নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল হক ছিলেন মিতভাষী, সজ্জন ব্যক্তি। কিন্তু মাঝখানে তার মুখে একটু কড়া কথা বের হতে লাগল। তিনি ড. ইউনুস এবং নোবেল প্রাইজ সম্পর্কে সমালোচনা করে বললেন, বিশ্বের বেশ কিছু রাজধানীতে চিজ স্যান্ডউইচ আর সাদা ওয়াইন খেলে জনপ্রিয়তা বাড়ে। সময়মতো একটি নোবেল পুরস্কারও পাওয়া যায়।" ব্যস সাংবাদিক/বুদ্ধিজীবিরা শুরু করলো ব্যপক সমালোচনা।
এর কিছুদিন পর দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া-বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালকে বললেন 'দুই আনার মন্ত্রী'। আবারও কঠোর সমালোচনা শুরু হলো চারিদিকে। কেউ কেউ উনার দলকে সময় না দেয়া, উনার নিয়মিত মদ্যপান (সত্য মিথ্যা জানিনা) নিয়েও সমালোচনা করতে লাগলেন।
এক সময় উনার মন্ত্রীত্ব গেল। এবার মিডিয়ার অন্য রূপ দেখা গেল। উনি দুর্নীতিমুক্ত, সৎ। উনি জাতীয় ৪ নেতার একজনের সন্তান। উনি আওয়ামী লীগের সম্মান পেলেন না। শেখ হাসিনা অন্যায় করেছেন উনার সাথে - আরো অনেক কিছু। শেষ পর্যন্ত আবার মন্ত্রীত্ব ফেরত পেলেন।
২. প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী জীবিত থাকতে প্রকাশ্যে ধূমপান, বেসুরো গলায় গান গাওয়া, পর্দা-বোরকা নিয়ে মন্তব্য, সাংবাদিকদের খবিশ বলা সহ আরো অনেক ঘটনায় মিডিয়ার কাছে নেগেটিভ রোলের একজন ছিলেন। যেই না উনি মারা গেলেন, এবার লেখা শুরু হলো, উনি মুক্তিযোদ্ধা, উনি দানশীল, দুর্নীতিমুক্ত, মাটির মানুষ। সাংবাদিক প্রভাষ আমিনের লেখায় জানা গেল, মুন্নী সাহা নাকি উনাকে অনুষ্ঠানে এনেছিলেন হাস্যকর হিসেবে দেখানোর জন্য! এখন সেই মুন্নী সাহাও বিরহে আক্রান্ত! ব্লগেও উনাকে নিয়ে অনেক সহানুভূতিমূলক লেখা শোভা পাচ্ছে।
৩. সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে নিয়েও অনেক কথা , কার্টুন ছাপা হয়েছিল শেখ হাসিনার প্রতি অতিরিক্ত তোষামোদিতার কারণে। তৈলুর রহমান বলা হতো তাঁকে প্রথম আলো’র আলপিনে। এমনকি তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও বলেছিলেন, শেখ হাসিনার কথা মতই তিনি চলবেন - এসব নিয়েও কত সমালোচনা। ঠিক তাঁর মৃত্যুর পর সবাই ভালো ভালো বলা শুরু করলেন।
আমার কথা হচ্ছে, মানুষের মৃত্যুর পর তাকে ভালো বলে(আগে যাদের প্রচুর সমালোচনা ছিল) প্রচার করার মধ্যে কী কোন লাভ হয়? যার যা ভূমিকা বা কীর্তি তা তো সবার কাছে জানাই আছে। আবার আমি এও বলছি না যে, মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে শুধু সমালোচনা করতে হবে তার অতীতের জন্য। মৃত ব্যক্তি যেহেতু সমালোচনার উর্ধ্বে তাই তাঁকে নতুন করে ভালো বা মন্দ বানিয়ে লাভ নেই। চ্যাপটার ওখানেই ক্লোজ করতে হবে। জোর করে ভালো দেখানোর দরকার নেই।
মিডিয়ার যে ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, দেখা যাবে ভবিষ্যতে কামরুল ইসলাম, হাসানুল হক ইনু, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, আবুল মাল আবদুল মুহিতরাও ভালো মানুষ হয়ে যাবেন!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: চ্যাপ্টার ক্লোজড।
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫
থিওরি বলেছেন: মিডিয়া সব পারে । দেখা যাবে ভবিষ্যতে কামরুল ইসলাম, হাসানুল হক ইনু, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, আবুল মাল আবদুল মুহিতরাও ভালো মানুষ হয়ে যাবেন!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: wait & see
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
তাসজিদ বলেছেন: আমাদের দেশে এই ত চলে আসছে।
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হুম| এর বেলা চ্যাপ্টার ক্লোজ হলেও সবার বেলা হয় না| কারণ ভালমত মূল্যায়ন না হলে হয়ত এরা পির হয়েও যেতে পারে
৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০১
মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: টেকা ভাই সবার টেকা দরকার.... ইহায় আসল কারন!
৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
"মিডিয়ার যে ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, দেখা যাবে ভবিষ্যতে কামরুল ইসলাম, হাসানুল হক ইনু, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, আবুল মাল আবদুল মুহিতরাও ভালো মানুষ হয়ে যাবেন! "
-চিড়িয়াখানার লোকেরা মিডিয়াতে পার্ট-টাইম চাকুরী করে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এসব বললে(সাংঘাতিক, খবিশ) তেনাদের এথিকস-এ লাগে!
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৫
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: যাই হোক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সমাজের কল্যাণ করে গেলেন! দেশ একটু ভাঁড় মুক্ত হলো!