নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/bicharmani

বিচার মানি তালগাছ আমার

বিচার মানি তালগাছ আমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়...

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১১



১. এই কথাটা বলেছেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইয়িদ। 'মানুষ তার স্বপ্নের চেয়েও বড়' বলেও একটা কথা প্রচলিত আছে। কোন কোন সফল ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে এ কথাটা খুবই প্রযোজ্য। অনেক সফল মানুষের জীবনী পড়লেই জানা যায়, কীভাবে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করেছেন তেনারা। তবে বাংলাদেশের অন্য সব ক্ষেত্রে স্বপ্ন দেখা গেলেও রাজনীতিতে স্বপ্ন দেখে কোন লাভ নেই। কারণ, এ দেশে সর্বোচ্চ শিখড়ে যাওয়ার জন্য স্বাভাবিক কোন ব্যবস্থা নেই।

২. এ দেশের রাজনীতির কিছু কমন বৈশিষ্ট্য -
* দুই পরিবারের যে কোন একটাকে বেছে নিতে হয়
* তৃণমূল থেকে বড় নেতা হওয়া খুবই কঠিন
* ডোনেশান, শো ডাউন, ক্যাডার(সন্ত্রাসী) বাহিনী ছাড়া দলে শক্ত জায়গা পাওয়া যায় না
* গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে প্রধান নেতা হওয়ার কোন সুযোগ নেই
* তৃণমূলে জনপ্রিয়তা থাকলেও পেশী শক্তির কাছে নত হতে হয়
* বিশেষ পেশাজীবিদের ক্ষেত্রে বিপক্ষ দল ক্ষমতায় থাকলে সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত এমনকি মামলায় জর্জরিত হতে হয়
* এ অবস্থায় কেউ স্বপ্ন দেখতে পারে না প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। বেশী অনুগত থাকলে বড় জোর প্রেসিডেন্ট/মন্ত্রী পর্যন্ত

৩. ট্রাম্প যে প্রেসিডেন্ট হবে বা হতে চায় সে ধরনের কথাবার্তা বা স্বপ্ন দেখা শুরু হয় ১৯৮০ সালে(view this link)। ১৯৯৭ সালে তাকে নিয়ে মজা করে একটা টিভি নাটকে 'ভবিষ্যতের প্রেসিডেন্ট' হিসেবেও প্রচ্ছদ করা হয়!(১ম ছবি) টেরেসা মে-ও একই ভাবে রাজনীতিতে আসার পর ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি এমনকি মনঃক্ষুন্ন হয়েছিলেন কেন তেনার আগে মার্গারেট থ্যাচার প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ঠিক একই ভাবে ইমরান খানও নিশ্চয়ই স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী হবেন...


৪. অথচ আমাদের দেশে জামায়াত ছাড়া আর কোন বড় দলে সাধারণ থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতা হওয়া যায় না। শেখ হাসিনার পর শেখ রেহানা/জয়, খালেদা জিয়ার পর তারেক/জোবায়দা, এরশাদের পর রওশন/ জি এম কাদের। কেউ এমনকি সাধারণ সম্পাদক/মহাসচিব পদটাও ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করেন না। অথচ এটা করলে দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতা বাড়ত। দায়িত্ব বাড়ত। ধীরে ধীরে তৃণমূলেও গণতন্ত্র পৌঁছে দেয়া যেত...

৫. যেভাবে বাপ, বেটা, বউ - রা নমিনেশন পাচ্ছে, সেখানে তৃণমূলের কেউ আর বড় স্বপ্ন কীভাবে দেখবে? তবুও আশায় থাকি, কোন একদিন আমাদের দেশেও সুন্দর গণতন্ত্র আসবে। পরিবারতন্ত্রের অবসান হবে। সবাই ভোটের মাধ্যমে তাদের নেতা নির্বাচন করবে। যে কোন সৎ রাজনীতিবিদই দুই পরিবারের সদস্য হওয়া ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে...

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়লাম

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধন্যবাদ...

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: মনোনয়ন পেয়েও প্রার্থী হলেন না বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: জানলাম...

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনার পদটা উনার বাবা দিয়ে যাননি; শেখ সাহেব উনাকে রাজনীতি দেখতে চাননি, আওয়ামী লীগের বড় অংশ উনাকে চাননি; উনি নিজের চেষ্টায় আওয়ামী লীগে প্রবেশ করেছিলেন, উনি জনতার চেয়ে নিজের পিতার হত্যার বিচারকে সামনে রেখে রাজনীতিতে এসেছেন।

বেগম জিয়াকে এনেছেন জেনারেল জিয়ার মিলিটারী সাথীরা: এতে ছিলেন ৩ জন শক্তিশালী অফিসার, জেনারেল মীর শওকত আলী, কর্ণেল ওলি ও কর্ণেল মাহফুজ।

এই ২ জনের রাজনীতিতে প্রবেশের কোনটা আপনার কাছে বৈধ মনে হয়?

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দুইটাই অবৈধ। কারণ, কেউ কর্মী সমর্থকদের ভোটে নির্বাচন করে সভাপতি হননি। আওয়ামী লীগের ভাঙন ও প্রতিকূল অবস্থা থেকে তুলে আনার জন্য শেখ হাসিনাকে আনা হয়েছিল। একই ভাবে খালেদা জিয়ারও আগমন। শেখ হাসিনা রাজনীতি না করলে খালেদাকে কেউ জোর করত কিনা কে জানে। খালেদাও রাজনীতিতে আসুক জিয়াউর রহমান চাননি...

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেগম জিয়ার ব্যাপারে, রাজনীতি তো দুরের কথা, যুদ্ধের পর, জেনারেল জিয়া উনাকে স্ত্রী হিসেবেও চাননি।

শেখ হাসিনাকে দলের সন্মেলনে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিলো; জেনারেল জিয়ার মৃর‌্যুর পর, সাত্তার সাহেব বিএনপি'র সভাপতি হন পদাধিকার বলে; উনাকে বিনাসন্মেলনে জোর করে বাদ দেয়া হয়, মিলিটারী উনাকে কথাও বলতে দেয়নি।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সাত্তার সাহেবের পক্ষে দলে ঐক্য ধরে রাখা সম্ভব ছিল না। আর ধরে নেন খালেদাও স্বামী হত্যার প্রতিশোধ নিতে রাজনীতিতে এসেছেন। পরে আর প্রতিশোধ নেননি। খালেদাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন সম্মেলনে। একবার খালেদার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে চমক সৃষ্টি করেছিলেন ফেরদৌস কোরেশী...

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তালগাছ ভাই,

১ ,২ ,৩ পড়ে মজা পেলাম। কিন্তু চতুর্থ নাম্বারে এসে মনে প্রশ্ন জাগল , জামাত ছাড়া অন্য দুটি দলের তৃণমূল স্তর থেকে নেতা হওয়ার সুযোগ নেই। বেশতো তৃণমূলের নেতারা কেন ওই দুটি ভিতরে ঢুকবেন? কেন তারা লড়াই করে নিজেকে ঠিক ওই পর্যায়ে জনমত তৈরি করতে পারছেন না ? একটা সময় হাসিনার পিতাকেও সেই সংগ্রাম করেই তো একটা জায়গা তৈরি করতে হয়েছিল ।
তাহলে আজকের জেনারেশন কেন পিছিয়ে যাচ্ছে? আপনি লড়াই ক্ষেত্রে তৈরীর জন্য ইমরান খানকে দেখালেন , ডোনাল্ড ট্রাম্প কেও দেখালেন । ভারতের অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও দেখাতে পারেন বা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে দেখাতে পারেন , যাদের কেউ প্লাটফর্ম তৈরি করে দেয়নি নিজেরা শূন্য থেকে তৈরি করে নিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কেন তিনটি দল থাকবে? বিকল্প দল বা লড়াকু নেতা কেন উঠে আসছেন না? যারা নিজেদেরকে পচা কাঁদায় না ডুবে কেন স্বাধীনভাবে নিজেদের তৈরি করতে পারছে না ? আর এর জন্য কিন্তু প্রধান দুটি দলকে দোষ দেওয়া ঠিক হবে না। দরকার আবার একজন বিকল্প জনমত তৈরি করার মত দক্ষ নেতার।


শুভেচ্ছা রইল।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্রথম কথা হল, শেখ সাহেবে যেভাবে তৃণমূল থেকে নেতা হয়েছিলেন, সেভাবে নিজের জীবদ্দশায় আর কাউকে আসতে দেননি। যে কারণে তিনি গণতন্ত্র হত্যা করে 'বাকশাল' করেছিলেন। উনার অস্বাভাবিক মৃত্যু না হলে জিয়াউর রহমানও আসতেন না। আর গণতন্ত্র আবার কবে চালু হত এগুলো হাইপোথেটিক্যাল ব্যপার। একই ভাবে জিয়াউর রহমানের অস্বাভাবিক মৃত্যু না হলেও জাতীয় পার্টির জন্ম হত না। আবেগের কারণে ঐতিহাসিক কারণে দুই পরিবার ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে যায়। আর তাই আর নামতে মন চায় না।

কেজরিওয়াল, মমতার চেয়ে বড় উদাহরণ তো নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশে যে বিকল্প জনমত করার চেষ্টা করেছে, তাকে দুই দল মিলেই পচিয়েছে...

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মুসলিম কান্ট্রিগুলোতে এই সমস্যা বেশি। ইউরোপের চাইতে এশিয়াতে এই সমস্যা প্রকট। ভারত পাকিস্তানের চাইতে এই সমস্যা বাংলাদেশে এগিয়ে আছে। জয় বাংলা।।। পরিবার সামলা। জিয়া পরিবার।। জিন্দাবাদ।।।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এরকম গণতন্ত্রের চাইতে আরব রাজতন্ত্রও ভাল...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.