা বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । আমার মূল সুরটা অল্পতেই তুলে আনার জন্য। প্রায় সবাই রেফারেন্সটা এড়িয়ে গেছেন, স্মৃতিতে আপনার দেয়া উদাহরন টি থাকলেও বইটা এই মুহুর্তে কাছে না থাকায় আমি সেটা উল্লেখ করি নাই ।

শিক্ষা ও নৈতিকতার নতুন নতুন মানদন্ডে আমরা সত্যিকারের সুস্হ সমাজ পাব, মাঝে মাঝে বিচ্যুতি আসলেও আবার আসল পথেই ফিরে আসব এই প্রত্যাশাই করি । ।

৩৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:২৮

'লেনিন' বলেছেন: অনেক বিস্তারিত লিখেছেন। ভাবটা হলো যোগ‍্যতর সঙ্গী নির্বাচনে নারীপুরুষ নির্বশেষে সর্বদাই চোখ খুঁজে ফেরে যোগ‍্যতম বা যোগ‍্যতমাকে তাইনা?

কিন্তু জান্তবতা আর মনুষত্বে তো তফাৎ আছে। জন্তুর প্রকাশ টা কেড়ে নেয়া ছিনিয়ের নেয়ার মতো। ইতিহাসে জাতিগতভাবেও সেটি আছে যার উদাহরণ ঐ পোস্টেও দিয়ে এসেছি (চেঙ্গিস খান, হালাকু খান, অ‍্যাটিলা দি হান, কিংবা ইউরোপের বারবারিয়ানস(বর্বর জাতি))।

কুকুরের বা বিড়ালের বা অন‍্য জন্তুর মার্ক করার পদ্ধতি হচ্ছে অন‍্য পুলিঙ্গের সাথে যুদ্ধ করে শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করে। মুত্রত‍্যাগ করে। এভাবেই এনটাইস করে।

কিন্তু মানুষ তো মানবীয় গুণাবলির অধিকারী। ঔচিত‍্য-অনৌচিত‍্যবোধ থাকা চাই তার। যা মনে আসলো তাই করবো, তা হলে তো তা মগের মুল্লুক। জান্তবতা যেসব পুরুষ( এবং ক্ষেত্রবিশেষে নারী) বহন করছে তারাই এমন কাণ্ড ঘটায়। তা সে শিক্ষিতই হোক বা অশিক্ষিত। শিক্ষিত শ্রেণীর কিচেনে বাড়ীর কাজের মেয়েটি প্রতিদিন হয় ধর্ষিতা। আর অশিক্ষিত শ্রেণীর সিএনজি/ট্রাক ড্রাইভার লোলুপ দৃষ্টিতে ধর্ষকামী হয় ভদ্রনারীর প্রতিও। এখানে ভিকটিমের বেশভূষা মোটেও বিষয় নয় যেটি অনেক পুরুষ বলতে চেষ্টা করে থাকেন। ঐ পোস্টেই ব্লগার সোহায়লা রিদওয়ান নিজে তার প্রতিবাদ করেছেন নিজে ভিকটিম হয়ে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৪৯

ব্যাপারনা বলেছেন: আমি বেশ ভূষা নিয়ে কিছু বলি নাই খেয়াল করলে দেখবেন। উচিত অনুচিত বোধ টুকু সঠিক বিকাশের অভাবে প্রায়শঃই বের হয়ে আসে সেটা বুঝাতে চেয়েছি......

আমরা অনেকেই এটাকে দমন করতে পারি, আবার অনেকেই এটাকে প্রশ্রয় দেয়, সুযোগ নেয়ার চেস্টা করে, এক্ষেত্রে নারী পুরুষ আলাদা করার অবকাশ কম, চরিত্রের স্খলন দুপক্ষেই ( দয়া করে এই দুপক্ষ বলতে আবার মুখোমুখি নারী পুরুষকে দাঁড়া করাবেন না) হয়ে থাকে ..।

পুরুষ নারী একে অন্যের পরিপূরক-প্রতিপক্ষ নয়.........। সুস্হ সমাজের জন্য প্রয়োজন এই সম্পর্কের শালীন বিকাশ...।

৩৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:৪৪

নীলতারা বলেছেন: অন্যের কথা বাদ দিলাম নিজের কথাই বলি। মেয়ে ক্লাসেমেটরা জানে আমাদের মত ভদ্র ছেলে মনে হয় কলেজে আর নেই। অথচ দু'চারজন ছেলে একত্রে হলে আমরা আমাদের মেয়ে ক্লাসমেটের ভূগোল নিয়ে আলোচনা করি। শধু আমরা না আমার জানা মতে বাংলাদেশে এমন কোন ছেলে নেই যারা এটা করে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে কয়েক রাত থেকেছি। তাও বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের হলে। যার রুমে উঠেছিলাম সে আমার স্কুল জীবনের বন্ধু। রুমের বাকী ছাত্ররা একই ব্যাচের। রাত বারোটার পরে তাদের এক মেয়ে ক্লাসমেট ওই রুমের এক ছেলেকে ফোন দিল। ছেলেটার কথা শুনে মনে হল তারা নোট ফোটের বিষয়ে কথা বলছে। ছেলেটা ফোন রাখার পরে আরেক রুমমেট জিজ্ঞাসা করল "কিরে হাসানের বউ তোকে ফোন দিল কেন?" হাসান তাদের ক্লাসমেট (ছদ্মনাম) আর মেয়েটা মনে হয় হাসানের প্রেমিকা! ছেলেটা উত্তরে বলল "হাসান মনে হয় 'শায়লার' খাউজানি মেটাতে পারে না তাই এত রাতে আমাকে ফোন দিয়েছে।" (এই নামটাও ছদ্মনাম) রুমের সবাই একত্রে অট্টহাসি দিল। ব্যপারটা খেয়াল করেন- কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে গড়াল? ঘটনা সেখানেই শেষ না। একটু পরে তারা শায়লার বিভিন্ন অঙ্গ নিয়ে আলোচনা করতে লাগল আর আফসোস করতে লাগল তাদের বন্ধু হাসান শায়লাকে নিয়ে কি ধরনের ফুরতি করছে!!!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:০৩

ব্যাপারনা বলেছেন: ছেলেরা এমন ই - সুশীল না হলে সবাই এটা স্বীকার করে নিবে.....যুগ যুগ ধরেই তারা এমন।

৩৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:৫০

নীলতারা বলেছেন: আমরা যেহেতু মানুষ হিসেবে জন্মেছি তাই আমাদের কিছু পশু প্রবৃতি থাকবেই। এটাকে অস্বীকার করা যায় না। যাবেও না কোনদিন। এর মধ্যেই আমাদের বাঁচতে হবে। উপরের উদাহরন দিলাম অবিবাহিত ছেলেদের এখন উদাহরন দিচ্ছি অবিবাহিত ছেলের। বাসে একবার সাভার থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলাম। আমি বসেছিলাম তিন জনের সীটে। আমার পাশে আরো দুইজন বসেছিল। দুইজনই বন্ধু। একজন আরেকজনকে তার বৌউ আর শালীর রুপের কথা বলছে। বৌয়ের রুপের ক্ষেত্রে একটু সংযত হলেও শালী বরণনার ক্ষেত্রে তার মুখে কোন বাঁধা আসল না। শালীর কোন অঙ্গের কত সাইজ এবং সেই সাইজের সাথে বৌয়ের অঙ্গের সাইজের পারথক্য কত তা বন্ধুকে বলছে। ঢাকার রাস্তায় যারা নিয়মিত চলে তাদের কাছে এসব ঘটনা কোন ব্যপার না। গা সওয়া হয়ে গেছে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:০৪

ব্যাপারনা বলেছেন: এ ক্ষেত্রে ঐ দুজনকে নিয়ে বলার কিছু নাই - নিজের আত্মমর্যাদা নিজেকেই রক্ষা করতে হয়.....

৩৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:০২

ফিরোজ-২ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৫৫

ব্যাপারনা বলেছেন: ধন্যবাদ....

৩৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:১৬

রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: প্লাস না দিয়ে পারা গেল না!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:০২

ব্যাপারনা বলেছেন: ধন্যবাদ....

৩৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:০৬

রিমঝিম খান বলেছেন: আমাদের চারপাশের মানুষগুলোই না বিচিত্র!অশিক্ষিত বেয়াদব সিএনজিওয়ালা যেমন আছে...........তেমনি 'রাজসোহানের' মত কিছু ভাইও বোনদের পাশে থাকে ..এটাই আশার কথা......
যৌনতা তখনই সমর্থনযোগ্য.....যখন ছেলে-মেয়ে উভয়েরই সম্মতি থাকে.........একজনের অসম্মতিতে মেনে নেওয়া যায় না তাতে যতই জেনেটিক্যাল কারন থাকুক.....
ঐ পোস্ট টিতে সমুদ্র কন্যা ছেলেদের ঢালাও ভাবে দোষারোপ করেনি.....সমাজে অহরহ ঘটতে থাকা একটা ঘটনার কথা বলছে.....

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫৩

ব্যাপারনা বলেছেন: পোস্টটি আরেকবার পড়ুন........।

৩৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:০৩

নাজনীন১ বলেছেন: নারী-পুরুষের স্বাভাবিক আকর্ষণকে সমুদ্র কন্যা বা আর কেউ অস্বীকার করে বলে তো মনে হয়নি, ওই পোস্টেও না, এ পোস্টেও না। যেটা বলা হচ্ছে সেটা হলো অনুভূতির নগ্ন, অশ্লীল বহিঃপ্রকাশের বিরুদ্ধে। এটা নিশ্চয়ই সমুদ্র কন্যার পোস্ট পড়লে বোঝা যায়।

ছেলেরা মেয়েদের দেখে আকৃষ্ট হয় বা মেয়েরা ছেলেদের দেখে আকৃষ্ট হয় -- এটা খুব স্বাভাবিক ট্র্যান্ড। কিন্তু সেটা যত্রতত্র যেকোনভাবে হওয়া উচিত কিনা? নাকি আমরা যে সুস্থ সভ্যতার চর্চা করি, আমাদের কথা-বার্তা, আচার-আচরণেও তার প্রতিফলন থাকা উচিত।

আপনারা যারা বলছেন যে ছেলেদের আড্ডায় তারা তাদের বান্ধবী/প্রেমিকাদের বা স্ত্রীদের ভূগোল নিয়ে আলোচনা করেন, এটা কি খুব গর্বের বিষয়? প্রাইভেসী বলে যে ব্যাপারটা আছে, সেটা কি বন্ধুত্বের দাবীতে খুইয়ে ফেলতে হয়?

একজন নারী যদি শালীনভাবে চলে আর তার প্রেমিক/ স্বামী যদি তার বন্ধুদের কাছে সে নারীর ব্যাপারে আলোচনা করে বেড়ায়, তাহলে সে নারীর শালীনতার কি মর্যাদা থাকলো? ছেলেদের কি এই বদভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা উচিত নয়?

আমি নিজে যেহেতু ছাত্রী হলে ছিলাম বা মেয়েদের আড্ডাতেও অনেক থাকা হয়, খুব কম মেয়েকেই দেখেছি ছেলেদের শরীর নিয়ে আলোচনা করতে, বড় জোর দেখতে কেমন, কথাবার্তায় কেমন, মন-মানসিকতা কেমন এরকম আলোচনাই বেশি হয়। ব্যক্তিগত কল্পনায় কে কি দেখলো সেটা নিয়ে কেউই আলোচনা করে না। সেটা যার যার ব্যাপার। মেয়েরা সাধারণত তার প্রেমিক বা স্বামীর ব্যাপারে ভালই প্রাইভেসী মেইনটেইন করে। বরঞ্চ অন্য কেউ যদি তার স্বামী বা প্রেমিক নিয়ে কিছু বলে, তাতে সে মাইন্ডই করে।

কখনো কখনো বিবাহিত কাছাকাছি আত্মীয়সম্পর্কের মেয়েদের এসব নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়, সেক্ষেত্রেও তারা অবিবাহিত মেয়েদের আড়ালেই বলে বা যতটা না ফ্যান্টাসীর কারণে বলে, তার চেয়ে বেশী কোন প্রয়োজনেই বলে, কোন ধরণের দাম্পত্য সমস্যার আলোচনার ক্ষেত্রেই। কিছু ব্যতিক্রম বা খারাপ চরিত্রের মেয়ে যে সমাজে একেবারেই নেই, তা তো নয়, বরং বেশিরভাগ মেয়েই তাদেরকে এড়িয়ে যায়। তাদের সামনে বাকীরা নিজেদের স্বামীদের ব্যাপারে কথা গোপন করে। এটা লজ্জার চাইতেও প্রাইভেসীর ব্যাপার থেকেই।



২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৫

ব্যাপারনা বলেছেন: অনুভূতির নগ্ন, অশ্লীল বহিঃপ্রকাশের বিরুদ্ধে --অনেক অনেক লম্বা সময় লাগবে এর জন্য, তাই বলে ততদিন শুধু দোষারোপের খেলা খেলে যাবার কোন মানে নেই, নিজেকেত নয়ই !!!!



৪০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:১৯

স্বপ্নময় বলেছেন:
নিরক্ষর ব্যাক্তিরা অনেক উল্টা পাল্টা কামকাইজ করতে পারে। কারণ আকাম না করলেও ওদেরকে আকাইম্মা মনে করা হয়। যারা অক্ষরজ্ঞান যুক্ত, ডিগ্রীধারী তারা যদি কোন আকাম কইরা ফেলায়, তখন ঐটারে সু-কামের মধ্যে ধরা হয়। শিক্ষিত মানুষের ঐটাই পরিতৃপ্তির ব্যাপার। শিক্ষিত মানুষরা একসাথে থাকলে ঐটারে বলা হয় লিভ টু গেদার । অশিক্ষিত মানুষ ব্যাপারটা ঘটাইলে ঐটারে ব্যাবিচার ধরা হয়।

হুমায়ূন আহমেদের বহু প্রতিভাবান! ঐ ব্যাটা মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করে শিক্ষিত মানুষদের আলোর মধ্যে আইন্ন্যা ফেলাইছে।

সমুদ্র কন্যা, আকাশ কন্যা, বাতাস কন্যা... ছেলেদের যতই দোষ দিক না কেনো, তারা কেমন চিজ সেটা না বললেও চলে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯

ব্যাপারনা বলেছেন: দোষারোপের খেলাটা বন্ধ করা উচিৎ........।

৪১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১৫

রাজামশাই বলেছেন: সব শালা ওই হুজুরের দোষ - ওয়াজে খালি যৌনতার কতা কয়।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪৮

ব্যাপারনা বলেছেন: হুরপরীর কথা কইয়াও পোলাপানরে ভুলাইয়া রাখতে পারেনা....।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:০৫

ব্যাপারনা বলেছেন: যৌবন কবিতায় তসলিমা আপা কি কইছে দেখেন:

পুরুষ খোজে কন্যে
ছিঁড়ে খুড়ে একাকার করার জন্যে।
কারোর দোহাই প্রেমের
কারোর বা, বিবাহের

=p~ =p~ B:-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.