![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
করি আঁধারের সাথে খুনসুটি/ থাকি অভাজন নীরব শমিত/ ডাকি অদৃশ্য নিরাকার সত্বা
রোজনামচার খাতা থেকে
হয়তো বা দু’চোখ গলে গলে, গণ্ড বেয়ে দু’ফোঁটা অশ্রু গড়ায় নি। যদিও বা পকেটের রুমাল নোনা জলে সিক্ত হয় নি; তবুও আমি-আমরা কেঁদেছি, কেঁদেছে সত্ত্বা, কেঁদেছে একটি বিকেল। একে অন্যের কষ্ট ভাগাভাগি করা যায়, করা যায় মনের লেনা-দেনা; জানতাম তাই বলে এতটা! তা জানা ছিল না। আমার বুক চিরে, চোখ ফেটে কান্না আসছিল। আসারও যথেষ্ট কারণ ছিল। সে যে বোবা কান্নায় ডুকরে ওঠছিল। কথাগুলো আমায় বলছিল কান্না জড়িত কণ্ঠে। তার সবটুকুন কষ্টই শুষে নিচ্ছিল আমার দু’চোখ। কথাগুলো আঁতে লাগা ছিল। তাঁর ব্যথায় আমিও যে ব্যথিত, ব্যথাতুর। আমার ভেতরটা সত্যিই কেঁদেছে। আর কাঁদবেই বা না কেন কারণ আমি যে তার একমাত্র মুগ্ধপাঠক। একটি বিকেল অবাক চোখে দেখেছে দু’টি হৃদয়ের আহুতি, শুনেছে বুকের হুহু কান্না, ব্যথিত পরাণের হাহাকার উতরোল ধ্বনি। আমি ভুলি নি; ভুলতে পারি না সে বিকেলের কথা। মনে পড়লেই কাঁদি, কেঁদে কেঁদে ভাসায়ে দেই দুঃখের কচুরিপানা যদি ধুয়ে যায় পাঁজরের এপাশে-ওপাশে লেগে থাকা কিছু কষ্ট।
©somewhere in net ltd.