নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেস হিস্ট্রি - (সংক্ষেপিত) :
১. করিম মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। ছোট একটা চাকুরি করে। ১০ হাজার টাকা বেতন। মাসিক খরচ ২০ হাজার। ছোট ভাই রহিম ব্যাংকার। প্রতি মাসে ছোট ভাই অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা খরচ দেয়। বাবা নেই, মা থাকে করিমের সাথে ভাড়া বাসায়। রহিম রাজধানী ঢাকাতে থাকে। করিমের বিয়ে হয়। করিম সাধারণ একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মতই স্ত্রী, মা নিয়ে সংসার চালাতে থাকে। রহিমও মাসে ২/১ বার বেড়াতে এসে থাকে তাদের সাথে।
২. করিমের স্ত্রী কেয়া ভালো পরিবারের মেয়ে। শাশুড়ির মন জয় করেছে অল্প দিনেই। তবে গতানুগতিক শাশুড়ির মত একদিন বকা দিয়ে বসে করিমের মা। কেয়ার মন খারাপ হয়। করিমকে অভিযোগ করে। করিম বলে, ভুল করলে কথা শুনতে হবে। কেয়া বলে, এই কাজ রহিমের স্ত্রীর(রহিম তখনো অবিবাহিত) সাথে করতে পারবে মা? এই থেকেই শুরু। রহিম অনেকদিন পর পর আসে আর রহিম বড় চাকুরি করে। তাই রহিমের জন্য মায়ের একটু বাড়তি আদর করিমের কিছু মনে না হলেও কেয়ার মনে হতে থাকে।
৩. সময় হয় রহিমের বিয়ের। চাকুরজীবি মেয়ে খেয়ার সাথে বিয়ে হয়। রহিম বড় ভাইকে খরচ দেয়া বন্ধ করে না। ভাইয়ে ভাইয়ে সম্পর্ক ঠিক রাখে। তবে মাকে নিয়ে আসে ঢাকায়। মা ঢাকা ঘুরে এসে খেয়ার গল্প করে কেয়ার কাছে। কেয়ার সহ্য হয় না। কেয়ার মনে হতে থাকে মা খেয়াকে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে। অথচ কেয়া বড় বউ। খেয়া ভুল করলেও রহিমের সংসারের কথা চিন্তা করে মা খেয়াকে(চাকুরিজীবি ও উচ্চশিক্ষিত) কিছু বলে না। কেয়ার নজরে এড়ায় না এসব। কেয়ার মনে হতে থাকে কেয়াকে শাশুড়ি দেখতে পারে না। করিম জানে, তার মা দুই বউকেই আদর করে। কেয়ার চিন্তাটা মানসিক। করিম এটাও বুঝে, মা কেয়াকে নিজের মতই (বড় বউ) সব কাজ করবে ভাবে। করিম এটাও জানে খেয়াকে কিছু বললে রহিমের সংসারে ঝামেলা হবে তাই খেয়া অনেক ক্ষেত্রে ছাড় পায়। কিন্তু কেয়া মনে করে বড়লোকের মেয়ে হওয়াতে খেয়া ছাড় পায় আর গরীবের মেয়ে বলে কেয়া কথা শুনে।
৪. কেয়ার মানসিক চিন্তা ক্রমেই বাড়তে থাকে। ইদানিং শাশুড়ির সাথে খেয়া আর রহিমের ব্যপারে ঝগড়াও শুরু করেছে। করিমকে অভিযোগ করলেও বিচক্ষণ করিম সেটাকে গুরুত্ব দেয় না। করিম জানে, কেয়ার অস্বাভাবিক চিন্তাধারাই কেয়াকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। মন ভালো করার জন্য ঈদে করিম স্ত্রীকে নিয়ে যায় রহিমের বাসায়। কিন্তু কেয়া সেখানে গিয়ে ছোটখাটো পারিবারিক বিষয় নিয়ে রহিম আর খেয়ার সাথে ঝগড়া করে। রহিম মাকে একেবারে ঢাকায় রেখে দেয়।
৫. কেয়ার চিন্তাধারার কোন পরিবর্তন হয়না। শাশুড়ি আর দেবর নিয়ে তার অভিযোগ আর করিমের পাত্তা না দেয়া তাকে আরো মানসিক রোগীতে পরিণত করে। কেয়া আর খেয়ার সন্তান হয়। রহিম তার ভাইকে ঢাকাতে চাকুরি ও একই বাসায় থাকার সুযোগ করে দেয়। কেয়ার এবার মনে হতে থাকে, শাশুড়ি খেয়ার সন্তানকে বেশি আদর করে! করিম সব কিছু সহ্য করে কেয়াকে বোঝানোর চেষ্টা করে। করিম মা, ভাইকে হারাতে চায় না। একদিন বড় একটা ঝগড়া হয় কেয়া আর খেয়ার। রহিম তার ভাইকে বলে, হয় বউ ছাড়ো না হয় আমাদের ছাড়ো।
এখন করিম কী করবে?
* কেয়া তার দেবর, শাশুড়ি সম্পর্কে ভুল বুঝে করিমের সাথে ঝগড়া অব্যাহত রাখবে - এই ভয়ে ডিভোর্স দিবে কি?
* কেয়া তার দেবর, শাশুড়িকে দেখতে পারে না - এই অভিযোগে ডিভোর্স দিবে কি?
* কেয়া ক্রমেই একজন মানসিক রোগীতে পরিণত হতে যাচ্ছে - এই কারণে ডিভোর্স দিবে কি?
মনে রাখবেন -
* কেয়াকে নিয়ে একা থাকার মত সক্ষমতা (চাকুরি) করিমের নেই।
* করিম তার মা ভাইকে কখনো ছাড়তে পারবে না।
* একদিকে বাচ্চা আরেকদিকে কেয়ার মানসিক চিন্তা থেকে বের না হয়ে আসা এবং ভালো না হওয়ার শংকা তো আছেই।
২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কেয়া এখন আর স্বাভাবিক পর্যায়ে নেই। কারণ, তর্কের খাতিরে করিম যদিও মেনে নেয় খেয়াকে বেশী গুরুত্ব দেয় তার মা কিন্তু নাতির বেলায়ও করিমের সন্তানকে অবহেলা করবে মা - এমন অভিযোগ মানসিক সমস্যাই প্রকাশ করে। অভিভাবক পর্যায়ে বোঝানোর সব চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কেয়ার মাও ব্যর্থ হয়েছে মেয়ের মনকে ঠিক করতে...
২| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩৫
শেয়াল বলেছেন: বাস্তবতা তো মাইনা নিতেই হবে । বড় ছেলের একার টাকায় সংসার চলে না এখন ছোট ছেলের বেশি টাকায় সংসার চলছে । বড় বউ সেটা কেন দেখবে না । এই সিম্পল ব্যাপারটা ওনার মাথায় না ঢুকলে একা একা বাপের বাড়ি দিন কাটাক ।
২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৪২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সেখানেও সমস্যা। শশুড় বাড়ির অবস্থাও ভালো না। শশুর জীবিত নেই। শাশুড়িও ভাড়া বাসায় থাকে ছেলে আর ছেলে বউর সাথে। তারা বলে দিয়েছে করিমকে, তোমার বউ তুমি যা করো(অনেকটা ইমোশনাল ব্ল্যাকমেলিং)। করিমের একটাই চিন্তা চারিত্রিক কোন ত্রুটি নেই, শুধু তার মা ভাইকে দেখতে না পারার কারণে কি কেয়াকে ডিভোর্স দিবে?
৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৫৫
কানিজ রিনা বলেছেন: এক্ষেত্রে আমার ছোট বিবেচনায় বলন,কেয়ার
মানুষীক দিক বিবেচনা করে, খেয়া রহিম
করিম ও মা মিলে কেয়াকে ভালবাসা দিয়ে
বুঝাতে হবে। তুমি ভুল করছ। কেয়া যেটা
নিয়ে অসান্তি করছে সে ভুল ভেঙে দেওয়া।
কারন রহিম ও কেয়ার একটি সন্তান আছে।
সেই বিবেচনায় ওর মানুষীক কষ্টটা দুরকরাই
বিবেচ্য বিষয়। আর রহিমের উপর মা ভাইর
যত টুকু অধিকার আছে, স্বামীর প্রতিও
কেয়ার অধিকার কোনও অংশে কম নাই।
আর এখানে রহিম কম উপারজন করে
বলেই রহিম আর্থিক ভাবে দুর্বল। সেইহেতু
বড় বৌটা হীনমন্যতায় ভুগতেই পারে।
তাই সবার ভালবাসায় কেয়ার সুন্দর সুষ্ঠ
মানষীকতা গরে উঠুক এই কামনান্তে।
ধন্যবাদ।
২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:০৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: রহিম আর রহিমের বউ অনেক কিছু করেছে কেয়ার মন পাওয়ার জন্য। করিম তা জানে। কিন্তু কেয়া কিছুতেই সেই চিন্তা থেকে বের হতে পারছে না। করিম কেয়াকে বলেছে অন্তত তোমার ঘৃণাটা যেন প্রকাশ্যে না আসে, অভিনয় চালিয়ে যাও। তবু কেয়ার এক কথা, তোমার সবাই আমাকে দেখতে পারনা...
৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:২৮
মহা সমন্বয় বলেছেন: ডিভোর্সের একমাত্র কারণ হচ্ছে বিয়ে।
২১ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:২১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যথার্থ
৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখানে যে সমস্যা দেখায়েছেন, এগুলো মানুষের মনে আসতে পারে, তবে এগুলো ভুল ধারণা থেকে জন্ম নেয়।
২১ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:২২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এখন এই ভুল ধারণার জন্য ডিভোর্স দেয়া কি উচিত হবে?
৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ডিভোর্স হয়ই তো একে অন্যকে বুঝতে না পারার জন্য। অবস্থা চরম হলে ডিভোর্স ছাড়া উপায় কী?
২১ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সেটা তো ঠিক আছে। কিন্তু এই কেইসে কারণটা ভিন্নরকম। এখানে করিম আলাদা হয়ে গেলে অনেক সমাধান হয়। কিন্তু করিমের সে সক্ষমতা নেই।
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশ 'ফ্যামেলী এডভাইজিং' নেই; থাকলে ডিভোর্স অনেক কমে যেতো।
২৩ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঠিক। কিন্তু কেউ যদি কাউন্সেলিং এর ব্যপারে বলে, তখন মনে হয় পাগলের চিকিৎসা করানো হবে। এ ক্ষেত্রে স্বামী, স্ত্রী দুইজনেই মনে করে তারা স্বাভাবিক। তাদের কাউন্সেলিং লাগবে না...
৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: তবুও বিবাহ বিচ্ছেদে যাওয়াটা সমীচীন হবেনা। শেষ চেষ্টাটা করে যেতে হবে। কাজ না হলে যত কষ্টই হোক, আলাদা হতে পারে, তবুও বিচ্ছেদ নয়। কারণ এখানে তাদের মাঝে ভালোবাসা চিরতরে তিরোহিত হয়েছে, এমন আভাস পাওয়া যায়নি।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পুরোটাই নির্ভর করছে কেয়া আর তার পরিবারের সদিচ্ছার উপর...
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:২৬
শেয়াল বলেছেন: খেয়ার ব্যাপারটা কেয়াকে বুঝিয়ে বলতে হবে । কেয়া বড় হিসেবে অনেক কিছুই বুঝার কথা । এইগুলো না মেনে নিলে ডিভোর্স ছাড়া বাস্তবে কোন উপায় দেখছি না ।
অনটপিক-
আমার পরিবারে আমি আমার ভাবিদের মাঝে এই ব্যাপারটা পেয়েছি । আমার বউ খেয়ার ভুমিকা পালন করছে । আর আমি ওর স্বামীর ।