![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন আরজ আলী মাতুব্বর যখন নিজের সর্বস্ব হারিয়ে অজানা আকুল মহাকাশের দিকে তাকিয়ে সৃষ্টিতত্বের গূঢ় রহস্য জানতে অপার হয়ে বসে থাকেন তখন অবাক না হয়ে উপায় কোথায় বিজ্ঞ পাঠক?
আসুন আমরা এই মহৎ লোকটির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একবার সুন্দর একটি মন্তব্য লিখি।
আপনারা কি এই মহৎ লোকটি সম্পর্কে আরও জানতে চান?
তাহলে লিখুন এবং মন্তব্য করুন।।
০৮ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:৪২
পান্থ বিহোস বলেছেন: প্রকাশনী থেকে একটি মাত্র বই প্রকাশিত হয়েছে। আমার নিজের একটি কিশোর থ্রিলার বই প্রকাশিত হয়েছে গোলাপকুঁড়ি পাবলিকেশন্স থেকে। আপনি চাইলে আমি আপনাকে একটি হার্ড কপি পাঠাতে পারি। আপনি কেমন আছেন?
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ১:১৩
প্রশ্নোত্তর বলেছেন:
সেল্যুট!
০৮ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:৪৪
পান্থ বিহোস বলেছেন: সেল্যুট আপনাকেও।
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ১:২৩
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
Click This Link
"আমার ভাগ্যবিপর্যয় ঘটেছিল পিতার মৃত্যুর পর হতেই। কিন্তু উহা চরমে পুঁছেছিল ১৩১৭ সাল, বিত্তনিলামের পর।........।
আত্মীয় কুটুম্বরা কেহ কোনরূপ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। দেখেছি অভাবগ্রস্থ ব্যক্তির নিকট হতে- 'আত্মীয় কুটুম্ব সব দূরে সরে যায় কেননা নিকটে পেলে যদি কিছু চায়?' কিন্তু আমাদের তুচ্ছ করে সরে যায়নি মাত্র দু'জন, তারা হল- "উপবাস" ও "ছিন্নবাস"................।"
"আমার মনে বড় রকমের একটা আফসোস ছিল এই যে, তখনো আমি বাংলাভাষা স্বচ্ছন্দে পড়তে পারতাম না, অনেক শব্দই বর্ণবিন্যাস করে পড়তে হত। এতে যে কোন একটি বাক্য অবিরাম না পড়ে ভেংগে ভেংগে পড়বার ফলে ওর অর্থ দুর্বোধ্য হত। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করতে লাগলাম বাংলা ভাষা স্বচ্ছন্দে পড়বার জন্য।
বই কেনার সম্বল নেই বলে এপাড়া ওপাড়ার ছেলেদের পরিত্যক্ত ছেঁড়া বই সংগ্রহ করে পড়তে লাগলাম, পড়তে লাগলাম - পথে পড়ে থাকা টুকরো কাগজ কুড়িয়ে, এমনকি লবন বাঁধা ঠোঁংগার কাগজও। কোনরূপ লেখা থাকলেই তা হত আমার পাঠ্য। ওতে কি লেখা, কোন বিষয় লেখা, উহা পাঠে কোন জ্ঞানলাভ হল কি-না ইত্যাদি প্রশ্ন ছিল আমার অনাবশ্যক। তখনকার আমার পড়ার উদ্দেশ্য ছিল শুধু- স্বচ্ছন্দে পড়বার ক্ষমতা অর্জন করা।..............।"
এভাবে শুরু। তাঁর ছিয়াশি বছরের জীবনে তিনি সত্তর বছর জ্ঞানসাধনা করেছেন। দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস, অংক ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে সুপ্রচুর লেখাপড়া করেছেন। ধর্ম, দর্শন ও বিজ্ঞান বিষয়ে বাংলা ভাষায় লিখিত এবং প্রাপ্ত অধিকাংশ গ্রন্থাদি অধ্যয়ন তাঁর জীবদ্দশায় প্রায় বাদ পড়েনি। এসব বিষয়ে বিপুল জ্ঞানের অধিকারি হয়েছেন এক সময়। পান্ডিত্য অর্জন বলতে যা বোঝায় তা হয়েছিল তাঁর।
তিনি দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর।
১৩০৭ বংগাব্দের ৭ পৌষ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বর্তমান বিভাগীয় শহর বরিশালের এক প্রত্যন্ত্ এলাকায় তাঁর জন্ম। জন্মগ্রহনের পর হতে নিরন্তর সংঘাত প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে আপন জীবনাভিজ্ঞতায় পরিচ্ছন্ন বোধ অর্জন করেছিলেন। কৃষি কাজ ও আমিন পেশায় রত থেকেও এই অগ্রগামী মহাপুরুষ অবিচল আস্থায় সংস্কার ও অন্ধ আবেগের পশ্চাদমুখিতাকে ক্রমাগত শনাক্ত করেছেন। সংস্কারবিমুখ মুক্তবুদ্ধি চর্চার জন্য পাঠাগার স্থাপন, মানবকল্যাণে চক্ষু ও শরীর দান এবং দর্শন, ইতিহাস, বিজ্ঞান, গণিত, কবিতা ও আত্মজীবনীসহ বিভিন্ন রচনা- ইত্যবিধ অবদানে মানবমন্ডলকে ঋণী করে গেছেন তিনি।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, "......আরজ আলী মাতুব্বর প্রথম ও নির্মম যে অন্ধকার সুচিরকাল ধরে স্থায়ী হয়ে আছে এই বাংলাদেশে, তার কথাই বলেছেন তাঁর বইতে। বর্ণনা করে নয়, প্রশ্ন করে।"
হাসনাত আবদুল হাই যথার্থই বলেছেন,"....আরজ আলী মাতুব্বর শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবীদের অহংকার ও আত্মতৃপ্তিকে শক্ত হাতে নাড়িয়ে দিয়েছেন।"
১ চৈত্র ১৩৯২ বংগাব্দে এই মনীষীর জীবনাবসান হয়।
তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা।
(গ্রন্থসূত্র: আরজ আলী মাতুব্বর রচনা সমগ্র ১, ২, ৩)
০৮ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:৪৭
পান্থ বিহোস বলেছেন: আমার চমৎকার আইডিয়ার বাস্তবায়ন আপনার লেখায় দেখে খুব ভালো লাগছে। জ্ঞান সাধক আরজ আলী মাতুব্বর-এর সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে কিছু লিখুন প্লিজ...।
৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ১:২৮
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
শয়তান-১
( Click This Link)
হিন্দুশাস্ত্রমতে- 'নারদ'এর মাতাপিতা নেই। সে ভগবান ব্রহ্মার মানসসৃষ্টি। তার বাসস্থান ছিলো স্বর্গে এবং সে ছিলো ধার্মিক চূড়ামনি। সে সৃষ্টিকর্তার একটি আদেশ অমান্য করায় অভিশপ্ত হয়ে পতিত হয় মর্ত্যে। সে ছিল সর্ববিদ্যাবিশারদ এবং স্বর্গ-মর্ত্য-অন্তরীক্ষে ছিলো তার অবাধ গতি।
সৃষ্টি, বাসস্থান, স্বর্গচ্যুতি ও গুনাবলীর বর্ণনায় 'নারদ' এবং 'শয়তান'- এ দু'জনের মধ্যে বিশেষ কোনো পার্থক্য দেখা যায় না। শয়তান যেনো নারদের একটি অভিনব সংস্করণ। তবে দ্বিতীয় বা তৃতীয় নয়, চতুর্থ সংস্করণ। নারদ- নাটকের দ্বিতীয় সংস্করণের নায়ক পার্সি ধর্মের 'আহরিমান', তৃতীয় সংস্করণে ইহুদী ধর্মের 'সেদিম' বা 'দেয়াবল' এবং চতুর্থ সংস্করণের নায়ক হচ্ছে শেষ জামানার 'শয়তান'।
এবারে আসুন দেখি শয়তানের শয়তান হয়ে উঠা, তার দাগা দেওয়া এসব নিয়ে শয়তানের জবানবন্দিতে (কাল্পনিক) কিছু জিজ্ঞাসা, কিছু উপলব্ধি। (ভাবনার খোরাক পেতেও পারেন!!)
"আল্লাহ সর্বাগ্রে ফেরেস্তা বানিয়েছেন, পরে জ্বীন বানিয়েছেন এবং সর্বশেষে বানিয়েছেন আদমকে। ইসায়ীরা সৃষ্টকর্তাকে পিতা বলেই সম্বোধন করে থাকে। কাজেই একই ঈশ্বরের সৃষ্টি বলে আদমকে আমার ভাইও বলতে পারি, তবে বয়সে কনিষ্ঠ। আপনাদের সমাজে কারো কনিষ্ঠ ভ্রাতাকে সেজদা করবার রীতি আছে কি? হয়তো নেই। তাহলে আদমকে সেজদা না করে আমি নীতিবহির্ভূত কাজ করিনি, করেছি আল্লাহতা'লার আদেশ লংঘন। কিন্তু আদেশ যিনি করেছেন, তা লংঘন করার শক্তিও তিনিই দান করেছেন। জগতে কারো এমন কোনো শক্তি নেই, যার সে শক্তি আল্লাহর ইচ্ছাশক্তিকে পরাস্ত করে নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কার্যকরী করতে পারে। আল্লাহ জানতেন যে, আমি তার হুকুমে আদমকে সেজদা করবো না, আদম তার নিষেধ মেনে গন্ধম খাওয়া ত্যাগ করবে না এবং আদমের আওলাদরা তাঁর আদেশ-নিষেধ কেউ মানবে, কেউ মানবে না। তা তিনি না জানলে, তিনি আদমকে সৃষ্টি করার পূর্বে, বিশেষত আমাকে শয়তান বানাবার পূর্বে বেহেস্ত-দোজখ নির্মাণ করলেন কি করে, কি জন্য?
আমি লাখো লাখো বছর আল্লাহকে সেজদা করে এসেছি, এখনো করি। আমি বেঁচে থাকতে আল্লাহকে ছাড়া অন্য কাউকে সেজদা করবো না, এ কথা তিনি জানেন এবং তিনি নিজেও বলেছেন, 'আমাকে ভিন্ন অন্য কাউকে সেজদা করো না'।
মনে করুন - এক ব্যক্তি তার পাঁচটি ছেলেকে ডেকে জনৈক পথিককে দেখিয়ে বললে, 'তোমরা সবাই ওকে বাবা বলে ডাকো'। পিতার আদেশ পালন করা কর্তব্য, এ নীতিবাক্যটি পালন করে চারটি ছেলেই সেই পথিককে 'বাবা' বলে ডাকলো। কিন্তু একটি ছেলে ডাকলো না। সে ভাবলো, 'পিতা কখনো দুজন হতে পারে না। পথিককে বাবা বললে তা হবে মিথ্যে কথা বলা। আর পিতা তো আগেই বলেছেন, কখনো মিথ্যে বলবে না। আমার মুখে পথিককে বাবা ডাকার মধুর শব্দটি শুনে পিতা খুশী হবার জন্য নিশ্চয়ই এ কথাটি বলেননি, বলেছেন আমাদের আক্কেল পরীক্ষার জন্য। সুতরাং পিতার এ আদেশটি না মানাই শ্রেয়'। এ ভেবে সে ছেলেটি তার জীবনের মহাকর্তব্য পালন করলো, কপট পিতাকে মিথ্যা 'বাবা' ডাকলো না। ছেলেদের পিতা তাঁর চার ছেলের অজ্ঞতা দেখে মনোক্ষুণ্ণ হলেন এবং এক ছেলেকে বিজ্ঞতার জন্য পরস্কৃত করলেন।
আদমকে বানিয়ে আল্লাহ ফেরেস্তাদের ডেকে বললেন- তোমরা আদমকে সেজদা করো। আমার বিবেক বললো যে, আল্লাহ পরিস্কার ভাষায় বলেছেন, 'আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে সেজদা কোরো না'। তবে আজ কেন আদমকে সেজদা করতে বললেন? হয়তো এর কারণ ফেরেস্তাদের আক্কলের পরীক্ষা করা। আল্লাহর আসনে আদমকে বসিয়ে তাকে সেজদা করতে আমার বিবেক বাঁধা দিলো।
আল্লাহ সাতটি দোজখ বানিয়েছেন, সবগুলোতে মানুষ থাকার জন্য। তিনি কি চান যে, আমি আমার দাগাকাজ বন্ধ করি, আর তাঁর দোজখগুলো খালি থাক? তা তিনি চান না, চাইতে পারেন না। চাইলে তাঁর দোজখ বানাবার সার্থকতা ক্ষুণ্ণ হয়। আল্লাহর ইচ্ছা যে, কিছু সংখ্যক মানুষ দোজখবাসী হোক। আর আমাকে বলেছেন তাঁর সেই ইচ্ছাপূরণে সহায়তা করতে। এ কাজ আমার পক্ষে করা ফরজ, না করা হারাম। ..............।"
(চলবে)
গ্রন্থসূত্রঃ আরজ আলী মাতুব্বর রচনা সমগ্র-১, 'অনুমান' শীর্ষক গ্রন্থের 'শয়তানের জবানবন্দি' রচনার অংশবিশেষ
শয়তান-২ ( Click This Link)
"..................। আমি আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারি না, কেউই পারে না। বহু চেস্টা করেও কোনো নবী-আম্বিয়া, দরবেশকে আমি দোজখবাসী করতে পারিনি। কেননা তাঁরা দোজখবাসী হোন, তা আল্লাহর ইচ্ছা নয়। পক্ষান্তরে হজরত ইব্রাহীম নমরুদকে, মুসা ফেরাউনকে, শেষ নবী(দ.) আবু জেহেলকে হেদায়েত করে বেহেস্তের তালিকায় নাম লেখতে পারেননি আপ্রাণ চেস্টা সত্বেও। কেননা তা আল্লাহর ইচ্ছা নয়।
আজ পর্যন্ত আমি আল্লাহতা'লার মাত্র একটি হুকুমই অমান্য করেছি। তাঁর হুকুমে আদমকে সেজদা না করে। আর অন্য ক'জনও তো তাঁর হুকুমকে অমান্য করেছে প্রায় একই সময়, একই জায়গায় থেকে। কিন্তু সেজন্য তিনি রাগ করেননি বা কাউকে কোনোরূপ শাস্তি দেননি। জেবরাইল, মেকাইল ও এস্রাফিল ফেরেস্তাত্রয়কে আল্লাহ হুকুম করেছিলেন পৃথিবী থেকে মাটি নেবার জন্য, আদমকে বানাবার উদ্দেশ্যে। কিন্তু একে একে তিন ফেরেস্তাই আল্লাহর হুকুম খেলাপ করেই ফিরে গেলেন তাঁর কাছে খালি হাতে, মাটির অসম্মতির জন্য। অবশেষে আজরাইল আল্লাহর আদেশ মোতাবেক জোরপূর্বক কিছু মাটি নেওয়ায় তাদ্বারা আদমকে বানানো হলো। কিন্তু চারবার হুকুম আদেশ অমান্য সত্বেও আল্লাহ মাটিকে দোজখের আগুনে পোড়ালেন না। আর তিন ফেরেস্তা যে তাঁর হুকুম অমান্য করলেন তুচ্ছ মাটির কথা মেনে, তা যেন তাঁর খেয়ালই হলো না। পক্ষান্তরে তাঁর হুকুম অমান্যের দায়ে আমাকে নাকি দিলেন অভিশাপ, আমার গলায় দিলেন লা'নতের তাওক এবং নির্বাসিত করলেন বেহেস্ত থেকে দুনিয়ায় চিরকালের জন্য। এসব কি তাঁর পক্ষপাতিত্ব বা ন্যায়বিরোধী কাজ নয়? না, এতে তিনি এতটুকু পক্ষপাতিত্ব বা অন্যায় করেননি। বরং অন্যায় করেছে মানুষ, তাঁর ইচ্ছে ও উদ্দেশ্যকে উপলব্ধি করতে না পেরে।
এ কথা বলা হয় যে, খুন-খারাবি, চুরি-ডাকাতি ও ব্যাভিচারের উদ্যোক্তা শয়তান। তাই যদি হয় অর্থাত আমার দাগায় পড়েই যদি কোনো এক ব্যাক্তি অন্য ব্যাক্তিকে হত্যা করে, তাহলে আহত ব্যাক্তির জান কবজ করতে আজরাইল ফেরেস্তা আসেন কার হুকুমে? সেই দিনটি মৃতব্যক্তির হায়াতের শেষ দিন নয় কি? সমস্ত জীবের রেজেক দান করেন স্বয়ং আল্লাহতা'লা। চোর-ডাকাতের রেজেক দান করেন কে? আল্লাহ যার রেজেক ও দৌলত যেখানে রেখেছেন, যে কোনও উপায়েই হোক সেখান থেকে এনে তা ভোগ করবেই। চোর চুরি করে বটে, কিন্তু সে তার আল্লাহর বরাদ্দকৃত খাদ্যই খায়। বলা হয় শয়তানের খপ্পরে পড়ে মানুষ ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তাতে আল্লাহর কোনো সমর্থন নেই। যদি তাই হয়, জারজ সন্তানের প্রানদান করে কে? মানব সৃষ্টোত্তর কালে আল্লাহ যখন মানুষের প্রান সৃষ্টি করেছেন, তখন থেকেই তিনি জানেন যে, কোন প্রাণ কখন কোথায় জন্মাবে, কে কি কাজ করবে এবং অন্তিমে কে কোথায় যাবে, অর্থাত বেহেস্ত না দোজখে। তিনি এও জানতেন যে, কে কার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হবে। জারজ সন্তানদের প্রাণদান করেন আল্লহ ইচ্ছা করেই। ব্যভিচার ঘটিয়ে আমি আল্লাহর সেই ইচ্ছাকেই পূরণ করি মাত্র।"
গ্রন্থসূত্রঃ আরজ আলী মাতুব্বর রচনা সমগ্র-১, 'অনুমান' শীর্ষক গ্রন্থের 'শয়তানের জবানবন্দি' রচনার অংশবিশেষ
০৮ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:৫০
পান্থ বিহোস বলেছেন: সৃষ্টিতত্ব নিয়ে লিখুন প্লিজ...
৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ১:৩৩
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
দুটি প্রশ্ন (কৃতজ্ঞতাঃ আরজ আলী মাতুব্বর) ( Click This Link)
১. আল্লাহর রূপ কি?
জগতের প্রায় সকল ধর্মই একথা স্বীকার করে যে, ঈশ্বর অদ্বিতীয়, নিরাকার ও সর্বব্যাপী। কথা কয়টি অতীব সহজ ও সরল। কিন্তু যখন হিন্দুদের মুখে শোনা যায় যে, সৃষ্টি পালনের উদ্দেশ্যে ভগবান মাঝে মাঝে সাকারও হইয়া থাকেন ও যুগে যুগে অবতাররূপে পৃথিবীতে জন্মগ্রহন করিয়া লীলা প্রকাশ করেন, এবং যখন খৃষ্টানদের নিকট শোনা যায় যে, পরম সত্তা- ভগবান, মশীহ, পরমাত্মা- এই ত্রিত্বে প্রকাশ পাইতেছে; আবার মুসলিম ধর্মযাজকদের নিকট শোনা যায় যে, আল্লাহতা'লা আরশে কুরছির উপর বসিয়া রেজওয়ান নামক ফেরেস্তার সাহায্যে বেহেস্ত, মালেক নামক ফেরেস্তার সাহায্যে দোযখ, জেব্রাইলের সাহায্যে সংবাদ এবং মেকাইলকে দিয়া খাদ্য বন্টন ও আবহাওয়া পরিচালনা করেন- তখনই মন ধাঁধায় পড়ে, বুদ্ধি বিগড়াইয়া যায়। মনে প্রশ্ন জাগিতে থাকে- নিরাকার সর্বশক্তিমান ভগবানের সৃষ্টি পালনে সাকার হইতে হইবে কেন? অদ্বিতীয় ঈশ্বরের মহত্ত প্রকাশে ত্রিত্তের আবশ্যক কি? সর্বব্যাপী আল্লাহতা'লার স্থায়ী আসনে অবস্থান কিরূপ এবং বিশ্বজগতের কার্য পরিচালনার জন্য ফেরেস্তার সাহায্যের আবশ্যক কি?
২। খোদাতা'লা কি মনুষ্যভাবাপন্ন?
আল্লাহতা'লা দেখেন, শোনেন, বলেন ইত্যাদি শুনিয়া সাধারণ মানুষের মনে স্বতই প্রশ্ন জাগে- তবে কি আল্লাহর চোখ, কান ও মুখ আছে? কেহ কেহ বলেন যে আছে। তবে তাহা মানুষের মত নয়, কুদরতি। কিন্তু কুদরতি বলিতে কিরূপ বুঝায়, তাহা তাহারা ব্যাখ্যা করেন না। আবার যখন শোনা যায় যে, খোদতা'লা অন্যায় দেখিলে ক্রুদ্ধ হন, পাপীদের ঘৃনা করেন, কোন কোন কাজে খুশী হন ও কোন কোন কাজে হন বেজার, তখন মানুষ ভাবে- খোদার কি মানুষের মতই মন আছে? আর খোদার মনোবৃত্তিগুলি কি মানুষের অনুরূপ? ইহারও উত্তর আসে যে, উহা বুঝিবার ক্ষমতা মানুষের নাই। আবার যখন চিন্তা করা যায় যে, খোদাতা'লার জগত-শাসন প্রণালী একজন সম্রাটের মত কেন এবং তাহার এত আমলা-কর্মচারীর বাহুল্য কেন? উহার উত্তর পাওয়া যায় যে, সম্রাট হইলে তিনি অদ্বিতীয় সম্রাট, বাদশাহের বাদশাহ, ক্ষমতা তাহার অসীম।
উত্তর যাহা পাওয়া গেল, তাহাতে অসাধারণ যাহাদের মনীষা তাহারা হয়ত বুঝিলেন, কিন্তু সাধারণ মানুষ ইহাতে কিছু বুঝিতে পাইল কি?
ভূমিকা শেষেঃ
১। স্বশিক্ষিত বিজ্ঞানমনস্ক প্রগতিবাদী চিন্তাবিদ ও দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর আমৃত্যু মুক্তবুদ্ধি, মুক্তচিন্তা চর্চার এক অনন্য সাধারণ বিরল দিগন্ত উন্মোচন করে গেছেন। সামাজিক সংস্কার, যুক্তি-বুদ্ধিহীনতার বিরুদ্ধে আপনার চিন্তা-চেতনাকে সংহত করে তিনি জিজ্ঞাসা জাল বিস্তার ঘটাতে থাকেন। জিজ্ঞাসায় জর্জরিত করতে থাকেন সমাজে চলমান সনাতনী মূল্যবোধকে। আরজ আলী মাতুব্বর ইসলমসহ বিভিন্ন ধর্মের লৌকিক বিশ্বাস এবং যুক্তিবর্জিত উপাদান সম্পর্কে বিস্তর প্রশ্ন তুলেছেন।
এখানে আরজ আলী মাতুব্বরের 'সত্যের সন্ধান' বই এর দ্বিতীয় অধ্যায় (ঈশ্বর বিষয়ক) হতে কিছু অংশ তুলে দেয়া হয়েছে। সহজ ভাষায় করা প্রশ্নগুলো একটু গভীর ভাবে ভেবে দেখার আহ্বান করছি।
৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ১:৩৫
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
আমার ৪টি পোস্ট (৩টি লেখা- উপরের ৩টি কমেন্ট) এখানে কপি পেস্ট করলাম- সাথে লিংকও দিলাম। অন্যদের রেসপন্স পেতে চাইলে লিংকে ক্লিক করে দেখতে পারেন।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
০৮ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:৫২
পান্থ বিহোস বলেছেন: সরাসরি এখানে কপি পেস্ট করুন সৃষ্টিতত্ব। থ্যাংকু।
৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ সকাল ১০:৫৭
মশহ বলেছেন: আরজ আলী নাস্তিক না। উনি চেয়েছিলেন মানুষ কুসংস্কার মুক্ত হয়ে আধুনিক মানসিকতা নিয়ে ধর্ম চর্চা করুক। আরজ আলী সম্পর্কে আমি যা জেনেছি তা আমার বন্ধুদের কাছে। উনি সম্ভবত বরিশালের লোক ছিলেন। তার মা মারা যাওয়ার পর উনি মার লাশের ছবি তুলতে যান। এতে সেখানকার মৌলভী লোক তাকে ছবি তুলতে বাধা দেন। পরে এই বলে ফতোয়া প্রধান করেন যে যদি উনি মৃতের ছবি তুলেন তবে তার মাতার জানাজায় কেউ অংশ গ্রহন করবে না। এতে আরজ আলী ক্ষিপ্ত হয় এবং লাশের ছবি তুলেন। পরে যথারীতি মোল্লা ও গ্রামবাসীদের বয়কট এবং এরপর তার তথাকথিত নাস্তিক দর্শন শুরু।
যদিও বাংলাদেশের দার্শনিকগন তাকে চারণ দার্শনিক হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন তবুও তার নাম দিয়ে কতিপয় ইতর গ্রপ নিজেদের থিওরি আরজ আলীর লেখা নামে প্রকাশ করেছে। আমি আরজ আলীর কয়েকটা বই পড়েছি । এতে উনি ধর্মীয় কাহিনী সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন উঠিয়েছেন কিন্তু উওর দেন নাই। নিজের ব্যখ্যা খুবই কম, নাই বল্লেই চলে। আমার কাছে আরজ আলী একজন ধর্মীয় কাহিনীতে যুক্তি সহকারে খোচা মারা দার্শনিক হিসাবে পরিচিত। মুক্তবুদ্ধির চর্চার সাথে এর সম্পর্ক কি ? সেটা আজ পযর্ন্ত বুজতে পারলাম না।
০৮ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:৫৫
পান্থ বিহোস বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। আরজ আলী মাতুব্বর কী ছিলেন সে নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। তার কাজ সম্পর্কে মন্তব্য এবং কথা বলতে চাই। আসুন সেদিকে নজর দিই... ধন্যবাদ এগেইন।
৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৩:২০
রণদীপম বসু বলেছেন: বিহোস, কেমন আছেন ? আজই আপনার ব্লগের খোঁজ পেলাম। আরজ আলী মাতুব্বরের এই লেখাটা দেখলেই আপনি চিনতে পারবেন আশা করি: Click This Link
৯| ২০ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:৪২
যুধিষ্ঠির বলেছেন: মনে করুন - এক ব্যক্তি তার পাঁচটি ছেলেকে ডেকে জনৈক পথিককে দেখিয়ে বললে, 'তোমরা সবাই ওকে বাবা বলে ডাকো'। পিতার আদেশ পালন করা কর্তব্য, এ নীতিবাক্যটি পালন করে চারটি ছেলেই সেই পথিককে 'বাবা' বলে ডাকলো। কিন্তু একটি ছেলে ডাকলো না। সে ভাবলো, 'পিতা কখনো দুজন হতে পারে না। পথিককে বাবা বললে তা হবে মিথ্যে কথা বলা। আর পিতা তো আগেই বলেছেন, কখনো মিথ্যে বলবে না। আমার মুখে পথিককে বাবা ডাকার মধুর শব্দটি শুনে পিতা খুশী হবার জন্য নিশ্চয়ই এ কথাটি বলেননি, বলেছেন আমাদের আক্কেল পরীক্ষার জন্য। সুতরাং পিতার এ আদেশটি না মানাই শ্রেয়'। এ ভেবে সে ছেলেটি তার জীবনের মহাকর্তব্য পালন করলো, কপট পিতাকে মিথ্যা 'বাবা' ডাকলো না। ছেলেদের পিতা তাঁর চার ছেলের অজ্ঞতা দেখে মনোক্ষুণ্ণ হলেন এবং এক ছেলেকে বিজ্ঞতার জন্য পরস্কৃত করলেন।
আরজের এই উদাহরণটি ধোপে টিকেনা। বাবা ডাকা আর সিজদা দেওয়া এক নয়। যদি অই লোক তার পুয়াদেরকে সিজদা দিতে বলত তখন তারা মুস্লিম হলে দিতোনা। বাবার আদেশ আর আল্লাহর ফরমান এক নয়। আর অনিসচয়তার সুত্র টা আল্লাহর জন্যও প্রযোজ্য। তিনি চুড়ান্ত পরিনতি জান্তেই পারেন তবে মতির পরিবরতন আমাদের হাতেই। বেপারটা স্ট্র্যাটেজি গেমসের মত। কোথায় পউছুতে হবে জানি। তবে প্রত্তেকেই ভিন্নভাবে খেলবে।
১০| ২১ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:২৩
শওকত আহমেদ বলেছেন: যুধিষ্ঠির আপনি আসলেই একটা যুধিষ্ঠির। যদি আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া গাছের একটা পাতাও না নড়ে তাহলে তার ইচ্ছা ব্যতীত মানুষ সব পাপ করে যাচ্ছে কিভাবে? আপনাকে স্ট্রাটেজি গেম খেলার জন্যে বিভিন্ন অপশন দেয়া হয় কিন্তু তা প্রোগ্রামার যা দেন তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ । তার মানে কি আল্লাহই মানুষকে পাপ করতে বলছেন না। আপনি ই বলেছেন প্রত্তেকেই ভিন্নভাবে খেলবে। তার মানেই কেউ কেউ পাপ করবে। আর ভিন্নভাবে খেলতে পারার সুযোগই বা কেন দেয়া হল?
১১| ০৩ রা জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৪
'লেনিন' বলেছেন: @যুধিষ্ঠির স্ট্র্যাটেজি গেম প্রোগ্রামার তৈরি করে বিনোদনের জন্য।
যদি এটি ভালো বিনোদনের মাধ্যম হয় তাহলে ভালো বিক্রি হবে।
ভালো চ্যালেঞ্জিং হলে আরো ভালো।
সোজা কথা গেমারের প্রধান লক্ষ্য গেমটি নয়। প্রোগ্রামারেরও নানান সীমাবদ্ধতা আছে।
স্ট্র্যাটেজী গেমের উদাহরণ চলে না তাই।
১২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫০
শ্রাবন্য বলেছেন: ‘আমি আরজ আলীর কয়েকটা বই পড়েছি । এতে উনি ধর্মীয় কাহিনী সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন উঠিয়েছেন কিন্তু উওর দেন নাই। নিজের ব্যখ্যা খুবই কম, নাই বল্লেই চলে। আমার কাছে আরজ আলী একজন ধর্মীয় কাহিনীতে যুক্তি সহকারে খোচা মারা দার্শনিক হিসাবে পরিচিত। মুক্তবুদ্ধির চর্চার সাথে এর সম্পর্ক কি ? সেটা আজ পযর্ন্ত বুজতে পারলাম না।’
মিঃ মশহ বই কী ভাবে পড়েছেন বুঝলাম না। খুব সম্ভবতঃ প্রচন্ড অখাদ্য কোন কিছু নিতান্ত অনিচ্ছায় গলাধকরনের মত...নাইলে প্রতিটা ব্যাখ্যা এভাবে চোখ এড়িয়ে যায় কী করে..একমত হতে না পারলে ভিন্ন কথা।
১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৭
ফারাবী১৯২৪ বলেছেন: আরজ আলী মাতুব্বরের বিরুদ্ধে আমার কিছু Note আছে Facebook ও somewhereinblog এ, নাম হলো- " আরজ আলী মাতব্বরের যুক্তি খন্ডন" পড়লে ভালো লাগবে। in Facebook i have an account by that- [email protected]
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ১:০৯
নাফে মোহাম্মদ এনাম বলেছেন: বন্ধু ভাল আছেন তো? আপনি যে একটা প্রকাশনী করেছিলেন সেটার খবর কি?