নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিবেকিন্দ্রিয়লোচন

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন

বিবেক নামক ইন্দ্রিয়ের চোখ (বিবেকিন্দ্রিয়লোচন) দিয়ে চারিদিক দেখার চেষ্টা করছি

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘আদিবাসী’ না ‘উপজাতি’: সীমানার বাইরে কূট-কৌশলের দ্বন্দ্ব

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯

“এই লেখা কোন নিরস্ত্র-নিরপরাধী মানুষের রক্ত ঝরাকে বৈধতার সার্টিফিকেট না দিয়ে সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে নিজেদের জ্ঞানগত প্রতিবন্ধকতা দূরীকরনের উদ্দেশ্যে লেখা”

পার্বত্য চট্টগ্রাম। ইস্যুটা এক দিনের না। অনেক পুরানো। কে ‘আদিবাসী’ আর কে ‘উপজাতি’ আর কি তাদের নিগুঢ় সম্পর্ক সেই বক্তব্যে না গিয়ে দেখিতো ব্যাপারটাকে অন্যভাবে দেখা যায় কিনা! অনেক থিউরি, কন্সপিরেসি থিউরি আছে এই অঞ্চলটা ঘিরে। থিউরি দিকে না গিয়ে প্র্যাকটিক্যালি আমরা কি দেখেছি তাতেই থাকি। আমরা দেখেছি কয়েক দশকের রক্তের বদলে ‘শান্তি চুক্তি’ নামের কিছু একটা। আর দেখেছি হাজার হাজার অবৈধ অস্ত্র। যেগুলো জমা দিয়েছে সন্তু লারমার দল জেএসএস। কোথায় পেল তারা এত অস্ত্র-গোলাবারুদ? কেউ স্বীকার করুক আর না করুক আমার মাথায় উষ্ম হলুদ যৌগিক পদার্থের বদলে যদি কিছু ঘিলু থাকে তবে আমি জানি কোন অনগ্রসর জাতিস্বত্তা এত বিপুল অস্ত্র-সস্ত্র একদিনে পায়নি আর একরাতে তাদের নেতৃত্বও তৈরী হয়নি।
ধীরে ধীরে হয়েছে। যেমনটা ধীরে পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানের ধর্মীয়, ভৌগলিক, রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন করা হয়েছে অথচ সুদান আর তিমুরবাসীর কিছুই করার ছিল না। মাত্র ২০ বছরের মাথায় ইন্দোনেশিয়ার অংশ জাতিসংঘের তত্বাবধানে বিভাজ্য করে পূর্ব তিমুরের জন্ম দেয়া হয়। একই দশা হয় দক্ষিন সুদানের ক্ষেত্রেও। আন্তঃদেশীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশ সুপার পাওয়ার খেতাবের লড়াইয়ে ব্যস্ত চীন-ভারত-রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে বিবেচ্য একটি সাবজেক্ট তাতে কোন সন্দেহ নেই। এই দেশগুলি নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে ব্যস্ত থাকলেও একটা জায়গায় এরা সবাই এক ক্ষেতের মুলা। সবগুলি এক নাপিতের ছুরিতেই মাথা কামায়। আর তা হলঃ যত যা-ই ঘটুক মুসলমানদের অবদমন করে রাখতে হবে। আর ঠিক এই জায়গাতেই বাংলাদেশীরা আটকে আছে। কারন তাদের বেশীর ভাগের নাম মুসলিম জাতি স্বত্তার পরিচয় বহন করে। পূর্ব তিমুরকে আলাদা করে সম্পূর্ণ খ্রিষ্ঠান অধ্যুষিত দেশ তৈরী করা হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার কোলে। একই অবস্থা সুদানের ক্ষেত্রেও। বাংলাদেশকে নিয়েও তাদের আছে বিশাল কর্ম পরিকল্পনা। না না; আমার কথা না। সেনা সদর কি বলে দেখেন। ১০ এপ্রিল ২০১১। দৈনিক আমার দেশ প্রত্রিকায় এ নিয়ে রিপোর্ট করা হয়ঃ সেনা সদরের সতর্কবাণী : পার্বত্য চট্টগ্রাম যেন পূর্ব তিমুর না হয়। (Click This Link)। যেই দিপু মনি ‘আদিবাসীদে (!)’ স্বপক্ষে ময়দানে শব্দের প্রতিধ্বনি করে বেড়াতেন সেই দিপু মনিই বললেনঃ পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা আদিবাসী নয় (http://bdn24x7.com/?p=8533)। ঠিক এই কারনেই ক্ষমতাসীন আওয়ামিলীগ আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম নীতিতে অনেক উচ্চবাচ্য করলেও এখন আর ঢাকঢোল খুব একটা বাজে না।
‘আদিবাসী’ তকমাটা বড় বিপদজনক। আমি ওদের ‘আদিবাসি’ বলতে কোন সমস্যাই ছিল না যদি না তার পেছনে সুদূর পসারী কোন পক্ষের হাত না থাকতো। কিন্তু এই পৃথিবীতো আর ব্যাক্তি-নীয়মে চলে না! সামগ্রীক পরিস্থিতি বিবেচনার গুরুত্ব বহন করে প্রতিটি পরিকল্পনা আর কার্যক্রম। সাইকোলজিষ্টরা হয়তো নীতি নির্ধারনে আমাদের দেশে অতটা গুরুত্ব রাখে না। কিন্তু পাশ্চাত্য বিশ্ব তাদের নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে সাইকোলজিষ্টদের ব্যবহার করে। তাই উপজাতিদের ‘আদিবাসী’ বলে বলে নিজেদের ভিতরে এক ধরনের মানসিক প্রেষণা যাতে আমরা না সৃষ্টি করি যার ফল হয়তো এই ধরনের ভাবনার দিকে আমারদের ধাবিত করবেঃ “ওরাই তো সেখানকার আদিবাসী। তাদের আলাদা রাষ্ট্রে আমরা কেন বাঁধ সাধতে যাব?”। ‘আদিবাসী’ শব্দটি দ্বারা সেই মানসিক প্রেষণার প্রথম ধাপ অর্জনের চেষ্টা হচ্ছে মাত্র। নীচের লিংকগুলো অনেক গুরুত্ব বহন করে এই ক্ষেত্রেঃ
১. পার্বত্য চট্টগ্রাম ভেঙ্গে নতুন রাষ্ট্র গঠনের পায়তারা নয় কি?: http://www.bnation24.com/main/detail/9164
২. উপজাতিরা নয় বাঙালিরাই আদিবাসী: http://goo.gl/1kTij4
৩. পার্বত্য চট্রগ্রামকে পুর্ব-তিমুর/দক্ষিণ সুদানের মতো বিচ্ছিন্ন করে আরেকটি ইসরাইল বানানো হবে?: http://goo.gl/vVOqXq
৪. পার্বত্য চট্টগ্রাম জাতীয় দৃষ্টির মধ্যে রাখতে হবে: http://goo.gl/WjcsSP
৫.ক. পার্বত্য চট্টগ্রামে বিষফোঁড়ার লালন: সোনা নয় পিতলের বাংলাকরণ: http://goo.gl/CswohT
৫.খ. পার্বত্য চট্টগ্রামে বিষফোঁড়ার লালন: সোনা নয় পিতলের বাংলাকরণ: http://goo.gl/lvlVhr
৫.গ. পার্বত্য চট্টগ্রামে বিষফোঁড়ার লালন: সোনা নয় পিতলের বাংলাকরণ: http://goo.gl/rPtM97

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জ্বলন্ত প্রশ্ন!

উত্তর দেবার কেউ নেই!!!!

সারা বাংলাদেশে এক সংবিধান! কিন্তু কথিত শান্তি চুক্তির নামে পার্বত্য অঞ্চলে বাংলাদেশীদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে!!!! কেন????

+++

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন বলেছেন: এ বিষয়টা মনে হয় অন্য আলোচনা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: Click This Link

একটা পোস্ট দিয়েছিলাম আমার আব্বাস তরফদারের আর্টিকেলের

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.