![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইভ টিজিং!
সবাই ভাবছে। বিরক্ত সকলেই। ভুক্তোভুগির কষ্টেরতো কোন সীমা পরিসীমা নেই। কেউ কেউ পরিত্রানের কথা ভাবছে! কেউ কেউ কার্যকারণ খুজছে! কেউ নারীর উগ্রতাকে দায়ী করছে! কেউ ধর্মকেই একমাত্র সমাধান ভাবছে!
আচ্ছা এর বাইরেও কি ভাবনা নেই?
মুসলিম নারী না হয় ইসলাম হিজাব দিয়ে চেষ্টা করবে; কিন্তু আরও যে ধর্মাবলম্ববী আছেন, সনাতন, বৌদ্ধ, খ্রীস্ট্রিয়, অন্যান্য তারা কি করবে? তাদের নিরাপত্তা কি ভাবে রক্ষিত বা নিরপাদ হবে বা রবে? আবার হিজাব থাকার পরও ধর্ষিতা বা টিজিং এর শিকার নারীর সংখ্যাও কম হবে না বোধকরি (জরিপ প্রয়োজন)।
ছাড়ুন...
আচ্ছা সুস্থতা এবং জ্ঞানের ব্যাপারে কি বলবেন?
কেউ কেউ খাদ্যাভাব আর যৌনতার অভাবকে গুলিয়ে বিভিন্ন যুক্তি দিচ্ছেন যা বাহ্যত আকর্ষনীয় মনে হলেও মূলে অসার। খাদ্যাভাবের যে মৌলিকত্ব বা প্রয়োজনীয়তা যৌনতা, মাত্রায় অন্তত সেইরকমটি নয়। এটাও প্রয়োজন বৈকি! তবে নিয়ন্ত্রন যোগ্য। খাবারে যেটা কম বেশি করা গেলেও কোন নিয়ন্ত্রনেরই কোন উপায় নেই। খাবার-এটা মাষ্ট!
যৌনতা কিন্তু তা নয়! রবীঠাকুরের চিরকুমার সভা বাদেই সমাজে আশেপাশেও অনেক চিরকুমার আছেন, দেখেছেন, পাবেন যারা জীবেনর সুদীর্ঘ সময় যৌনতা ছাড়াই পার করে, দিব্যি সুস্থ বেচে বর্তে আছেন।
এইখানে প্রশ্ন আসতেই পারে-
আমার অভাব বোধ আর আমার উদগ্র কামনার মাঝখানে সীমারেখা টানার কি প্রয়োজন নেই??? যৌন প্রয়োজনের চেয়ে
টিজিং এর পেছনে যে কুরুচি, আত্ম স্বার্থপরতা, উগ্রতা, অহংকার, লোভ, ক্ষমতার দম্ভ প্রত্যক্ষ এবং প্রচ্ছন্ন প্রভাবক তার নিয়ন্ত্রন কি জরুরী নয়। কিংবা কারও নব যৌবনের আতিশয্য- সেটাও কি তার নিজের ব্যর্থতা বা অপরাধ নয়। সমাজ তো আর ব্যক্তিকে ছাড়া নয়। ব্যক্তিই যেকানে সমাজের নিয়ামক- তো শুরু হোক সেই ব্যক্তির সুদ্ধতায় সমাজ শুদ্ধতার আলোকময় শুভযাত্রা।
কারও কারও মতে-
সমাজ দোষী, ইমপোর্টেড কালচার দোষী, আদালত দোষী, নারী দোষী.(স্রেফ তার পোষাকের জন্য)....
আমি প্রশ্ন করতে পারি কি? -
-আমি কি একটুও দোষী নই????????????
কারণ সবগুলোর উপযোগীতা কিন্তু আমার মাধ্যমেই। তবে আমিইবা কেন ভাসমান পানা হয়ে আঙুল উচিয়ে শুধূ অন্যের দোষই খুজে বেড়াব।!!!!!
আমার জ্ঞান, বিবেক তবে কোনদিন কাজে আসবে???
আমার জ্ঞান কি আমাকে প্ররোচিত করে নারী দেখা মাত্রই লুলুপ হতে?!! আমার শিক্ষা কি আমাকে প্রলোভিত করে নারী দেখা মাত্রই তাকে ভোগ করতে?!!!
সাইক্রিয়াটিষ্টরা বলতে পারবেন এই রোগের কি নাম! তবে মোটা দাগে আমরাও তাকে লুল বলেই জানি। এক্ষনে এই লুলের লুলামীর জন্য লুল নিজেই দায়ী এবং দোষী। সে অন্য অযুহাত গুলো ব্যভহার করছে কেবলই তার নিজের অন্যায়, কদর্যরুপটাকে আড়াল করার জন্য।
সব শেষে রইল ধর্ম।
ধর্মতো নিজে ঔষধ না .. ধর্ম আপনার সেই বোধকে জাগিয়ে দেয় মাত্র... জ্ঞান আর বিবেকের সুস্থতাবোধ, রুচিবোধ, মানবতাবাদী বোধ গুলোর সুপ্ত অবস্থা থেকে জাগ্রত করে প্রতিষ্ঠিত করে মাত্র। যার বিকাশের মাধ্যমে আপনি নিজে সুস্থ সুন্দর থাকবেন। সমাজকেও সুস্থ সুন্দর থাকতে সহায়তা করবেন।
তাই আসুন ধর্ম অর্ধম, সর্বধর্ম সকলের জন্য গ্রহনযোগ্য মূল মন্ত্রকে ধারন করি। অরুচিকর, কদর্য, ঘৃনাযোগ্য কাজ গুলৌ পরিহার করি। লোভ, অহংকার, দম্ভ, ঘৃনা, মূর্খতাকে ঝেড়ে ফেলে সুস্থ সুন্দর একটা সমাজ বিনির্মানে সকল নারী পুরুষ হাতে হাত রেখে ভাবনাকে বদলে নেই - আসুন সবাই জ্ঞান আর বিবেক দ্বারা পরিচালিত হই। সুস্থ সুন্দর রুচিকর দৃষ্টিভঙ্গি ধারন করি।
সমাজ থেকে বহু অপকর্ম আপনাতেই হারিয়ে যাবে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনাদের মতামতে চলুন একটা সুন্দর সমাধান খুজে নেই সকলের জন্য
০২ রা নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাই আসুন ধর্ম অর্ধম, সর্বধর্ম সকলের জন্য গ্রহনযোগ্য মূল মন্ত্রকে ধারন করি। অরুচিকর, কদর্য, ঘৃনাযোগ্য কাজ গুলৌ পরিহার করি। লোভ, অহংকার, দম্ভ, ঘৃনা, মূর্খতাকে ঝেড়ে ফেলে সুস্থ সুন্দর একটা সমাজ বিনির্মানে সকল নারী পুরুষ হাতে হাত রেখে ভাবনাকে বদলে নেই - আসুন সবাই জ্ঞান আর বিবেক দ্বারা পরিচালিত হই। সুস্থ সুন্দর রুচিকর দৃষ্টিভঙ্গি ধারন করি।
সমাজ থেকে বহু অপকর্ম আপনাতেই হারিয়ে যাবে।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:২৪
রিয়াল ফেরদৌস বলেছেন: প্লাস দিলাম
৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৩৮
মনে নাই বলেছেন: প্লাস লন।আমরা যেদিন সত্যিকারের সুশিক্ষিত হতে পারবো-সেদিন এই সমস্যাগুলা থাকবে না।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনারেও প্লাস.. প্লাস ধইন্যা ..
০১ লা নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা যেদিন সত্যিকারের সুশিক্ষিত হতে পারবো-সেদিন এই সমস্যাগুলা থাকবে না।
সহমত
৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:০২
অনাবিল বলেছেন: ভালো লেখা
৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:১০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:১০
মা-নবি০৩ বলেছেন: আমাদের সমাজের চালিকা শক্তি কি হবে সামাজিক মূল্যবোধ , না ধর্মীয় বোধ , না আইণ কোন টা । অমরা এই তিন টিকে পরসপর সাংঘষিৃক অবস্হানে এনে নৈরাজ্য ময় জগত তৈরী করেছি
৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে উঠে সামাজিক ভিত্তিতে, সামাজিক ভিত গড়ে উঠে তার অনুষঙ্গ মানুষের চলমান বিশ্বাস এবং প্রাপ্ত জ্ঞানের উপর ভর করে,.. আবার মানুষের বিশ্বাস গড়ে উঠে তার অনুসারিত ধর্ম /জ্ঞান, এবং তার প্রজ্ঞার উপর বেইজ করে---
আর আইন তো সবার কম্বিনেশনে গড়ে উঠা এক আপেক্ষিক সত্য।
মানুষ সমাজ গড়ে, সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে। ধর্ম মানুষকে সর্বাধীক প্রভাবিত করে, সমাজে ধর্মীয় প্রভাব বলয় তাই সবচে বেশী।
আর আমাদের মুক্তির পথটা বের করে নিতে হবে এই সকলের মধ্যে একটা সুষম সমন্বয়ের মাধ্যমে। যেখানে সুস্থ, সুন্দর, সর্বজন গ্রাহ্য কল্যানকর দিক নির্দেশনা থাকবে।
৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪০
তাজা কলম বলেছেন: টিজিং এর পেছনে যে কুরুচি, আত্ম স্বার্থপরতা, উগ্রতা, অহংকার, লোভ, ক্ষমতার দম্ভ প্রত্যক্ষ এবং প্রচ্ছন্ন প্রভাবক তার নিয়ন্ত্রন কি জরুরী নয়। কিংবা কারও নব যৌবনের আতিশয্য- সেটাও কি তার নিজের ব্যর্থতা বা অপরাধ নয়। সমাজ তো আর ব্যক্তিকে ছাড়া নয়। ব্যক্তিই যেকানে সমাজের নিয়ামক- তো শুরু হোক সেই ব্যক্তির সুদ্ধ
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ...
শুরু হোক ব্যাক্তির শুদ্ধতায় আলোকময় সমাজের শুভযাত্রা
৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৭
একলা পাখি বলেছেন: দেখুন যেটা ভালো তা সব ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ভোগ বা ব্যাবহার করতে পারে (হিজাব বা বোরকা).. এতে তো কোন খতি নেই আর যে পোশাক ই পরিধান করুক না কেন তারা একটু শালীনতা বজায় রাখলে কিন্তু সমস্যা হয় না ..।
যে কোন সমস্যার কিছু উৎস থাকে এবং তা মহামারি আকার ধারণের জন্য কিছু উপাদান থাকে ... মেয়েদের কে আমি দোষী করছি না তবে তাদের কে দেখাতে বা বোঝাতে চেয়েছি যে ,,, সমস্যার সমাধান করার জন্য হলেও অন্তত একটু শালীনতার প্রয়োজন আছে এবং নিজেকে নিয়ন্ত্রনের দরকার আছে .....
এক হাতে তালি বাজে না কখনও .......
স্কুল কলেজের হেজাব বা বোরকা পরা মেয়েরাও টিজিং এর শিকার হচ্ছে .. সেটা তো ঠিক আছে .... একটা কথা হলো রোগ যখন আসে তখন তা রোগী ও ডাক্তার ২জনেরই হতে পারে ..। ডাক্তর হলেই যে ছাড় তা কিন্তু নয় । বুঝতে পেরেছেন আশা করি ..।
দেখুন যারা ইভ টিজিং করে তাদের এই বিষয় নিয়ে আপনি যেমন দীর্ঘ একটা কমেন্ট করলেন তার অনেক টা আমি পোস্টে বলেছি । হয়তো ছোট হয়েছে বা কিছুটা প্রতিকী বলা যায় ।
কোন বইতে আপনি যখন কোন ভাল কিছু পান তা মুখস্ত করে বা যে ভাবেই হোক সংরক্ষন করেন এবং ব্যাক্তি জীবনে প্রয়োগ করেন .। তেমন ইসলাম ধর্মেও এই সমস্যা সমাধানের মত উপাদান পেয়েছি বলেই কথা গুলো বলা ...
আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোর শাসন ব্যবস্থায় এই সব ইভ টিজিং ধর্ষন বা অন্য যে কোন সমস্যা যা নারীদের জন্য হুমকি ,, তার জন্য কঠিন শাস্তি দেওয়া হয় মৃত্যু দন্ড.। কিন্তু আমাদের দেশে তা এখনও অতটা জোরালো নয় । এটাকে কি আমি ব্যাক্তি সমস্যা বলে দোষারোপ করবো না সমাজিক সমস্যা বলে দোষারোপ করবো আপনিই বলেন ..???
আসুন সবাই জ্ঞান আর বিবেক দ্বারা পরিচালিত হই। সুস্থ সুন্দর রুচিকর দৃষ্টিভঙ্গি ধারন করি।
সমাজ থেকে বহু অপকর্ম আপনাতেই হারিয়ে যাবে।
আমরা শুধু নিজেরাই জ্ঞান আর বিবেক পরিচালিত হলে তো হবে না .. সমাজের গোড়া থেকে জনে জনে পরিবার থেকে এই জ্ঞান আর বিবেক মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে ...।
তাহলেই মুক্তি সম্ভব ......।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @এটাকে কি আমি ব্যাক্তি সমস্যা বলে দোষারোপ করবো না সমাজিক সমস্যা বলে দোষারোপ করবো আপনিই বলেন ..??
> ব্যক্তি থেকেই সমাজ। একজন, দুজন এভাবেই সমষ্টি। তাই প্রথমে ব্যক্তিক সমস্যা হিসেবে দেখা যায়, আবার যখন ব্যাপক মাত্রায় প্রভাব পড়ছে তখন তা সামাজিকতো বটেই।
@আমরা শুধু নিজেরাই জ্ঞান আর বিবেক পরিচালিত হলে তো হবে না .. সমাজের গোড়া থেকে জনে জনে পরিবার থেকে এই জ্ঞান আর বিবেক মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে ...।
> আপনি যাকে সমাজের গোড়া বলছেন .. সেটাই আমি নিজেকে দিয়ে প্রতীকি বুঝীয়েছি। প্রত্যেকে নিজে নিজে তার জ্ঞান এবং বোধকে শালিন, এবং শুভ দিকে পরিচালিত করলেই সমাজ আপনা থেকেই শুভ দিকে ধাবিত হবে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধর্মতো নিজে ঔষধ না .. ধর্ম আপনার সেই বোধকে জাগিয়ে দেয় মাত্র... জ্ঞান আর বিবেকের সুস্থতাবোধ, রুচিবোধ, মানবতাবাদী বোধ গুলোর সুপ্ত অবস্থা থেকে জাগ্রত করে প্রতিষ্ঠিত করে মাত্র। যার বিকাশের মাধ্যমে আপনি নিজে সুস্থ সুন্দর থাকবেন। সমাজকেও সুস্থ সুন্দর থাকতে সহায়তা করবেন।
৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামে যে প্রশ্নটি করেছেন, আত্ম-জিজ্ঞাসার মাধ্যমে বিবেকের কাছ থেকে তার উত্তরটা পাওয়া যাবে বলে মনে করি।
ব্যক্তি শুদ্ধ হলেই সমাজ শুদ্ধ হয়।
পোস্টে ভাল লাগা + +।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইভ টিজিং- ব্যবচ্ছেদ! -আমি কি একটুও দোষী নই????????????