![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন ইসলাম মেনে চলি।
আত্মশুদ্ধি:
আত্মশুদ্ধি শব্দের অর্থ হল, নিজের আত্মাকে গুনাহ থেকে পরিশুদ্ধ করা। আল্লাহ তা'আলা মানব জাতিকে দেহ ও আত্মা এ দুয়ের সমন্বয়ে সৃষ্টি করেছেন। দেহের রয়েছে দুটি অবস্থা: সুস্থতা ও অসুস্থতা। ঠিক তেমনি আত্মারও রয়েছে সুস্থতা ও অসুস্থাতা। দেহ অসুস্থ হলে যেমনি চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা চালাতে হয়, তেমনিভাবে আত্মা রোগাক্রান্ত হলে আত্মিক চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে সুস্থ বা শুদ্ধ করে তুলতে হয়। আর একেই বলে আত্মশুদ্ধি বা তাযকিয়াতুন্নাফস।
আত্মশুদ্ধি কেন:
মহান আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনের সূরা শামসের ৯ নং আয়াতে ঘোষণা করেন
قد افلح من زكها
অর্থ : "যে নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে সে সফলকাম"
আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন, "সে দিন সম্পদ এবং সন্তান কোন উপকারে আসবে না, কেবল যে ব্যক্তি আল্লাহর দরবারে পরিচ্ছন্ন অন্তর নিয়ে আসবে। (উহাই কাজে লাগবে)
হাদিস শরীফে আছে "প্রত্যেক মানবদেহে একটি গোস্তের টুকরা রয়েছে, যখন উহা ঠিক হয়ে যায়; তখন সমস্ত দেহ সুস্থ-সঠিক হয়ে যায়। আর যখন উহা বিগড়ায়ে যায়, তখন সমস্ত দেহ বরবাদ হয়ে যায়। জেনে রাখ উহা হল ক্বলব।"
উপরোক্ত কোরআন ও হাদিসের আলোকে বুঝা যায় যে, আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা একান্ত কর্তব্য ও জরুরি।
কিভাবে:
নিম্নে কয়েকটি আত্মশুদ্ধির কিছু পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো :
সর্বপ্রথম কাজ হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামায পাবন্দির সহিত আদায় করা।
১. দেহের রোগের মুক্তির জন্য যেমন ডাক্তারের কাছে যেতে হয়, ঠিক তেমনিভাবে রুহের বা আত্মার রোগের উপশমের জন্য হক্কানী আলেম পীর বুজুর্গের স্মরণাপন্ন হতে হয়। যেমনটি সাহাবায় কেরাম রাসূলুল্লাহ স. এর নিকট থেকে করেছিলেন।
২. বেশি পরিমাণে আল্লাহর জিকির করার দ্বারাও আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা যায়।
"আলা বি যিকরুল্লাহি তাতমা ইন্নুল কুলুব" অর্থাৎ আল্লাহর জিকিরের (স্মরণে) মধ্যেই প্রকৃত শান্তি নিহিত।
৩. বেশি বেশি কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করা।
৪. মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণ করা। রাসূল স. বলেছেন, যে দৈনিক বিশবার মউতের কথা স্মরণ করবে তাকে শহীদী দরজা দেয়া হবে।
৫. গীবত করা থেকে বিরত থাকা ৬. অহংকার না করা ৭. হিংসা না করা ৮. নজরকে হেফাজত করা (বেগানা নারী দেখা, খারাপা জিনিস দেখা ইত্যাদি) ৯. কম কথা বলা ইত্যাদি।
আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে আত্মা পরিশুদ্ধ করে কবরে যাওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন
©somewhere in net ltd.