![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৫৫০০ টাকা ট্রেড লাইসেন্স ফি প্রতিবছর দেই । এবার সেটা দিতে হবে ২২৫০০ টাকা । কার মাথা খারাপ হল, না কেউ গাজা খেল বুঝলাম না । মাথার চান্দি টা গরম হয়ে যাচ্ছে ।
গোয়ারমেন্ট অফিসারের ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে, পেনশন দিতে হবে !! ধর !!! কার ট্রেডলাইসেন্স আছে, কার গাড়ী আছে, কার হোন্ডা আছে, কার গায়ে শার্ট আছে, কে সুপার ম্যান । আর এই গোয়ারমেন্ট অফিসার রা মন্ট্রিল বাড়ী কিনছে, ম্যালয়শিয়া তে সেকেন্ড হোম নিচ্ছে, এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিম খানা বানাচ্ছে, শত শত বিঘা ধানী জমি কিনছে, গুলশান, বনানী, বারীধারা, ধানমিন্ডতে ফ্লাট বানাচ্ছে , প্লট পাচ্ছে । ছেলেমেয়েদের নর্থ সাউথ থেকে নর্থ ড্যাকোটা, নর্থ ক্যারোলাইন ইউনিভার্সিটিতে পড়াচ্ছে, ঢাউস পাজেরো ব্যবহার করছে, সেটার তেল ড্রাইভার, মেইনটেনেন্স, তাদের বাসার টেলিফোন, মালি, ভৃত্য, জুতা পালিশ, ভ্রমন সব কার দায়িত্ব আমার মত জনগনের ।
আমাদের মহান এমপি, মন্ত্রি সাহেবরা ১০০ কোটি টাকার গাড়ী মাত্র ৫ কোটি টাকাতে ব্যবহার করবেন ট্যাকস ছাড়া, তাদের বাসার এসি, বিদ্যুত, টেলিফোন, সেটাও আমার মত জনগনের দায়িত্ব । আর আমি জনগন সরকারী সার্ভিস পেতে গেলে টাকা ছাড়া কোন সার্ভিস নাই । সার্ভিস দেবার মত ইনফ্রাশটাকচার নেই, লজিষ্টিক নেই, কমপ্লায়েন্স নেই । বাবুরা বসে থাকেন সেগুন কাঠের তোয়ালে দেয়া চেয়ারে । একটু কথা বলতে গেলে তাদের চাবরাশীদের ব্যবহার দেখলে মনে হয় আমি অচ্ছুত হরিজন । বহু কষ্টে অফিসে রুমে ঢুকলে তারা বসতে পর্যন্ত বলেন না । তাদের স্যার না ডাকলে চাবরাশি দিয়ে চাবকায় পারলে বের করে দ্যান । তার উপর একটু ভুল হলে বাবুদের ঝাড়ি শুনলে মনে হয় ছেড়ে দে মা কেদে বাচি ।
তিনশ টাকা খাইলে ভ্যাট ১৫০ টাকা । কদিন পর শুনব টাক মাথায় চুল উঠলে, জোড়ে নিশ্বাস নিলে, জোড়ে হাচি, কাশি দিলে, সেটার ট্যাকস দিতে হবে ২০০০ টাকা ।
মাঝে গাড়ীর হোন্ডার আইন হল ডিজিটাল নাম্বার প্লেট নিতে হবে । প্রায় ৪৫০০ টাকা ফি । এটার সুবিধা কি ? যদি হারায় যায় হোন্ডা গাড়ী খুজে পাওয়া যাবে । এখন চোর যদি গাড়ী - হোন্ডা চুরি করে ওই ডিজিটাল নাম্বার প্লেট খুলে ফেলে ? তাহলে তো কিছু করার নাই । আপনি হারাইবেন কিনা সেটার গ্যারান্টি নাই । গাড়ী - হোন্ডা হারানোর গ্যারান্টি চান ।
সকালে রমনায় দৌড়াতে গেলে পকেটে দুশো আড়াইশো টাকা রাখি । ডাব খাই । একটু সবজি কিনি । এক ডাবের দাম ৭০ টাকা । পিয়াজ এক কেজি নিতে চাইলাম । দাম বলে ৯৫ টাকা । মনে হল কানে ঠাডা পড়ল শুনিনা । সবজিওয়ালাকে বল্লাম একটু জোড়ে বলেন । উওরে সে বলে ৯৫ এ তো তবু পাইতেছেন দুদিন পরে শুনবেন ১১০ টাকা । বছর দশেক আগে একবার পেয়াজের দাম বাড়লে সরকার প্রধান বলেছিলেন পেয়াজ খাইয়েন না্ ।
পরে মুরগীওয়ালা এসে বলে স্যার ১০ টা আছে নিয়ে ন্যান । মেজাজ টা এম্নি তিরিখ্খি পিয়াজের দাম শুনে । ওরে বল্লাম তোমার কি আমারে দেখে গোয়ারমেন্ট অফিসার মনে হচ্ছে । সারামাস কাজ করে বেতন পাই ২০ হাজার । আর দিনে এক সিগনেচার মেরে কামাই করি ৩০ হাজার । যে ১০টা মুরগী কিনবো ।
মহিষ নামক গরুর মাংস ৪০০ টাকা । খাশি নামক বকরীর মাংশ ৫০০ বা ৫৫০ টাকা । দাম শুনলে ক্রেতা নাম বদলাইতে চায় । নাম ছিল মমিন বদলিয়ে রাখতে চায় কমিন । আন্তরজাতিক বাজারে তেলের দাম কম । কিন্তু আমাদের কমানো যাবেনা । কমাইলে সুইস ব্যাংকে টাকা শর্ট পড়বে ।
ঠেলে ঠুলে ব্যবসাটা চালাচ্ছিলাম তাও বোধ হয় ছেড়ে দিতে হয় । চমতকার অদ্ভুত এক দেশ । সেই গল্পটা মনে পড়ল ২ কোটি টাকা কুড়ায় পাইলে ১ কোটি মসজিদে দেবে । বিশ্বাস না হলে আল্লাহ যেন এক কোটি দেয় ।
২৪/০৮/২০১৫
ইকবাল রোড
ঢাকা
২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯
লামাজ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
নতুন বলেছেন: টেক্স না দিলে সরকার চলেনা। দেশের উন্নয়নের খরচা আশে জনগনের ট্যাক্সের টাকা থেকেই।
আমাদের জনগনের উচিত আমাদের ট্যাক্সের টাকা যেন কারুর আয়েসে আর দূনিতির মাধ্যমে পকেটে না যায়।