নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. ১/১১'র সরকার যখন সাবেক এম পি/ মন্ত্রীদের গ্রেফতার করছিল তখন জনগণ খুব খুশী হয়েছিল। ভেবেছিল এতদিনে বোধহয় পাপের শাস্তি পাবে দুর্নীতিবাজরা। এক পর্যায়ে যখন খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয় চামচা ও সমর্থকরা বেঁকে গেল! এখন আর ১/১১'র সরকারকে তাদের ভালো লাগল না। তাদের বিশ্বাস অন্য সবাই দুর্নীতি করলেও এই দুজন করতেই পারে না! তাদের প্রতি ঘৃণার বদলে সহানুভূতি তৈরী হল। এক সময় রফিকুল হক দুই নেত্রীর মামলাই লড়ে আলোচিত হয়ে গেলেন। দুই দলের ভক্তরাই খুশী। রফিকুল হকের ফর্মূলা অনুসরণ করে একের পর এক দুর্নীতিবাজ এমপি, মন্ত্রী, আমলা নিষ্পাপ হয়ে বের হয়ে আসল। অথচ ঐ সময় অন্তত ১০ জন সাবেক মন্ত্রীকে জেলের ভাত খাওয়াতে পারলে আজকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশের পরিবর্তন হত...
২. বাংলাদেশ যখন প্রথমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সুযোগ পায় সেই দলে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ছিলেন না। নান্নুর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও তেমন সমৃদ্ধ ছিল না। তৎকালীন কোচ গর্ডন গ্রিনিজ নান্নুকে দলে নেয়নি। কিন্তু এত বড় তারকাকে দলে দেখতে না পেয়ে ভক্তকূল খুবই নাখোশ হল। শুরু হলো আন্দোলন, "নান্নুকে দলে নিতে হবে"। এক পর্যায়ে ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেট পাগল(!) জনতার আবেগের কাছে হার মেনে নান্নুকে দলে নিতে বাধ্য হয়। (নান্নু অবশ্য সেই টুর্নামেন্টে ২ টি ফিফটি করে আস্থার প্রতিদান দেন। সেটা ভিন্ন বিষয়)...
৩. কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ ফুটবল দলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য বেশ কিছু তারকা ফুটবলারকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেন তৎকালীন ব্রাজিলিয়ান কোচ ডিডো। কিন্তু বাফুফের কর্মকর্তারা ভাবলেন এই খেলোয়াড়দের বাদ দিলে দল দুর্বল হয়ে যাবে। তাই তেনারা কোচের মতামতকে অগ্রাহ্য করে সেই খেলোয়াড়দের কোচের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ভিত্তিতে দলে সুযোগ দেয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু কোচ ৮ জনের মধ্যে মাত্র ২ জনকে সুযোগ দেন তখনকার সাফ দলে। আবেগী বাফুফে কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তের কারণে কোচকেই উল্টো বরখাস্ত করে দেন...
৪. কম বেশী সব সেক্টরে এই আবেগের প্রভাব বেশী। আমরা নিয়ম মানার চেয়ে আবেগ বেশী মানি। বাংলাদেশীদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী আবেগ দিয়ে চলবে নাকি আইন দিয়ে চলবে? আবেগ আর আইন এক সাথে চলতে পারে না। যে কোন সিদ্ধান্তকে দেখতে হবে আইনের নিরীখে, নিয়মের নিরীখে...
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: 'প্রজ্ঞা' বোঝার মত অবস্থায় বেশীর ভাগ বাংলাদেশী নেই...
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশবাসী আবেগেি ফলে সবার ক্ষতি হচ্ছে না; বসুন্ধরা, সালমান রহমান, চীনা কোম্পানীগুলো, ৫০ হাজার ভারতীয় প্রফেশানেল, ওবায়দুল কাদের, ড: মোঢারফ হোসেনরা ভালোই করছে।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সমাজের কেউ কেউ আবেগ বিক্রি করে ভালোই আছে...
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
মানুষ মাত্রই আবেগ থাকবে; এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সমস্যা হলো আমরা এই আবেগের চাষবাস আর সীমা পরিসীমার পরিমাপ করতে জানি না; এজন্য এই আবেগটি আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়। এর জন্য দায়ী মুখস্থ নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্তা; আমরা সব কিছু হার্ট দিয়ে জাজমেন্ট করি; মাথা দিয়ে নয়।
চিন্তা শক্তির বিকাশ না হলে, দেশের মানুষের মাঝে বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষার ব্যাপক প্রচলন না হলে; এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা যাবে না। আবেগটিকে ব্যক্তি পর্যায়ে রাখতে হবে; রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মাথাটা কাজে লাগাতে হয়; এখানে আবেক হচ্ছে জাতিকে পঙ্গু করার হাতিয়ার।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শেষ লাইনটা দারুণ বলেছেন। এই দেশে আবেগ দিয়ে খেলে রাজনৈতিক নেতারা...
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিচার মানি তালগাছ আমার ,
ব্লগার চাঁদগাজী বলা - "আপনি যেটাকে "আবেগ" বলছেন, আমার মনে হয়, সেটা আসলে "প্রজ্ঞার" অভাব!" একদম খাপে খাপ , শতভাগ সত্য ।
আর ব্লগার কাওসার চৌধুরী যে বলেছেন - "এই আবেগের চাষবাস আর সীমা পরিসীমার পরিমাপ করতে জানি না; এজন্য এই আবেগটি আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়। এর জন্য দায়ী মুখস্থ নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্তা; আমরা সব কিছু হার্ট দিয়ে জাজমেন্ট করি; মাথা দিয়ে নয়।" তাও বেসিক সত্য ।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দুজনই সঠিক বিশ্লেষণ করেছেন...
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১
অর্ক বলেছেন: ১. ১/১১ তে সাধারণ জনগণের সমর্থন ছিল কিন্তু নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ঘটনাপ্রবাহ তাদের পরিচালিত করেছে।
"এক পর্যায়ে যখন খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয় জনতা বেঁকে গেল! এখন আর ১/১১'র সরকারকে তাদের ভালো লাগল না। তাদের বিশ্বাস অন্য সবাই দুর্নীতি করলেও এই দুজন করতেই পারে না!"
এক্কেবারে ভুল ধারণা! সাধারণ দল নিরপেক্ষ জনতা বরং দারুণ খুশি হয়েছিল। সবার আকাঙ্ক্ষা ছিল, ওদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও ১/১১ সরকার আরও দীর্ঘস্থায়ী হোক। কিন্তু ওরকম অস্বাভাবিক সরকার দীর্ঘস্থায়ী হবার সুযোগ ছিল না, পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ যেখানে নিয়ে গেছে সেখানে যাবার বিকল্প ছিল না আমজনতার। আপনার প্রায় পোস্টেইই হাস্যকর কথা থাকে। এটাও ওরকম। হাসিনা খালেদার গ্রেফতার আনন্দঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। মানুষের মনে অন্যান্য নানান ভয় ছিল, উৎকণ্ঠা ছিল যে, না জানি কী হয় সামনে! আপনার বক্তব্য সঠিক নয়, আমজনতা বরং দুজনকে নাটেরগুরু হিসেবে ঘৃণা করতো, তাদের শাস্তি প্রত্যাশী ছিল। বিভিন্ন সময় এই দুই নেতৃকে অকথ্য গালিগালাজ করতে শুনেছি সাধারণ মানুষকে! আপনি ভুল ব্যাখ্যা করছেন। শুরুতে যেমন বলেছি, ১/১১ তে সাধারণ জনগণের সমর্থন ছিল কিন্তু নিয়ন্ত্রণ ছিল না। পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ যেখানে নিয়ে গেছে সেখানে যাবার বিকল্প ছিল না আমজনতার।
২. পুঙ্খানুপুঙ্খ মনে নেই, তবে যতোটুকু মনে করতে পারি, তাঁর ক্যারিয়ার সমৃদ্ধই ছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো রান পেয়েছিলেন। তাঁকে শুরুতে না রাখার ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সিলেক্টররা তাকে দলে নেয়। শুধু জনতার আবেগের কারণে এরকম হয়েছে তা নয় সম্ভবত। জাবেদ ওমর বেলিম, আতহার আলি খান এদেরকেও বিভিন্ন বিশ্বকাপে না রাখার কারণে মিছিল মিটিং অনেক কিছু হয়েছিল, কিন্তু তা কোনই প্রভাব ফেলেনি। কিছুতেই বিশ্বাসযোগ্য নয় যে, জনগণ নান্নু ভাইয়ের জন্য একেবারে বেসামাল তুলকালাম করবে। ব্যাপারটা নিয়ে বরং প্রাক্তন খেলোয়াড়রা বেশি সরগরম হয়েছিল। যার ফলে সিলেক্টররা পরবর্তীতে তাঁকে দলে রাখে। তিনি সফল ক্রিকেটার ছিলেনই ঢাকার মাঠে। আপনার নির্ঘাত জানার ভুল আছে। হয়তো বিশেষ কোনও সময় অফ ফর্মে ছিলেন।
বাকি দুটো নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমাদের আপামরসাধারণকে সভ্য, সুনাগরিক হতে সময় লাগবে। দু দুটো বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত এক্কেবারে ধ্বংসস্তুপ থেকে তরতরিয়ে উঠে নিজেদের কোথায় কোন্ উচ্চতায় নিয়ে গেছে জার্মানরা! আমরা জার্মান নই। আমরা কলহপ্রিয় সংকীর্ণচেতা অদূরদর্শী জাতি। আমি আপনি থাকবো না কিন্তু একদিন হবে।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমজনতা দু্ই নেত্রীকে গালি দিলেও ভোট দেয়ার সময় এই দুজনকেই বেছে নেয়!
নান্নু ঐ বিশ্বকাপে ২ টি ফিফটি করেছিলেন। তার আগে তার কোন আন্তর্জাতিক ফিফটি ছিল না। যে কোন খেলাতে কোচের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সেটা ভুল হোক আর সঠিক হোক! আমি নান্নু হেটার নই। কিন্তু কোচের সিদ্ধান্তকে বাইপাস করা(এখনো পাপন সাহেব যেটা করে থাকেন) আমার ভালো লাগে না...
৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: ''এক পর্যায়ে যখন খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয় জনতা বেঁকে গেল! এখন আর ১/১১'র সরকারকে তাদের ভালো লাগল না। তাদের বিশ্বাস অন্য সবাই দুর্নীতি করলেও এই দুজন করতেই পারে ন'
ব্লগার অর্কের কমেন্টের সাথে পুরোপুরি একমত। জনতা শব্দটা পুরোপুরি ভুল আপনার উপড়ের বাক্যে। বলেন যে দুই ডাকাত পরিবারের সাগরেদরা বেঁকে গেল।
১/১১ ব্যর্থ হবার মুল কারন ছিল ভারতের ষঢ়যন্ত্। বাংলাদেশে যোগ্য ব্যক্তিরা ক্ষমতায় এসে আইনের শাষন কায়েম করুক, সেটা ইন্ডিয়া কখনই চায় না। তাদের দরকার তাবেদার সরকার।
আপনার শিরোনামের সাথেও একমত নই। দেশের মঙ্গল করার জন্য প্রয়োজন দেশপ্রেম। দেশপ্রেমের জন্য প্রয়োজন মাথা ও আবেগ দুটোই। আপনি এই পোস্টে যেটাকে আবেগ বোঝাতে চাচ্ছেন সেটা আসলে আবেগ নয়, সেটা সেচ্ছাচারিতা।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঠিক আছে। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ...
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মানব সভ্যতা সমাজে মানুষ মাত্রই আবেগ থাকবে।
সমাজে আবেগ না থাকলে মানব সভ্যতা মানবতা এগিয়ে যেতে পারতো না।
সবধর্মে দাস প্রথা থাকলেও ধর্ম আছে,কিন্তু ধর্মের নষ্ট প্রথাগুলো এখন বিলুপ্ত। শ্রম আইন দিন দিন উন্নত ও মানবিক হচ্ছে।
সমাজ নাগরিক রাষ্ট্র বুঝেগেছে অকারণ যুদ্ধবিগ্রহ ক্ষতিকর .... আরও হাজারো উদাহরণ দেয়া যাবে।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আবেগ থাকুক। কিন্তু অতিরিক্ত আবেগ তো ভালো না। আইন/নীতি/নিয়ম সবাইকে মানতে হবে...
৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১/১১ পর্ব শেষে নির্বাচনটি ছিল এজাৎকালের স্মরনকালের সবচেয়ে স্বচ্ছ নিরেপক্ষ হাংগামাবিহীন সর্বজন গ্রহনযোগ্য নির্বাচন।
আপনার আমার জিবদ্দসায় এরুপ বা কাছাকাছি নির্বাচন আর দেখতে পাবেন কি না সন্দেহ।
সেই নির্বাচনে 'না ভোট'ও ছিল ('না ভোট' এর অর্থ ১-১১ বহাল থাকা)
ঢাবি ছাত্র দাবিকারি ডাবিয়ান সাব ব্যালটে 'না' ভোটের সুযোগ থাকার পরও ভোট দিল খাম্বাচোরারে।
এরপর ধরা খাওয়ার পর বলে - ১/১১ ব্যর্থ হবার মুল কারন ছিল ভারতের ষড়যন্ত্র!
মেধাবীর মেধা!
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ১/১১'র সরকারের অধীনে নির্বাচনের অবিশ্বাস্য ফলাফল নিয়ে এখনই উপসংহারে যাওয়া যাওয়া যাবে না। বিএনপি'র এরকম ফলাফল আওয়ামীলীগও কল্পনা করেনি। এসব ইতিহাসের উপর ছেড়ে দিতে হবে।
১/১১'র সরকার ব্যর্থ হয়েছিল তাদের নিজেদেরই দোষে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে তারা সেফ এক্সিট খোঁজার জন্য অস্থির হয়ে গিয়েছিল। তারা যদি তারেক জিয়ার ঠ্যাং না ভেঙে দুর্নীতিবাজ সাবেক মন্ত্রীদের কয়েকটাকে দ্রুত বিচার করে শাস্তি দিতে পারত তাহলে দেশের মানুষও খুশী হত। তার উপর ঢাবিতে ছাত্রদের উস্কে দিয়ে মিলিটারীদের সাথে শত্রুতা বানিয়ে দেয়। তাদের উদ্দেশ্য সৎ থাকলেও পদ্ধতি ভুল ছিল...
৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: আসলেই বাঙ্গালীদের আবেগ খুব বেশী।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই আবেগ অনেক ক্ষেত্রেই সুশাসনের ক্ষেত্রে অন্তরায়...
১০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৩
যবড়জং বলেছেন: পুরোটায় একমত নই , তবে দূরদর্শিতার অভাব প্রবল । দেশ প্রেম আবেগেরই অংশ তবে দেশপ্রেম বিরল ।
২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৫০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নিয়মের মধ্যে থাকলে দেশপ্রেমও ঠিক থাকবে...
১১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৯
ক্স বলেছেন: ১/১১ পরবর্তী নির্বাচনকে স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ বলার জন্য নিজেকে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ আওয়ামী লীগার হতে হয়। কেননা, নির্বাচনের মাত্র ২ মাস কোন কোন ক্ষেত্রে ১ মাস আবার কখনওবা ৭ দিন আগে বিনপি নেতাকে কারাগার থেকে মুক্ত করা হয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানোর জন্য। অথচ দু' একজন ছাড়া সমস্ত আওয়ামী লীগ নেতা তার প্রায় মাস ছয়েক আগে থেকেই মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। খালেদা জিয়াকেও ছাড়া হয় একদম শেষ সময়ে। বিএনপি নেতাদেরকে হুমকি ধরিয়ে দেয়া হয় - তারা প্রায় প্রত্যেকেই নির্বাচনে অংশ নেন ভয়াবহ হুমকী মাথায় নিয়ে। এ অবস্থায় নির্বাচনের ফলাফল যে একতরফা হবে - সেটা চোখ বন্ধ করেই বলে দেয়া যাচ্ছিল।
২৪ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যদিও এই পোস্টের টপিক এটা না তবুও এটা সহজেই বোঝা যায় ঐ সরকারের সেফ এক্সিটে সাড়া দিয়েই আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছিল। তার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ বুঝতে সাহায্য করে আওয়ামী লীগকে ইলেকশান ইঞ্জিনিয়ারিং করে ক্ষমতায় আনা হয়েছিল। যেমন -
* আবদুল জলিল সংসদে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা ডিজিএফআই-এর এজেন্ট ছিল।
* আওয়াম লীগ ক্ষমতায় গিয়ে মঈন ইউ আহমেদ কে সেনাপ্রধান থেকে অবসরে পাঠানো হয়নি। বরং আরো ১ বছর বাড়ানো হয়েছিল মেয়াদ।
* শেখ হাসিনাকে বিষ প্রয়োগে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ থাকলেও ফখরুদ্দিন, মঈনউদ্দিনকে নিরাপদে দেশ থেকে যেতে দেয়া হয়েছিল।
* ঐ সময়ের পর খালেদা জিয়ার আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী(১//১১'র অন্যতম খেলোয়াড়) অস্ট্রেলিয়ায় রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। তাকে ৪ বার একই জায়গায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে এক্সটেনশন দেয়া হয় যেটাও নজিরবিহীন।
সব কিছুর মূল্যায়ণ ইতিহাসেই ঠিক করবে...
১২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আবেগ থাকা মন্দ নয়। অনেক ভাল কাজের পেছনে আবেগ কাজ করেছিল। আপনি যেটাকে আবেগ বলেছেন, সেটা হয়তো ছিল অবিমৃশ্যকারিতা।
মূল পোস্টের বাই প্রোডাক্ট হিসেবে অনেক কথা এসে যায়, যা কিছু কিছু মন্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে। ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মতবাদের ঊর্ধ্বে উঠে ঘটনার নির্মোহ বিশ্লেষণ করতে পারার মত প্রজ্ঞা আমাদের খুব কম লোকের মাঝে আছে।
২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনি সেনাবাহিনীতে ছিলেন। আপনিই ভালো জানেন, কমান্ডারের কমান্ড না শুনলে সেটা অপরাধ বলে গণ্য হয়। তাহলে এখানে কোচ-এর সিদ্ধান্তকে কেন গুরুত্ব দেয়া হবে না? ঠিক একই ভাবে আমাদের দেশে কোন একজন নেতা মারা গেলে তার স্ত্রী/পুত্রকে সেই আসনে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়। জনগণও মেনে নেয়। এগুলো তো আবেগ থেকেই হচ্ছে...
১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২২
মো: নিজাম গাজী বলেছেন: আবেগপ্রবণ বাঙ্গালী। আবেগে এরা কখনও কখনও বিচার মানে কিন্তু তালগাছ নেয়না। অবশ্য আপনি ভিন্ন কারণ তালগাছ আপনার। আবেগে বলেছি ভাই। লেখা সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৩১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধন্যবাদ। আমাদের সবাইকে আইন কানুন মানতে হবে...
১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৪২
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এখন জন গন হাড়ে হাড়ে বুঝতেছে যে ফখরুদ্দিন সরকার কি চীজ ছিলো!
২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সে কী আর বলতে...
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি যেটাকে "আবেগ" বলছেন, আমার মনে হয়, সেটা আসলে "প্রজ্ঞার" অভাব!