নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা শুনি- যা দেখি - যা ভাবি - তা লিখতে ইচ্ছে করে ।

কিবরিয়া জাহিদ মামুন

শহুরে ফোকলোর

কিবরিয়া জাহিদ মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহুরে ফোকলোর

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

শহুরে ফোকলোর

চিনির কেজি ৮০ টাকা । ভিষন ভাল লাগল । এই না হল মধ্যম আয়ের দেশ । বড় লোক হইবেন বাইজি নাচাবেন না তা কি হয় । গত জুলাই মাসটা সারা পৃথিবীতে ছিল শোকের মাস । অস্বাভাবিক মৃত্যু যেন ইতিউতি তাড়িয়ে ফিরছিল প্রান্তে প্রান্তে । ঢাকা, লুজিয়ানা, শোলাকিয়া, নিছ, আলেপ্পো, মদীনা, বেনগাজী, আল জাজিরা, কোলন কোথাও বাকী নেই ।

শহরজুড়ে প্রতিবাদ হিসেবে ফুটপাতে দাড়িয়ে টিভি ক্যামেরার সামনে, কখনো মোবাইলে সেলফি নিয়ে নিজের উপস্থিতি জানানো হচ্ছে । হাতে ব্যানার । এই শহরে ব্যানার গুলোর শেষ ঠিকানা হয় ঝুপরি চায়ের দোকানে । অথবা ফুটপাতে ভাসমান মানুষের মাথার ছাদ হিসেবে । তাই নগরজুড়ে ডালভাতের মত জ্যামটাও লেগে গেছে । ঠাটাপড়া রোদে ঠায় দাড়িয়ে থাকতে থাকতে মানুষের পশ্চাতদেশ হচ্ছে বানরের পশ্চাদেশের মত লাল । কেউ বা বমি উগরে দিচ্ছে । লোকাল বাস গুলো ভিষন চমতকার । জিন্নাহ মরার সময় থেকে আজ অবধি চলছে । খড়া, বন্যা, বৃষ্টি, পেট্রল বোমা, কার্ফু সব কিছুতেই এরা যেন মানান সই । চলছে গাড়ী যাত্রাবাড়ী ।

কিছুদিন আগে এক প্রতিবাদ দেখলাম ঢাকা ভার্সিটিতে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মাচারীদের ।
তাদের শ্লোগান
ভিসি স্যারের ভয় নেই
রাজপথ ছাড়ি নাই ।

মিছিলের এমন বাক্য শুনে মনে মনে বল্লাম ভাইরে তাইলে আপনি রাজপথে থাকলে অফিসের আর্দালীর, ফরমায়েশির কাম কে করবে ? তো আপনি যদি রাজপথেই থাকেন সাথে বোনাস হিসেব রাজপথ ঝাড়ু দেয়ার দায়িত্বটাও নেন । ছফা সাহেব বেচে নেই থাকলে গাভী বৃন্তান্তর দ্বিতীয় খন্ড বকরী বৃন্তান্ত লিখে ফেলতেন ।

আর এক প্রতিবাদ চলছে সুন্দরবনের । ফেসবুকে অনেকেই লিখছেন আমি সংবিধানের এত ধারা মতে ...... । আমি এর পখ্খে আছি । আবার কেউ লিখছে পখ্খে নাই । যারা আবার কোনটাতেই নেই তারা মুড়ি খাচ্ছেন । তারা দেখছেন তাদের বাড়ীর পাশে সুন্দরবন কে কাছে থেকে উপভোগ করবার জন্য সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের পরিবেশ বান্ধব শাখা খোলা হয়েছে । তাই আরামে মুড়ি খেতে বাধা নেই । দেশ গ্রামে মুড়ি তৈরি করতে ইলেকটৃসিটি লাগেনা । তাই চিন্তা কম । প্রাকৃতিক সুর্যের আলোতে মুড়ির ধান শুকিয়ে সেটাকে চাউল বানিয়ে লবন পানি দিয়ে মাখিয়ে গরম বালুতে ভাজলেই মুড়ি ।

ইদানিং সুর্যের আলো দিয়ে কারেন্ট তৈরি হচ্ছে । তাই মুড়ি খাওয়া পার্টির একটু ভয় যদি সুর্যের আলো শেষ হয় । মিনিটে মিনিটে বোম ফোটা পাকিস্তানের পার্লামেন্ট চলে সৌর বিদ্যুতে । পৃথিবীর একমাত্র পার্লামেন্ট । ২০১৫ সালে চায়না ১লাখ ৪৫ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদুত উতপন্ন করেছে । মুড়ি খাওয়া পার্টির আবার ভয় । এত বিদু্ত তৈরি হলে মুড়ির ধান শুকাবে কেমনে ?

ভয়টা আরও বেড়েছে মুড়ি যাচ্ছে বানের পানির এলাকায় । কুড়িগ্রামের রাজীবপুরের বাসুনিয়া গ্রামের ময়েজ মুন্সি সাংবাদিক দেখলে বলতেছে হামার কতা আর না শোনেন, শুনিয়া, নেকিয়া কি করিবেন ? পারলে এনা পা্ইশা দেও - মুড়ি কিনিয়া খাই । খুব ভোগ নাগছে ।

০১/০৮/২০১৬
ইকবাল রোড

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.