![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a social worker.
কম্পিউটারের পরিচয় :
কম্পিউটার একটি আধুনিক অত্যন্ত দ্রুতি গতি সম্পন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। অন্যান্য ইলেট্রনিক্স যন্ত্রের সাহায্যে দুই-তিনটির বেশী কাজ করা যায় না। কিন্তু কম্পিউটারের সাহায্যে অনেক রকম দুরূহ কাজ নিখুতভাবে করা সম্ভব। কম্পিউটারের প্রধান দুটি বৈশিষ্ট্য হল
১. এটি লক্ষ লক্ষ তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে।
২. অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ও নির্ভুলভাবে নির্দেশিত নির্দেশসমূহ পালন করতে পারে।
কম্পিউটার শব্দটি গ্রীক পড়সঢ়ঁঃব শব্দ থেকে এসেছে। পড়সঢ়ঁঃব শব্দের অর্থ হচ্ছে গণনা করা। মূলত কম্পিউটার (পড়সঢ়ঁঃবৎ) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। (আবার ল্যাটিন শব্দ ঈড়সঢ়ঁঃধৎব ও থেকে ঈড়সঢ়ঁঃবৎ শব্দের উৎপত্তি বলে ও মনে করে )
কম্পিউটারের ভাষা/ল্যাংগুয়েজই হল কম্পিউটারের প্রোগ্রাম। প্রোগ্রাম ব্যতীত কম্পিউটার একটি জড় পদার্থ।
কম্পিউটার এর সংজ্ঞা ঃ
‘‘কম্পিউটার হলো একগুচ্ছ বৈদুতিক তরঙ্গকে নিজস্ব সংকেতে রূপান্তর করে ব্যবহারকারী কর্তৃক প্রয়োগকৃত কমান্ডের সাহ্যায্যে উদ্ভূ সমস্যার সমাধান করে থাকে।’’
কম্পিউটারের উৎপত্তি:
১৬৭১ সালে জার্মান গণিতবিদ গটফ্রাইড উইলহেম লিবনিজ চাকা ও দন্ড দিয়ে পৌনঃপনিক যোগ করার একটি যন্ত্র তৈরি করেন। এরপর স্যার স্যামুয়েল মরল্যান্ড ১৭৮৬ সালে একটি গণনা যন্ত্র তৈরি করেন। ১৮৮২ সালে চার্লস ব্যাবেজ যে যন্ত্রটি তৈরি করেন তাকেই আজকের দিনের কম্পিউটারের পূর্বপুরুষ মনে করা হয়। চার্লস ব্যাবেজের পরেই ১৯৪০ সালে মার্ক-১ বাজারে আসে। এটি একটি মেক্যানিকাল যন্ত্র ছিল। ১৯৫১ সালে উইনিভ্যাক নামে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক কম্পিউটার ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনা করে।
১৯৭১ সালে বাজারে আসে মাইক্রোপ্রসেসর। আবার ১৯৭৪ সালে বাজারে আসে ৮০৮০ প্রসেসর আর এই মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরি কম্পিউটার সারা দুনিয়ায় কম্পিউটার বিপ্লবের সূচনা করে। কম্পিউটারের ক্রমবিকাশের ধারণাকে পাঁচটি প্রজন্মে ভাগ করা হয়।
প্রাথমিক ও মেকানিক্যাল যুগের এবং ইলেক্ট্রনিক যুগের প্রথম কম্পিউটার গুলোকে প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হয়। ট্রানজিস্টের আবিস্কার হওয়ার পর ষাটের দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত যেসব তৈরি হয়েছে সেগুলোকে দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হয়।
তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার হল ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে ১৯৭১ সালে আবিস্কৃত মাইক্রোপ্রসেসরের সাহায্যে প্রস্তুতকৃত কম্পিউটার গুলোর পূর্ব পর্যন্ত প্রস্তুত কম্পিউটার সমূহ। মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরি সাম্প্রতিক কম্পিউটার সমুহকে চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হত। আবার সাম্প্রতিক কালে অতি উন্নত ও ব্যাপক ক্ষমতাবান মাইক্রো প্রসেসর দিয়ে অত্যাধুনিক যেসব কম্পিউটার তৈরি হচ্ছে সেগুলোকে পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হয়।
আধুনিক কম্পিউটার এর বিকাশ শুরু হয় ষাটের দশেকের প্রথম থেকেই। ঐ সময় থেকেই ইউরোপ-আমেরিকায়ও কম্পিউটারের ব্যবহার ও প্রসার লাভ করতে থাকে। ঠিক একই সময়ে বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহার শুরু হয়। বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে পরমাণু শক্তি কেন্দ্র ঢাকায়। তখন পরমাণু শক্তি কেন্দ্র ঢাকা ছিল তৎকালীন পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের পূর্বাঞ্চলীয় শাখা। বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার ছিল আইবিএম ১৬২০ মডেলের।কম্পিউটারের জঅগ ছিল মাত্র ২০ কিলোবাইট। পরে এর পরিমাণ বাড়িয়ে ৬৪ কিলোবাইট করা হয়। বাংলাদেশে স্থাপিত প্রথম কম্পিউটারে ইনপুট দিতে হতো পাঞ্চকান্ডের সাহায্যে এবং আউটপুট পাওয়া যেত পাঞ্চকার্ডে। ১৯৮২-৮৩ সালে চতুর্থ প্রজন্মের আইবিএম ৪৩৪১ মেইনফ্রেম কম্পিউটারটি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাভারে অবস্থিত পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ইন্সটিটিউটে স্থাপন করা হয়।
তার পূর্ব পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও গবেষকবৃন্দ ১৯৬৪ সালে পরমাণু কেন্দ্র, ঢাকায় স্থাপিত কম্পিউটারটি ব্যবহার করেই তাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পূর্ণ করত। বাংলাদেশে দ্বিতীয় কম্পিউটারটি স্থাপিত হয় ১৯৬৫ সালে আদমজী জুট মিলে। কম্পিউটারটি ছিল আইবিএম ১৪০০ সিরেজের।
এরপর উইনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড (বর্তমানে জনতা ব্যাংক) স্থাপন করে আইসিএল ১৯০০ সিরিজের কম্পিউটার। স্বাধীনতার পরপরই ইঁৎবধঁ ড়ভ ঝঃধঃরংঃরপং আইবিএম ৩৬০ সিরিজের কম্পিউটার স্থাপন করে। ১৯৭৮-৭৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম আইবিএম ৩৭০ এবং পরে আইবিএম ৪৩০০ সিরিজের কম্পিউটার স্থাপন করে। প্রথমে বাংলাদেশে বিদেশ থেকে লাগেজে করে মাইক্রো কম্পিউটার আনা হত ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য। সেগুলি ছিল ট্যাঁন্ডি, রেদিওশ্যাক, সিনক্লেয়ার, ইত্যাদি ব্যান্ডের। ১৯৮৫-৮৬ সালে এ্যাপল কম্পিউটার বাংলাদেশে আসে। ১৯৮৭ সালের ১৬মে সেই কম্পিউটার দিয়ে আনন্দ পত্র নামের একটি বাংলা পত্রিকা প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশে কম্পিউটার চর্চার ইতিহাস সুদীর্ঘ হলেও এর জনপ্রিয়তার সূচনা হয় মাইক্রো কম্পিউটার বা ডেক্সটপ কম্পিউটার দিয়ে।
সত্তর দশকের শেষ থেকেই বাংলাদেশে হোম পিসি আস্তে শুরু করে। আশির দশকে আইবিএম পিসি, মেকিনতোশ ইত্যাদি কম্পিউটার আসতে থাকে।
প্রয়োগের তারতম্যের ভিত্তিতে কম্পিউটারকে দুভাগে ভাগ করা যায়।
ক. সাধারণ ব্যবহারিক কম্পিউটার।
খ. বিশেষ ব্যবহারিক কম্পিউটার।
আবার কম্পিউটারের গঠন ও প্রচলন নীতির ভিত্তিতে একে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
ক. এনালগ কম্পিউটার।
খ. ডিজিটাল কম্পিউটার।
গ. হাইব্রিড কম্পিউটার।
আকার, সামর্থ্য, দাম ও ব্যবহারের গুরুত্বের ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটারকে আবার চার ভাগে ভাগ করা যায়।
ক. মাইক্রো কম্পিউটার।
খ. মিনি কম্পিউটার।
গ. মেইনফ্রেম কম্পিউটার।
ঘ. সুপার কম্পিউটার।
মাইক্রো কম্পিউটার আবার তিন ভাগে ভাগ করা হলো :
ক. ল্যাপটপ কম্পিউটার
খ. ডেস্কটপ কম্পিউটার
গ. সুপার মাইক্রো কম্পিউটার
ল্যাপটপ কম্পিউটার আবার দুই ভাগে ভাগ করা হলো :
ক. নোট বুট
খ. পিডিএ
* নিচে কম্পিউটারের পূর্ণাঙ্গ শ্রেণীবিভাগ দেখানো হলো :
ক. এনালগ কম্পিউটার
যে কম্পিউটার একটি রাশিকে অপর একটি রাশির সাপেক্ষে পরিমাপ করতে পারে,তাই এনালগ কম্পিউটার। এটি উষ্ণতা বা অন্যান্য পরিমাপ যা নিয়মিত পরিবর্তিত হয় তা রেকর্ড করতে পারে। মোটর গাড়ির বেগ নির্ণায়ক যন্ত্র এনালগ কম্পিউটারের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
খ. ডিজিটাল কম্পিউটার
ডিজিটাল কম্পিউটার দুই ধরনের বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ দ্বারা সকল কিছু প্রকাশ করা হয়। ভোল্টেজের উপস্থিতিকে ১ এবং অনুপস্থিতিকে ০ দ্বারা প্রকাশ করা হয় এটি যে কোন গণিতের যোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে এবং বিয়োগ, গুণ ও ভাগের মতো অন্যান্য অপারেশন সম্পাদন করে। আধুনিক সকল কম্পিউটার ডিজিটাল কম্পিউটার।
গ. হাইব্রিড কম্পিউটার
হাইব্রিড কম্পিউটার হলো এমন একটি কম্পিউটার যা এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহার করা হয়। সুতরাং বলা যায়, প্রযুক্তি ও ভিত্তিগত দিক থেকে এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের আংশিক সমন্বয়ই হচ্ছে হাইব্রিড কম্পিউটার। সাধারণত হাইব্রিড কম্পিউটারে তথ্য সংগ্রহ করা হয় অ্যানালগ পদ্ধতিতে এবং গণনা করা হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে। যেমন আবহাওয়া দপ্তরে ব্যবহৃত হাইব্রিড কম্পিউটার অ্যানালগ পদ্ধতিতে বায়ুচাপ,তাপ ইত্যাদি পরিমাপ করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে।
মেইনফ্রেম কম্পিউটারের প্রকারসমূহ ঃ
ক. মিনি কম্পিউটার
যে কম্পিউটার টার্মিনাল লাগিয়ে প্রায় এক সাথে অর্ধ শতাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে তাই মিনি কম্পিউটার। এটা শিল্প-বাণিজ্য ও গবেষণাগারে ব্যবহার করা হয় থাকে।যেমন- ঢ়ফঢ়-১১,রনসং/৩৬,হপৎং/৯২৯০, ওইগ ৯৩৭৫.
খ. মাইক্রো কম্পিউটার
মাইক্রো কম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি বলেও অভিহিত করা হয়। ইন্টারফেস চিপ (গড়ঃযবৎ ইড়ধৎফ) , একটি মাইক্রোপ্রসেসর পঢ়ঁ, ৎধস, ৎড়স, যধৎফ ফরংশ বঃপ. সহযোগে মাইক্রো কম্পিউটার গঠিত হয়। দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে এ কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়।ম্যকিনটোস আইবিএম পিসি এ ধরনের কম্পিউটার।
গ. সুপার কম্পিউটার
অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুত গতিসম্পন্ন কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটার বলে। এ কম্পিউটারের গতি প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ১ বিলিয়ন ক্যারেক্টর। নো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল তথ্য ব্যবস্থাপনা করার মতো স্মৃতিভান্ডার বিশিষ্ট কম্পিউটার হচ্ছে সুপার কম্পিউটার। ঈজঅণ ১, ংঁঢ়বৎং ীষষ এ ধরনের কম্পিউটার।
ঘ. ট্যাবলেট কম্পিউটার
ট্যাবলেট কম্পিউটার এক ধরণের মাইক্রো কম্পিউটার। যা পাম টপ কম্পিউটার নামে পরিচিত। এটি স্পর্শপর্দা সম্বলিত প্রযুক্তি। এটি এন্ড্রোয়েড এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলে।
ক্স কম্পিউটারের বহুমাত্রিক ব্যবহার
যদিও কম্পিউটারের শুরু গনন যন্ত্র হিসাবে এবং জটিল অংক ও হিসাব কসার কাজে সাহায্য করার জন্য; বর্তমান মানব জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে এর ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। কম্পিউটার কি কাজে ব্যবহার হয় সে প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বরং জিজ্ঞাসা করা যায় কি কাজে ব্যবহার হয় না তাহলে উত্তর দেওয়াটা সহজ। কম্পিউটার ছাড়া উন্নত বেবস্থাপনা,উৎপাদন,গবেষণা,টেলিযোগাযোগ, প্রকাশনা কল্পনা করা যায় না। কম্পিউটারকে ব্যবহার করা যায় সকল কাজে সকল স্থানে। মুলতঃ মানুষ তার কাজের উন্নয়নের জন্য কম্পিউটারকে কাজে লাগায়। এর ব্যবহারে প্রতিটি কাজ হয়ে পড়ে নির্ভর ও গতিশীল। তাই দিন দিন কম্পিউটারের ব্যবহার বেড়েই চলছে। নিচে কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরণের ব্যবহার উল্লেখিত হলঃ-
অফিস ব্যবস্থাপনা (ওহ ড়ভভরপব গধহধমবসবহঃ)
শিল্প ক্ষেত্রে (ওহ ওহফঁংঃৎু ঝবপঃড়ৎ)
মুদ্রণ শিল্পে (ওহ চৎরহঃরহম ওহফঁংঃৎু)
যোগাযোগ ব্যবস্থায় (ওহ ঈড়সসঁহরপধঃরড়হ)
চিকিৎসা ক্ষেত্রে (ওহ গবফরপধষ ঝবপঃড়ৎ)
গবেষণায় (ওহ জবংবধৎপয)
ব্যাংকিং জগতে (ওহ ইধহশরহম)
আদালত (ওহ ঈড়ঁৎঃ)
সামরিক ক্ষেত্রে (ওহ উবভবহপব ঝবপঃড়ৎ)
অর্থবাজারে (ওহ ইরষষরহম ঝুংঃবস)
কৃষি ক্ষেত্রে (ওহ অমৎরপঁষঃঁৎব)
সংস্কৃতি ও বিনোদনে (ওহ ঈঁষঃঁৎবং ধহফ জবপৎবধঃরড়হ)
তথ্য পরিসংখ্যানে (ওহ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঝঃধঃরংঃরপং)
ডিজাইনে (ওহ উবংরমহ)
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে (ওহ ডবধঃযবৎ ঋড়ৎবপধংঃ)
এক কথায় কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় সর্বত্র। আমাদের জীবন যাত্রা কম্পিউটার ভিত্তিক। বাসার পড়ার ঘর, ভিডিও লাইব্রেরী,অফিস,ডিপার্টমেন্ট সেন্টার ও হোটেল থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার দিনকে দিন অবিশ্বাস্য গতিতে বেড়েই চলেছে।
ক্স হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যার পরিচিতি
হার্ডওয়্যার : একটি কম্পিউটার ব্যবস্থার বিভিন্ন অংশ বা যন্ত্রাংশকে হার্ডওয়্যার বলে। যেমন, সিস্টেম ইউনিট বা পরিচালনা শাখা (যা কম্পিউটারের ভিতর থাকে), মনিটর, যাতে থাকে কম্পিউটারের পর্দা, কি বোর্ড, মাউস, প্রিন্টার, স্ক্যানার, স্পিকার এবং জয় স্টিক।
সফটওয়্যার
বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা পদ্ধতি বা প্রণালীকে কাজে লাগিয়ে কম্পিউটারের তথ্যকে ব্যবহার করা হয়। সফটওয়্যার বলতে এই সব প্রোগ্রামকেই বোঝায়। বস্তুত, একেকটি সফটওয়্যার প্রোগ্রাম কম্পিউটারকে নির্দেশ দেয়, কী করতে হবে। ধরা যাক, একটি কম্পিউটারের বাংলা হরফের সফটওয়্যার প্রোগ্রামকে কাজে লাগানো হলো। সে ক্ষেত্রে কি বোর্ডের মাধ্যমে যে তথ্যই (সংখ্যায় বা শব্দে) কম্পিউটারের স্মৃতিকক্ষে পাঠানোর চেষ্টা হবে, তা জমা পড়বে বাংলা হরফে, যা দেখা যাবে কম্পিউটারের পর্দায়। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ঐ সফটওয়্যার প্রোগ্রামটি কম্পিউটারকে বাংলা হরফে তথ্য সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে। সফটওয়্যার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার
কোনও নির্দিষ্ট কাজের জন্য অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারকে ব্যবহার করা হয়। প্রকৃত পক্ষে এই ধরনের সফটওয়্যার কোনও কম্পিউটারকে একটি কাজের যন্ত্রে পরিণত করে। যেমন ওয়ার্ড, এক্সেল, অ্যাক্সেস ইত্যাদি।
সিস্টেম সফটওয়্যার
কম্পিউটার ব্যবস্থা ও তার বিভিন্ন উপকরণকে অর্থাৎ ডিস্ক ড্রাইভ, মাইক্রো প্রসেসর, স্মৃতি বা মেমোরিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য এয সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়, তাকে সিস্টেম সফটওয়্যার বলে। যেমন, যে কোনও অপারেটিং সিস্টেম (ডস, উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ৭, লিনাক্স)।
যধৎফধিৎব ও ংড়ভঃধিৎব এর মধ্যে মূল পার্থক্য হল-
যধৎফধিৎব এর বাহ্যিক অবস্থান আছে, কিন্তু ংড়ভঃধিৎব এর বাহ্যিক অবস্থান নেই।
হার্ডওয়্যার কম্পিউটারের একটা অংশ ।সফটওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজ করার এক একটি প্রোগ্রাম । হার্ডওয়ার দ্বারা কম্পিউটার তৈরি হয় ।আর সফটওয়্যার দ্বারা ঐ কম্পিউটারকে ব্যবহার উপযোগী করা হয়।
ক্স ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস পরিচিতি
ইংরেজি ভাষায় ইনপুট/আউটপুট এবং বাংলা ভাষায় প্রবিষ্ট/নিষ্কৃত হল কম্পিউটারের সাথে মানুষের যোগাযোগের অপর নাম। কম্পিউটারের পরিভাষায় ইনপুট/আউটপুট বা আই/ও হল একটি তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা (যেমন কম্পিউটার) সাথে বাইরের জগতের কারো সাথে যোগাযোগ হয় যেমন মানুষ। প্রবিষ্ট বা ইনপুট হল কম্পিউটার ব্যবস্থাকে প্রদত্ত বা এটিকে প্রবেশ করানো সংকেত বা তথ্য যা সেটি গ্রহণ করে এবং নিষ্কৃত বা আউটপুট হল ঠিক তার উল্টো মানে কমপিউটার ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা বা নিষ্কাশিত সংকেত বা তথ্য যা আমরা গ্রহণ করি। বিভিন্ন ধরনের ইনপুট/আউটপুট যন্ত্র রয়েছে যেগুলো মানুষ উপাত্ত প্রবিষ্টকরণ ও নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহার করে। উদাহরণসরূপ বলা যায়, কিবোর্ড বা চাবিযন্ত্র, মাউস বা মূষিকযন্ত্র --এগুলি হল প্রবিষ্টকরণ যন্ত্র; অন্যদিকে মনিটর বা দৃশ্যমান পর্দাযন্ত্র, প্রিন্টার বা মুদ্রণযন্ত্র ---এগুলি হলে নিষ্কাশন যন্ত্র। আবার ব্যতিক্রমও আছে যেমন মডেম, নেটওয়ার্ক কার্ড এগুলো প্রবিষ্টকরণ এবং নিষ্কাশন -- দুটোই করে।
কোন্ ডিভাইস ইনপুট বা আউটপুট হবে তা নির্ভর করে দৃষ্টিভঙ্গির উপর। কিবোর্ড আর মাউস মানুষের দেয়া ইনপুট বা নির্দেশটা নেয় নাড়চাড়া বা কি চাপ দেয়ার উপর। তাতে যে সংকেত কম্পিউটার গ্রহণ করে তা প্রথমে কনভার্ট বা পরিবর্তন হয়ে কম্পিউটারের ভাষায় রূপান্তরিত হয় এবং কম্পিউটার তা বুঝে নেয়। একই ভাবে মনিটর, প্রিন্টার প্রভৃতি যন্ত্রাংশগুলো কম্পিউটারের দেয়া সংকেতগুলো নেয় এবং মানুষ বোঝার মত করে তা দেখায়। তাই একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর দৃষ্টিতে কোন কিছু মনিটরের স্ক্রীনে পড়া মানে ইনপুট গ্রহণ করা। এইধরনের কম্পিউটার এবং মানুষের কার্যপ্রনালীগুলোকে মানুষ-কম্পিউটার ইন্টারেকশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
কম্পিউটার আর্কিটেকচারে, সিপিইউ আর প্রধার মেমোরি হল কম্পিউটারের ব্রেন যেখানে সিপিইউ স্বতন্ত্র নির্দেশনায় সরাসরি রিড বা রাইট করে। যেকোন তথ্য যা কম্পিউটারের সিপিইউ আর প্রধান মেমোরির সমন্বয় থেকে আসে বা যায় তাকেও আই/ও বলে ধরা হয়। যেমন ডিস্ক ড্রাইভ থেকে তথ্য রিড করা।
ব্যবহারকারী যে তথ্য কম্পিউটারে ঢোকাতে চান, কম্পিউটার তা গ্রহণ করে। তার পর ব্যবহারকারীর নির্দেশমতো ঐ তথ্যগুলিকে ব্যবহার করে কম্পিউটার তার করণীয় কাজ সেরে ফেলে। যে সব যন্ত্রাংশের মাধ্যমে এক জন ব্যবহারকারী কম্পিউটারে তথ্য ঢোকাতে পারেন ও কম্পিউটারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারেন, সেগুলিকে বলে ইনপুট ডিভাইস। যেমন, কি বোর্ড, মাউস, অপটিকাল ক্যারেকটার রিডার (ও সি আর), ম্যাগনেটিক ইঙ্ক ক্যারেকটার রিডার (এম আই সি আর) ইত্যাদি। এখানে মূল দুটি ইনপুট ডিভাইস সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
দশটি আউটপুট ডিভাইসের নাম নিচে দেয়া হলঃ
১. মনিটর, ২. প্রিন্টার, ৩. হেডফোন, ৪. সাউন্ড সিস্টেম/ স্পীকার, ৫. প্লটার (এটি একটি ড্রয়িং যন্ত্র। বড় বড় ছবি, পোস্টার, ক্যালেন্ডার, মানচিত্র মুদ্রণের জন্য প্লটার ব্যবহৃত হয়।) ৬. রিরাইটেবল সিডি/ডিভিডি (এগুলো একই সাথে ইনপুট এবং ডিভাইসও। কেননা যখন আমরা কোন সিডি থেকে ডাটা কম্পিউটারে নেই, তখন এটা ইনপুট ডিভাইস, আবার যখন সিডি বা ডিভিডি তে কোন ডাটা রেকর্ড করে রাখি, তখন এটা আউটপুট ডিভাইস)
৭. ফ্লপি ডিস্ক (উপরের মত এেিট্কও ইনপুট ডিভাইস হিসেবেও ব্যাখ্যা দেয়া যায়)
৮. রোবট
৯. প্রোজেক্টর
১০. স্পিচ জেনারেটিং ডিভাইস (যারা স্বাভাবিকভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে ভাব প্রকাশ করতে পারেন না, তাদের সাহায্য করার জন্য এই যন্ত্র।
কম্পিউটারের পরিচয় :
কম্পিউটার একটি আধুনিক অত্যন্ত দ্রুতি গতি সম্পন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। অন্যান্য ইলেট্রনিক্স যন্ত্রের সাহায্যে দুই-তিনটির বেশী কাজ করা যায় না। কিন্তু কম্পিউটারের সাহায্যে অনেক রকম দুরূহ কাজ নিখুতভাবে করা সম্ভব। কম্পিউটারের প্রধান দুটি বৈশিষ্ট্য হল
১. এটি লক্ষ লক্ষ তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে।
২. অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ও নির্ভুলভাবে নির্দেশিত নির্দেশসমূহ পালন করতে পারে।
কম্পিউটার শব্দটি গ্রীক পড়সঢ়ঁঃব শব্দ থেকে এসেছে। পড়সঢ়ঁঃব শব্দের অর্থ হচ্ছে গণনা করা। মূলত কম্পিউটার (পড়সঢ়ঁঃবৎ) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। (আবার ল্যাটিন শব্দ ঈড়সঢ়ঁঃধৎব ও থেকে ঈড়সঢ়ঁঃবৎ শব্দের উৎপত্তি বলে ও মনে করে )
কম্পিউটারের ভাষা/ল্যাংগুয়েজই হল কম্পিউটারের প্রোগ্রাম। প্রোগ্রাম ব্যতীত কম্পিউটার একটি জড় পদার্থ।
কম্পিউটার এর সংজ্ঞা ঃ
‘‘কম্পিউটার হলো একগুচ্ছ বৈদুতিক তরঙ্গকে নিজস্ব সংকেতে রূপান্তর করে ব্যবহারকারী কর্তৃক প্রয়োগকৃত কমান্ডের সাহ্যায্যে উদ্ভূ সমস্যার সমাধান করে থাকে।’’
কম্পিউটারের উৎপত্তি:
১৬৭১ সালে জার্মান গণিতবিদ গটফ্রাইড উইলহেম লিবনিজ চাকা ও দন্ড দিয়ে পৌনঃপনিক যোগ করার একটি যন্ত্র তৈরি করেন। এরপর স্যার স্যামুয়েল মরল্যান্ড ১৭৮৬ সালে একটি গণনা যন্ত্র তৈরি করেন। ১৮৮২ সালে চার্লস ব্যাবেজ যে যন্ত্রটি তৈরি করেন তাকেই আজকের দিনের কম্পিউটারের পূর্বপুরুষ মনে করা হয়। চার্লস ব্যাবেজের পরেই ১৯৪০ সালে মার্ক-১ বাজারে আসে। এটি একটি মেক্যানিকাল যন্ত্র ছিল। ১৯৫১ সালে উইনিভ্যাক নামে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক কম্পিউটার ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনা করে।
১৯৭১ সালে বাজারে আসে মাইক্রোপ্রসেসর। আবার ১৯৭৪ সালে বাজারে আসে ৮০৮০ প্রসেসর আর এই মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরি কম্পিউটার সারা দুনিয়ায় কম্পিউটার বিপ্লবের সূচনা করে। কম্পিউটারের ক্রমবিকাশের ধারণাকে পাঁচটি প্রজন্মে ভাগ করা হয়।
প্রাথমিক ও মেকানিক্যাল যুগের এবং ইলেক্ট্রনিক যুগের প্রথম কম্পিউটার গুলোকে প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হয়। ট্রানজিস্টের আবিস্কার হওয়ার পর ষাটের দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত যেসব তৈরি হয়েছে সেগুলোকে দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হয়।
তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার হল ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে ১৯৭১ সালে আবিস্কৃত মাইক্রোপ্রসেসরের সাহায্যে প্রস্তুতকৃত কম্পিউটার গুলোর পূর্ব পর্যন্ত প্রস্তুত কম্পিউটার সমূহ। মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরি সাম্প্রতিক কম্পিউটার সমুহকে চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হত। আবার সাম্প্রতিক কালে অতি উন্নত ও ব্যাপক ক্ষমতাবান মাইক্রো প্রসেসর দিয়ে অত্যাধুনিক যেসব কম্পিউটার তৈরি হচ্ছে সেগুলোকে পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার বলা হয়।
আধুনিক কম্পিউটার এর বিকাশ শুরু হয় ষাটের দশেকের প্রথম থেকেই। ঐ সময় থেকেই ইউরোপ-আমেরিকায়ও কম্পিউটারের ব্যবহার ও প্রসার লাভ করতে থাকে। ঠিক একই সময়ে বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহার শুরু হয়। বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে পরমাণু শক্তি কেন্দ্র ঢাকায়। তখন পরমাণু শক্তি কেন্দ্র ঢাকা ছিল তৎকালীন পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের পূর্বাঞ্চলীয় শাখা। বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার ছিল আইবিএম ১৬২০ মডেলের।কম্পিউটারের জঅগ ছিল মাত্র ২০ কিলোবাইট। পরে এর পরিমাণ বাড়িয়ে ৬৪ কিলোবাইট করা হয়। বাংলাদেশে স্থাপিত প্রথম কম্পিউটারে ইনপুট দিতে হতো পাঞ্চকান্ডের সাহায্যে এবং আউটপুট পাওয়া যেত পাঞ্চকার্ডে। ১৯৮২-৮৩ সালে চতুর্থ প্রজন্মের আইবিএম ৪৩৪১ মেইনফ্রেম কম্পিউটারটি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাভারে অবস্থিত পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ইন্সটিটিউটে স্থাপন করা হয়।
তার পূর্ব পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও গবেষকবৃন্দ ১৯৬৪ সালে পরমাণু কেন্দ্র, ঢাকায় স্থাপিত কম্পিউটারটি ব্যবহার করেই তাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পূর্ণ করত। বাংলাদেশে দ্বিতীয় কম্পিউটারটি স্থাপিত হয় ১৯৬৫ সালে আদমজী জুট মিলে। কম্পিউটারটি ছিল আইবিএম ১৪০০ সিরেজের।
এরপর উইনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড (বর্তমানে জনতা ব্যাংক) স্থাপন করে আইসিএল ১৯০০ সিরিজের কম্পিউটার। স্বাধীনতার পরপরই ইঁৎবধঁ ড়ভ ঝঃধঃরংঃরপং আইবিএম ৩৬০ সিরিজের কম্পিউটার স্থাপন করে। ১৯৭৮-৭৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম আইবিএম ৩৭০ এবং পরে আইবিএম ৪৩০০ সিরিজের কম্পিউটার স্থাপন করে। প্রথমে বাংলাদেশে বিদেশ থেকে লাগেজে করে মাইক্রো কম্পিউটার আনা হত ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য। সেগুলি ছিল ট্যাঁন্ডি, রেদিওশ্যাক, সিনক্লেয়ার, ইত্যাদি ব্যান্ডের। ১৯৮৫-৮৬ সালে এ্যাপল কম্পিউটার বাংলাদেশে আসে। ১৯৮৭ সালের ১৬মে সেই কম্পিউটার দিয়ে আনন্দ পত্র নামের একটি বাংলা পত্রিকা প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশে কম্পিউটার চর্চার ইতিহাস সুদীর্ঘ হলেও এর জনপ্রিয়তার সূচনা হয় মাইক্রো কম্পিউটার বা ডেক্সটপ কম্পিউটার দিয়ে।
সত্তর দশকের শেষ থেকেই বাংলাদেশে হোম পিসি আস্তে শুরু করে। আশির দশকে আইবিএম পিসি, মেকিনতোশ ইত্যাদি কম্পিউটার আসতে থাকে।
প্রয়োগের তারতম্যের ভিত্তিতে কম্পিউটারকে দুভাগে ভাগ করা যায়।
ক. সাধারণ ব্যবহারিক কম্পিউটার।
খ. বিশেষ ব্যবহারিক কম্পিউটার।
আবার কম্পিউটারের গঠন ও প্রচলন নীতির ভিত্তিতে একে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
ক. এনালগ কম্পিউটার।
খ. ডিজিটাল কম্পিউটার।
গ. হাইব্রিড কম্পিউটার।
আকার, সামর্থ্য, দাম ও ব্যবহারের গুরুত্বের ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটারকে আবার চার ভাগে ভাগ করা যায়।
ক. মাইক্রো কম্পিউটার।
খ. মিনি কম্পিউটার।
গ. মেইনফ্রেম কম্পিউটার।
ঘ. সুপার কম্পিউটার।
মাইক্রো কম্পিউটার আবার তিন ভাগে ভাগ করা হলো :
ক. ল্যাপটপ কম্পিউটার
খ. ডেস্কটপ কম্পিউটার
গ. সুপার মাইক্রো কম্পিউটার
ল্যাপটপ কম্পিউটার আবার দুই ভাগে ভাগ করা হলো :
ক. নোট বুট
খ. পিডিএ
* নিচে কম্পিউটারের পূর্ণাঙ্গ শ্রেণীবিভাগ দেখানো হলো :
ক. এনালগ কম্পিউটার
যে কম্পিউটার একটি রাশিকে অপর একটি রাশির সাপেক্ষে পরিমাপ করতে পারে,তাই এনালগ কম্পিউটার। এটি উষ্ণতা বা অন্যান্য পরিমাপ যা নিয়মিত পরিবর্তিত হয় তা রেকর্ড করতে পারে। মোটর গাড়ির বেগ নির্ণায়ক যন্ত্র এনালগ কম্পিউটারের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
খ. ডিজিটাল কম্পিউটার
ডিজিটাল কম্পিউটার দুই ধরনের বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ দ্বারা সকল কিছু প্রকাশ করা হয়। ভোল্টেজের উপস্থিতিকে ১ এবং অনুপস্থিতিকে ০ দ্বারা প্রকাশ করা হয় এটি যে কোন গণিতের যোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে এবং বিয়োগ, গুণ ও ভাগের মতো অন্যান্য অপারেশন সম্পাদন করে। আধুনিক সকল কম্পিউটার ডিজিটাল কম্পিউটার।
গ. হাইব্রিড কম্পিউটার
হাইব্রিড কম্পিউটার হলো এমন একটি কম্পিউটার যা এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহার করা হয়। সুতরাং বলা যায়, প্রযুক্তি ও ভিত্তিগত দিক থেকে এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের আংশিক সমন্বয়ই হচ্ছে হাইব্রিড কম্পিউটার। সাধারণত হাইব্রিড কম্পিউটারে তথ্য সংগ্রহ করা হয় অ্যানালগ পদ্ধতিতে এবং গণনা করা হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে। যেমন আবহাওয়া দপ্তরে ব্যবহৃত হাইব্রিড কম্পিউটার অ্যানালগ পদ্ধতিতে বায়ুচাপ,তাপ ইত্যাদি পরিমাপ করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে।
মেইনফ্রেম কম্পিউটারের প্রকারসমূহ ঃ
ক. মিনি কম্পিউটার
যে কম্পিউটার টার্মিনাল লাগিয়ে প্রায় এক সাথে অর্ধ শতাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে তাই মিনি কম্পিউটার। এটা শিল্প-বাণিজ্য ও গবেষণাগারে ব্যবহার করা হয় থাকে।যেমন- ঢ়ফঢ়-১১,রনসং/৩৬,হপৎং/৯২৯০, ওইগ ৯৩৭৫.
খ. মাইক্রো কম্পিউটার
মাইক্রো কম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি বলেও অভিহিত করা হয়। ইন্টারফেস চিপ (গড়ঃযবৎ ইড়ধৎফ) , একটি মাইক্রোপ্রসেসর পঢ়ঁ, ৎধস, ৎড়স, যধৎফ ফরংশ বঃপ. সহযোগে মাইক্রো কম্পিউটার গঠিত হয়। দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে এ কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়।ম্যকিনটোস আইবিএম পিসি এ ধরনের কম্পিউটার।
গ. সুপার কম্পিউটার
অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুত গতিসম্পন্ন কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটার বলে। এ কম্পিউটারের গতি প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ১ বিলিয়ন ক্যারেক্টর। নো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল তথ্য ব্যবস্থাপনা করার মতো স্মৃতিভান্ডার বিশিষ্ট কম্পিউটার হচ্ছে সুপার কম্পিউটার। ঈজঅণ ১, ংঁঢ়বৎং ীষষ এ ধরনের কম্পিউটার।
ঘ. ট্যাবলেট কম্পিউটার
ট্যাবলেট কম্পিউটার এক ধরণের মাইক্রো কম্পিউটার। যা পাম টপ কম্পিউটার নামে পরিচিত। এটি স্পর্শপর্দা সম্বলিত প্রযুক্তি। এটি এন্ড্রোয়েড এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলে।
ক্স কম্পিউটারের বহুমাত্রিক ব্যবহার
যদিও কম্পিউটারের শুরু গনন যন্ত্র হিসাবে এবং জটিল অংক ও হিসাব কসার কাজে সাহায্য করার জন্য; বর্তমান মানব জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে এর ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। কম্পিউটার কি কাজে ব্যবহার হয় সে প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বরং জিজ্ঞাসা করা যায় কি কাজে ব্যবহার হয় না তাহলে উত্তর দেওয়াটা সহজ। কম্পিউটার ছাড়া উন্নত বেবস্থাপনা,উৎপাদন,গবেষণা,টেলিযোগাযোগ, প্রকাশনা কল্পনা করা যায় না। কম্পিউটারকে ব্যবহার করা যায় সকল কাজে সকল স্থানে। মুলতঃ মানুষ তার কাজের উন্নয়নের জন্য কম্পিউটারকে কাজে লাগায়। এর ব্যবহারে প্রতিটি কাজ হয়ে পড়ে নির্ভর ও গতিশীল। তাই দিন দিন কম্পিউটারের ব্যবহার বেড়েই চলছে। নিচে কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরণের ব্যবহার উল্লেখিত হলঃ-
অফিস ব্যবস্থাপনা (ওহ ড়ভভরপব গধহধমবসবহঃ)
শিল্প ক্ষেত্রে (ওহ ওহফঁংঃৎু ঝবপঃড়ৎ)
মুদ্রণ শিল্পে (ওহ চৎরহঃরহম ওহফঁংঃৎু)
যোগাযোগ ব্যবস্থায় (ওহ ঈড়সসঁহরপধঃরড়হ)
চিকিৎসা ক্ষেত্রে (ওহ গবফরপধষ ঝবপঃড়ৎ)
গবেষণায় (ওহ জবংবধৎপয)
ব্যাংকিং জগতে (ওহ ইধহশরহম)
আদালত (ওহ ঈড়ঁৎঃ)
সামরিক ক্ষেত্রে (ওহ উবভবহপব ঝবপঃড়ৎ)
অর্থবাজারে (ওহ ইরষষরহম ঝুংঃবস)
কৃষি ক্ষেত্রে (ওহ অমৎরপঁষঃঁৎব)
সংস্কৃতি ও বিনোদনে (ওহ ঈঁষঃঁৎবং ধহফ জবপৎবধঃরড়হ)
তথ্য পরিসংখ্যানে (ওহ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঝঃধঃরংঃরপং)
ডিজাইনে (ওহ উবংরমহ)
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে (ওহ ডবধঃযবৎ ঋড়ৎবপধংঃ)
এক কথায় কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় সর্বত্র। আমাদের জীবন যাত্রা কম্পিউটার ভিত্তিক। বাসার পড়ার ঘর, ভিডিও লাইব্রেরী,অফিস,ডিপার্টমেন্ট সেন্টার ও হোটেল থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার দিনকে দিন অবিশ্বাস্য গতিতে বেড়েই চলেছে।
ক্স হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যার পরিচিতি
হার্ডওয়্যার : একটি কম্পিউটার ব্যবস্থার বিভিন্ন অংশ বা যন্ত্রাংশকে হার্ডওয়্যার বলে। যেমন, সিস্টেম ইউনিট বা পরিচালনা শাখা (যা কম্পিউটারের ভিতর থাকে), মনিটর, যাতে থাকে কম্পিউটারের পর্দা, কি বোর্ড, মাউস, প্রিন্টার, স্ক্যানার, স্পিকার এবং জয় স্টিক।
সফটওয়্যার
বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা পদ্ধতি বা প্রণালীকে কাজে লাগিয়ে কম্পিউটারের তথ্যকে ব্যবহার করা হয়। সফটওয়্যার বলতে এই সব প্রোগ্রামকেই বোঝায়। বস্তুত, একেকটি সফটওয়্যার প্রোগ্রাম কম্পিউটারকে নির্দেশ দেয়, কী করতে হবে। ধরা যাক, একটি কম্পিউটারের বাংলা হরফের সফটওয়্যার প্রোগ্রামকে কাজে লাগানো হলো। সে ক্ষেত্রে কি বোর্ডের মাধ্যমে যে তথ্যই (সংখ্যায় বা শব্দে) কম্পিউটারের স্মৃতিকক্ষে পাঠানোর চেষ্টা হবে, তা জমা পড়বে বাংলা হরফে, যা দেখা যাবে কম্পিউটারের পর্দায়। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ঐ সফটওয়্যার প্রোগ্রামটি কম্পিউটারকে বাংলা হরফে তথ্য সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে। সফটওয়্যার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার
কোনও নির্দিষ্ট কাজের জন্য অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারকে ব্যবহার করা হয়। প্রকৃত পক্ষে এই ধরনের সফটওয়্যার কোনও কম্পিউটারকে একটি কাজের যন্ত্রে পরিণত করে। যেমন ওয়ার্ড, এক্সেল, অ্যাক্সেস ইত্যাদি।
সিস্টেম সফটওয়্যার
কম্পিউটার ব্যবস্থা ও তার বিভিন্ন উপকরণকে অর্থাৎ ডিস্ক ড্রাইভ, মাইক্রো প্রসেসর, স্মৃতি বা মেমোরিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য এয সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়, তাকে সিস্টেম সফটওয়্যার বলে। যেমন, যে কোনও অপারেটিং সিস্টেম (ডস, উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ৭, লিনাক্স)।
যধৎফধিৎব ও ংড়ভঃধিৎব এর মধ্যে মূল পার্থক্য হল-
যধৎফধিৎব এর বাহ্যিক অবস্থান আছে, কিন্তু ংড়ভঃধিৎব এর বাহ্যিক অবস্থান নেই।
হার্ডওয়্যার কম্পিউটারের একটা অংশ ।সফটওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজ করার এক একটি প্রোগ্রাম । হার্ডওয়ার দ্বারা কম্পিউটার তৈরি হয় ।আর সফটওয়্যার দ্বারা ঐ কম্পিউটারকে ব্যবহার উপযোগী করা হয়।
ক্স ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস পরিচিতি
ইংরেজি ভাষায় ইনপুট/আউটপুট এবং বাংলা ভাষায় প্রবিষ্ট/নিষ্কৃত হল কম্পিউটারের সাথে মানুষের যোগাযোগের অপর নাম। কম্পিউটারের পরিভাষায় ইনপুট/আউটপুট বা আই/ও হল একটি তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা (যেমন কম্পিউটার) সাথে বাইরের জগতের কারো সাথে যোগাযোগ হয় যেমন মানুষ। প্রবিষ্ট বা ইনপুট হল কম্পিউটার ব্যবস্থাকে প্রদত্ত বা এটিকে প্রবেশ করানো সংকেত বা তথ্য যা সেটি গ্রহণ করে এবং নিষ্কৃত বা আউটপুট হল ঠিক তার উল্টো মানে কমপিউটার ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা বা নিষ্কাশিত সংকেত বা তথ্য যা আমরা গ্রহণ করি। বিভিন্ন ধরনের ইনপুট/আউটপুট যন্ত্র রয়েছে যেগুলো মানুষ উপাত্ত প্রবিষ্টকরণ ও নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহার করে। উদাহরণসরূপ বলা যায়, কিবোর্ড বা চাবিযন্ত্র, মাউস বা মূষিকযন্ত্র --এগুলি হল প্রবিষ্টকরণ যন্ত্র; অন্যদিকে মনিটর বা দৃশ্যমান পর্দাযন্ত্র, প্রিন্টার বা মুদ্রণযন্ত্র ---এগুলি হলে নিষ্কাশন যন্ত্র। আবার ব্যতিক্রমও আছে যেমন মডেম, নেটওয়ার্ক কার্ড এগুলো প্রবিষ্টকরণ এবং নিষ্কাশন -- দুটোই করে।
কোন্ ডিভাইস ইনপুট বা আউটপুট হবে তা নির্ভর করে দৃষ্টিভঙ্গির উপর। কিবোর্ড আর মাউস মানুষের দেয়া ইনপুট বা নির্দেশটা নেয় নাড়চাড়া বা কি চাপ দেয়ার উপর। তাতে যে সংকেত কম্পিউটার গ্রহণ করে তা প্রথমে কনভার্ট বা পরিবর্তন হয়ে কম্পিউটারের ভাষায় রূপান্তরিত হয় এবং কম্পিউটার তা বুঝে নেয়। একই ভাবে মনিটর, প্রিন্টার প্রভৃতি যন্ত্রাংশগুলো কম্পিউটারের দেয়া সংকেতগুলো নেয় এবং মানুষ বোঝার মত করে তা দেখায়। তাই একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর দৃষ্টিতে কোন কিছু মনিটরের স্ক্রীনে পড়া মানে ইনপুট গ্রহণ করা। এইধরনের কম্পিউটার এবং মানুষের কার্যপ্রনালীগুলোকে মানুষ-কম্পিউটার ইন্টারেকশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
কম্পিউটার আর্কিটেকচারে, সিপিইউ আর প্রধার মেমোরি হল কম্পিউটারের ব্রেন যেখানে সিপিইউ স্বতন্ত্র নির্দেশনায় সরাসরি রিড বা রাইট করে। যেকোন তথ্য যা কম্পিউটারের সিপিইউ আর প্রধান মেমোরির সমন্বয় থেকে আসে বা যায় তাকেও আই/ও বলে ধরা হয়। যেমন ডিস্ক ড্রাইভ থেকে তথ্য রিড করা।
ব্যবহারকারী যে তথ্য কম্পিউটারে ঢোকাতে চান, কম্পিউটার তা গ্রহণ করে। তার পর ব্যবহারকারীর নির্দেশমতো ঐ তথ্যগুলিকে ব্যবহার করে কম্পিউটার তার করণীয় কাজ সেরে ফেলে। যে সব যন্ত্রাংশের মাধ্যমে এক জন ব্যবহারকারী কম্পিউটারে তথ্য ঢোকাতে পারেন ও কম্পিউটারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারেন, সেগুলিকে বলে ইনপুট ডিভাইস। যেমন, কি বোর্ড, মাউস, অপটিকাল ক্যারেকটার রিডার (ও সি আর), ম্যাগনেটিক ইঙ্ক ক্যারেকটার রিডার (এম আই সি আর) ইত্যাদি। এখানে মূল দুটি ইনপুট ডিভাইস সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
দশটি আউটপুট ডিভাইসের নাম নিচে দেয়া হলঃ
১. মনিটর, ২. প্রিন্টার, ৩. হেডফোন, ৪. সাউন্ড সিস্টেম/ স্পীকার, ৫. প্লটার (এটি একটি ড্রয়িং যন্ত্র। বড় বড় ছবি, পোস্টার, ক্যালেন্ডার, মানচিত্র মুদ্রণের জন্য প্লটার ব্যবহৃত হয়।) ৬. রিরাইটেবল সিডি/ডিভিডি (এগুলো একই সাথে ইনপুট এবং ডিভাইসও। কেননা যখন আমরা কোন সিডি থেকে ডাটা কম্পিউটারে নেই, তখন এটা ইনপুট ডিভাইস, আবার যখন সিডি বা ডিভিডি তে কোন ডাটা রেকর্ড করে রাখি, তখন এটা আউটপুট ডিভাইস)
৭. ফ্লপি ডিস্ক (উপরের মত এেিট্কও ইনপুট ডিভাইস হিসেবেও ব্যাখ্যা দেয়া যায়)
৮. রোবট
৯. প্রোজেক্টর
১০. স্পিচ জেনারেটিং ডিভাইস (যারা স্বাভাবিকভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে ভাব প্রকাশ করতে পারেন না, তাদের সাহায্য করার জন্য এই যন্ত্র।
©somewhere in net ltd.