নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা শুনি- যা দেখি - যা ভাবি - তা লিখতে ইচ্ছে করে ।

কিবরিয়া জাহিদ মামুন

শহুরে ফোকলোর

কিবরিয়া জাহিদ মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামান্থা তৃতীয় পর্ব

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬

বন্ধু নাইমকে কে উওর দিলাম - নারে পোষ্টার দেখি ।
নাইম বলল - চা খাবি ?
বল্লাম হুম ।
দোকানদার মামাকে নাইম বল্ল মামা একটা ফ্রেশপাতির চা দেও । আর লগে একটা বিড়ি দেও । হ্যাতে খুব কষ্ট কইরা পোষ্টার পইরা আইচে । সিগারেট চার বিল দিয়ে নাইম কিছুখন পরে চলে গেল । আমি আর একটা সিগারেট নিয়ে টানছিলাম । রাস্তার রিকশার চাকার ঘূর্ননে মনে হচ্ছিল জীবন, সময় এমন করেই ঘোরে । একদিন জীবন থেমে যায় সময় বইয়ে যায় । পোস্টারের বিষয়টা যেন মাথা থেকে যাচ্ছিল না ।

ছোটবেলা থেকে কত বাড়ীতে দেখলাম বউ পেটানো । এটাকে যে পারিবারিক নির্যাতন বলে জানাই ছিলনা । এলাকার নুরু ভাই ছিল বিশ্ব প্রেমিক । হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গাইলে মনে হত হেমন্তের গান শুনছি । গভীর রাতে দুটি মন আর নেই দুজনা গানটি যখন শিষ ফুকিয়ে সুর তুলত মনে হত এমন সুর যদি শেষ না হত । নুরু ভাই ভাবীকে চিটাগং থেকে পালিয়ে এনে বিয়ে করেছিলেন । নুরু ভাই এর বাসার অশীতিপর বৃদ্ধের মত ফোকলা দাত বের করা প্রাচীরের পাশে পড়ে থাকত রাজা কনডম । আমরা ছানাপোনার দল সেই রাজা কনডম কুড়িয়ে ধুয়ে ফুলিয়ে বেলুন বানাতাম । বড় মানুষ অনেকেই বলত এই ছানাপোলার দল ওগুলো ফুলালে অসুখ হয় । ফুলাস না । কে শোনে কার কথা ।

একদিন শীতের রাতে চিৎকার শুনে পাড়ার সবাই বেরিয়ে এল । নুরু ভাই এর বউ চিৎকার করতে করতে পাশে প্রতিবেশীর বাসায় দৌড়ে পালালো । ওদিকে নুরু ভাই হাতে একটা লাঠি নিয়ে আজ তোকে মেরেই ফেলব । তোকে মেরে জেলে যাব । চিৎকার করতে করতে বাইরে এসে ভাবীকে খুজছিল । পাড়ার মুরুব্বীরা নুরু ভাইকে থামাল ।
থাম নুরু ।
কি করছ ?
সেই রাতে ভাবী পাশের বাসায় লুকিয়েই থাকল । আর একদিন শুনলাম ভাবী রাগ করে স্যাভলন খেয়েছে সুইসাইড করবে বলে । কে টের পেয়ে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে গেল । সে যাত্রায় ভাবী বেচে গেলেন । নুরু ভাইয়ের পালিয়ে প্রেমের গল্প এমন করে চলতেই লাগল ।

পাড়ার অন্যদিকের সুলতান ভাই কাজল ভাই তারাও সে সময়ের বিশ্ব প্রেমিক ছিলেন । তাদের ও প্রেমের বিয়ে কিন্তু পারিবারিক সন্মতিতে । সুলতান ভাই বউকে ছাড়া কিছুই বুঝতো না । বউয়ের নাম ছিল সুলতানা । সবাই বলত টোনাটুনির সংসার । কোন বিয়ে বাড়ীতে গেলে সুলতান ভাই ও ভাবী এক সাথে খেতে বসত । এক সাথে হাত ধুতে উঠত । তারপর এক সাথে পান খেয়ে ঠোট লাল করে বসে থাকত । বিয়ের বাড়ীর লোকজন বলত অমর প্রেম ।

আর কাজল ভাই মোটামুটি মাসের প্রথম সপ্তাহের বৃহস্পতিবার হলে তার আগের দিন বেতন হলে ব্যাস মদ খেয়ে বাসায় এসে ভাংচুর । টুকটাক চিৎকার । ভাবীর গায়ে চড় থাপ্পর মারা ছিল নিত্য নৈর্মিত্তিক ব্যাপার । নিয়তির নির্মম পরিহাসে সুলতান ভাইয়ের বউ কাজল ভাইয়ের বউ কিছুদিনের ব্যবধানে মারা গেল । সুলতান ভাই অমর প্রেমের জুটি তিনমাস না যেতেই বিয়ের জন্য পাগল হয়ে গেলেন । বিয়ে ও করে ফেললেন । প্রথম বউ চলে গেল । শেষে তিন নম্বর বিয়ে করে থিতু হলেন । ছেলেমেয়েদের মুখের দিকে তাকালেন না ।

ওদিকে বৃহস্পপতিবারের মদখোর কাজল ভাই সারাজীবন অবিবাহিত থাকলেন । কেউ বিয়ের কথা জিগ্যেস করলে উওর দিতেন বউ তো আছে । শুধু বেচে নেই । মারা গেছে ।

সময়ের সাথে আমরা বড় হলাম । কাজল ভাই আমাদের সাথে চায়ের দোকানে কালে ভদ্রে বসত । হঠাৎ একদিন স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বলল - বেটা তোদের ভাবী রাতের বেলা ঘুমের মধ্যে এমন শব্দ করে পাদ মারত সেই শব্দে সে নিজেই জেগে গিয়ে বলত কিসের শব্দ । আমরা সবাই হো হো করে হাসতাম । চা শেষ করে সিগারেটে শেষ টান দিয়ে জীবনানন্দ কে আবৃতি করতে করতে চলে যেতেন ।

মারামারি, গালাগালি, ট্যারাচোখ, পচা চিংড়ি - কত কি দেখিব না লেখা
তবুও তোমার সাথে অনন্তকালেও আর হবে নাকো দেখা ।

চলবে .....






মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখার সময় তাড়াহুড়া করবেন না।
এটা উপদেশ নয় অনুরোধ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৩৮

কিবরিয়া জাহিদ মামুন বলেছেন: রাজিব নুর ধন্যবাদ । বিষয়টা মাথায় রাখবো ।

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১২

এ.এইচ.নাবিল বলেছেন: ভালোই হইছে।
আমার ব্লগ পড়ে আসার আমন্ত্রণ রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.