নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা শুনি- যা দেখি - যা ভাবি - তা লিখতে ইচ্ছে করে ।

কিবরিয়া জাহিদ মামুন

শহুরে ফোকলোর

কিবরিয়া জাহিদ মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহুরে ফোকলোর

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:০৭

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার পরাজিত এবং মারা যাবার পর হিটলারের তদানীন্তন যুদ্ধের কমান্ডাররা সারেন্ডার করেন মিত্রবাহিনীর প্রধান আইজেন হাওয়ারের কাছে । আইজেন হাওয়ার একজন আমেরিকান ছিলেন । যদিও মিত্রবাহিনীর আগের প্রধান ছিলেন বৃটিশ জেনারেল মন্টেগমারী । সারেন্ডার অনুষ্ঠানে তিনিও ছিলেন । হিটলারের জেনারেলরা প্রথমে জেনারেল মন্টেগমারীর কাছেই সারেন্ডার করতে চেয়েছিলেন । কিন্তু মন্টেগমারী জানান মিত্রবাহিনীর প্রধান হিসেবে কাজ করছেন আইজেন হাওয়ার । অতএব সারেন্ডার করতে হবে আইজেন হাওয়ারের সামনে ।

২য় বিশ্বযুদ্ধের আর এক পখ্খ ছিল রাশিয়া । ২য় বিশ্বযুদ্ধের রাশান নেতা ছিলেন স্টালীন । যখন জার্মান জেনারেলরা আইজেন হাওয়ারের কাছে সারেন্ডার করে । সেই সারেন্ডার কে স্টালীন এবং তার জেনারেল মেনে নেননি । জার্মানরা বাধ্য হয় স্টালীন ও তার জেনারেলের সামনে সারেন্ডার করতে ।

আবার গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে হাজার হাজার জুইশ বা ইজরেলী কে মারার নায়ক ছিল জার্মান আর্মীর লুটেনেন্ট কর্নেল আইখম্যান । জার্মানী পরাজীত হলে সে পালিয়ে আর্জেন্টিনাতে চলে যায় । আইখম্যান সেখানেই নুতন জীবন শুরু করেন । এর মাঝে ইজরেলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কাছে খবর আসে আইখম্যান আর্জেন্টিনাতে । মোসাদ আর্জেন্টিনা থেকে আইখম্যান কে উঠিয়ে এনে রামাল্লা ইজরেলের কারাগারে ফাসি দেয় ।


১৯৪৫ এ শেষ হওয়া ২য় বিশ্বযুদ্ধের ২৬ বছর পর শুরু হয় বাংলাদেশ পাকিস্তান মুক্তিযুদ্ধ । পাকিস্তান আর্মীর দ্বারা প্রায় দুই থেকে চার লাখ বিভিন্ন বয়সী নারীকে শারীরিক ভায়োলেন্সের মুখোমুখি হতে হয় । প্রায় ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয় । এককোটির অধিক রিফিউজি আশ্রয় নেয় পাশের দেশে । ৯০ হাজার পাকিস্তান আর্মী সারেন্ডার করে ভারতীয় জেনারেলের কাছে । আমাদের মুক্তিযোদ্ধা,সেক্টর কমান্ডার দের কাছে ২য়বার পাকিস্তানী জেনারেলরা সারেন্ডার করেনি । রাশার স্টালীন যেটা করাতে পেরেছিলেন । মানবতা বিরোধী অপরাধের আদেশ দেবার জন্য একজন পাকিস্তানী কমান্ডিং অফিসার কে আমরা বিচারের মুখোমুখি করতে পারিনি বাংলার মাটিতে । একজন কে আটকাতে পারিনি । পাশের দেশে যুদ্ধবন্দী হিসেবে আরাম আয়েশে কাটিয়ে তারা পরে পাড়ি দিয়েছে নিজের দেশ পাকিস্তানে । এই মানবতা বিরোধী অপরাধীর আর এক মাস্টার মাইন্ড ভুট্টো কে আমাদের সরকার বাহাদুর লালগালিচা সর্ম্বধনা দিয়েছিল । শহীদের রক্তের দাগ শুকাবার আগে ।

ইতিহাসের নির্জলা সত্য হল এই দেশের জন্ম হয়েছে অপরাধীকে ছেড়ে দেয়ার মাধ্যমে । অপরাধী কে বিচার করবার শাস্তি দেবার যে তাগদ একটা রাস্ট্রের থাকা দরকার তার ছিটে ফোটা নাই । অপরাধীকে বিচার করবার শাস্তি দেবার যে আইনানুগ কাঠামো, বিশ্লেষন তা আজও নাই ।

গত দশ বছরের আলোচিত হত্যা কান্ডের খতিয়ান দেখলে কিছুটা ধারনা পাওয়া যাবে । পূর্নিমা, সাগর রুনী, ত্বকী, তনু, বিশ্বজিদ, নারায়নগন্জের সেভেন মার্ডার, বদরুল যার চাপাতির কোপে জীবন মৃতুর সন্ধিখনে ছিল খাদিজা - সে বিচার । রেইট্রি হোটেল স্কাম, শেয়ার মার্কেট, ব্যাংক লুট সহ কত কি ? সব নথি হিসেবে আছে । কাজীর গরুর মত । কেতাবে আছে কিন্তু গোয়ালে নেই ।

যেহেতু আগের গুলোর বিচার হয়নি তাই নুসরাতের হত্যাকারীর ও বিচার হবেনা । আবার নুতন ইসু আসবে চকের আগুনের মত, বনানীর আগুনের মত, চা ছফ, ছিংগারার মত, নুরুর মত, চারশ যাত্রী নিয়ে লন্চ ডুববার মত ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে অনেক সমস্যা আছে, আপনি কি নতুন সমস্যা যোগ করতে চান?

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৪৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এ দেশে বিচার পাওয়া সত্যি কঠিন, হয়তো এটাই আমাদের নিয়তি।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা বলতে কি দরিদ্র দেশ গুলোতে এমনটাই ঘটে।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫০

বাংলার মেলা বলেছেন: কই, যুদ্ধাপরাধীর বিচার তো করা হয়েছে। ৭ জনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে - তা নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চ হয়েছে, হেফাজতে ইসলামের নাটক হয়েছে। আর কি বাকি আছে। আর কোন বিচার হোক বা না হোক - একটা বিচার তো হয়েছে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.