নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্রলীগের বস্ত্রহরণ উৎসবে সহযোগির ভূমিকায় মিডিয়া !!!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

শিশির আব্দুল্লাহ
একটি মেয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিল দু’টি ছেলে। তাদের একজন মেয়েটিকে লক্ষ্য করে বলল, ‘দেখছোস দোস্ত? সেইরকম কিন্তু!’ বন্ধুর আশকারা পেয়ে দ্বিতীয়জনও ছুঁড়ে দিল গানের কলি, ‘পড়ে না চোখের পলক…!’

উপরের এই দৃশ্য তেমন আপত্তিকর কিছু নয়। এমনকি, অনেক টিনএইজ মেয়ে আছে যারা এই ধরনের কথাবার্তাকে কমপ্লিমেন্ট হিসেবেই নেয়।কিন্তু আমরা ওই দুটো ছেলের আচরণকে কী হিসেবে ব্যাখ্যা করি? বখাটেপনা। মানে, মেয়েদের সাথে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ অল্পস্বল্প কথাবার্তা।
আর যদি ছেলে দুটি উপরের কথাবর্তাগুলো বলে অথবা না বলে মেয়েটির ওড়নাটা টান দিয়ে ফেলে দিত বা নিয়ে যেত তাহলে আমরা তাদের আচরণকে ব্যাখ্যা করতাম ‘শ্লীলতাহানি’ হিসেবে। ওরা মেয়েটির শ্লীলতাহানি করেছে।
আবার, যদি ওরা ওড়না টান দেয়ার পর মেয়েটির গায়ের দু/চার জায়গায় হাত দিত (মারধরের উদ্দেশ্যে নয়) তাহলে অতটুকু ঘটনাকেই আমার ‘যৌন নিপীড়ন’ হিসেবে আখ্যা দিতাম।
এবার আসেন আমরা এ গুচ্ছ দৃশ্য খেয়াল করি। (

২.
একটা জাতির সবচেয়ে বড় উৎসবগুলোর একটি চলছে। নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ-ধার্মিক-বিধর্মী সবাই স্বাধীনভাবে জড়ো হয়েছে আড্ডা-ফুর্তি করতে। তখনকার কিছু দৃশ্য বর্ণনা করা হবে এখানে—
ডেইলি স্টার থেকে—
“ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি লিটন নন্দী ডেইলি স্টার’কে বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে একদল যুবক ২৫ বছরের এক মহিলার শরীরের প্রায় সব কাপড় খুলে ছিড়ে ফেলে। এই মহিলাকে উদ্ধার করার সাথে সাথেই দেখি, বেশ কয়েকজন যুবক স্বামী এবং শিশু সন্তানের সামনেই আরেকজন মহিলার ওপর হামলে পড়েছে। আমার তাকেও উদ্ধার করতে যাওয়ায় হামলার শিকার হই। হামলায় নন্দীর ডান হাত ভেঙ্গে যায়।
হামলায় আঙ্গুল ভেঙে যাওয়া সংগঠনটির আরেক কর্মী অমিত দে বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনীল সদস্যরা তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল। তিনি বলেন, মাত্র ২০ গজ দূরে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন পুলিশ সদস্যের কাছে আসরা সাহায্য চাইলাম তখন তারা জবাবে বললেন, ওই এলাকা আমাদের দায়িত্বে নয়।
অমিতসহ আরো পাঁচজন কর্মী মিলে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী কয়েকজন নারীকে বখাটে যুবকদের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছিলেন।
তিনি জানান, যুবকরা ১০/১২ জনের তিনটি গ্রুপে বিভক্ত ছিল। চারদিকে ভুভুজেলা বাঁশির আওয়াজের কারণে আক্রান্তদের চিৎকার শোনার কোনো উপায় ছিল না।
এসময় তারা ১০ বছরের একটি মেয়েকে উদ্ধার করেন। অমতি বলেন, মেয়েটির কাপড় ছিন্নবিচ্ছিন্ন ছিল। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কামড়ের চিহৃ দেখে আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই। সে মারাত্মকভাবে আহত ছিল। মা আর ভাইয়ের সাথে এসেছিল মেয়েটি। (যুবকদের) এক গ্রুপ তার ভাইকে পিটায় আর অন্য গ্রুপ মাকে ধরে অন্যদিকে নিয়ে যায়।
অমিত এবং মাসুদ নামে আরেক কর্মী জানান, তারা দুস্কৃতিকারীদের পাঁচজনকে ধরে পুলিশের কাছে দেন। কিন্তু দু’ঘন্টা পর খোঁজ নিয়ে জানেন ওদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আটক পাঁচজনের ২জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল।”
উপরের বর্ণনাটা ডেইলি স্টার-এর ১৬ এপ্রিল সংখ্যার প্রথম পাতায় দুই কলামে বক্স আইটেম হিসেবে প্রকাশিত ‘Outrage over sex assault : Cops were 'yards away' as the attack continued for about an hour’ শিরোনামের সংবাদটি থেকে তুলে হুবহু তুলে দেয়া।
মানবজমিন থেকে—
“সেখানে এক তরুণীকে ঘিরে উল্লাস করছিল এক দল বখাটে। ইতিমধ্যে ওই তরুণীর শাড়ি-ব্লাউজসহ পরনের সব পোশাক টেনে ছিঁড়ে খুলে ফেলে বখাটেরা। যৌন লালসা পূরণের জন্য বিবস্ত্র তরুণীকে নির্যাতন করতে থাকে তারা। লিটন নন্দী বলেন, মনে হচ্ছিল মানুষ না। যেন হায়েনারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে নারীদের ওপর।”
“নির্যাতিতাদের উদ্ধার করতে গিয়ে গুরুতর আহত অমিত দে জানান, শুধু তরুণী না। তারা কাউকেই রেহায় দেয়নি। কিশোরী থেকে শুরু করে সব বয়সের নারীই তাদের হয়রানির শিকার হয়েছেন। ওই তরুণীকে উদ্ধার করার পরপরই আরও একাধিক নারীর চিৎকার শুনতে পান তারা। কাছে গিয়ে দেখতে পান এক নারী দুই হাত জোর করে বখাটেদের অনুনয় করছেন, আমার বাচ্চাকে ফেরত দাও। বাবা, আমাকে কিছু করো না। আমার বাচ্চা ফেরত দাও।ছয় বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিলেন ওই নারী। উদ্যানের ওই ফটক দিয়ে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বখাটেরা তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার শিশুসন্তানকে। শিশুটি তখন ফুটপাথে পড়ে কান্নাকাটি করছিল। প্রতিবাদ করলে মারধর করা হয় ওই নারীর ভাইকে। এর মধ্যেই লিটন, অমিত, সুজনসহ কয়েকজন তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। বখাটেদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে তাদের। ততক্ষণে বখাটেরা টেনে খুলে নেয় ওই নারীর শাড়ি। পরে ওই নারী ও তার ভাই এবং সন্তানকে উদ্ধার করেন তারা। বখাটেদের আক্রমনের শিকার এক কিশোরী আর্তনাদ করছিল। ওই কিশোরীকে উদ্ধার করতে গেলে বখাটেরা মারধর করে তাদের। বখাটেদের নির্যাতনে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারায় ওই কিশোরী।”
অনলাইনবাংলা.কম.বিডি থেকে—
“বস্ত্রহরণ করল ছাত্রলীগ, পাঞ্জাবি জড়িয়ে ইজ্জত রক্ষা ছাত্র ইউনিয়নের” শীর্ষক খবরে অনলাইন নিউজ পোর্টালটি জানিয়েছে, “মঙ্গলবার সন্ধ্যা। ৩০-৪০ জনের একটি গ্রুপ। চারদিক থেকে ঘিরে ধরে নারীদের বস্ত্রহরণ করে তাদের নগ্নদেহ ভিডিও করছিল তারা।” (লিংক )
তিনটি পত্রিকার বর্ণনা থেকে স্পষ্ট শিশু, তরুণী এবং মধ্যবয়সী (সন্তানসহ) মহিলা- কেউ হামলার বাইরে ছিলেন না। জনসমক্ষে গণহারে মহিলাদেরকে বিবস্ত্র করে মাটিতে ফেলে উল্লাস করা, শরীরে কামড়ানো এবং সেসব দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করার মতো ওপর পাশবিক আচরণকে কী বলে অভিহিত করা যায়? বা উচিত?
বখাটেপনা? শ্লীলতাহানি? নাকি যৌন নিপীড়ন? নাকি অন্য কিছু?
আপনার কাছে উপরের তিনটি পত্রিকার বর্ণিত দৃশ্যগুলোকে মিলিয়ে সেদিনকার ওই পরিস্থিতিকে আপনার কাছে যতই নারকীয়, বর্বর এবং পাশবিক মনে হোক না কেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ পত্রিকা কিন্তু আপনাকে জানাচ্ছে, ওখানে বাখাটেপনা হয়েছে! কেউ কেউ ঘটনাটিকে আখ্যা দিয়েছে শ্লীলতাহানী বলে! যারা বস্ত্রহরণের এই নারকীয় যজ্ঞ চালিয়েছে এবং বাধাদানকারীদের হাত ভেঙে দিয়েছে তাদেরকে পত্রিকাগুলো ‘বখাটে’, ‘বখাটে যুবক’, ‘বহিরাগত যুবক’ অথবা শুধু ‘ছাত্র’ বলে অভিহিত করছে! তারা মোটেও ‘সন্ত্রাসী’ বা এরকম সিরিয়াস কিছু নয়।
গণহারে মহিলাদের বস্ত্রহরণের এই ভয়াবহ ঘটনাটির খবর প্রচারে পত্রিকাগুলোর আচরণ পর্যবেক্ষণ করে চারটি বিষয় পাওয়া গেছে—
এক. খবরটিকে কম গুরুত্বপুর্ণ হিসেবে ট্রিটমেন্ট দেয়ার প্রবণতা।
দুই. ভাষার ব্যবহারে ঘটনাকে হালকা করা। (বখাটে, লাঞ্ছিত, শ্লীলতাহানি, যৌন হয়রানি ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার)
তিন. ঘটনা বর্ণনার ক্ষেত্রে ঘটনার ভয়াবহতাকে পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া।
চার. দোষীদের পরিচয় আড়াল করার চেষ্টা (যুবকের দল, বহিরাগত যুবক, অথচ আটক ২জন ঢাবির ‘ছাত্র’ বলে মূল অপরাধীকে আড়াল করা)।
খবরটিকে কম গুরুত্বপুর্ণ হিসেবে ট্রিটমেন্ট দেয়ার প্রবণতা:

১৪ এপ্রিল পত্রিকা অফিসগুলো বন্ধ থাকায় ওই দিনের ঘটনার খবর প্রকাশিত হয়েছে
১৬ এপ্রিলের পত্রিকাগুলোতে।

১৬ এপ্রিল বস্ত্রহরণের ঘটনা নিয়ে দৈনিক কালের কণ্ঠ কোনো সংবাদই প্রকাশ করেনি! তবে অন্য পত্রিকাগুলো একই খবর প্রকাশ করার পর সম্ভবত ‘হিট’ লাভের আশায় এদিনই “কি ঘটেছিলো পহেলা বৈশাখের দিন টিএসসিতে?” শিরোনামে একটি খবর শুধু অনলাইনে প্রকাশ করেছে।
দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সমকাল তাদের শেষের পাতায় সিঙ্গেল কলামে সংবাদ প্রকাশ করে। সমকালের শিরোনাম ‘টিএসসিতে বখাটেদের কবলে নারী’। ইত্তেফাকের শিরোনাম, “বর্ষবরণ উৎসবে নারীর শ্লীলতাহানি”। বাংলাদেশ প্রতিদিন শেষের পাতায় ডাবল কলামে ছাপিয়েছে।
এর বাইরে প্রথম আলো প্রথম পাতায় খবর (সিঙ্গেল কলাম বক্স) ছাপিয়েছে। ডেইলি স্টার এবং ডেইলি নিউ এইজ সবচেয়ে বড় কভারেজ দিয়েছে ঘটনাটির। স্টার তাদের প্রথম পাতায় ডিসি বক্স আইটেম হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ আকারেই খবরটি ছাপিয়েছে। আর নিউ এইজের ট্রিটমেন্ট ছিল প্রথম পাতায় ৩ কলামে (যদিও এই সংবাদের সাথে আরো দুটি ঘটনা যুক্ত থাকায় কভারেজটা একটু বড় হয়েছে হয়তোবা।)
ভাষার ব্যবহারে ঘটনাকে হালকা করা:
আগেই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল যে, বখাটেপনা, লাঞ্ছিত হওয়া, শ্লীলতাহানি বা যৌণ নিপীড়ন- ধরনের শব্দগুলো দিয়ে কি ডেইলি স্টার এবং মানবজমিনে বর্ণিত অবস্থাতাকে বুঝানো সম্ভব? উত্তর খোঁজার দায়িত্ব পাঠকের। আমি এখানে শুধু কে কী শব্দ ব্যবহার করেছে তা তুলে দেব।

প্রথম আলোর শিরোনাম- “নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী লাঞ্ছিত: প্রতিবাদকারী আহত”। এটা দেখে কোনোভাবেই বুঝার উপায় নেই যে, ‘লাঞ্ছিত’ নারী এবং আহত প্রতিবাদকারীর সংখ্যা আসলে কত? আবার সেগুলোর ভয়াহতা কতটুকু? পত্রিকাটি সংবাদের ভেতরে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে ঘটনার মোটামুটি একটা চিত্র দিলেও শিরোনাম এবং ইন্ট্রোতে তা তুলে ধরতে কনে জানি অনিচ্ছুক ছিল!
বাকিদের মধ্যে সমকালের শিরোনাম ‘টিএসসিতে বখাটেদের কবলে নারী’। ইত্তেফাকের শিরোনাম, “বর্ষবরণ উৎসবে নারীর শ্লীলতাহানি”। বাংলাদেশ প্রতিদিন ‘বখাটেদের তাণ্ডব, শ্লীলতাহানি’ শিরোনামে তাণ্ডব শব্দটি ব্যবহার করে ‘বখাটেপনা’কে কিছুটা জোরালো করার চেষ্টা করেছে।
তবে ডেইলি স্টার- এর ‘Outrage over sex assault’ শিরোনামসহ ভেতরের বর্ণনায় ঘটনার ভয়বহতা ফুটে উঠে উঠেছে। মানবজমিনও একইভাবে বিষয়টাকে গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছে।
ভয়াবহতাকে পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া:
আগের পয়েন্টেই বলা হয়েছে যে, উপরে যেসব পত্রিকার নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো বাদে কেউই প্রকৃত ঘটনা বুঝতে যতটুকু শালীন বর্ণনা দেয়া দরকার তা মোটেও দেয়নি। এক্ষেত্রে কেউ ‘অশালীন’ বা ‘রগরগে’ বর্ণনা দেয়া অনৈতিক’ বলে অজুহাত দাঁড় করানোর সুযোগ অবশ্য পাবে না। কারণ, ডেইল স্টার অশালীনতা এড়িয়েও ব্যাপারটা তুলে ধরতে পেরেছে। মানবজমিনের বর্ণনায় এই অভিযোগটা কিছুটা করার সুযোগ থাকলেও তা মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে না।
দোষীদের পরিচয় আড়াল করার চেষ্টা:
পত্রিকাগুলো সবচেয়ে বড় যে ফাঁকিটা দিয়েছে তা হচ্ছে, তাণ্ডবকারীরা যে পরিচয়ের বলে বলিয়ান হয়ে এমন বর্বতা চালানোর সাহস করেছে তা গোপন করা।
কোনো পত্রিকা তাণ্ডবকারীদের বুঝাতে ‘বখাটে’ ‘দুস্কৃতিকারী’ ‘যুবকের দল’ কেউ ‘বহিরাগত যুবক’ ব্যবহার করেছে। আটক করে থানায় পাঠানো ৫ জনের পরিচয় দেয়া হয়েছে- ‘পাঁচ দুস্কৃতিকারী যাদের ২জন ঢাবির ‘ছাত্র’ ইত্যাদি।
কিন্তু এসব কোনো পরিচয়ই টিএসসির মতো জায়গায় হাজারো মানুষ, শত পুলিশের সামনে দাড়িয়ে গ্রুপে গ্রুপে ভাগ হয়ে পরিকল্পিতভাবে গণহারে নারীদের বস্ত্রহরণের সাহস যোগাতে, এবং আটকের পর থানা থেকে ‘সসম্মানে’ বিদায় পাওয়ার জন্য মোটেও যথেষ্ট নয়।
প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে তাদের সেই ‘শক্তিমান পরিচয়’টা কী?
উত্তর দিচ্ছে দুয়েকটি পত্রিকাই।
নিউ এইজ থেকে—
পত্রিকাটি “BCL rowdies on the loose again” শিরোনামের সংবাদটিতে বলা হয়েছে—
“Besides, Chhatra League men harassed females, who came to attend the Pahela Baishakh celebrations at Dhaka University and Jagannath University on Tuesday.” (Click This Link)
অনলাইনবাংলা.কম.বিডি থেকে—
“ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি ছিল। আক্রান্ত নারীদের রক্ষার জন্য তাদের কাছে মিনতি জানালে প্রথমে তারা এগিয়ে এসে মৃদু লাঠিচার্জ করে। কিন্তু বস্ত্রহরণকারীদের ছাত্রলীগ পরিচয় জেনে নিস্ক্রিয় হয়ে যায় পুলিশ।
ওই সময় এক নারীকে রক্ষা করতে গিয়ে এগিয়ে যান ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা নেতা লিটন নন্দী নিজের গায়ের পাঞ্জাবি খুলে এক বিবস্ত্র নারীর ইজ্জত হেফাজত করতে গিয়ে মারধরের শিকার হন। এই ঘটনার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের সরকার সমর্থিত ছাত্রলীগের বখাটে কর্মীরা জড়িত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ছাত্র ইউনিয়ন জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় আড়াল করে তাদের বহিরাগত আখ্যা দিয়েছে।”
উপরের তথ্যের সাথে কমন সেন্সও ব্যবহার করা যায় নিচের উদ্ধৃতিগুলো পড়ে—
মানবজমিন থেকে—
“এমনকি পাঁচ বখাটেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার পরও ছেড়ে দেয়া হয়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ।”
“এমনকি ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক এ এম আমজাদকে ফোনে বিষয়টি জানিয়ে সাহায্য চেয়েছিলেন লিটন নন্দী। কিন্তু প্রক্টর তাকে হতাশ করে বলেছেন, আমার কি করার আছে। পুলিশ তো আমার কথা শুনে না।”
“লিটন নন্দী জানান, তারা পাঁচজন বখাটেকে আটক করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছিলেন। কিন্তু ঘটনার পর খোঁজ নিলে পুলিশ জানায়, তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মেহেদি হাসান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলামসহ টিএসসি এলাকায় তিনটি স্থানে অবস্থান করছিল পুলিশ। তবে এ বিষয়ে তারা কোন মন্তব্য করেনি। জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলামও মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।” (Click This Link)
বাংলাদেশের পুলিশ এবং প্রক্টর নিশ্চয়ই পত্রিকাগুলোর বর্ণিত কথিত বহিরাগত বখাটদের ভয়ে এত তটস্থ নয় যে, এত বড় অপকর্মে হাতেনাতে ধরা পড়ার পরও তাদেরকে থানা থেকে নিরাপদে বাসায় পৌঁছে দেবে!

বাংলাদেশে এখন একটা প্রবণতা চলছে, মিডিয়া যদি কোনো ইস্যু না ‘পিক’ না করে তাহলে তা ডেড হয়ে যায়। বিশ্বজিৎ হত্যাসহ বহু ক্ষেত্রে তা প্রমাণিত হয়েছে। বেশিরভাগে মিডিয়া ঘটনাটির ভয়াবহতা এড়িয়ে গিয়ে পরোক্ষেভাবে ইস্যুটাকে পেছনের কাতারে ফেলতে সহায়তা করছে। বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে নিজেদের তৈরি করা ‘হাইপ’ যাতে আগামী বছরগুলোতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এবং ক্ষমতাসীনদের রক্তচক্ষু এড়ানো বা পছন্দের পক্ষের স্বার্থ রক্ষার মানসিকতাই হয়তো তাদেরকে এত ‘সতর্ক’ বানিয়েছে!
=====

ছাত্রলীগের এই জঘন্য কর্মকান্ডকেও যদি আজ মিডিয়া নারীর অধীকার স্বার্থ নিরাপত্তার দিকে তাকিয়েও সত্য বলতে সাহসী না হয়- তবে তারা দেশ আর গণতন্ত্রের জন্য কি করবে??? আর তথাকথিত নারীবাদী সংগঠনগুলাতো মনে হয় চোখে কুলো মূকে তুলো দিয়ে বসে আছে!
অথচ দিনাজপুরের ইয়াসমিনের ক্ষেত্রে কিন্তু আমরা উল্টাটাই দেখেছি! পুেরা দেশ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই মিডিয়াই!
আমরা পক্ষপাত হীন নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি আশা করি মিডিয়া সহ সকলের কাছে। আওয়ামীলিগ আমলে হলে চেপে যেতে হবে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে হবে-এই মানসিকতা ভবিষ্যতের বড় বিপর্যয়েরই আশংকা বাড়ায়!
দলমত নির্বিশেষৈ অপরাধীকে অপরাধী হিসাবেই দেখা হোক।

এই জঘন্য, ঘৃন্য ন্যাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।

১লা বৈশাখ হোক কলংকমুক্ত। নিশ্চিন্ত মিলন মেলা।
বাংলাদেশ হোক কলংকমুক্ত।
নারীরা হোক নির্ভয়।


@শিশির আবদুল্লাহর লেখা- মতামত এং আলোচনার জন্য শেয়ার পোষ্ট।
মূল পোষ্টের লিংক- Click This Link

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

টি এম মাজাহর বলেছেন: গত তিনদিন ধরে আমি এই কথাগুলোই বলবার চেস্টা করেছি বিভিন্ন ভাবে (অনলাইন, ব্যক্তিগত বাক্যালাপে)। দেখেন বিশ্বজিতের ঘটনায় কিন্তু প্রথমেই মাত্র দুই একটি মিডিয়া এগিয়ে এসেছিলো মাত্র, কেননা ঘটনাটিতে পরিস্কার ভাবে দায়ী ব্যাক্তিদের দেখা যাচ্ছিলো, এবং পরিচয়ও পাওয়া গেছিলো, কিন্তু পরবর্তীতে যখন কেউ কেউ একটি যুক্তি দাড় করাতে পারলো, যে এখন ওই সংগঠন করলেও ওর অমুক আত্নীয় তো অন্য রংয়ের সংগঠন করে, তখন বাকী মিডিয়াগুলো এই যুক্তিকে ধরে আগায় আসলো। এইবার কিন্তু সেই ১৪ তারিখ থেকে গতকাল পর্যন্ত বেশীরভাগ মিডিয়া নিশ্চুপ ছিলো এই ভেবে যে, ঢাবির টিএসসির সামনে এ জাতীয় ঘটনা ঘটাবার সাহস শুধুমাত্র একটি সংগঠনেরই আছে। কিন্তু গতকাল সন্ধার পর থেকে সিসিটিভির ক্যামেরায় যখন বখাটেদের ভিড়ে ওই সংগঠন ছাড়াও অন্যান্যদের চেহারা আসতে লাগলো, তখন এই মিডিয়াগুলোর গলায় পানি আসলো, বিশেষ করে আজকের প্রথম আলোতে " কিছু ছেলের চাপদাড়ি ছিলো" বলে যে রিপোর্ট ছাপা হয়েছে, এবং এক কলামের খবর থেকে প্রথম পাতার খবরে পরিণত করবার খবরে আনার প্রক্রিয়া চলছে, সেই সাথে আজকে (ঘটনার ৪ দিন পর) প্রতিবাদ অনুষ্ঠানের আয়োজন গুলো আপনার কথারই সমর্থন দেয়। সবচেয়ে অবাক লাগে, রমনায় বোমা হামলার দশ মিনিটের মাথায় ব্যানার লিখে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয় (অবশ্যই সেটা যৌক্তিক ছিলো) এবারের ঘটনার প্রতিবাদ শুরু করতে চার দিন লাগলো? আশ্চর্য নয় কি?

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঘটনা দৃষ্টে মনে হয় মিডিয়া ওয়ালারা ভাসুরের নাম মূখে আনতে শরম পায়!!!!

নাকি ভাসুরকে কলংক থেকে বাঁচাতে চায়!!!!

আজও কয়েকটা মানব বন্ধন দেখলাম- সেইরাম সুশীলতা.. বখাটে বহিরাগত ব্লা ব্লা ব্লা.
অথচ এরাই যখন খালেদা জিয়া বা বিরোধী অন্যদলের সমালোচনা করে মূখ দিয়ে পারলে খিস্তি চলে আসে!
সরাসরি নাম ধরে কুৎসা মিথ্যা অপবাদ দেয়া তাদের রক্তমজ্জ্বায়!

অথচ- আজ প্রমাণীত ছাত্রলীগের দোষীদের নাম উচ্চারনে মূখ যেন অসার জড়তা যেন কাটতেই চায় না!!!

শেইম!!

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতির তরুণরা বেআইনী কাজ, চুরি, ডাকাতি করছে; পড়ালেখা করছে না; তারা অশুভ শক্তি ব্যবহার করে আইনকে হারিয়ে দিচ্ছে।

আিনী ব্যবস্হা যারা নিতে পারবে, তারা ব্যাপারটার সুরাহা করার দরকার।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনির্বাচিত, স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় থাকলে এমনই হয়! তাদের জনগণের নিকট কোন দায় থাকে না।
বন্দুধারী প্রশাসন আর দলীয় ক্যাডারদের উপর নির্ভরশীল বলেই তাদের কিছু বলতে পারেনা। পারেনি।

আজ ময়মনসিংহের গণনির্যাতের বিচার হয়নি বলেই তারা কি আরও সাহস পায়নি!
সঞ্চুরিয়ান মানিক যখন সরকারী চাকুরী পেয়ে পুরস্কুত হয়- তা কি অন্যদের উৎসাহিত করে না।-
একুলের বইমেলার ঘটনার যদি প্রচন্ড দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতো তাহলে হয়তো ১লা বৈশাখে কেউ সাহসই করতনা !

কিন্তু ঐ যে- অপরাধীরা সব সরকারদলীয় বিশিষ্ট ক্যাডার!

নইলে যে পুলিশ বিরোধী দলকে পলকে মাটি খুড়ে ধরে আনে- কারণে অকারণে ক্রসফায়ারের নামে ভিন্নমত দলনে সিদ্ধহস্ত তারা আজ নাটক করে পাবলিকের কাছে তথ্য চায়!!!! হাসতেও কষ্ট লাগে!

আর মিডিয়াতো মাশাল্লা- পোষ্টে যা বলা হয়েছে তারচে শতগুন বেশি নিরবতায় - ডুবে আছে!
অথচ তারাই জনমত গঠনে সবচে নিয়ামক ভুমিকা পালন করেত পারে!

আমরা যেন চক্রবুহ্যে ফেসে আছি!

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


"অনির্বাচিত, স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় থাকলে এমনই হয়! তাদের জনগণের নিকট কোন দায় থাকে না। "

খালেদা জিয়া বাংলাদেশ চায়নি, জামাত বাংলাদেশের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছে; ওরা নির্বাচিত হবে কেন? হাসিনা জামাতের বিচার করছে, তাকেই থাকতে হবে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাই, আপনার কি বয়স বেশী জনিত বুদ্ধিহীনতা আক্রমন করেছে!!!???

গ্রামে যেমন বুদ্ধি ভ্রস্ষ্ট কিছূ বুড়ো বুড়ি দেখি কি- বলে কেন বলে পরক্ষনেই মনে করতে পারে না!!

আপনার অর্বাচীন মতামত আপনার ব্লগেই রাখুন।

হাসিনা জামাতের বিচার করছে বলে কি ছাত্রলীগের সব অপকর্ম জায়েজ হয়ে যায়?
ময়মনসিংহের গণ নারী নির্যাতনের বিচার হয়েছে কি?
হয়নি বলেই তারা দিনকে দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে!
একের পর একঅপকর্মের ভারে ক্লান্ত বাংলাদেশ!

আমরা যেমন রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই
তেমনি ধর্ষক লীগ মুক্ত বাংলাদেশও সবার কামনা।


৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

তপ্ত সীসা বলেছেন: বাকশাল যেমন ভালো ছিলোনা, আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা হ্রাসের মুল কারন ছিলো, এই ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে না পারলে ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগকেই ডুবাইয়া দিবে। ছাত্রলীগের নেত্বৃতে পরিবর্তন আর সেইসাথে আরো কঠোর নজরদারী দরকার পাতি নেতাদের উপর।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এখনতো পুরানোটারই ডিজিটাল ভার্সন চলতেছে মাত্র!

আগে ৪টি বাদে সব পত্রিকা বন্ধ করছিল- এখন সবই চালু রাখছে-ক্রীতদাস বানাইয়া!!

আগে ৭ কোটি কম্বল চুরি নিয়া আওয়াজ উঠছে এখন ৭ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের পরও (এক হলামর্খেই সাড়ে চার হাজার কোটি) কথা বললেই খুন গুম!!!!

ছাত্রলিগের এইটাতো আর প্রথম অপকর্ম নয়- দিনে দিনে বহুর পর আরো একটা মাত্র!

দেখেন না বিবেকহীন নিলজ্জ সুমীলেরা কিভাবে নিরবতায় এই নিগ্রহকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে!

দিনে দিনে এভাবেই বুঝি বাড়ে দেনা- ঋণ শোধ হবে কবে???? জাতি অপেক্ষায়!

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

রঙতুলি বলেছেন: ছাত্রলীগ কে নিসিদ্ধ করা সময়ের দাবী।

সচেতন পিতা মাতার উদ্দেশ্যে পরামর্শ

আপনার সন্তান কে ছাত্রলীগ ভাইরাসের টিকা দিন, নিজে বাচুন দেশ বাচান।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সচেতন পিতা মাতা পাবেন কই?

বরং এমন ভুরি ভুরি পাবেন= পুলা ছাত্রলীগ করে সেই নাম বেইচা বাপেও সুবিধা নেয়!!!!!!

দেশ জাতির কথা আর ভাবছে কে??????

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


হাসিনাকে ছাত্রলীগ পুষতে হয়, না হয় শিবির থামাবে কে?

ছাত্রদের যদি ক্যাডার বানায়, তার মুল্য জাতিকে দিতে হয়।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি হাস্যকর খোড়া যুক্তি দিলেন!! তাও আবার প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে!

আপনার কথা মতো- তবেতো এর সবটুকু দায়ও এখন তিনার ঘাড়েই বর্তায়!

তপ্তসীসা আপনার কমেন্টে উত্তম জবাব দিয়েছেন।

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

তপ্ত সীসা বলেছেন: গাজী ভায়া, পোষা জিনিস বলতে আমরা কইলাম জানোয়ার নাইলে পক্ষীর মতন কিছু বুঝি। শিবিরের মত একটা ছোট্ট সংগঠন থামানো একটা ছাত্র সঙ্গঠনের মুল উদ্দেশ্য হইতে পারেনা।

ছাত্ররাজনীতির উদ্দেশ্য কোন গোষ্ঠীর উত্থান ঠেকানো না কইলাম। বরং জাতি হিসাবে নিজেদের উত্থানে ভুমিকা রাখাই মুল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। জাতি যদি এক থাকে, তাইলে পাকিস্তান আর্মি ক্যান, পুরা আমেরিকান আর্মি আবার আইলেও শিবির আমাগো বালও ছিড়তে পারবোনা।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাইজান- উনি উনার যুক্তি ছাড়া কারোটা মানেন বলে চোখে পড়ে নাই!

তাই বাকী সব অর্থহীন।

৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের মত স্থানে এমন ঘটনা হতে পারে - অবক্ষয় কোন পর্যায়ে চলে গেছে !

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবক্ষয় ভয়াবহ পর্যায়ে!!

এবং তার স্বীকৃতিও আমরা আগেও দেখেছি- তাদের অনাচারে অতীষ্ট হয়ে প্রধান মন্ত্রী ছাত্রলিগের সমস্ত দায় দায়িত্ব ছেড়ে পদ ছেড়ে দিয়েছেন।

কিন্তু তাতেও ভাল না হয়ে উল্টোটাই হয়েছে।

আরও বেগবান হয়েছে- তাদের কর্মকান্ড!

একদিকে ধর্মহীনতায় ফ্যাশন! অন্যদিকে কর্পোরেট কালচার, ভোগ আর পূজির চাপাচাপিতো আছেই! সবার উপরে সাংস্কৃতিক দৈনতায় - যা পাই তাতেই ভেসে যেতে গিয়েই আজ এই অবক্ষয়!

হৃদয়, বোধ, শ্রদ্ধা, সম্মান, ভিন্নমতে সহনশীলতা সব যেন অভিধানের শব্দ হয়ে থাকছে কেবল!!!!!

৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

ইমরান হক সজীব বলেছেন: আমার মনে হয় ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর সুপরিকল্পিত ঘটনা এটা । যেহেতু তাদের এই ধরনের অনুষ্ঠান পছন্দ হয় না, তাই এই অনুষ্ঠানকে কলংকিত করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে কিনা গোয়েন্দাদের তা অনুসন্ধান করা উচিৎ ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এতটা নিলজ্জ মানুষ কিভাবে হয়???????


আর জীবনতো একটাই। আর মরে গেলে থাকে শুধু স্মৃতি আর কাজের বিবরণ! একটুতো বিবেক করুন।

যেখানে হাতেনাতে প্রমাণ সহ ছাত্রলিগের অংশগ্রহন পরিস্কার সেখানে আপনি ধমান্ধ গোষ্টি খুজে পান!!!

আচ্ছা ছাত্রলীগ আবার ধর্মান্ধ গোষ্ঠি হল কবে থেকে???

রোসো রোসো....তবেকি এ যাবত যত ধর্মান্ধতার কাজ রমনা বটমূল থেকে সিনেমা হল বিস্ফোরন, ৬৪ জেলা বোমা হামলা সবকিছূতেই - আপনার তত্ত্ব মতে তারাই জড়িত!!!!! সর্বনাশ বলেন কি?????

আসলেই অনুসন্ধান করা উচিত!!

১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১৭

রিফাত ২০১০ বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য । আওয়ামী পা চাটা জারজ মিডিয়া গুলো কম কুলাঙ্গার নয় ।

দুষ্কৃতিকারী কুলাঙ্গারদের সাথে সাথে মিডিয়ার সাথে জড়িত কুলাঙ্গার দেরও বিচার হোক।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সময়ের দাবী!

একসময় হলুদ থেকে লাল দলান্ধ মিডিয়ার বিচারও হবে এই বাংলায়!

যারা স্রেফ আর স্রেফ টাকা এবং লোভে পড়ে দেশ জাতি আর বিবেকের বিরুদ্ধে কলম চালিয়ে যাচ্ছে! তারা ৭১্র রাজাকারের চেয়েও ভয়ংকর!
তারা মিরজাফরকেও লজ্জায় ফেলে দিচ্ছে!!!!!!

১১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

সাদিকনাফ বলেছেন: @ইমরান হক সজীব : কি সুন্দর কথা! পুলিশ তাহলে এদের ছেড়ে দিলো কেনো?

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাই - উনারা দিন কানা রাতকানা দলকানা বিবেক কানা ......
নইলে ছাত্রলিগকে বাঁচাতে ধর্মান্ধ গোষ্ঠির জিগির তোলে কি করে?????

আজব তাদের জ্ঞান বিবেক আর মন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

১২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: একটি দেশের সরকার যখন ইলেকশন না হয়ে সিলেকশন হয় তখন তাদের ভাড়াটিয়া মিডিয়া তার বাবাদের নাম গোপন রেখে ঘটনা হালকা করার চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। এসব মিডিয়া বয়কট করুন বিজ্ঞাপন দিয়ে এদের লাভের পথ রোধ করুন। এটুুকু তো আমরা করতে পারি সামাজিক ভাবে এদের বয়কট।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি দারুন বলেছেন।

কিন্তু করবেটা কে?

দাতা আর গ্রহীতা দুজনেই যে দালালী চামচাীতে প্রতিযোগী!!!! ;)

এড মিডিয়ার, মিডিয়া মোঘল, কর্ণধারদের কে না চেনে আর কে না জানে তাদের চেতনা কোথায় বিকৃত না বিক্রিত ;) !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

কেবল ব্যাপক গণপ্রতিরোধই থামাতে পারে এই অন্ধকারের পথে যাত্রা!

১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রতিবাদ করতে আজ ভয় পাই আমরা!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভীষন রকম! ভয় সত্য বলায়! ভয় খুনের! গুমের ভয়!

ভিন্নমত প্রকাশেও ভয়!

এভাবে কি হয়?

১৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: পোস্টের বক্তব্য কোথায় আর কমেন্টকারীর কমেন্ট কি ! ! ! যাই হোক নতুন একজনের লেঞ্জা দেখা গেল

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ফাটা বাঁশের চিপায় পড়লে যা হয় আর কি???

নিজেদের সোনার ছেলেদের কুকর্মের ভারে ডুবে গিয়ে যা মনে আসে তাই বলে তা হালাল করার অপচেষ্টা করছে আর নিজেদের পরিচয়্ বিবেকের দৈনতা, নষ্টের পক্ষাবলম্বন, নীতিহীনতার মূখোশ সব বেরিয়ে পড়ছে । এই যা!

ধন্যবাদ ।

১৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: মানব প্রয়োজনের দৃষ্টিতে বিষয়টা দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.