![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পিচ্চির কান্নায় ঘুম ভাংল । মসজিদ টা ব্লিডিং এর সাথে লাগানো হওয়ায় আজানের শব্দটা জোরে পাওয়া যায় । মসজিদে ফজরের ওয়াক্তে মুসুল্লি এক কাতার পুরা হয়না কিন্তু মাইকের আওয়াজে দুই চার দশ মাইলে টেকা দায় । চারতল পাচ তলা মসজিদ জুম্মা ছাড়া মুসুল্লী নাই । ওদিকে ফজরের সময়ও ইউভার্সিটির আবাসিক এরিয়ায় কাকের ডাক । সারা রাত থেমে থেমে এই কাক গুলো ডাকে । নি:শব্দ রাতে দুরে চিতকার চেচামেচির আওয়াজ পাওয়া যায় । কিছুখন পর পর দ্রুম দ্রুম করে ককটেল ফাটার আওয়াজ । সারা রাত দুটো বিড়াল ঝগড়া করে পলিটিয়ানদের মত । তারা থামেনা । একটু দরজা খুল্লে আওয়াজ টা তীব্র হয়ে ঘরে ঢোকে ।
সাড়ে সাতটায় বের হলাম হাটতে । ক্যামপাসের দেয়ালে বিখ্যাত নোবেল লেরিয়েট দের বানী ।
শিখ্খা সন্ত্রাস একবারে চলতে পারেনা ।
এখন দারুন মহাকাল দেশ হয়েছে ডিজিটাল ।
শিখ্খা পন্য নয় ।
বিপ্লবে মুক্তি ।
আমরা পাহারী আমরা বাংগালি না ।
৫ই জানুয়ারী শুভদিন নৌকা মার্কায় ভোট দিন ।
যা নাই দুনিয়াতে তা আছে বাংলাদেশে ।
ভাবলাম ফুটপাত ধরেই হাটি । হাটতে হাটতে টিএসসির সামনে দিয়ে চলে গেলাম কার্জন হলের দিকে । হাটা আর হলনা । উন্নয়নের খানা খন্দে ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে রিকশা নিতে হল । এর আগে একদিন হোটেল আল রাজ্জাক কে পায়া আনতে গিয়ে পাইনি আজ আনার ইচ্ছা । মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নীচে দিয়ে বংশাল হয়ে গেলাম আল রাজ্জাকে সোয়া আটটা বাজে আজও পায়া শেষ ।
ঘুরে স্টার এ গেলাম সেখানেও একি অবস্থা । সারা শহর পুলিশ, আতংক এর মধ্যে মানুষ এত খাদক হয় কেমনে । সকাল সোয়া আটটায় খাশির পায়া শেষ । আমি না হয় শখে গেছি বাকীরাও কি শখে নাকি ।
স্টার থেকে বের হবার সময় পাশে দেখি গরম গরম জিলাপী । দেখেই লোভ হল কিনলাম । কয়েক ফিট জায়গার মধ্যে দোকান । দোকানদার উর্দু স্পিকিং আমার সাথে বাংলায় পাশের লোকের সাতে উর্দুতে বাতচিত করছে । এরা ৭১ এ পাকিস্তানের বন্ধু ছিল । হোসনি দালান থেকে মিছিল বের করত । মিছিলের স্লোগান থাকত
হাকমে বিড়ি
মৌমমে পান
লড়কে লেংগে পাকিস্তান ।
অনেকটা মানুষ বিহীন রাস্তা । পত্রিকার দোকানে মানুষের ভিড় । যারা আশেপাশের বাসিন্দা তারা যেন দাড়িয়ে শহরটাকে নুতন করে দেখছেন । কেউ দাত ঘষছে । কেউ পেপার পড়ছে । বেশির ভাগ রাস্তায় ঘোড়ার গাড়ী । গাড়ীর সাথে ঘোড়াগুলো বাধা । রাতের ঠান্ডা থেকে বাচতে ঘোড়াগুলোর গায়ে চট দেয়া হয়েছিল । সকালে ওদের গায়ের চট গলায় ঝুলে আছে । আর আশে পাশে মলমুত্র ত্যাগ করিয়াছে যাহার গন্ধ পথচারিদের নাকে লাগিতেছে । আমার মত অভ্যাসবিহীন মানুষজন নাকে হাত দিয়া যাইতেছেন ।
পাশেই ধুমছে চলছে পিঠা বিক্রী । তেলভাজা পিঠা, চিতাই পিঠা, ভাপা পিঠা । এমনটাই এদেশের সব কিছুর স্টান্ডার্ড । গুয়ের ড্রেন থাকবে তার পাশে খাবার বিক্রী হবে । মানুষ ধুমছে খাবে ।
পুরান ঢাকার আরও কিছুর মধ্যে আছে যেমন এখানকার ইয়াং ছেলেরা কোকের ক্যান খেয়ে রাস্তায় ছুড়ে মারে । ড্রেনের মধ্যে শত শত মানুষের মধ্যে হিসু করে । ভাবাবেগ নেই ।
মুখ দিয়ে ভাব বের হওয়া এমন সকালে ওষধ কোম্পানীর রিপ্রেজেনটিভরা ঢাকা মেডিকেলের সামনে ওষধের ফর্দ বের করিয়া বিক্রীর হিসাব কষিতেছে । বন্যা, জলচ্ছাস,ঘুর্নিঝড়, যাই হোক ওষধ বিক্রী করতেই হবে । বিরামহীন এক জীবন ।
বিরস মুখে রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ।
কর্মজীবি মানুষরা আস্তে আস্তে রাস্তায় নামছে । যা কিছুই হোক জীবন জীবিকার তাগিদে ছুটতে হবে । দেশের পাগল রাজনীতিবিদরা সেটা বুঝুক বা না বুঝুক । কেননা রাজনীতিবীদদের সকালের নাসতা, দুপুরের ভাত, রাতের ভাত, বাড়ী,গাড়ী, নারী, সব আসে রাজনীতি থেকে তাই টেনশন নেই । পুলিশের কনস্টেবল হতে ছয়মাসের ট্রেনিং লাগে । কিন্তু রাজনীতিবিদ হতে কিছ্ছু লাগেনা । মাদক ব্যবসায়ী, গুন্ডা, ডাকাত, লুটেরা যেকেউ রাজনীতিবিদ হতে পারে ।
৩০/১২/২০১৩
ঢাকা
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৪
কালীদাস বলেছেন: ভালই লাগল শহুরে ফোকলোরের দিনলিপি
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: Happy New Year-2019