নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘দুই দিক থেকে দুটো মিছিল গোরস্থানের দিকে যাচ্ছে’ -দীপন হত্যা আমাদের বিবেক কোন পথে?

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সংকলন পোস্ট:

এক প্রকাশককে হত্যা এবং অন্য তিন লেখক-প্রকাশকের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিশিষ্টজনেরাও জানিয়েছেন প্রতিক্রিয়া। বিশিষ্ট লেখক, বুদ্ধিজীবী ও সমাজ চিন্তক ফরহাদ মজহার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, দীপন আমাকে এক হিসাবে জোর করেই ‘ডিজিটাল ফ্যাসিবাদ’ বইটি তৈরি করিয়ে নিয়েছিল। বলেছিল, আপনার কিছু বই আমাকে দিতেই হবে। ও ছিল আহমদ ছফা ও আমার প্রিয় বন্ধুদের একজন আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে। দীপনের চেহারা আমাদের মতো বাম রাজনীতি করে আসা পুরানা আর রুক্ষ বাবা-কাকাদের মতো ছিল না। স্নেহ জাগানিয়া মুখ, লজ্জিত ভাবে হাসত। দুই একবার যতোটুকু কথা বলেছি মনে হয় নি মগজ কোন খোপে বন্ধক দিয়ে দীপন মুক্তবুদ্ধিওয়ালা হয়ে গিয়েছে। চিন্তা করতে চাইত সব দিক থেকেই। ওকে প্রথম দিন থেকেই আমার ভাল লেগেছিল। বইটি ২০১১ সালের শেষের দিকে তৈরি করে দিয়েছিলাম। ও পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে বের করেছিল।

জাক দেরিদার ওপর আমার লেখাগুলো জোগাড় করে বললো এটা গুছিয়ে দিন, আমি প্রচ্ছদ বানিয়ে প্রচার করে দিয়েছি। আমার মাথায় তখন ‘ভাবান্দোলন’ চেপে বসা। দেরিদার সঙ্গে হুসালের তর্ক পাশ্চাত্য চিন্তার জায়গা থেকে যতোটা বুদ্ধিদীপ্ত তার চেয়েও বাংলার ভাবচর্চার জায়গা থেকে আরও দুর্দান্ত। ভাবলাম, নতুন করে পুরাটা বাংলাভাষার ভাবচর্চার ক্ষেত্র থেকে লিখব। এমন ভাবে লিখব যাতে ফকির লালন শাহের ভাষা ও শরীরের সম্পর্ক বিচার কিম্বা নদিয়ার সাধকদের ‘গুরু’ ধারণা ভাষার বহু অর্থ বোধকতাকে কিভাবে মোকাবিলা করে তা নিয়ে লিখি। এতে দেরিদা প্রাসঙ্গিক হবে। বিদেশী দার্শনিকদের নিয়ে আঁতেলি ভাল লাগে না। কিন্তু লেখা সহজে এগুলো না। কারণ যা লিখতে চাই তা সহজ বিষয় নয়। লিখছিলাম আস্তে আস্তে দীপনকে আর দেওয়া হোল না। ও বইয়ের জন্য তাড়া দিতে আবার যখন গত বছর এলো, আমি বুঝিয়ে বলায় খুব খুশি। এ বছর তাকে যেভাবেই হোক শেষ করব বলে কথা দিয়েছিলাম। গুছিয়ে এনেছি।

কিন্তু ফয়সাল আরেফিন দীপন আর নাই।

গতকাল সন্ধ্যায় জাগৃতি প্রকাশনার দীপন সহ শুদ্ধস্বরের আহমেদুর রশীদ টুটুল ও অন্য দুই লেখক সুদীপ কুমার বর্মন ও তারেক রহিমের খবর পেয়ে পাথর হয়ে আছি। দীপনের বাবা আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেছেন, ‘আমি কোনো বিচার চাই না। আমি চাই শুভবুদ্ধির উদয় হোক। যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ নিয়ে রাজনীতি করছেন, যাঁরা রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন উভয় পক্ষ দেশের সর্বনাশ করছেন। উভয় পক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। এটুকুই আমার কামনা। জেল-ফাঁসি দিয়ে কী হবে।’
অবিশ্বাস্য শোক মাথায় নিয়ে আবুল কাশেম ফজলুল হক এই কথাটা স্পষ্ট ভাবে বলতে পেরেছেন।

আমরা দেশকে বিভক্ত করে দিয়েছি। আমরা দুই পক্ষেই আমাদের সন্তানদের হারাতে থাকব। আমরা কাঁদতে ভুলে যাব। নিজ নিজ সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়ে গোরস্থানের দিকে যাব, আর সন্তানের রক্তে আমাদের শরীর ভিজে যাবে।

কে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সেকুলার মুক্তবুদ্ধিওয়ালা আর কে ধর্মান্ধ বা ইসলামি জঙ্গী গোরস্থান তার বিচার করে না। শুধু কবরের ওপর ঘাস গজায়, আর একদা ঐতিহাসিকরা গবেষণা করতে বসে কিভাবে একটি জাতি তাদের বেয়াকুবির জন্য ধ্বংস হয়ে গেলো।

যেহেতু আমরা মৃত্যু নিয়ে ভাবতে অভ্যস্ত নই, তাই জীবনের কোন মূল্য আমরা দিতে জানি না। আমি দেখছি, বিভক্ত ও দ্বিখন্ডিত বাংলাদেশে দুই দিক থেকে দুটো মিছিল গোরস্থানের দিকে যাচ্ছে। দীপন, আমি প্রাণপণ এই বিভক্তি ঠেকাতে চেষ্টা করেছি। এই ভয়াবহ বিভাজনের পরিণতি সম্পর্কে আমি জানপরান সবাইকে হুঁশিয়ার করার চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করে যাব।। কিন্তু তাতে কি যারা চলে গিয়েছে ফিরে আসবে?
কেউই প্রত্যাবর্তন করে না।

এই লাশের ভার অনেক ভারি, বাংলাদেশ বহন করতে পারবে কি? সেই দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতার চর্চা আমরা করি না যা আমাদের গোরস্থানের দিকে নয়, সপ্রতিভ জীবনের দিকে নিয়ে যায়।

কে জাগে?
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলী রীয়াজ লিখেছেন, আজ থেকে তিন দশকেরও বেশি সময় আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক কর্মিদের হামলায় আহত ও রক্তাক্ত হয়ে ছুটে পথ পেরিয়ে যে গৃহকে নিরাপদ আশ্রয় জেনে উঠেছিলাম সেটি আমার শিক্ষক আবুল কাশেম ফজলুল হক স্যারের বাসা। স্নেহে ও মমতায় জড়িয়ে ধরে স্যার এবং ভাবী আমার মাথা থেকে বেরুনো রক্তের ধারাকে তোয়াল দিয়ে বেধে দিয়েছিলেন, নিশ্চিত করেছিলেন যেন আমি মেডিক্যাল হাসপাতালে পৌছুতে পারি। আজ সেই নিরাপদ গৃহের সন্তান, ফয়সাল আরেফিন দীপন যখন কর্মস্থলে রক্তের স্রোতে ভেসে গিয়েছিলো তাকে কেউ জড়িয়ে ধরেনি, কেউ তার রক্তের ধারা তোয়ালে দিয়ে বেধে দেয় নি। হাজার মাইল দূরে বসে আমি কেবল সংবাদ শুনেছি, আমার এই অসহায়ত্বের ভার আমার একার। কিন্ত আমরা যে সেই দেশ তৈরি করতে পারলাম না যেখানে দীপনরা, অভিজিৎরা, সাধারন মানুষেরা নিরাপদ জীবন যাপন করে, যেন মানুষ নির্ভয়ে মত প্রকাশ করতে পারে, ভিন্নমত প্রকাশ যেন নিজের মৃত্যুপরোয়ানার স্বাক্ষরচিহ্ন না হয়, যেন মানুষ স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পায় তা আমরা কবে বুঝতে পারবো? শোকাহত পিতা আজ তার সন্তান হত্যার বিচার চান নি; শুভবুদ্ধির উদয়ের প্রত্যাশা করেছেন মাত্র। ‘পিতা সন্তানের লাশ শনাক্ত করতে ভয় পায়’ বলে কবি নবারুন ভট্টাচার্য যে সময়ের কথা বলেছিলেন তা থেকে এই বক্তব্য কতদূর? একজন নির্ভিক মানুষ, একজন শিক্ষক আজ তার সন্তানের মৃত্যুতে কী বলছেন আমার কি তা শুনতে পাচ্ছি?

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ লিখেছেন, বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকার যৌক্তিকতা হিসেবে যে বক্তব্য সমাজে ব্যাপকভাবে প্রচারিত তা হলো যদি এই সরকার ক্ষমতায় না থাকে দেশ ‘জঙ্গী সন্ত্রাসীরা’ দখল করে নেবে, সাম্প্রদায়িকতা বাড়বে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বিরোধী তৎপরতা বাড়বে। এই যুক্তিতে সরকার গণতান্ত্রিক অধিকারের অনেক কিছু নিশ্চিন্তে সংকুচিত করেছে, অনেক লেখক শিল্পী বুদ্ধিজীবী বহু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতেও মুখ বন্ধ রেখেছেন পাছে এই সরকারের ক্ষতি হয়। একের পর এক যখন সন্ত্রাসী হুমকি হামলা, লেখক প্রকাশক খুন, সাম্প্রদায়িক আক্রমণ, ধর্মান্ধতা, জাতিগত ধর্মীয় বিদ্বেষ, দখল লুন্ঠন ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী তৎপরতা বেড়েই যাচ্ছে তখন কি এই প্রশ্ন করতে পারি দেশে এখন কোন্ সরকার ক্ষমতায় আছে?

অসাধারন শক্তিশালী লেখাটা শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না। লেখাটির সূত্র :
এইখানে

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

হামিদ আহসান বলেছেন: বিবেক ................জাগ্রত হোক বিবেক ৷ শুভকামনা জানবেন৷

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেইটাই কামনা।

আমরা যেন অন্ধ না হয়ে যাই।

ধন্যবাদ।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ সামাজিক জীব, প্রতিটি জাতির নিজস্ব সামাজিক চরিত্র আছে।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাতো বটেই। এবং তা প্রতিটাই স্বকীয়াতায় ভরপুর।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


" ‘দুই দিক থেকে দুটো মিছিল গোরস্থানের দিকে যাচ্ছে’ "

-ফরহাদ মজহার সাহেব এই ২ টি মিছিলের কোন একটাতে আছেন, নাকি ৩্য় অবস্হান থেকে দেখছেন?

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি কোন দিকে?

অবশ্যই বিবেকবানদের দলে! যারা কল্যান এবং শুভর জণ্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। নয় কি?

সকল ভাল মানুষেরাই ৩য় অবস্থানে বা মধ্যবর্তী অবস্থানে থাকবে। কোন চরম পন্থায় নয়।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

জেন রসি বলেছেন: জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিলে কি হয় তা যদি প্রশাসন বুঝেও না বুঝার ভান করে তবে একদিন তাদেরকেও চরম মূল্য দিয়ে তা বুঝতে হবে। ফরহাদ মজহার নিজেই জঙ্গিবাদের উস্কানিদাতা। তাই তার এইসব কথা একজন জ্ঞানপাপীর কথার মতই শোনায়।

শুভকামনা রইল।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মনে করাটা আপেক্ষিক। য়েমন আমি আপনাকে প্রত্যক্ষ জানিনা। আপনার লেখা পড়ে বা মন্তব্যের ধরন দেখে একটা ধারনা করতে পারি মাত্র। অথচ বাস্তবে দেখা যাবে আপনি তেমন কিছূই নন। বা পুরোই উল্টো।

জঙ্গি তত্ত্বটা অনকেটা আমেরিকান আলকায়েদা নাটকের বাংলা ভার্সই মনে হয় আমার কাছে।
বুশের যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় কোন গ্যাঞ্জাম হতো- ঠাস কইরা লাদেন একখান ভিডিও ছাইড়া দিত- ব্যাস সরকারী ঝামেলা আড়ালে - বাঘ আইলো বাঘ আইলো গল্পের মতোই আলকায়েদার আড়ালে আরাম শাসন চালাই গেছে!
আর এখনতো জানেনই সব। আইএস নিয়ে ছলমান নাটকও তেমনি।
বাংলাদেশের আমজনতার ধর্ম ইসরাম। দাড়ি টুপি পাঞ্জাবী কমন ড্রেস। এখন এই চরম বাস্তবতাকে যদি আপনি বিভাজনে ফেলতে চান সহজেই পারবেন! যেমন এত বছর রাজাকার মানেই দাড়ি টুপি ব্রান্ডিং করে চলছিল। এখন জঙ্গি জঙ্গি নাটক চলতেছে- মূল ক্ষতিটা কার হচ্ছে দেশের। সাধারন ধর্মপ্রাণ আম জনতার।

জেন রসি ভাই ভাল করে খেয়াল করুন- শায়খ আবদুর রহমান সবচে আলচিত জঙ্গিবাদের নাটের গুরু! তার পরিচয় নিশ্চয়ই জানেন?
মুফতি হান্নান- কার আত্মীয়?
সর্বশেষ - আনসারুল্লহ বাংলাটিমের নাটের গুরু কে বাইরাইলো- ওলামা লিগের নেতা!!!!!!!!!

আসলে কে য েজ্ঞানপাপী আর কে যে অন্ধ একমাত্র সময়েই তা বোঝা যাবে। প্রশাসনতো ক্ষমতাসীনদের ইশারায় ওঠে আর বসে! তাই াভিজেতের খুনি সাগর রুনির খুনি এতবছরেও ধরা পড়ে না। আর বিরোধি দমনে- সাত হাত মাটিখুগে রাতারাতি ধরে আনতে পারে যাকে খুশি তাকে! প্রশাসনের এই ধারাও মূলত আমাদের প্রশাসনিক মেরুদন্ডকেই দুর্বল করে দিচ্ছে।

অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্যও।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৩

আমি আবুলের বাপ বলেছেন: @জেন রসি,কে যে উস্কানিদাতা আর কে যে উস্কানির স্বীকার, এটা নিয়ে এখনো গবেষনা করেন?!!"

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনিও শুরু করে দিন। মধ্য দিয়ে আমরা একটা জ্ঞান গর্ব ফিচার পাই!!!!! ;)

পুরাই চক্রবুহ্যে আটকে আছে মানুষের বিবেক, রাজণীতি, দেশের ভাগ্য সব!!!!!

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: তীব্র প্রতিবাদ আর ধিক্কার জানিয়ে গেলাম।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপাতত আমাদেরতো আর এরচে বেশী কিছু বলার বা করার ক্ষমতা নেই।

বড় অসহায় আমরা !

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

সজিব হাওলাদার বলেছেন: আমরাও চাই শুভবুদ্ধির উদয় হোক।অশুভবুদ্ধি নিপাত যাক।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শতভাগ সহমত।

যত দ্রুত হয় ততই জাতি মুক্তি পায়!!!

৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,




মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক ।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমিন।

কি অদ্ভুত আধাঁর এক ঘিরে ধরেছে বর্তমানকে। আশা করি শীগ্রী কেটে যাবে এই অন্ধকার। আলোয় ভেসে উঠবে দেশ। নিরাপদে বসবাস করবে সব ধর্মের, মতের মানুষ। যেমনটি আমরা করে আসছি হাজার বছর ধরে। নোংরা রাজনৈতিক খেলার অবসান হোক।

ধন্যবাদ -শুভ কামনায়।

৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভাইরে ! আমাদের বিবেকইতো নাই !
এক মিনিস্টার আজ কি বলেছে শুনেছেন ?

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তব্দা খেয়ে গেছি শুনে! বলে কি?

নিজের পশ্চাৎ দেশে তাকিয়েও দেখে না! অনির্বাচিত, স্বৈরাচারিতা, প্রশাসনিক ব্যর্থতা, বিডিআর, সাগর-রুনি থেকে ধরে আজব্দি কেবলই কথার ফুলঝুড়ি ছোটানো আর সাধারন মানুষকে হয়রানী ছাড়া, আইন বিচার প্রশাসনকে কেবলই বিরোধী দল দমনে ব্যবহার করার ঘৃন্য কর্মের ময়লা লেগে আছে! সেই সব বিচার না করে একজন পিতার কতটা কষ্টে কতটা অনিশ্চয়তায়, কতটা অবিশ্বাসে এমন কথা বলতে পারে তা না ভেবে ফস করে বলে বসলো অর্বাচীন উক্তি! শেইম!

১০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

পাঠক মানব বলেছেন: ছেলে রিদাত উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। গতকাল বাবার শেষ বিদায়ের দিন ছিল যার জেএসসি পরীক্ষা। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, খুন হওয়ার কিছুক্ষণ আগে বেলা দেড়টার দিকে রিদাতের সঙ্গে শেষ কথা হয় দীপনের। তখন আজিজ সুপার মার্কেটেই ছিলেন দীপন। তিনি ছেলের পরীক্ষার প্রস্তুতির খোঁজ-খবর নেন। পরীক্ষায় ভালো করার জন্য দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন। বাবার সঙ্গে কথা শেষ করে প্রথম পরীক্ষা বাংলা প্রথমপত্রের জন্য সর্বশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছিল রিদাত। ঠিক এমন একটি সময়ে একটি খবরে তার পুরো পৃথিবী যেনো অন্ধকারে ঢাকা পড়ে। রিদাতের একজন আত্মীয় জানান, ওই সময়ে বাবার জন্য হাউ-মাউ করে কেঁদে উঠেন রিদাত ও হৃদমা। কিছুক্ষণ পরে পুরো নিস্তব্ধ হয়ে যায় রিদাত। __ মানবজমিন

নিস্তব্ধ হয়ে যাই আমরা সবাই।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমিতো রিদাতে কথা জেনে অব্দি স্তব্দ হয়ে আছি!!!!

ভেবে অবাক হই - কিভাবে সে পরীক্ষা এটেন্ড করছে। ??

আমি নিজে পারিনি! এসএসির সময় বাবা মারা গেলে ইয়ার ড্রপ দিতে হয়েছিল! আল্লাহ যেন রিদাতের এই শোককে শক্তিতে পরিণত করার শক্তি দেন। তার মানসিক স্থিরতা দান করেন। যদিও বলা সহজ কিন্তু বাস্তবতা অনেক অনেক অনেক কঠিন!!!!

তারপরও প্রার্থনা তার এবং তার পরিবারের জন্য।

১১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
উত্তরটা আমি দিচ্ছি-
লেখাটা অসাধারণ মনে করেই আমাদের কাজ/প্রতিক্রিয়া শেষ। আমাদের বিবেক এই পথে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।


আমরা কি এভাবেই নিজেদের হারিয়ে ফেলছি!! শুধু লিখে বা পড়ে কিংবা লাইক দিয়েই দায়িত্ব শেষ বলে ভাবছি। তবেতো সামনে আরও গভীর অন্ধকার!!

১২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বিদ্রোহী ভৃগু,
ভন্ড সমাজপতিদের গৃহপালিত লেখ-কবি-সাহিত্যিক-পাঠক থেকে সমাজের পরিবর্তন আনা সম্ভব না। এঁরা ব্লগ-ফেসবুক-পত্রিকায় বিরাট বিরাট বাণী রেখে দিনশেষে একইপাতে গলাগলি করে খেয়ে জনগণকে ধোঁকা দেয়ার ফন্দি-ফিকির আঁটে। একটা শক্ত-পোক্ত আইন আরও ৭-৮ বছর আগে প্রণয়ণ করতে পারলে আজ এমন কিছু দেখতে হতো কি ?

রাজনীতিবিদ-মন্ত্রী-এমপি হবার আগে একজন সমঝদার সমাজ-পর্যবেক্ষক হবার দরকার আছে। আমরা মূলকাজে আগ্রহী নই; চিল্লাচিল্লি আর কুতর্ক করে আনন্দ পাই। একদিন নিজের স্বজন মারা পড়লে বোধদয় হয় ...

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গৃহপালিতদের দিয়ে কোনকালেই কোন পরিবর্তন আসেনি! আসবেও না।

সমাজের জন্য যে কবি সে কোথায়? একজন নজরুল আর জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা শূন্যে! যদিবা কোন কবি লেখক ভাবে লিখে তা আধাঁরেই রয়ে যাবে..কর্পোরেট প্রকাশনা তাকে আলোর শূখ দেখতে দেবে না!
আর জনতাকে ধোকা দেবার যারা তারাতো এখন অনেক স্মার্ট! কারণ মিথ্যার অলংকারিক বিকাশ হয়েছে। মিথ্যা শিল্পের মতো চর্চিত হয় এখন।
সত্যবাদীরা এখন বোকা! কোনঠাসা! আর ব্যক্তিকেন্দ্রকতার বিকাশ এত তীব্রতায় ছুটছে আগেমর মতো সামষ্টিক ভাবনা সমাজের কল্যান ব্রত, মুক্তি নিয়ে ভাবতে চায়ান কেউ! কেউ ভাবলেও তাকে অর্বচঅীনতার অভিভাষনে সিক্ত হতে হয়!
ব্যাবেঞ্চাররা যেভাবে ফ্রন্ট লাইনে, কম মেধাবীরা যে কারণে টপ পোষ্টে মেধাবীরা যে কারণে দেশ ছাড়া প্রবাসে! সকল কারণ মিলিয়েই কেবলই নিরাশা দেখতে পাই।

স্বজনহারা বোধও যে আর সামস্টিকতায় নেই। পাশের ফ্লাটে কে মারা গেল আমি খবরও রাখিনা ! যদিবা জানি বিকার হীন মস্ত খানাপিনায় আনন্দে মশগুল!
অথচ ক বছর আগেও ভাবা যেত না। সকল কাজ ফেলে পাশে দাড়াত সবাই। আন্তরিকতায়! মেকি লোক দেখানো টিস্যু দিয়ে চোখ মোছা কান্নার অভিনয় নয়- সত্যি অনুভব করেই হৃদয় আর্দ্র হয়ে উঠতো!
এখনও গ্রামে কিছূটা অবশিষ্ট আছে। আর সেটুকই আশা! সেই বীজকে জন্ম দিয়ে ফলবান বৃক্ষে পরিণত করার সাধনায় কেউ যদি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে-হয়তো চলমান সব নষ্টতা বদলানোর আশা করা যায়! সেতো দূর অস্ত!

১৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৯

রমিত বলেছেন: জাগ্রত হোক বিবেক ৷

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার আলোচিত সিরিজটা মিস করছি। প্রায়ই ঢু মেরে আসি! দেখি নাই ... শীঘ্রই পাব কি?

১৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪

চলতি নিয়ম বলেছেন: লেখক বলেছেন: মনে করাটা আপেক্ষিক। য়েমন আমি আপনাকে প্রত্যক্ষ জানিনা। আপনার লেখা পড়ে বা মন্তব্যের ধরন দেখে একটা ধারনা করতে পারি মাত্র। অথচ বাস্তবে দেখা যাবে আপনি তেমন কিছূই নন। বা পুরোই উল্টো।
জঙ্গি তত্ত্বটা অনকেটা আমেরিকান আলকায়েদা নাটকের বাংলা ভার্সই মনে হয় আমার কাছে।
বুশের যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় কোন গ্যাঞ্জাম হতো- ঠাস কইরা লাদেন একখান ভিডিও ছাইড়া দিত- ব্যাস সরকারী ঝামেলা আড়ালে - বাঘ আইলো বাঘ আইলো গল্পের মতোই আলকায়েদার আড়ালে আরাম শাসন চালাই গেছে!
আর এখনতো জানেনই সব। আইএস নিয়ে ছলমান নাটকও তেমনি।
বাংলাদেশের আমজনতার ধর্ম ইসরাম। দাড়ি টুপি পাঞ্জাবী কমন ড্রেস। এখন এই চরম বাস্তবতাকে যদি আপনি বিভাজনে ফেলতে চান সহজেই পারবেন! যেমন এত বছর রাজাকার মানেই দাড়ি টুপি ব্রান্ডিং করে চলছিল। এখন জঙ্গি জঙ্গি নাটক চলতেছে- মূল ক্ষতিটা কার হচ্ছে দেশের। সাধারন ধর্মপ্রাণ আম জনতার।

সব নাটক?? (তাইলে তো হাসিনার কথাই সঠিক, তাই না ?) জাস্ট ওয়েক আপ ম্যান। দুনিয়ার তামাম মানুষ কে আবাল ভাবার কোনো কারন নাই। রাজাকার গুলাকে কি কখনো নিষেধ করেছেন ঐসকল ব্র্যান্ড প্রোডাক্ট ইউজ করতে? তাইলেই তো কোনো ঝামেলা হইতো না।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিষয়টা দৃষ্টিভঙ্গির!

আপনি হাসিনাকে ডিফেন্ড করতে চাইলে তার পক্ষে যুক্তি দেবেন। খালেদাকে চাইলে তার পক্ষে। আবার যদি দেশ আমজনতার দৃষ্টিতে দেখেন তখন তাদের পক্ষে।
সমস্যা হল সত্য যখন নিজের বিপক্ষ দলের পক।ষে চলে যায় অনেক চক্ষুমানও কানা হয়ে যায়! দল কানা! বিবেক হয় হলুদ!

না ভাবলৈও দুনিয়ার তামমা মানুষ আবালই হইছে! ইরাকে মাস ডিস্ট্রাখশন উইপেন বাত্তি দিয়াও খূইজা পায় নাই দেশটা ধ্ভং হইছে!! আপনার ওয়েকড ম্যানশিপ তখন কি বুঝতে পেরেছিল? পারে নাই বরং আবাল হয়েই ছিল!

রাজাকার সম্রাট বেয়াইতো টুপি পড়ে না! তারে ব্রান্ডিং করছেন। চাকমা রাজারে তো কুনদিন ভূলেও উপস্থাপন করতে দেখলাম না! ইনটেশনালি খঅলী দাড়ি টুপির বিরুদ্ধে ৩০ বছর দৌড়াইয়া এখনও নতুন জঙ্গি তত্ত্ব দিয়ে জাতিকে আবারও দ্বিধঅন্বিত করার অপচেষ্টায় রত!!!

জাইগা ঘূমাইলৈ জাগানো যায় না!!!

১৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

রমিত বলেছেন: এই মাসটা একটু ব্যাস্ত আছি ভৃগু ভাই। নেক্সট মাসে লেখার চেষ্টা করবো। এর মধ্যে দুয়েকটা কবিতা লিখেছি। ভালো থাকবেন।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।

আশার বানীতো পেলাম :)

১৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

রমিত বলেছেন: ভৃগু ভাই, সবকিছু দেখে দেখে মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে। মতামত প্রকাশের অধিকার বলতে আমি বুঝি, সবাই সবার মত নিশ্চিন্তে প্রকাশ করবে। আমরা মানুষ, রোবট নই। আমার জানামতে, জেনেটিক্স বলে, প্রতিটি মানুষই ইউনিক, তাই আমাদের নানা মত নানা পথ থাকাটাই স্বাভাবিক। বাগানে কি কেবল এক ধরনের ফুলই থাকবে? তাতে কি বাগান সুন্দর হবে? না কি বাগানের সৌন্দর্য্য নির্ভর করে বৈচিত্রের উপর। শত ফুলকেই তো ফুটতে দেয়া উচিৎ। অথচ আমার চারদিকে অনেককেই দেখি, যারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলতে বোঝে, 'আমি আমার মত প্রকাশ করবো, আমার মতটা ঠিক ও ভালো, অন্যের মতটা যেহেতু ঠিক নয় অতএব তাকে মত প্রকাশ করতে দেয়া যাবেনা।' বাহাস বা যুক্তি খন্ডন বিষয়টি, আমাদের সমাজে এখনো ঠিকমতো প্রতিষ্ঠা পায়নি।

আলী রিয়াজ ভাইয়ের আক্রান্ত হওয়ার দিনটি আমার এখনো মনে পড়ে। আমি তখন স্কুল গোয়িং বালক ছিলাম। খুব মর্মাহত হয়েছিলাম। রিয়াজ ভাই সেসময় বামপন্থি রাজনীতি করতেন। আমার যতদূর মনে পড়ে, তিনি আরেকটি বামপন্থী দলের সদস্যদেরর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলান।

এই পৃথিবীতে গণতন্ত্র নামক মতাদর্শটির জন্ম আড়াই হাজারের বেশী বছর আগের কথা। গ্রীসে এর প্রবর্তন করেছিলেন সোলন। অনেকেই এই গণতন্ত্রের বিরোধীতা করেছিলেন, যাদের একজন ছিলেন মহাজ্ঞানী সক্রেটিস। কিন্তু সক্রেটিস বাক স্বাধীনতার বিরোধী কখনোই ছিলেন না। কথা বলতে গিয়ে তো উনাকে অনেকের রোষের স্বীকার হতে হলো। আর শেষ পর্যন্ত সত্তর বছর বয়সে উনার মৃত্যুদন্ডও হলো।

সক্রেটিসের এ্যাপোলজি
http://www.somewhereinblog.net/blog/ramit/29939053

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন সিরিজিট মিস করছিলাম!!!! ভাবতেই দু:খ হল।

আর কৃতজ্ঞতা লিংকটি শেয়ার দেয়ায়!

আপনারা হয়তো বিশ্বাস করবেন না যে আমি সিরিয়াস; এবং যদি আমি বলো যে প্রত্যহ সততা ও এই জাতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করাটা, যেমন আপনারা শুনেছেন যে আমি নিজেকে ও ব্যাক্তিদের পরীক্ষা করে থাকি, এটা মানবজাতির জন্যে বিশাল মঙ্গলময়, এবং অপরিক্ষীত জীবন নিয়ে বেঁচে থাকাটাই অর্থহীন,

কি অসাধারন অনুভব! কি বাগ্মীতা! কি যুক্তি বুদ্ধি আর মেধা সততার ঝলক! হৃদয় উদ্ভাসীত হয়ে জ্ঞানােলােক।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

চলতি নিয়ম বলেছেন: নিজে কি লিখতেছেন তার আগামাথা ঠিক আছে তো ? একবার কৈতেছেন সব নাটক আবার কৈতেছেন মুফতি হান্নান কার আত্মীয় !!

ইরাকের হামলা ধুম কৈরা আইসা পড়ল আলকায়দা/আই এস আর আলোচনায় ক্যামেন? আমার ইরাক সিরিয়া আমেরিকা রাশিয়া নিয়া কুন মাথাব্যথা নাই। আমার চিন্তা শুধু নিজের দেশ নিয়া। নাই নাই কইয়া নাকে তেল দিয়া ঘুমান আর তারা ঐদিকে মাইরা মাইরা সবার কৈরা দিতাছে ।
আমনে দেখি রাজাকার শিরমনি চেনেন? তা শহীদ আব্দুল কাদের মোল্ল্যা, আর মুক্তি যোদ্ধা গু-আজম, চন্দ্রমানব, মুজা নিজামীরা ......... তো রাজবন্দী তাই না?


সরাসরি একটা কথা বলি, দিপন হয়তো কে খুন করা হয়েছে অভিজিতের বই প্রকাশ করার জন্য। আপনার কি মনেহয়?

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি কি বলছেন তার আগা মাথা ঠিক আছে তো?

এখানে যা বলা স্পষ্ট এবং দ্ব্যার্থহীন। সো বাতিল স্টাইলে ক্যাচায়া লাভ নাই।

আর যারা অবুঝ তাদরে দূরে থাকা বাঞ্চনীয়। কারণ এন্টেনার উপ্রে দিয়া গেলে কারো কিছু করার নাই!

আপনার কাছে রাজবন্দী হইল্ওে হইতে পারে! আমার কাছে নয়।

যেটা পুলিশের কাজ তা পুলিশরেই করতে দেন। একটা “হয়ত” ”কিংবা” অথবা ”মনে হয়,” ”ধারনা করি” দিয়া অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। বাস্তবতা হল যেই অপরাধী হোক তাকে বের করে দৃষ্টান্তশূলক শাস্ত দেয়া হোক। আইন শৃংখলা বাহিনী সকল প্রকার প্রভাব মুক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করুক।
কারন যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতার উপর স্তর থেকে কোন অনুমান, মনে করি চাপয়ি দেয়া হয়, তখন সুস্ঠু তদন্ত কখনোই সম্ভব হয় না।
যদি প্রকৃতই খুনিদের শাস্তি চান হয়তো অথবা ছেড়ে আইনকে আনের পথে চলতে দিন।

১৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০১

প্রামানিক বলেছেন: জাতির বিবেক ---- জাগ্রত হোক।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।

এই শেষ ভরসাটুকুই জাতির আশার স্থান।

১৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "কে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সেকুলার মুক্তবুদ্ধিওয়ালা আর কে ধর্মান্ধ বা ইসলামি জঙ্গী গোরস্থান তার বিচার করে না । শুধু কবরের ওপর ঘাস গজায়, আর একদা ঐতিহাসিকরা গবেষণা করতে বসে কিভাবে একটি জাতি তাদের বেয়াকুবির জন্য ধ্বংস হয়ে গেলো ।" অামরা ধ্বংসই হয়ে যাবো । বিবেক জাগার সম্ভাবনা ক্ষীণ!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ...কবরের ওপর ঘাস গজায় ....এই চিরন্তনীটুকু সবাই বোধে নিলেই বিবেক আপনাতেই জেগে উঠত. সর্বদা জাগরুক থাকত.

ক্ষীন আশা টুকুই বেঁচে থাকার আশা :)

ধন্যবাদ রূবিসা!

২০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: এই সব ঘটনায় সরকারের কিছুই আসে যায় না !!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নির্বিকার প্রতিক্রিয়াতো তাই বোঝা যাচ্ছে!

আর ইতিহাস বলে তুমি সকলের ব্যাপারে নির্ভাকির হলে এক সশয় সকলেও তোমার ব্যাপারে নির্বিকার হয়ে পড়বে! ;)

ধন্যবাদ মুদদাকির ভাই।

২১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৭

যুক্তিবাদী পঙ্কজ বলেছেন: বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশে ও ভারতে যুক্তিবাদী মানুষদের ওপর হামলা চলছে। ভারতে দাভোলকর, গোবিন্দ পানসারে, এম এম কালবুর্গি এই তিনজন কিছুটা অগ্রণী চিন্তার মানুষ, কিছুটা যুক্তিবাদী মানুষ। এদের হত্যা করল হিন্দুত্ববাদী সংস্থা।

আর গত বছর দুয়েকের মধ্যে বাংলাদেশে ছ’জন ‘প্রগতিশীল’ লেখক ও ব্লগার খুন হয়েছেন ইসলামপন্থী মৌলবাদীদের হাতে। গত ৩১ অক্টোবর ইসলামী মৌলবাদীদের হাতে খুন হলেন ‘জাগৃতি’ প্রকাশনা সংস্থার মালিক ফয়জল আরেফিন দীপন। আর তিনজন চপারের আঘাতে জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রকাশক আহমদ রশিক টুটুল। তাঁর সংস্থার নাম ‘শুদ্ধস্বর’। এই দুই প্রকাশকের অপরাধ তাঁরা যুক্তিমনস্ক বই প্রকাশ করেন। আহত দু’জন যুক্তিবাদী ব্লগার।

এই চলমান হামলার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন। আমরা এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার ও ঘৃণা জানাই। এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে ‘আনসার-আল-ইসলাম’ নামের একটি সংগঠন। এটি বাংলাদেশের বুকে আলকায়দার একটি শাখা সংগঠন।

পাশাপাশি, ভারতে গরুর মাংস খাওয়ার অপরাধে হত্যা বিভিন্ন প্রদেশে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নীরব। অর্থাৎ তিনিই প্রশ্রয়দাতা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও নীরব। কারণ তিনিও উগ্র মৌলবাদকে সমর্থন করছেন। আমাদের ধারণা এই হামলা রুখতে গেলে পাল্টা প্রত্যাঘাত করতেই হবে।

সমমনোভাবাপন্ন যুক্তিবাদীরা মৃত্যভয় সরিয়ে প্রত্যাঘাতের জন্য নিজেদের গড়ে তুলুন। যেদিন হত্যাকারীরা দেখবে একজনকে হত্যা করলে তাদের নিজেদের পাঁচজন মারা যায়, তখন তারা বিরত হবেই।

ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির পক্ষে প্রবীর ঘোষ

হিউম্যানিস্টস্‌ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সঞ্জয় কর্মকার

http://www.srai.org/অসহিষ্ণু-বাংলাদেশ-ও-ভারত/

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা বিশ্বকে বিভক্ত করে দিচ্ছি। আমরা দুই পক্ষেই আমাদের সন্তানদের হারাতে থাকব। আমরা কাঁদতে ভুলে যাব। নিজ নিজ সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়ে গোরস্থানের দিকে যাব, আর সন্তানের রক্তে আমাদের শরীর ভিজে যাবে।

কে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সেকুলার মুক্তবুদ্ধিওয়ালা আর কে ধর্মান্ধ বা ইসলামি জঙ্গী গোরস্থান তার বিচার করে না।
শুধু কবরের ওপর ঘাস গজায়,

২২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫২

যুক্তিবাদী পঙ্কজ বলেছেন: ভালোদের বেঁচে থাকতে গেলে, শোষক ও শোষিতদের হটাতে গেলে তাদের কবরে পাঠাতেই হবে। নাহলে সাম্য আসবে না। এর জন্য রক্ত তো ঝরবেই। না আন্দোলন করলেও রক্ত ঝরবে। মৌলবাদীরা আমাদের নিকেশ করবে আর আমরা ওদের চাপ্রক্ষা নীচে এগিয়ে যাবো তা তো হতে পারে না। এটা মাথায় রাখতে হবে আত্মরক্ষা আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আত্মরক্ষা আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি- সকলের জন্যই।

একজন অন্যায়কারীও কিন্তু নিজের কাজের স্বপক্ষে অনেক যুক্ত দাড় করায়। ভুল না সঠিক তা বিচার করতে ন্যায়দন্ডের তৃতীয় পক্ষ লাগে। জ্ঞানীর কাজ হলো এই অবস্থা সৃষ্টির কারণটাই দূর করা।
হামলা পাল্টা হামলার চেয়ে বিবদমানতার কারণটার মূর উপ্রে ফেললেতো ঝড়াই থাকবে না। তখন হবে প্রকৃত শান্তি। ণয় কি?

২৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩২

যুক্তিবাদী পঙ্কজ বলেছেন: অন্যায়কারীরা কিন্তু যুক্তিবাদী নয়। যুক্তিবাদীরা জ্ঞানী। যুক্তিবাদীদের যদি মৌলবাদীরা হত্যা করতে আসে এবং তাঁরা যদি তখন যুক্তির বুলি আওড়ায় হত্যাকারীদের সামনে, তাহলে কি শান্তি আসবে? আর একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যুক্তিবাদীদের এই শোষণের সমাজের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াতে হয়, কারণ তাঁদের লক্ষ্য সাম্য। তখন তাঁদের অনেক গুণ্ডা, মস্তানদের এমনকি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সঙ্গে লড়তে হয়। এমতাবস্থায় শুধু কলম দিয়ে লড়াই করা যায় না। অবশ্যই কলম লড়াইয়ের মূল অস্ত্র হবে যুক্তিবাদীদের। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে নিজেরর আত্মরক্ষার ব্যাপারটাও দেখতে হবে তাঁদের। আর এজন্য রক্তপাত ঘটলে তা শান্তির পক্ষেই ঘটে। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক্ষেত্রে পথ দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে অস্ত্র তুলে নিতে।
যুক্তিবাদীদের লড়াইটা এখন খুব বিস্তৃত। মানুষকে ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতা বোঝানোর সঙ্গে সঙ্গে মৌলবাদের সঙ্গে লড়াই, সাম্যের সমাজ গঠন করার লড়াই। শোষণহীন সাম্যের সমাজ গঠন করাটাই তাঁদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বলেছেন -" মানুষকে ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতা বোঝানোর সঙ্গে সঙ্গে মৌলবাদের সঙ্গে লড়াই, সাম্যের সমাজ গঠন করার লড়াই। "

ইশ্বরের অস্তিত্বহীনতা কি আজও প্রমাণীত। সেটাওতো এক শ্রেণীর লোকের বিশ্বাস। তাদের যুক্তি, জ্ঞান বা বােধের ভিত্তিতে তাদের বিশ্বাস! এর চেয়ে অনেক জরুরী এবং বড় কাজ আজো সমাপ্তি অপেক্ষায়,- দারিদ্র! বিশ্ব ভ্যাপি ক্ষুধা এবং দারিদ্র নির্মূলের কোন ফর্মুলা বা চিন্তা কি আছে তাদের? সেটা বরং এপ্লাই করলে তারা আরও বেশি মানুষ এবং মানবতার জন্য কিছু করার তৃপ্তি পাবেন।

বলেছেন- অন্যায়কারীরা কিন্তু যুক্তিবাদী নয়। যুক্তিবাদীরা জ্ঞানী।
আমি কিন্তু বলিনি অন্যায় কারীরা যুক্তিবাদী। বলেছি যুক্তি অন্ধ প্রয়োগের প্রসংগ আসলে তা সবার জন্যই উন্মুক্ত। অন্যায়কারীও তার কাজে সপক্ষে কোন না কোন যুক্তি তুলে ধরবেই।
যুক্তিবাদীরা জ্ঞানী। তবে জ্ঞান কিন্তু আপেক্ষিক। এক দেশে যা পাপ গণ্য অন্য দেশে পূন্য তাই। দেশ কাল সমাজ ধর্ম বিশ্বাস ভেদে জ্ঞানেরও বিভিন্নতা রয়েছে। এর মাঝে শুভ কল্যানের জন্য যা সার্বজনীন তাতে কিন্তু কারোই আপত্তি থাকছে না।
কিন্তু যখনই আপনি অযথাই একজনের বিশ্বাসকেই অর্থহীন বলে জোর করে আপনার ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতা বোঝানোর সঙ্গে সঙ্গে মৌলবাদের সঙ্গে লড়াই শুরু করবেন - তখন কিন্তু তা আর যুক্তার বাজারে থাকল না। চলে গেল লড়াইয়ের ময়দানে।
সেকানে কেউ হারবে কেউ জিতবে। কেউ মারবে কেউ মরবে...
আর ঠিক একঅনেই এই লেখার ম্যাসেজ- কবর কিন্তু নাস্তিক আস্তিক বোঝেনা । তার উপরে শুধু ঘাস গজায়!

মানে অর্থহীন রেষারেষী হিংসা না করে- শুভ সুন্দর প্রকৃত জ্ঞানের কাজ করলে মানুষ আপনাতেই সেই আলোর দিকে ছুটে আসবে। তার জন্য-ট্যাগিংবাজি, কারো নামে কুৎসা রটনা, বা মিথ্যাচার আরোপের প্রয়োজন পরে না। কারণ প্রকৃত সত্য জ্ঞান নিজেই আলো। অন্ধকার এমনিতেই দূর হয়। আর যদি মিথ্যা কিছূ চাপানোর চেষ্টা চলে বা অন্য কোন আলোকে নিভিয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়- তখন তা ভিন্ন প্রসংগ।
শোষণহীন সাম্যের সমাজ গঠনে বোধকরি কারো ব্যক্তিগত আস্তিকতার বিশ্বাস খুব একটা বড় বাধা নয়।
ভাল থাকুন।

২৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৫

যুক্তিবাদী পঙ্কজ বলেছেন: আমি কিন্তু মৌলবাদীদের বা সাধারণ মানুষকে ঘাড় ধরে ঈশ্বর নেই তা বোঝানোর কথা বলছি না। আমি যুক্তিবাদীদের আত্মরক্ষার কথা বলেছি মাত্র।
তাঁরা যদি ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন তাহলে কিন্তু তাঁরা তাঁদের বঞ্চনার কারণ বলতে ঈশ্বরের করুণা পাওয়া বা না পাওয়াকেই বুঝবেন। শোষণহীন সাম্যের সমাজ গঠন করার স্বপ্নও দেখবেন না। তখন সাম্যের সমাজ গঠন তাঁদের দ্বারা হবে না। সাম্যের সমাজ গঠন করা এই বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অত সহজ না। রাষ্ট্র বাঁধা দেবেই।
যেমন ধরুন আমি মাওবাদীদের কথাই যদি বলি। নকশাল আমলের নীতির কথা বলছি না। তাঁদের বর্তমান নীতির কথা বলছি। তাঁরা আত্মরক্ষার জন্যই অস্ত্র রাখে। রাষ্ট্র যদি তাঁদের ওপর হামলা চালায়, গ্রামবাসীদের ধর্ষণ, হত্যা করে, তখন কি মাওবাদীরা রাষ্ট্রকে ছেড়ে দেবে? তাঁরা আত্মরক্ষা করবেই।
আবার ব্যাপার কি জানেন স্বয়ম্ভর গ্রামের অধিবাসীদেরকে রাষ্ট্র একটা ট্যাগ জুড়ে দিয়েছে 'মাওবাদী' নামে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যুক্তিবাদীদের কিন্তু কোন ভয় নেই। তাই আত্মরক্ষার প্রশ্নই আসে না্‌

সমস্য হয় যুক্তির নামে যখন অন্যকে আঘাত করা হয় ১ অথবা নিজের আংশিক বোধটাকেই চূড়ান্ত ধরে অজ্ঞেয়তায় ডুবে একটা বিশেষ শ্রেণীকে আহত করার জন্যই কু-যুক্তি ফ্যালাসির আড়ালে নিয়মিত আক্রমন করা হয়। তো আপনি যখন আক্রমন কারী প্রতি আক্রমনের ঝুকিতো থাকবেই।
আমার বাবাকে দেখেছি মাওলানা হয়েও ব্রাহ্মন ঠাকুরের সাথৈ সবচে ভাল দোস্তির নজির রাখতে। সবচে বেশী সময় গল্প আড্ড দিতে।
সেখানে কিন্তু কাউকে আত্মরক্ষার ভাবনা ভাবতে হয় নাই।
কিন্তু বুঝৈ বা না বুঝে অন্য একটা সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠির ঘুটি ঞয়ে যখন জানতে বা অজান্তেই পারপাস সার্ভ করতে যায় তখনই সংঘাতটা আসে।

আর ধর্মের মূল সংগাতেই আপনাদের না বোঝার মূলটা নিহীত। ধৃ ধাতু থেকে ধর্ম। আপনি যে বিশ্বাস বোধকে লালন করেন তাই আপনার ধর্ম।
র্মহীন কেউ নয়। সৃষ্টির কোন বস্তুই নয়। আপনাপন ধর্মেই সবার যারযার বাজ করে যাচ্ছে। পানির ধর্ম আগুনের ধর্ম বৃক্ষর ধর্ম সবাই স্বাভাবিক পালন করছে।
মানুষও যদি নিজের ধর্মটা বোঝে তখন কোন ক্লেশই থাকে না। কিন্তু মানুষের লোভ মোহ ক্রোধ, মায়া মানুষকে তার স্বভাব ধর্ম থেকে দূরে সরিয়ে নেয়। তাই যুগে যুগে ভাল মানুষেরা এসে মানুষকে তার স্বভাবধর্মটা স্মরণ করিয়ে দেবার কাজটাই করে গেছেন।

আবার দেখূন স্বাভাবিক ক্ষেত্রে আপনিই ঘটনা প্রসংগে ঠিকই একমত হবেন- ব্যাক্তি দোষে গোত্রকে বা সমষ্টিকে দোষ দেয়া যায় না। অথচ এই আপনিই ধর্মের বা বিশেষ করে ইসলামের ক্ষেত্রে এসে চিৎকার করবেন - আপনাদের ধারনকৃত বোধে! তখন যে ইসলামের অনুসারী ব্যক্তিও একজন ভুলত্রুটি সম্পন্ন মানুষ তার ভুল ইসলামের ভূল নয়। মুসলিম সমাজের ভূল নয়- এই স্বাভাবিক সত্যটাও মানতে চান না। উল্টো যুক্তি শেষ হয়ে গেলে যা হয় গালাগালি আর হুমকি ধামকিতে শেষ হয় (এ পর্যন্ত অন্তত অনলাইনে যা দেখেছি )
মূল ব্যাপারটা হল জানা। আপনি যত জানার গভীরে যাবেন ত ক্লেশ কমে আসবে। ক্রোধ কমে আসবে। গভীরতা আসবে।
সাম্যের সমাজ একণো কেন সম্ভব হবে না। অবশ্যই সম্ভব। ঐ যে আমরা পথটা জানিনা। তাই এমন মনে হয়। সঠিক পথটা জানলে অবশ্যই একটা সফল বিপ্লব সম্পন্ন করা যায়। যারা পেরেছেন তারা জেনেছেন বলৈই পেরেছেন।
আমরা জানছি্ও না আবার নিজেদের সুবিধাবাদী মনোবৃত্তি, এড়িয়ে চলার মানসিকতা, কষ্টকে বরণ করতে না চাওয়ার প্রবৃত্তির কাছৈ আগেই হেরে বসে থাকছি।
আর ট্যাগিংতো চলছেই। চলবেও । তা সামুতেই হোক বা আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেই হোক।

এর মাঝ দিয়েই নিরাপদ পথটা বের করে নিতে হবে।

ভাল থাকুন।

২৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪

যুক্তিবাদী পঙ্কজ বলেছেন: আপনার বাবা ব্রাহ্মণের সঙ্গে যে বন্ধুত্বটা রেখেছিলেন, তা প্রশংসাজনক। তবে বর্তমান পরিস্থিতি আর সেরকম নেই। ভারতে তো নেই-ই। আমি এটা মানতে পারলাম না যে যুক্তিবাদীদের ভয় নেই। তাহলে বাংলাদেশে এবং ভারতে মুক্তমনাদের হত্যা হচ্ছে কী করে? আপনি কি মনে করেন তাঁরা অন্য কোনও প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের মানুষকে জোর করে ঘাড় ধরে নাস্তিক বা যুক্তিবাদী বানাতে চাইছিলেন? আমি কিন্তু মনে করিনা। মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবারই আছে। ওনারাও তাঁদের মত প্রকাশ করেছিলেন। এই মত প্রকাশের জন্য যদি কারও বিশ্বাসে আঘাত লাগে সেটা তো ভালো। তাঁরা তখন ভাবতে বসবে- একি কয়! এরকম কি হয়! তারা বুঝতে শিখবে। আর এইভাবেই তো সতীদাহ প্রথা, বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছিল।
আমি যতদূর জানি ধর্মের দুটি অর্থ আছে। একটি হল, বিশ্বাস বা আচার আচরণ পালন, এবং অপরটি হল- গুণ বা বৈশিষ্ট্য। সেই অর্থে মানবিকতা আমাদের ধর্ম। হিন্দু বা মুসলিম বা অন্য কোনও কিছু নয়।

আমিও কিন্তু ছোটোবেলায় প্রচণ্ড আস্তিক ছিলাম। কিন্তু যুক্তির ছোঁয়ায় আসাতে নিজেকে বদলাতে পেরেছি। আমার চারপাশের পরিবেশ প্রচণ্ড ধর্মীয় গোঁড়ামিতে ভর্তি। কিন্তু তাঁর মাঝেও আমি কাজ করে যাচ্ছি। এখন যদি কেউ আমায় মারতে আসে তা সেটা রাজনৈতিক কারণে হোক বা ধর্মীয় কারণে, তবে বুঝতে হবে তাঁদের business-এ আঘাত লেগেছে। যারা মারতে আসছে তারা সাধারণ মানুষ নয়, তারা স্বার্থপর, লোভী। সাধারণ মানুষকে ঈশ্বরের কুহকে ভুলিয়ে রেখে তাদের মুনাফা লুঠতে চায়। এর সঙ্গে সঙ্গ দেয় গদিতে বসা রাজনৈতিক দল। তখন তো ভাই আমাকে সাবধান হয়ে আমার আত্মরক্ষা করতেই হবে। আমি এ নৌকোতেও থাকব এবং ও নৌকোতে তা তো হয় না।

আপনি যদি সাম্যের আন্দোলনের ইতিহাস পড়েন তবে দেখতে পাবেন সেখানে রক্তক্ষয়ী বিপ্লব হয়েছে এবং হচ্ছে। পূর্ববর্তী সাম্যের নীতিগুলি এখন আর প্রযোজ্য হয় না ঠিকই। এখন তাঁরা যে নীতি মেনে চলেন তা হল স্বয়ম্ভর গ্রাম। গ্রামবাসীরা নিজেদের একটা কমিউন তৈরি করে। সেখানে বেশ্যাখানা নেই, মদের ভাটি নেই, দুর্নীতি নেই। আছে সাম্য। কিন্তু সরকার তা মেনে নেবে কেন! তাদের মুনাফা যে কমে যাচ্ছে! তখন তারা শুরু করে ওই সাধারণ মানুষগুলোর ওপর নির্যাতন। সে আর ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। খুন, ধর্ষণ সবই চলে।
এমতাবস্থায় যদি তাঁরা যদি নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য হাতিয়ার না তুলে নেয় তাঁদের তো কচুকাটা করে মারবে সরকার।
এর থেকে কোনও সঠিক পথ যদি আপনি জানেন তাহলে নিশ্চয় জানাবেন।
এই স্বয়ম্ভর গ্রাম সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল, তাই বললাম। আর আবার বলি আত্মরক্ষা আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.