নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যু পরবর্তী জীবন -১ : বিভিন্ন অধিবিদ্যীয় মডেল অনুযায়ী পরকাল

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৫

যাপিত জীবনে সূখ-দু:খ হাসি কান্নার মাঝে সকলেই যারযার মতো করে জীবনকে যাপন করি। যার যার বিশ্বাস অনুসারে তাতেই দৃঢ়তর অনুভবে তাকেই লালন করি অন্তরে। তা অতি স্বাভাবিকও বটে। এরই মাঝে জ্ঞাতে, অজ্ঞাতে, চেতনে-অবচেতনে মৃত্যু বা মৃত্যু ভাবনা ক্ষনিকের জন্যে হলেও আমাদের তাড়িত করে। কখনো আপনজনের মৃত্যু দেখে বা ঘটনা অবহিত হয়ে- অজানিতেই মন কেমন হয়ে যায়! কি আছে ওপারে?
কেমন সেই জীবন? আদৌ কি কোন জীবন আছে?
নাকি সবই ভ্রম! নানান ভাবনারা জ্ঞানানুপাতে ভীর করে।
এ প্রশ্ন শুধু আজকের নয়। সৃষ্টির পর থেকেই বোধ করি সবচে প্রাসংগিক এই ভাবনাই মানুষকে বেশি ভাবিয়েছে। তাই দেখা যায়
মৃত্যুর পরবর্তী জীবন নিয়ে আমাদের আগ্রহের শেষ নেই। এবং বিশ্বজুড়ে প্রচুর মতবাদ, বিশ্বাস চর্চিত হচ্ছে যুগে যুগে।

অজানা সেই জীবনটি কেমন হবে, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় আমাদের ধর্মগ্রন্থগুলোর মাধ্যমে। একইসাথে আমাদের আগ্রহ রয়েছে প্রাচীন পৃথিবীর মানুষদের জীবনযাত্রা তাদের বিশ্বাস সর্ম্পকে । তারা কীভাবে ভাবতেন, কি বিশ্বাস করতেন, পরকাল ভাবনায় তাদের চেতনায় কি ছিল? ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা অনেক কিছুই জেনেছি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে যাওয়া জ্ঞানীদের বদৌলতে। ধর্মীয় গ্রন্থ, গবেষনা গ্রন্থ, হালের উইকি আমাদের জানার পথকে করে দিয়েছে অনেক সহজ।
শুধু প্রয়োজন নিজের আগ্রহ আর তার সন্ধানে আগ্রহী মন। মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে আমার আগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ারে এই সিরিজ আয়োজন। বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধর্ম মত বা ধারনা জানা যায়। এখানে শুধু প্রধান প্রধান মতগুলো নিয়েই সম্পাদনা করা হয়েছে কলেবর ছোট করার স্বার্থে।

মৃত্যু পরবর্তী জীবন বা পরকাল হল একটি জগতের ধারণা, যে ধারণা অনুসারে ব্যক্তির শরীরের মৃত্যু হয়ে গেলেও তার আত্মপরিচয় বা চেতনার অস্তিত্ব থেকে যায়। পরকালের বিভিন্ন ধারণা অনুযায়ী মৃত্যুর পরেও থেকে যাওয়া ব্যক্তির এসেন্স কোন আংশিক উপাদান অথবা পূর্ণাঙ্গ আত্মা বা স্পিরিট হতে পারে। এই এসেন্স কোন ব্যক্তিগত পরিচয় বহন করতেও পারে আবার নাও পারে যেমন ভারতীয় দর্শনের নির্বাণ। পরকালের উপর বিশ্বাস প্রকৃতিবাদী দর্শন থেকে আসতে পারে অথবা অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাস থেকে আসতে পারে। এই বিশ্বাস এটারনাল অবলিভিয়ন ধারণায় বিশ্বাসের বিপরীত।

মিশরীয় পরকাল যাত্রার ছবি

কিছু লোকায়ত মতবাদ অনুসারে, মৃত্যুর পরও অস্তিত্ববহন করা এই সত্তা কোন অতিপ্রাকৃত জগতে অবস্থান করে, আবার অন্যান্য লোকায়ত মতবাদ অনুসারে এই সত্তার পুনর্জন্ম ঘটে এবং পুনরায় জীবনচক্র শুরু হয়। এক্ষেত্রে পূর্বের জীবন সম্পর্কে কোন স্মৃতি থাকে না। এই মতবাদ অনুসারে সত্তার একটি অতিপ্রাকৃতিক জগতে প্রবেশের আগ পর্যন্ত বারবার জন্ম ও মৃত্যুর প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। পরকাল সংক্রান্ত বেশিরভাগ বিশ্বাসেরই উৎপত্তি ধর্ম, এসোটেরিসিজম এবং অধিবিদ্যা থেকে।

কিছু বিশ্বাস ব্যবস্থা বিশেষ করে আব্রাহামিক ধর্মেগুলোর বিশ্বাস অনুযায়ী মৃত্যুর পর সত্তা জীবিতাবস্থায় পৃথিবীতে তার কৃতকার্য ও বিশ্বাস অনুযায়ী ঈশ্বর বা কোন স্বর্গীয় বিচারের দ্বারা নির্ধারিত বিশেষ স্থানে গমন করে। অন্যদিকে ভারতীয় ধর্মগুলোর পুনর্জন্ম বিশ্বাস অনুযায়ী মৃত্যুর পর কৃতকার্য অনুসারে সত্তার প্রকৃতি সরাসরি নির্ধারিত হয়ে যায়, এতে ভিন্ন কোন সত্তার সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয় না।

বিভিন্ন অধিবিদ্যীয় মডেল অনুযায়ী পরকাল
অধিবিদ্যীয় মডেলগুলোতে আস্তিকরা সাধারণত একধরণের পরকালে বিশ্বাস করে থাকেন যা মৃত্যুর পর তাদের জন্য অপেক্ষা করে। কিছু সাধারণ অ-আস্তিক্যবাদী ধর্মের সদস্যরা পরকালে বিশ্বাসমুখী হন, কিন্তু এই বিশ্বাসে কোন ঈশ্বর থাকে না। স্যাডিউসিজ নামে একটি প্রাচীন ইহুদি সম্প্রদায় আছে যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করলেও পরকালে বিশ্বাস করতেন না।
অনেক ধর্মই, তা সে খ্রিষ্টধর্ম বা ইসলাম বা অনেক পৌত্তলিকতাবাদী বিশ্বাস ব্যবস্থার মত পরকাল বলতে মৃত্যুর পর অন্য এক জগতে আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাসী হোক অথবা হিন্দুধর্ম বা বৌদ্ধধর্মের অনেক ধারার মত পুনর্জন্মেই বিশ্বাসী হোক, সকল ক্ষেত্রেই বিশ্বাস করা হয় যে পরকালে কোন ব্যক্তির অবস্থা হচ্ছে জীবিতাবস্থায় তার কৃতকার্যের শাস্তি অথবা পুরষ্কার।

জন্মান্তরবাদ
জন্মান্তরবাদ বা পুনর্জন্ম একটি পরকাল সম্পর্কিত ধারণা যা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, রসিক্রুশিয়ান, থিওসফিস্ট, স্পিরিটিস্ট গণ এবং উইক্কানদের বিশ্বাস ব্যবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়া কাব্বালিস্টিক ইহুদি ধর্মেও পুনর্জন্মকে গিলগুল নেশামত (আত্মার পুনর্জন্ম) নামে একটি বিশ্বাস হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। জন্মান্তরবাদের ধারণা অনুযায়ী, মৃত্যুর পর আত্মা আরেকটি নতুন জীবন শুরু করে। মোক্ষ বা মুক্তি অর্জনের পূর্ব পর্যন্ত পুনর্জন্মের এই ধারা চলতে থাকে।
জন্মান্তরবাদ বিশ্বাসের আরেকটি দিক হচ্ছে, এই বিশ্বাস অনুযায়ী প্রতিটি জীবন একই সাথে একটি পরকাল এবং পূর্বকাল। এই বিশ্বাস মতে, বর্তমান জীবন হল পূর্বজন্ম বা কর্মের ফল।
রসিক্রুশিয়ানগণ মৃত্যু-পূর্ব অভিজ্ঞতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মতই লাইফ রিভিউ পর্যায়ের কথা বলেন, যা মৃত্যুর ঠিক পরপরই কিন্তু নতুন জীবন শুরু এবং স্বর্গীয় বিচারের পূর্বে ঘটে। এই ঘটনাটি অনেকটা জীবনের চূড়ান্ত পরযালোচনা বা চূড়ান্ত রিপোর্ট এর মত।

স্বর্গ ও নরক
আব্রাহামিক ধর্মগুলো অনুসারে ব্যক্তি মৃত্যুর পর পৃথিবীতে তার কৃতকার্য বা বিশ্বাস অথবা প্রিডেস্টিনেশন বা ভাগ্য এবং আনকন্ডিশনাল ইলেকশন এর ভিত্তিতে স্বর্গ বা নরকে যান অথবা মৃত ব্যক্তির পুনরুত্থানের সময় পর্যন্ত একটি মধ্যবর্তী অবস্থায় অপেক্ষা করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বর্গ হল ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তির জন্য মৃত্যুর পর পুরষ্কারস্বরূপ প্রাপ্ত একটি অবস্থা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বর্গকে ঈশ্বরের সাথে চিরমিলনের অবস্থা হিসেবে দেখা হয়। অন্যদিকে নরক হল পাপী ব্যক্তিদের শাস্তি এবন পীড়নের জন্য একটি অবস্থা। এটা চিরকাল ব্যাপী অথবা একটি নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত শাস্তির জায়গা যেখানে ব্যক্তিকে অন্যান্য পাপাত্মার এবং পতিত স্বর্গদূতদের সাথে বন্দিদশায় থাকতে হবে।

আফ্রিকান পরম্পরাগত বিশ্বাস
পরম্পরাগত আফ্রিকান ধর্মগুলো পরকাল সম্পর্কে বিচিত্ররকম বিশ্বাস ধারণ করে। হাজদাদের মত শিকারী-সঞ্চয়কারী সমাজের মধ্যে পরকাল সম্পর্কিত কোন বিশেষ বিশ্বাস নেই। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী ব্যক্তির মৃত্যুর অর্থ হল সম্পূর্ণভাবে জীবনের শেষ। ইয়মবে, বেং, ইয়রুবা এবং এওয়ে সংস্কৃতি সহ সমগ্র সাব-সাহারান আফ্রিকাতেই পূর্বপুরুষ আচার প্রত্যক্ষ করা যায়। এই পূর্বপুরুষ আচার হল একটি বিশ্বাস যেখানে মৃতব্যক্তি পুনরায় জীবিতাবস্থায় তাদের পরিবারে ফিরে আসে। এই পুনর্জন্মে নতুন ব্যক্তি তার পূর্বপুরুষের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো লাভ করে কিন্তু তার আত্মা লাভ করে না। এক্ষেত্রে প্রতিটি আত্মাই আলাদা এবং একেকটি জন্ম একেকটি নতুন আত্মার প্রকাশ। ইউরোবা, ডোগোন এবং লাডোগাদের পরকালের ধারণাগুলোর সাথে আব্রাহামিক ধর্মগুলোর মিল রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ আফ্রিকান সমাজেই একটা সাধারণ চিত্র দেখা যায়, সেটা হল তাদের পরকালে স্বর্গ ও নরকের পরিষ্কার ধারণার অনুপস্থিতি। কিন্তু মৃত্যুর পর ঈশ্বর কর্তৃক আত্মার বিচারের ধারণা তাদের মধ্যে পাওয়া যায়। মেন্ডে এর মত কিছু সমাজে অনেকগুলো বিশ্বাসের একত্রে উপস্থিতি দেখা যায়। মেন্ডেরা বিশ্বাস করে যে ব্যক্তির দুইবার মৃত্যু হয়। একবার মৃত্যু ঘটে মেন্ডেদের গোপন সমাজে যোগদানের পূর্বে যা জীববিজ্ঞানগত মৃত্যু নয়, আর দ্বিতীয়বারের মৃত্যুটি হল জীববিজ্ঞানগত মৃত্যু যখন ব্যক্তি আসলেই মারা যায়। দ্বিতীয় মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ব্যক্তি পূর্বপুরুষ হয়ে যায়। মেন্ডেরা এও বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর কর্তৃক তাদের সৃষ্টির পর তারা পরপর দশটি জীবন যাপন করেছিল আর এই প্রত্যেকটি জীবনই একেকটি ক্রম অবরোহী জগতে। এদের একটি মিশ্র-সাংস্কৃতিক ধারণা হল পূর্বপুরুষগণ জীবিতদের জগতেরই একটি অংশ এবং জীবিতদের সাথে তাদের একটি সম্পর্কও থাকে।

চলবে - -

তথ্যসূত্র কৃতজ্ঞতা:
উইকি
অন্তর্জাল

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আগে উপস্থিতি জানান দিই। পরে পড়ে আবার আসছি।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা :)

অপেক্ষায় রইলাম প্রিয় পদাতিক দা'

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দারুণ যুক্তি নির্ভর লেখা, বিস্ময়কর অদ্ভুত মনে হলেও ভালো লাগলো জেনে। সুন্দর লিখেছেন ভাই, পাঠকের মনকাড়া লেখনি।

ভালো লাগলো পোস্ট

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নয়ন ভায়া :)
এ বিষয়ে পড়তে গিয়ে দারুন সব টপিক পেলাম। জানলাম। তাই নিয়ে আমাদের জন্য
ছোট্ট সিরিজ সংকলনের প্রচেষ্টা!
ভালো লাগায় অনুপ্রানীত হলাম। আশঅকরি সাথে থাকবেন সকল পর্বে :)

শুভেচ্ছা অফূরান

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৮

করুণাধারা বলেছেন: পড়লাম। সময় নিয়ে মন্তব্য করতে হবে। ইনশাল্লাহ, পরে আসছি।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ পাঠে এবং উপস্থিতিতে :)

কেমন আছেন? আশা করি কুশলেই :)

অপেক্ষায় রইলাম।
শুভেচ্ছা অন্তহীন

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,



মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে বিভিন্ন বিশ্বাসের কথা জানলুম।
সবই তো বুঝলুম কিন্তু "আমি কে ?" বা "নিজেকে জানো" আগে এটা জেনে নেয়া ভালো। আর "মৃত্যু"টা যে কি তারই তো কোনও ঠিকঠাক ব্যাখ্যা মনে হয় এখনও নেই।
আগে এগুলো জানলে, আমাকে সৃষ্টির উদ্দেশ্যটাই বা কি এর একটা সর্বগ্রাহ্য হাইপোথিসিস দাঁড় করানো যেতে পারে।

প্রিয়তে রাখছি তথ্যের জন্যে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জিএস :)

হুম। এটা শুরু, পরের পর্বে আসবে বিভিন্ন ধর্ম ভিত্তিক বিশ্বাস নিয়ে।
আশা করি আপনার মূল্যবান মতামত নিয়ে পাশে পাবো :)

শুভেচ্ছা অন্তহীন। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

আরোগ্য বলেছেন: অনেক অজানা কিছু জানলাম ভৃগুদা। পরের পর্বের অপেক্ষায়।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধণ্যবাদ আরোগ্য ভায়া :)

শুভেচ্ছা অন্তহীন

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৯

সুমন কর বলেছেন: এসব বাদ দ্যান, মৃত্যু চাই.......নিরব আর দুম করে মৃত্যু ! কেউ জানবে না, কাউকে বিরক্ত করব না, কোন হাসপাতাল না.........

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এক্কেবারে মনের কথাডা কইছুইন!

কেউ জানবে না, কাউকে বিরক্ত করবো না কোন হাসপাতাল না!

হুম আমিও দৃঢ় ভাবেই চাই কর্মময়তায় ব্যাস্ততায়, সুস্থতার মাঝেই যেন চলে যেতে পারি
কারো গলগ্রহ না হয়ে, মূখাপেক্ষি না হয়ে।

পরম প্রভু আপনার মনের ইচ্ছা পূর্ন করুন।
শুভকামনা রইল

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা মানুষের জীবনকে বুঝতে অক্ষম ছিলো তারা মৃতদের জীবন নিয়ে ভেবেছে, এতো সুন্দর মানুষের জীবনে যা ঘটছে, মরে গেলো আরো ভালো কিছু ঘটবে, এর থেকে বেকুবী ভাবনা আর কি হতে পারে?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মৃত্যুর পর পারলে যোগাযোগ কইরেন ;)
হা হা হা

আপনার কাছ থেকে আপডেটো জেনে নেব খন ;)

মায়ের পেটে দুই শিশুর কথোপকথন :
১ম শিশু: নিশ্চয়ই আমাদের এ জীভনের পর পরকাল আছে!
২য় শিশু: ধুর, বেটা মৃত্যুর পর কিস্যু নাই! এই জীবনই সব! কত সুন্দর!
কিছু করতে হয়না, নাভী দিয়ে খাদ্য শক্তি আসে। আর দুনিয়া আবার কি! এইতো দুনিয়া!
১ম শিশু: না আমি যেন দেখতে পাই সে এক বিশাল দুনিয়া! আমাদের দুনিয়ার চেয়ে লক্ষ কোটি গুন বড়
অনেক সূখ শান্তি আছে, দু:খ কষ্টও আছে! আমাদের কর্ম তরেই খেতে হবে!
২য় শিশু: হা হা হা, আমরা মূখ দিয়ে খাব! অসম্ভব! আর আমাদের দুনিয়ার চেয়ে লক্ষ কোটি গুন বড় দুনিয়া!!
তুই পাগল! হইছস!

এরকম একটা কনভারসেশন মাদ্যমে তুলনামূলক গল্প পড়েছিলাম। বেশ সময়োপযোগী মনে হল।

ভাবনার ভিন্নতার জন্যই তো এত মত এত পথ এত ধর্ম এত দর্শন!!!
আপনার ভাবনার প্রকাশে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইল

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: মৃত্যুর পর কিচ্ছু নেই শূন্য।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার জন্য পুরা গল্পটা খুঁজ বের করলাম!

এক মায়ের গর্ভে দুইটি বাচ্চা ছিলো। দুটোই এক সাথে বড় হচ্ছে। গর্ভবস্থায় থাকার এক পর্যায়ে প্রথম বাচ্চাটি অন্য বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করল। আচ্ছা তুমি কি ডেলিভারীর পরে জীবনে বিশ্বাস করো?
দ্বিতীয় বাচ্চাটি বলল, কেন না? অবশ্যই বিশ্বাস করি। আমার তো মনে হয়, ডেলিভারীর পর অবশ্যই দ্বিতীয় জীবন বলে কিছু একটা আছে, আমরা হয়ত সেই লাইফের প্রস্তুতি এখান থেকেই নিচ্ছি।

প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে প্রথম বাচ্চাটি বলল, ননসেন্স! ডেলিভারির পর কোন দ্বিতীয় জীবন বলে কিছু নাই। কিছুটা থেমে আবার ব্যাঙ্গাত্বক স্বরে জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা ধরলাম আছে, তা বলো তো শুনি কেমন যেটা?

দ্বিতীয় বাচ্চাটি বলল, আমি ঠিক জানি না তবে মনে হয় এখানের চেয়ে আরো অনেক আলো বাতাস থাকবে। হয়ত আমরা নিজেদের পায়ে হাটব, নিজেদের মুখ দিয়ে খাবো। হয়ত আমাদের আরো অনেক জ্ঞান বা অনুভুতি হবে যা হয়ত আমাদের এই মুহুর্তে নেই বা আমরা বুঝতে পারছি না।

প্রথম বাচ্চাটি বলল, এটা চুড়ান্ত মুর্খতা, এ্যাবসার্ড। হাটা - কখনই সম্ভব নয় আর নিজেদের মুখ দিয়ে খাওয়া? রিডিউকুলাস! শুনো মুর্খ! আম্বিলিকাল কর্ড বা নাভিরজ্জু আমাদের সকল খাবার, পুষ্টি আর বাকি যা যা দরকার সবই দিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এই কর্ড খুবই ছোট। এটা ছাড়া বাচা সম্ভব না। ফলে ডেলিভারীর পর অন্য জীবনের চিন্তা বাদ দিতে পারো।

দ্বিতীয় বাচ্চাটি কিছুক্ষন চুপ করে রইল। তারপর বলল, দেখো! আমার মনে হয়, ডেলিভারীর পর কিছু জিনিস আমাদের এখানের চাইতে ভিন্ন হতে পারে। হয়ত আমাদের এই সব কর্ড নাও লাগতে পারে।

প্রথম বাচ্চাটি প্রচন্ড হাসিতে ভেঙ্গে পড়ল, হাসি থামিয়ে বলল, ননসেন্স কোথাকার! তা আমাকে বলো, ডেলিভারীর পর যদি কোন জীবন থেকেই থাকে, তাহলে সেখান থেকে কেউ এখনও ফিরে আসলো না কেন? শুনো মুর্খ! মনে রাখবো, ডেলিভারী হচ্ছে জীবনের শেষ! ডেলিভারীর শেষে অন্ধকার আর শূন্যতা ছাড়া কিছুই নেই! তোমার কিছুই মনে থাকবে না। কিচ্ছু না! সব শেষ!

দ্বিতীয় বাচ্চাটি সব শুনে চুপ করে রইল। তারপর বলল, দেখো, আমি এত কিছু জানি না। তবে আমার বিশ্বাস, একদিন অবশ্যই আমাদের সাথে আমাদের মায়ের দেখা হবে! আর সে আমাদের সবার যত্ন নিবে, ভালোবাসবে।

প্রথমজন বিষ্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করল, কি বললা? মা!! তুমি সত্যি মা তে বিশ্বাস করো?? হা হা হা! এইটা হাইস্যকর!! যদি মা থেকেই থাকে তাহলে কোথায় সেই মা? আমরা দেখি না কেন? সে আমাদের সামনে আসে না কেন??

দ্বিতীয়জন বলল, মা আমাদের চারপাশেই আছে। তিনি সব সময়ই আমাদের দেখছেন, খেয়াল রাখছেন। আমরা হয়ত তাঁর স্বত্তার ভেতরই বাস করছি। তাঁকে ছাড়া আমরা এখন যেখানে আছি, সেটার অস্তিত্ব থাকত না।

প্রথমজন কিছুটা ক্ষীনকন্ঠে বলল, দেখো! আমি তাঁকে দেখি নাই। সুতরাং লজিক্যালি মায়ের অস্তিত্ব বলে কিছু নাই।

দ্বিতীয়জন মিষ্ঠি হেসে বলল, যখন তুমি একাকী আর নীরবতায় থাকবে, তখন তুমি একটু খেয়াল করো। তাহলেই তাঁর অস্তিত্ব, ভালোবাসা আর আদরের ডাক উপর থেকে শুনতে পাবে।

# এই লেখাটা একটা ইংরেজী আর্টিকেলে পড়েছিলাম। সেখান থেকে অনুবাদ করে সকলের সাথে শেয়ার করলাম। সৃষ্টিকর্তাকে যারা খুঁজতে চান, তাদের হয়ত কিছুটা সাহায্য হবে। তবে শেষ কথাটি ভীষন গুরুত্বপুর্ণ -

" যখন তুমি একাকী আর নীরবতায় থাকবে, তখন তুমি একটু খেয়াল করো। তাহলেই তাঁর অস্তিত্ব, ভালোবাসা আর আদরের ডাক উপর থেকে শুনতে পাবে"

মন্তব্যরে জন্য শুভচ্ছো :)

৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই শুভ সকাল,
গতকালকেই আপনার লেখাটা দেখেছিলাম। আপনার লেখা ব্লগে একেবারেই অন্যরকমের হয়। সময় নিয়ে, মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে পড়তে হয়। মনে চিন্তার ও ভাবনার দরজা খুলে দেয়। আসমাউল হুসনা নিয়ে এক কবিতা লিখে সেটা সোজা আমার মাথায় সেই যে ঢুকিয়ে দিয়েছেন, সেটা এখনও বের করতে পারিনি। ইনসাল্লাহ ওটা নিয়ে চমৎকার একটা পোস্ট দিব।

মৃত্যু - এক চরম অজানা, কিন্তু সৃস্টি আদি থেকে সবচেয়ে রহস্যময় একটা দুর্দান্ত টপিক। চিন্তাশীলদের জন্য বড়ই ভাবনার বিষয়। ধর্ম সময়ের সাথে সাথে বিবর্তনের কারনে এই সব চিন্তাচেতনা আরও পরিবর্তন হয়েছে। তবে আমার সবসময় একটা জিনিস মনে হয় যে, পৃথিবীর প্রায় ধর্মই আসলে উপর থেকে এসেছে কিন্তু সময় আর স্বার্থের প্রয়োজনে মানুষ সেইগুলিকে ধীরে ধীরে পরিবর্তন করেছে। আর সেজন্যই এদের মধ্যে পার্থক্য এসেছে কিছু কিছু জায়গায়........

আপনার এই লেখাটার সাথেই আছি আমি। পড়তে খুব ভালো লাগলো। কেউ কেউ উল্টা পাল্টা মন্তব্য করবে, সেটাকে পাত্তাই দিবেন না। আপনি আপনার মতো লিখে যান।
আর চমৎকার একটা বিষয় তুলে নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই নীল আকাশ :)
নাম সন্ধানে আপনার মুগ্ধতায় আপ্লুত। আপনার চমৎকার পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম।

হুম। ধর্মের আদি মৌলিক বিষয়গুলো সবসময়ই অবিকৃত ছিল। স্বার্তবাদীরা জ্ঞান পাপাীরা তাতে নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্তে বৃহৎ ক্ষতি করেছে! কিন্তু মৌলিক সত্য তাতে বিকৃত হয়নি। আচারে বা পোষাকী অনুসারীরা হয়তো বিভ্রন্ত হয়েছে, সত্য সন্ধানী কখনোই নয়।

আপনি সাথে আছেন এবং ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। হুম। ধন্যবাদ সু পরামর্শে।
ধন্যবাদ আবারো , শুভেচ্ছা অন্তহীন

১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার উপরের মন্তব্যে অনুবাদ করা গল্পটা দুর্দান্ত হয়েছে। খুব ভালো লাগলো পড়তে। ধন্যবাদ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ গল্পের সূত্র হিসেবে কৃতজ্ঞতা কা_ভা ভাইয়ের কাছে।

আগে পড়ে আংশিক হিসেবে পেলেও উনার পোষ্টে পূরোটা পেয়েছি দারুন প্রাঞ্জলতা আর নান্দনিকতায় :)
ধন্যবাদ আবারো :)

১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৬

অলিভিয়া আভা বলেছেন: মুলত মানুষ মরে যেতে ভয় পায়। তাই মরার পরেও একটা পর্যায়ে গিয়ে আবার বেচে উঠবে এই ধ্যান ধারনা থেকেই নানা মতবাদ এর উতপত্তি বলে মনে হয়।
আপনার সিরিজের সাথে থাকি-- দেখি নতুন কিছু জানা যায় কীনা।
থ্যাংকস

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অলিভিয়া আভা :)

হুম। হতেও পারে। আবার বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে ধর্মের আদেশ মতো। সামনের পর্বে বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা থাকবে।
সাথে থাকার আশ্বাসে অনুপ্রাণ পেলাম :)

শুভেচ্ছা অফুরান

১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অব্লিভিয়ন ধারণা সম্পর্কে যদি দু এক কথা বলেন।

আপনি এত গুরু গম্ভীর বিষয় নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন ; ঠিক কোথা থেকে শুরু করবো বুঝে উঠতে পারছিনা এত বিস্তারিত এবং তথ্য বহুল হওয়ার কারণে।
নির্বাণ ,মোক্ষলাভ ,জন্মান্তরবাদ বিষয়গুলি সঙ্গে পরিচিত থাকলেও কতগুলি বিষয় একবার নতুন লাগলো; যেমন - স্যাজুউজিস মতবাদ , উইককান , কাব্বালিস্টিক, রসিক্রুসিয়ান, প্রভৃতি ।
ভালো লাগলো আফ্রিকান পরম্পরা সম্পর্কে জেনেও। ইয়ংবে, বেং , ইয়রুবা, এওয়ে র মত আফ্রিকান সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়ে। ভালো লাগলো ইউরোবা, ডোগণ , লাগোডাদের পরকাল সম্পর্কে বিশ্বাস এর খবরা খবর জেনেও।
জীবন সম্পর্কে মেন্ডেদে'র দুবার মৃত্যু সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে গেছে। ভারী অদ্ভুত লাগল তাদের মিশ্র সংস্কৃতির কথা জেনে। সবমিলিয়ে দারুন পোস্ট। বাড়তি পাওনা শেষ না হওয়ায় পরের পর্বে রেস থাকাতে।


বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।


২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উরিব্বাস!
আপনিতো ফাটফাটি পোষ্ট মর্টেম করেছেন দেখছি।
হুম বিষয় গুলো নিয়ে আরো অনেক বিস্তারিত ছিল। কিন্তু পোষ্টের কলেবর বড় হওয়ার ভয়ে সংক্ষেপ করেছি।
হালকা করে সবগুলো গোত্র বা অন্যান্য ছোট ছোট ধর্ম মতের ভাবনা গুলো আনতে গেলে দেখি বিশাল হয়ে যাচ্ছে!
তাই প্রধান প্রধান মতবাদগুলো নিয়ে সাজানোর চেষ্টা করেছি।
বিশ্বাসের রকমফের দেখে সত্যি আমিও বিস্মিত হচ্ছি। সাথে নিজের বোধ বিশ্বাসের তুলনামূলক ঘষাঘষিটাও হয়ে যাচ্ছে ;)

আপনার দারুন অনুপ্রেরনাদায়ী মন্তব্যে মুগ্ধ অনুপ্রাণীত।
ভাললাগা আর অপেক্ষা লেখায় শক্তি যোগায় :)
অনেক অনেক শুভেচ্ছা দাদা :)

১৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মৃত্যু সম্ভবত যুগে যুগে সবচেয়ে আলোচিত চর্চিত বিষয়। আর এই মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে নানান জাতি গোষ্ঠীর ভাবনা, বিশ্বাসের এই সিরিজ হতে অনেক অজানা কিছু জানা যাবে বলেই আশা করছি। চেষ্টা থাকবে প্রতিটি পর্ব পড়ার।

ধন্যবাদ আপনাকে, চমৎকার এই টপিক নিয়ে লেখার জন্য। ভাল থাকুন সবসময়।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া :)

অনেক দিন পর আপনাকে পেয়ে ভাল লাগলো :)
অন্তহীন ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা

১৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো একটা কাজ করছেন ভ্রাতা ;) মানুষতো আজকাল বিজ্ঞানের পাগল। আর বিজ্ঞানো মানুষকে তার প্রতি জড়াতে বেশ সক্ষম। বিজ্ঞান এখন গন্ধব ফলের মত। :P

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ঠাঠা ভায়া :)

বিজ্ঞান দেয় জ্ঞানের সন্ধান! তাঁকে ভর করে অজ্ঞানতায় যাত্রা কাম্য নয়!
মৃত্যু এক দারুন রহস্যময় সত্য। যার সন্ধানে বিজ্ঞানও ব্যাস্ত।
দেখা যাক সত্যের কোন রুপে সত্য প্রকাশ হয় :)

শুভেচ্ছা রইল

১৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

হাবিব বলেছেন: অজানাকে তুলে এনেছেন এক পোস্টে .......
ভালো লাগলো খুব+++

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিজের জানার চেষ্টাতেই! যা কিছু পেয়েছি তাই সবাই মিলে অনুভবের ক্ষুদ্র প্রয়াস :)

ভাললাগা আর প্লাসে ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল

১৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮

মহসিন ৩১ বলেছেন: মানুষের বক্তব্য এবং চিন্তা এই দুটি ব্যাপার সমন্বয় সাধন খুব কঠিন কাজ। মানুষ সম্ভবত চিন্তাই করতে শিখেছে, কিন্তু বলা বা ভাষার ব্যাপারটা মানব জাতী বিভিন্ন ভাবে করে থাকে। এই যুগেও স্বয়ংক্রিয় ভাবে ভাষার সঠিক ব্যাবহার করার চিন্তাও মানুষ করতে পারে না। ...... বয়সের বিভেদ ভাষাকে বিভাজন না করলেও আইন দ্বারা ভাষার ঔচিত্য নির্ধারণ করা যায়। শিশু মনে যে সকল প্রশ্ন জাগে বয়ঃপ্রাপ্তির পরে সেসব চিন্তার কোনই কারণ জানা যায় না। অথচ মানব শিশু কাল খুব অসহায় এক সময়।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। চিন্তার আপেক্ষিকতা একটা বড় বিষয়।
সময়, জ্ঞান, পরিবেশ পারিপার্শ্বিকতা, বিশ্বাস পরম্পরা, ধর্ম বহু বহু বিষয় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।

বয়:প্রাপ্তির পর কারণ গুলো জানা হয়ে যায় বলেই বোধহয় ;) আর শিশুকালেতো সবই অজানা তাই প্রশ্নও অপরিসীম!

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২

মহসিন ৩১ বলেছেন: এ কারণে মৃত্যু শুধুই চিন্তা, কারণ দৃষ্টিভঙ্গি জাত সকল চিন্তার মাতামহ হল মৃত্যু চিন্তা। পরকাল থাকুক বা নাই থাকুক মানুষের জীবন যাপনের ভাষাই পরকালের ভাষা।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মৃত্যু শুধু চিন্তা না বলে বলা যায় বাস্তব চরম পরিণতিও বটে।
কিন্তু এর পরবর্তী পুরো বিষয়টা আউট অব টেক্স্ট বলেই মানুষ অসহায় ভীতি বা শুন্যতায় ভোগে!
এ নিয়ে ধর্ম যার যার অবস্থান থেকে আত্মাকে প্রশান্ত করেছে, করছে!
তারপরও মানুষের জিগিষা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে -জ্ঞান, অনুভব আর প্রজ্ঞাকে নিত্য সাধনায়।

শুভেচ্ছা অন্তহীন

১৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:

নাহ !!!!!!!!!!!!!!! এত ভাবনা চিন্তা করে মরে যাওয়া যাবে না। দুম করে একদিন মরে যেতে হবে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

চিন্তা না করলে যদি এড়ানো যেত- আমিও আপনার দলে থাকতাম ;)
যার মূখোমূখি হতেই হবে, তা নিয়ে না ভাবারতো কারণ দেখিনা!
বরং জানা থাকলেতো মনে হয় সাক্ষাৎ পর্ব সুন্দরই বার কথা :)

দুম করে মরে গিয়ে যদি দেখেন- কিছুই হয়নি শেষ
কেবলই হয়েছে দেহ বদল - নিত্য পোষাকের মতো!
হা ইশ্বর
সকল অনুভব যদি হয়ে ওঠে
আরো সংবেদনশীল
কবিতারা যদি জীবন্ত হয়ে
দৌড়ায় এ প্রান্তর ও প্রান্তর

কর্মফল অর্থাৎ প্রজ্ঞায় যদি থাকে না সূচকতা
অথচ বড় বেশি প্রয়োজন বিপরীতের
কিংবা চুরাশীর ফেরে আবার ভ্রমন!!!
অনিশ্চিত নিশ্চিতে!

:)

অনেক অনেক শুভেচ্ছা কবি

১৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২০

মহসিন ৩১ বলেছেন: সর্ষের মধ্যে যেমন ভুত , চিন্তার মধ্যে ভয় তেমনি, এটা হয়তো প্রাকৃতিক । আপেক্ষিক ব্যাপার অবশ্যই থাকবে, নইলে যে চিন্তা...... ( করুকগা ) ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। আপেক্ষিকতো বটেই।
আর ভয়কে জয় করতে করতে একটা শেষ প্রান্তে মৃত্যুর নিশ্চয়তায় তার আর জয় করা হয়ে ওঠে না।
অতীত বর্তমান দেখতে দেখতেই ভবিষ্যতের ভয় আপনাতেই ঝেকে ধরে।
তারপরো - কথা সেটাই যে চিন্তা করার করুগগা, যে না করার না করুক! এবাবেই এগিয়ে চলেছে মহাকাল - - -

শুভেচ্ছা অফুরান

২০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

পবন সরকার বলেছেন: চমৎকার একটি লেখা পড়লাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা :)
সামনের পর্ব গুলোতেও উৎসাহ দেবেন আশা করি।

শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল অন্তহীন

২১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: মনে হয় না রাজীব নূর আপনার প্রতিমন্তব্যটি পড়েছেন!

বেচারার এতো সময় কোথায় পরের জন্ম নিয়ে ভাবার।
কিন্তু সত্যি কথা কি জানেন ভাই, এরা কিন্তু শেষে এসে খুব দরবেশ ভক্ত হয়ে যায়! ;)

কিচ্ছু কলাম না। ;)


এমন গবেষণাভিত্তিক লেখা সবসময়ই ভাল লাগে।

প্রায় সব সভ্যতাই কিন্তু পুনর্জন্মে বিশ্বাসী ছিল।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রত্যেকের বিশ্বাসই ভিন্ন ভিন্ন। এবং প্রত্যেককে তার আপন কর্মফলের জন্যই ধরা হবে।
শেষ ভাল যার সব ভাল তার কথাতেতো তবে উনার ভালই হবে ;)
হা হা হা

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
হুম।
ইসলামে পুনর্জন্ম নিয়ে একটা সিরিজ ৩ পর্ব করে শেষটায় আর হাত দেয়া হয়ে ওঠেনি।
দেখী এই সিরিজ শেষ করে আবার পুনর্জন্মটা নিয়ে শেষ করার ইচ্ছে রইল।

শুভেচ্ছা রইল

২২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৮

বলেছেন: অনেক অজানা কিছু নিয়ে মনোমুগ্ধকর উপস্থাপন। ভালো লাগলো শ্রদ্ধেয়।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ল :)

সবচে চরম সত্যটাকেই আমরা বড্ড বেশী অবহেলায় অনুভব করি।
আর তার পরেরর ভাবনাতো মোটই নাই!
থাকলে বুঝি সমাজ আরো অনেক ভাল থাকত!
অন্যায় দুর্নীতি অপরাধ করার আগে পরে কর্মফল নিয়ে ভাবনা থাকলে এবং সু সমন্বিত চেতনার বিকাশ হলে
সেসব কর্ম আর সংগঠিতই হতো না।

ভাল লাগায় অনুপ্রান পাই, শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অফুরান

২৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০২

রিয়াজ ইনসান বলেছেন: প্রিয় লেখক।আশাকরি আরো চলবে। সামনের লেখার অপেক্ষায়।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া !
আপনার আগ্রহ লেখায় অনুপ্রাণ হয়ে থাকবে।

শুভেচ্ছা অন্তহীন

২৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

অন্তরন্তর বলেছেন: মৃত্যু চিন্তা করলেই হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে আসে, শরীর অসার হয়ে যায়। আপনার এ পোস্ট পড়ে কিছু লিখব তার শক্তি আর পাচ্ছি না। নিয়তির উপর সব ছেড়ে দিয়ে ভারমুক্ত থাকা যায় না? আপনার ইসলামের পুনর্জন্ম লিখাটি আমার খুব ভাল লেগেছিল। যদি পারেন ওই লিখাটি শেষ করেন। আপনার লিখায় মন্তব্য করার মত জ্ঞান আমার নেই। শুভ কামনা।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। গভীর অভিনিবেশ ভাবনায় প্রতিক্রিয়া হয় সু-গভীর!

ইসলামে পুনর্জন্ম লেখাটির ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম।
হুম শীঘ্রই ওটা শেষ করার ইচ্ছা আছে। দোয়া রাইখেন।

আপনার বিনয়ে লজ্জ্বা পাচ্ছি!
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অফুরান

২৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা যুগ যুগ ধরেই......না, ভুল বললাম, হাজার হাজার বছর ধরেই চলে আসছে। আসলে এটা মনে হয় মানব জীবনের একেবারে আদি থেকেই চলে আসছে। ''মৃত্যু পরবর্তী জীবন'' অত্যন্ত রহস্যময় একটা ব্যাপার, যা সবাইকেই ভাবায়।

একটা ভিন্নধর্মী বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। :)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। এটা সৃষ্টির আদি থেকেই চলমান ভাবনা!
এবং ওয়ান ওয়ে এন্ট্রি হওয়াতে রহস্য না কমে বরং বেড়েছে সময়ান্তরে!

৩২ ৫৭র ভয়ে চলমান মতপ্রকাশ না হয় আতংকজনক। এসব বিষয়তো নয় ;)
হা হা হা
তাই বিষয়ান্তরে ভাবনার নৌকায় (মার্কা নৌকা নয় কিন্তু) ঘোরাঘুরি :)
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা ভায়া

২৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: দুম করে একদিন মরে যেতে হবে। :(

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!

শুভেচ্ছা রইল

২৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এসব নিয়ে ভাবি না। মানুষের জীবিত বা মৃত অবস্থার কোন কিছুর ওপরেই তার হাত নেই। তাহলে ফালতু এসব কচকচিয়ে কী লাভ?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

ভাই কি বেশি ভয় পাইছেন? ;)
আসেন বুকে ফুঁ দিয়া দেই =p~

না হাত নেই কথাটা ঠিক নয় মনে হয়। যুগে যুগে মানুষই, সাধক, তুল প্রবল, অলি আউলিয়ারা দেখীয়ে গেছেন
মানুষ তার কর্ম দিয়ে মৃত্যুকে কিভাবে জয় করতে পারেন। সহজ করতে পারেন। ভয়হীন কাম্যতার স্তরে নিয়ে যাওযা যায়!

জানার জন্যই আলোচনা যে বড় বেশী প্রয়োজন ভায়া! ভয়কে জয় করতেই :)

শুভেচ্ছা রইল

২৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব বেশি চিন্তা করতে চাই না মৃত্য নিয়ে।কারন খুব ভয় লাগে /:)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। ভয় পাবার মতোই বিষয বৈকি!

অজানা, অচেনা, অজ্ঞান এক জগত!
অথচ ভ্রমন করতেই হবে! এড়িয়ে যাবার কোন উপায় নেই। ----

শুভেচ্ছা রইল ভায়া

২৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৩৪

সোহানী বলেছেন: আরে বিগু তুমি দেখি ইদানিং ঘন ঘন সাবজেক্ট পাল্টাচ্ছো। আর তোমার সাবজেক্ট কঠিন থেকে আধাত্বিকের দিকে ঝুঁকছে ;)

যাহোক যা বলছিলা, মৃত্যু পরিবর্তী জীবন নিয়ে সবারই সবকালে সবসময়ই আগ্রহ ছিল। তাই ধর্মগ্রন্থ থেকে শুরু করে সবাই ই কম বেশী ব্যাখ্যা দেবার চেস্টা করেছে যুগের পর যুগ। আর ব্যাখ্যা করেছে নিজস্ব কালচার, বিশ্বাস বা স্বার্থের প্রয়োজনে।

তবে এটা সত্য যে সব ধর্মই হিন্দু, বৈাদ্ধ, খ্রীস্টান বা ইসলাম সবাই চেস্টা করেছে বিপথের মানুষগুলো মৃত্যু ভয় দেখিয়ে, তার পরবর্তী জীবনের ভয় দেখিয়ে সুপথে আনতে। এমন কোন ধর্ম নেই বলেনি যে যা ইচ্ছে করে বেরাও তোমার মৃত্যু পরবর্তী জীবনে চমৎকার করে কাটবে। আর মানুষ মৃত্যু পরবর্তী জীবনকে জানে না বলেই তাকে সহজেই ভয় দেখানো যায় ও সুপথে আনা যায়। আর সে কাজটাই কৈাশলে ধর্ম বা সমাজ বা কালচার করে গেছে। তাই যে ব্যাখ্যাই দাঁড় করাও দেখবা কম বেশী একই কথা বলছে সবাই। সুপথে চলো নতুবা সে অনন্ত জীবন হবে দুখের । (আল সোহানী :P :P :P :P )

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

ঘরকা মুরগী ডাল বরাবর :P কথাটাতো জানোই! ;)
তাই মাঝে মাঝে রুচি বদল খ্রাপ না :P

মডু ভায়ার দাত ব্যাথা কমাতেই ;) নতুন উপস্থাপনা কইতেই পারো - হা হা হা
আর আধ্যাত্বিকতাতো আমার প‌্যাসন! বিস্ময়কর এক অনাবিস্কৃত জগত!

হুম । বাহ্যত এটাকে খুবই সরল এবং দারুন ব্যাখ্যা বলে মনে হবে বৈকি। কারণ মোল।লা তন্ত্র, পুরোহিত তন্ত্রের অজ্ঞানতা আর ভুল প্রয়োগের ফলেই এমনটা মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু সত্যানুসন্ধানী আত্মা যখন সৃষ্টির রহস্য অবগত হয়, মৌলিক বিধান এবং কার্য এবং ফলের বিধান পদ্ধতি অনুবভে আনতে পারে, সত্যকে চাক্ষুষ দর্শন করে তারাও কিন্তু সতর্ক হয়, তা গভীর ণঅুভবের কারণেই। আর আম অবুঝ জনতা অত গভীরে যেতে পারেনা বলেই তাকে বাহ্য উপমায় সহল অনুভবে প্রকাশ করা হয়।
এক্ষনে যে আগ্রহী সে গভীরে প্রবেশ করে দেখে নিক! সৃষ্টি, বিকাশ, লয় এর প্রকৃতাবস্থা!
কৃতজ্ঞতা, জ্ঞান আর ভক্তিতে তখন আপনাতেই নত হয়ে আসে স্বত্তা- সেই পরমের সামনে।

এটাতো খবুই সহজ সরল সত্য - সু এর ফল সু হয়, কু এর ফল কু হয়!
পরকাল বাদ দাও, দুনিয়াতেও অফিসে, কর্মে, আচরনে, সংসারেও কি একই নীতি নয়।
সু পথের ভ্যারিয়েশন ভিন্ন কথা। একদেশে যা পাপ গণ্য অন্য দেশে পূন্য তাই ষ্টাইলে! কিন্তু মোদ্ধা কথা কিন্তু সেটাই!
যেমন কর্ম তেমন ফল।
তবে আর ধর্মের দোষ কি হুজুরাইনে আলা আল সোহানী ;)
হা হা হা

অনেক অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অফূরান

৩০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কঠিন বিষয় আর কঠিন আলোচনা। মন্তব্যগুলোও ভালো, উত্তরও দিয়েছেন যথার্থ। কী মন্তব্য করব বুঝতে পারছি না। আপাতত উপস্থিতি জানান দিয়ে গেলাম।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সাধু দা!

উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা। ২য় পর্ব দিয়ে একটা লম্বা গ্যাপ গেলো!
শীঘ্রই ৩য় পর্ব দেয়ার ইচ্ছে আছে।
আপনার বিজ্ঞ মতামতের অপেক্ষায় রইলমা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.