নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোথায় যেন পড়েছিলাম হাসলে মানুষের ১৭ টি পেশি কাজ করে আর ভ্রূকুটি করলে ৪৩ টি পেশি কাজ করে থাকে, এসব দেখতে দেখতে হঠাৎ করে একটা প্রশ্ন অবাক হলে মানুষের চোখে মুখে যে অভিব্যক্তি কাজ করে তার পেছনে কয়টা পেশি কাজ করে? অদ্ভূদ ব্যাপার হচ্ছে আজকালকার মানুষ আর অবাক হতে চায় না। ছোটবেলায় বাবা একবার গল্পচ্ছলে বলেছিলেন জানিস স্বামী বিবেকানন্দের বাবা একবার ছেলেকে ডেকে বলেছিলেন বড় হয়ে উকিল ডাক্তার মোক্তার যায় হও না কেন এই জীবনে অবাক হয়ো না কখনও। ঘঠনার সত্যতা নিশ্চিত না হলেও এতবছর পর কথাটার গুরত্ব বুঝতে পাররাম, সত্যিই আমরা যদি অবাক হওয়ার প্রবনতা ও ক্ষমতাকে সচেতনভাবে ছেঁটে না দিই, এই মানবিক বৈশিষ্ট্য যদি ধীরে ধীরে বেড়ে উঠতে থাকে তবে সর্বনাশ। অবাক হওয়ার চারাগাছটা আস্তে আস্তে বিশাল হবে। তারপর সবাই মিলে অবাক হওয়ার প্রতিযোগিতায় নামবো, যা দেখি আশেপাশে নদী নালা, পোশাক, তুমি, আমি, প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় সব কিছুতেই অবাকের ছাপ লেগে থাকবে, বাস ট্রাম প্লেন এমনকি নিজেকে দেখেও ক্ষনে ক্ষনে অবাক হওয়ার পালা। মানুষ তখন বিজ্ঞাপনের বদলে যাকে তাকে অবাক করার চেষ্টা করবে। নামীদামী কোম্পানিগুলো আর টাকা নয় বিষ্ময়তাকে লগ্নি করবে মানুষের দ্বারেদ্বারে। তবে এই সময়ের মানুষ অনেক সচেতন তাই যখন আধুনিকতার আড়ালে সমাজ সভ্যতা রসাতলে যাচ্ছে তখন অবাক হওয়ার প্রশ্ন আসে না। যখন দেখেৃ সাধারন জনগনের টাকায় টেন্ডার হওয়া রাস্তার ইট বালু সিমেন্ট দিয়ে যখন জনপ্রতিনিধিদের প্রাসাদ গড়ে উঠে, সরকারি বেতন ভাতা সুযোগ সুবিধাদি নিয়েও যখন রাজনিতিবিদ সাংসদ আমলারা সাধারনকে সর্বস্বান্ত করে,,, তখন অবাক হওয়ার প্রয়োজন পরে না। আর কতই অবাক হওয়া যায় বলুন??
২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অবাক হওয়ার কী আছে? ম্যান ক্যান ডু এভরিথিং।
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:২৬
অনিন্দ্য অবনী বলেছেন: একদম,,, মনের কথা বলেছেন,,, অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া....শুভ কামনা রইল....
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:৩২
অনিন্দ্য অবনী বলেছেন: হুম,,,একদম।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮
একটি পেন্সিল বলেছেন: আসলেই ভাববার একটা বিষয়ঃ আমাদের ইমোশন ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে। আগে যে ছোট খাটো বিষয় আমাদের অবাক করতো, তা এখন আর করেনা। এর কারন কি: প্রযুক্তির অতিরিক্ত প্রভাব? নাকি অন্য কিছু!!!!!