![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Twenty years from now you will be more disappointed by the things you did not do than by the things you did. So throw off the bowlines. Sail away from the safe harbor. Catch the winds in your sails. Dream. Explore. Discover. -- Mark Twain
আমার উচ্চতাভীতি (Acrophobia ) আছে। উঁচু দালানের ছাদের কিনারায় দাঁড়ালে পায়ের তলায় শিরশির করে, প্লেন যখন টেইক অফ করে মাটি ছেড়ে উঠে যেতে থাকে তখন বুকের মধ্যে ধক করে উঠে। এরপরও যখনি কাউকে আকাশে স্কাই ডাইভিং কতে দেখি তখন প্রচন্ড ইচ্ছে হয় স্কাই ডাইভিং করার। এই ভিডিও দেখার পর কার আকাশে উড়তে ইচ্ছে না করবে?
কিন্তু প্রাণের মায়া সম্ভবত সবচেয়ে বড় মায়া, মৃত্যুভয় সম্ভবত সবচেয়ে বড় ভয়! একটা চমৎকার উড়ন্ত প্লেইন থেকে কোন দুঃখে আমি শুন্যে ঝাঁপ দিতে যাবো?
কিন্তু একমাত্র মানুষই সম্ভবত আপাতদৃষ্টিতে দেখতে সবচেয়ে অযৌক্তিক কাজটি অবলীলায় করতে পারে। তাই গতো রোববার একটা চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে আমি আর আমার দুই বন্ধু মিলে যখন স্কাই ডাইভিং করতে রওয়ানা দিলাম তাতে অবাক হওয়ার কিছু ছিলোনা!
নিউ ইয়র্কে এখন গ্রীষ্মকাল প্রায় শেষ হয়ে আসছে। আর মাস খানেক এর মধ্যে শরৎ/হেমন্ত চলে আসবে। সৌভাগ্যক্রমে সেদিন ছিলো চমৎকার একটা দিন। বাইরের তাপমাত্রা ছিলো ৭৫-৮০ ফারেনহাইটের মধ্যে। রৌদ্রজ্জ্বল দিন, আকাশে হালকা ছেঁড়া মেঘের ভেলা। আমার বন্ধুদের তাদের এপার্টমেন্ট থেকে গাড়ীতে তুলে নিলাম ঠিক ১১:৩০ এ। আমাদের গন্তব্য ক্যালভারটন নামক একটা শহর। ক্যালভারটন নিউ ইয়র্ক শহর থেকে ঘন্টা দেড়েকের ড্রাইভ। শহর ছেড়ে হাইওয়েতে উঠতেই মনটা ভালো হয়ে গেলো। চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। ব্যাপারটা আমি আগেও খেয়াল করেছি, যখনি আমি কোনো বড় শহর ছেড়ে বের হয়ে যাই আমার খালি বুক ভরে নিশ্বাস নিতে ইচ্ছে করে। চারদিকের খোলা মাঠ, চনমনে বাতাস, মনের সাথে সাথে শরীরটাও কেমন যেন ফ্রেশ হয়ে যায়!
আমেরিকার হাইওয়েতে একবার এক্সিট ভুল করলে শাস্তি হিসেবে অনেক পথ ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। আমার প্ল্যান ছিলো নর্দার্ন স্টেইট পার্কওয়ে ধরে অনেক দূর ড্রাইভ করে এরপর লং আইল্যান্ড এক্সপ্রেসওয়ে ধরে গন্তব্যে পৌঁছাবো। কিন্তু একটা এক্সিট মিস করার কারণে অনেক ঘুরাঘুরি করে যেয়ে উঠলাম সাউদার্ন স্টেইট পার্কওয়েতে। সাউদার্ন স্টেইট পার্কওয়ে ধরে অনেক দূর যাওয়ার পর লং আইল্যান্ড এক্সপ্রেসওয়ে তে উঠে যাই। এরপর মিনিট পনের বিভিন্ন লোকাল হাইওয়ে ধরে আমরা আমাদের গন্তব্য ক্যালভারটন শহরের এক কোণায় অবস্থিত ড্রপ জোনে (স্কাই ডাইভিং করার স্থানটিকে ড্রপ জোন বলা হয়) পৌঁছে যাই।
ড্রপ জোন যায়গাটা আসলে একটা এয়ারপোর্টকে ঘিরে স্কাই ডাইভিং এর আয়োজন ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা গাড়ী পার্ক করে অফিস বিল্ডিংয়ে ঢুকলাম চেকইন করার জন্যে। কাউন্টারের মেয়েটি দ্রুত চেকইন শেষ করে আমাদের একটা টিভির সামনে বসিয়ে দিলো। টিভিতে মিনিট পাঁচেক এর একটা ভিডিও দেখতে হবে যেটা আমাদের আজকের স্কাই ডাইভিং এর ট্রেইনিং। ভিডিওতে আমাদের ডাইভিং এর সময় কিভাবে হাত-পা ভাঁজ করে থাকতে হবে, জাম্প করার সময় কিভাবে গায়ে লাগানো জাম্প হারনেস এর স্ট্র্যাপ ধরে থাকতে হবে, ল্যান্ড করার সময় ইন্সট্রাকর এর কথা অনুযায়ী স্ট্যান্ড বা স্লাইড করতে হবে কিভাবে ইত্যাদি সবকিছু ডেমন্সট্রেইট করা হলো।
ভিডিও দেখা শেষে আমাদের "কোনো ধরণের দূর্ঘটনার জন্যে কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়" টাইপের কাগজপত্র সই করতে হলো। এমনকি মৃত্যু, বা চিকিৎসা খরচ ইত্যাদি কিছুই দাবী করবো না বলে সই করতে হলো।
অবশেষে আমাদেরকে বলা হলো বাইরে যেয়ে অপেক্ষা করার জন্যে। যথাসময়ে আমাদের নাম ধরে ডাকা হবে বলে বলা হলো।
বাইরে অপেক্ষা করার যায়গাটায় এসে তো আমাদের আক্কেলগুড়ুম। একটু পরপর আমাদের সামনে এসে টুপ টুপ করে প্যারাশুট নিয়ে পড়ছে স্কাই ডাইভাররা। বিশেষ করে যারা অভিজ্ঞ স্কাই ডাইভার তার যেভাবে বিপজ্জনকভাবে প্রচন্ড গতিতে এসে ধুপ করে ল্যান্ড করছিলো তা দেখে আমার শিরদাঁড়া খাড়া হয়ে গেলো! অবশ্য আমরা যেটা করছি সেটা হলো ট্যান্ডেম স্কাই ডাইভিং । আমি বা আমার বন্ধুরা কেউই একা জাম্প করবোনা। আমরা প্রত্যেকেই আমাদের ইন্সট্রাকটরের গায়ের সাথে শক্ত করে বাঁধা থাকবো। আমাদের পুরো জাম্পের সম্পূর্ণ দায়িত্ব ইন্সট্রাকটরের হাতে, আমাদের কাজ হলো শুধু জাম্প দেওয়া এবং আকাশে উড়ে বেড়ানো উপভোগ করা!
আমরা জানতাম স্কাই ডাইভিং এর জাম্পের জন্যে ডাক পেতে বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হয়। তাই আমাদেরকে যখন প্রায় দুই ঘন্টা পর ডাকলো আমরা খুব একটা অবাক হলাম না।
মাইকে আমাদের নাম শোনার পর আমরা জাম্প গিয়ার এর জায়গাটার দিকে এগিয়ে যাই। জাম্প গিয়ার মানে নানা রকম বেল্টে ঠাসা একটা জিনিস যেতা দিয়ে আমি আমার ইন্সট্রাকট্রের গায়ের সাথে আঠার মতো লেগে থাকবো। একজন আমাদের সবাইকে গিয়ার পরিয়ে দিলো। আমার ইন্সট্রাকটর উইনি এসে আমাকে একটা গগল (এক ধরণের চশমা) দিয়ে গেলো যেটা জাম্পের সময় আমাকে পরে থাকতে হবে প্রচন্ড বাতাস থেকে চোখকে বাঁচানোর জন্যে। এরপর আমার ভিডিও এবং ফটোগ্রাফার কেইট এসে আমার সাথে পরিচিত হলো। ও আমার ছবি এবং ভিডিওর দায়িত্বে থাকবে আকাশে। একজন মানুষের প্রতিদিনের কাজ ১৩,৫০০ ফুট উপরের আকাশে ব্যাপারটা ভাবতেই আমার গায়ে চমক খেলে যায়!
এরপর আমরা একে আমাদের প্লেইনের দিকে যাত্রা শুরু করলাম। ছোট, পুরনো, জীর্ণ-শীর্ণ একটা প্লেইন। আমার বন্ধু কৌতুক করে বললো - "এই ভাঙ্গা প্লেইন থেকে বাঁচার জন্যে হলেও আমাদের আকাশ থেকে ঝাঁপ দিতে হবে"! প্লেইন আস্তে আস্তে চলা শুরু করলো। ছোট একটা প্লেইন। যাত্রী সব মিলিয়ে জনা দশেক হবে। এর মধ্যে প্লেইনের একমাত্র দরজাটা হাট হয়ে খুলে আছে। জীবনে কোনোদিন প্লেইনের দরজা খোলা থাকতে দেখি নাই! আমি মনে মনে নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকি - "একটু পর যখন আকাশে থাকবো তখন তো কোনো দরজাই থাকবেনা, সুতরাং দরজা খোলা কি বন্ধ সেটা কোনো ব্যাপার না"!
কিছুক্ষণ পর প্লেইনটা মাটি ছেড়ে আকাশে উঠা শুরু করলো। প্রায় ৪৫ ডিগ্রী কোণে প্লেইনটা উঠতে উঠতে যখন নিচের সবকিছু ছোট বিন্দুতে পরিণত হলো আমি আর আমার বন্ধু শাহেদ প্রায় একসাথে একে অপরের দিকে তাকালাম। দুইজনই প্রথমবারের মতো উচ্চতা দেখে একটু ভয় পেলাম। আর কিছুক্ষণ পর এখান থেকে শুন্যে লাফিয়ে পড়বো ভাবতেই একটা হিমশীতল স্রোত রক্তের সাথে বেয়ে গেলো। আমার ক্যামেরাম্যান কেইট আমার একটা ছবি তুললো, আমি নার্ভাস ভঙ্গিতে হেসে পোজ দিলাম।
প্লেইন ১৩,৫০০ ফুট (প্রায় আড়াই মাইল/সাড়ে চার কিলোমিটার) উপরে এসে স্থিত হলো। আমি লাইনে দ্বিতীয় জাম্পার। আমার আগে সারা গায়ে টাট্টু লাগানো টিংটিঙ্গে একটা আমেরিকান ছেলে লাফ দিলো। মুহুর্তের মধ্যেই সে এবং তার ইন্সট্রাকটর শুন্যে হাওয়া হয়ে গেলো। এরপর আমার পালা। কেইট আগে বের হয়ে দরজার বাইরে যেয়ে একটা হাতল ধরে দাঁড়ালো। সে ওখান থেকে আমার লাফ দেওয়ার মুহুর্ত ক্যামেরায় ধরবে। এরপর আমার ইন্সট্রাকটর এর ঈশারার সাথে সাথেই কেইট লাফ দিবে এবং সাথে সাথে আমরাও।
আমার ইন্সট্রাক্টর প্লেইনেই আমাকে তার শরীর এর সাথে খুব শক্ত করে বেঁধে নিয়েছে। সে আমাকে ঠেলে ঠেলে প্লেইনের দরজার সামনে নিয়ে আসলো। আমার প্রায় পুরো শরীর প্লেইনের বাইরে, আমার হাত আমার বুকে জাম্প হারনেস এর সাথে ধরে রাখা। ঠিক সেই মুহুর্তে আমি কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার ইন্সট্রাক্টর উইনি আমাকে সহ শুন্যে ঝাঁপ দিলো। কয়েক মুহুর্তের জন্যে আমার মনে হলো এটা কী হলো? আমি দুস্বপ্ন দেখার মতো পড়েই যাচ্ছি নিচে... কিন্তু পুরো ব্যাপারটা মাত্র তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ড স্থায়ী হলো। ততক্ষণে উইনি ছোট একটা প্যারাশুট (যাকে drogue বলে) ছেড়ে দিলো। এই ছোট প্যারাশুট এর কাজ হলো পৃথিবীর অভিকর্ষনজনিত ত্বরণকে বাধা দিয়ে আমাদের মোটামুটি ঘন্টায় ১২০ মাইল বেগের মধ্যে সীমিত রাখা। প্রাথমিক জাম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই উইনি আমার হাত ধরে সামনে তাকাতে ইশারা দিলো। আমি সামনে তাকিয়ে দেখি কেইট এসে আমাদের সামনে আমাদের সমান তালে শুন্যে ভাসছে!
কেইটকে আমাদের পাশে শুন্যে ভেসে থাকতে দেখে মজা লাগলো। সে ঠিক আমাদের দশ ফুট নিচে থেকে আমাদের দিকে চেয়ে শুয়ে ছিলো। তার হাতে ক্যামেরা ছিলো, তাই সে আমার শুন্যে ভেসে থাকা শুট করার জন্যে আমাদের নিচে এসে বাতাসের কোলে শুয়ে ছিলো সারাক্ষণ!
স্কাই ডাইভিং না করার আগ পর্যন্ত যেটা মনে হতো - প্লেইন থেকে লাফিয়ে পড়ার পর প্রচন্ড গতিতে পড়ে যেতে থাকবো - আসলে ব্যাপারটা কিন্তু সেরকম নয়। ছোট প্যারাশুট খোলার পর আমাদের গতি ছিলো ঘন্টায় ১২০ মাইল। তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়ালো একটা গাড়ীতে করে ১২০ মাইল বেগে চলতে থাকলে বাতাস এসে চোখে মুখে পড়লে যা হয়। প্রচন্ড বাতাস এসে আমার মুখে পড়ছিলো। নিশ্বাস নিতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছিলো। মুখ, ঠোঁটও শুকিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু আকাশে ভেসে থাকার আনন্দ এবং উত্তেজনার কাছে সেটা আসলে কিছু ছিলোনা!
ঠিক এই সময় হঠাৎ করে প্রচন্ড ঝাঁকি খেলাম। কিছুক্ষণের জন্যে একটু হতচকিত হয়ে গেলাম। পরে বুঝলাম আমরা ভূমি ৫,০০০ ফুট উপরে এসে গিয়েছি, তাই উইনি আমাদের মূল প্যারাশুট খুলে দিয়েছে। হঠাৎ করে গতি একেবারে কমে গেলো। আমি প্রথমবারের মতো ভালো করে চার দিকে তাকানোর সুযোগ পেলাম। নিচের সবকিছু ক্ষুদ্র খেলনার মতো লাগছিলো। দূরে লং আইল্যান্ড এর সমুদ্র তীর দেখা যাচ্ছিলো।
সঠিক যায়গায় ল্যান্ডিং এর জন্যে উইনি প্যারাশুটকে বেশ কয়েকবার ডানে বামে টেনে আমাদের গতিপথ পরিবর্তন করছিলো। এসময় দুএকবার প্রচন্ড ভয় লেগে গিয়েছিলো। ওই অনুভূতিটা ছিলো সত্যিকারের ত্বরণ জনিত টান (free fall) যেটা এমনকি প্যারাশুট খোলার আগেও ছিলোনা।
জাম্প করার প্রায় পাঁচ ছয় মিনিট পর উইনি খুব দক্ষভাবে এসে প্যারাশুটটাকে ল্যান্ড করালো। মাটিতে পা রেখে আমার মনে হলো - "অবশেষে আমি এটা করেছি"! কতোদিন ধরে স্কাই ডাইভিং করতে ছেয়েছিলাম, কিন্তু মূলত ভয়ের কারণেই এতোদিন করা হয়নি। কিন্তু আমার মনে হলো শুধুমাত্র এই ফালতু ভয়ের কারণে এতো উত্তেজনা এবং আনন্দময় একটা জিনিস থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবো এর কোনো মানে হয় না। অবশেষে আমার ইচ্ছে শক্তির কাছে আমার ভয় পরাজিত হয়েছে আর আমি এমন চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করলামঃ)
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৪৫
বিলাশ বিডি বলেছেন: চিন্তা ভাবনা কম করে জাম্প দিয়ে দেন
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৩২
সোহান বাশার বলেছেন: বাহ্ অনেক মজা পাইলাম পড়ে। লেখা অনেক সুন্দর পুরুটাই একটানে পড়লাম। সামনের দিকে একা একা লাফ দিতে হবে। আরো পোষ্ট চাই?
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৪৬
বিলাশ বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ সোহান বাশার।
হ্যাঁ, পরের বার একাই দেওয়ার ইচ্ছা আছে। জাম্প দিলে তো পোস্ট হবেই
৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৩৪
সায়েদ তানজিদ বলেছেন: বেশ লাগল কিন্তু। প্রথম ++ কবে করেছিলেন? আজকে?
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৪৭
বিলাশ বিডি বলেছেন: এটাই প্রহম ছিলো। গতো রোববারে করেছি।
৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৩৬
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন: আমিও তো পাশেই ছিলাম
+
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৪৭
বিলাশ বিডি বলেছেন: হ্যাঁ ছিলেন তো পাশে আপনি
৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৩৭
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন: পুরা হিরো
ভিডিও দেখলাম।
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৪৭
বিলাশ বিডি বলেছেন:
৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৪৬
সায়েদ তানজিদ বলেছেন: হুম ভিডু দেইখা ভালা লাগছে।
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৪৮
বিলাশ বিডি বলেছেন: ধইন্যা পাতা
৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৪৭
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন: পোষ্ট প্রিয়তে খরচ কেমন হলো? আমারও ইচ্ছা আছে
আমি আর তানজিদ
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৪৮
বিলাশ বিডি বলেছেন: খরচের জন্যে এইখানে দেখেনঃ http://www.skydivelongisland.com/Rates
৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৪৯
ভয়ংকর বোকা বলেছেন: আমার ও উচ্চতা ভীতি আছে...অনেক সাহসের কাজ করেছেন।+
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৫৪
বিলাশ বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ
৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৪৯
স্বপ্নরাজ বলেছেন:
ভাল লাগল। এরপর হেল্পার ছাড়াই যাইয়েন। যেভাবে বেল্ট বাধা হেল্পারের সাথে দেখেই ছিড়ে যাওয়ার ভয় করছে.....
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৫৫
বিলাশ বিডি বলেছেন: হ্যাঁ, হেল্পার ছাড়া যাওয়ার ইচ্ছা আছে পরের বার।
তবে হেল্পারের সাথে ছিঁড়ে যাওয়ার ভয় থাকলে একা একা করলেও প্যারাশুট ছিঁড়ে যাওয়ার ভয়টা থেকেই যায়!
এরচেয়ে ভয় ভয় এর জায়গায় থাকুক, আমরা আমাদের এডভেঞ্চার করে যাই
১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৫১
আপন জন বলেছেন: এই রকম ফান করতে গিয়ে বহু মানুষ আক্কা যায়!
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৫৭
বিলাশ বিডি বলেছেন: এর চেয়ে অনেক অনেক বেশি মানুষ মারা যায় রোড এক্সিডেন্টে, জীবনে ফান না করে বিষন্নতা বা অন্যান্য রোগে ভুগে ভুগে
সিরিয়াসলি - রাস্তায় গাড়ী চালানোর চেয়ে স্কাই ডাইভিং অনেক বেশি নিরাপদ। তবে হ্যাঁ, এটা মারাত্মক সাহসের একটা কাজ বটে।
১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৫৫
মাক্স বলেছেন: ঐরান্তিক
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৫৭
বিলাশ বিডি বলেছেন: ঐরান্তিক মানে জানিনা, তবে ধন্যবাদ
১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:২৫
আজমান আন্দালিব বলেছেন: বাহ্, সাহসের কাজ করেছেন।
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৩৬
বিলাশ বিডি বলেছেন:
১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৫২
শিশির সিন্ধু বলেছেন: অঅর মায়রে বাপ....করছেন ডা কি....পরেরবার সাহস কইরা বান্জি জাম্পডাও মাইরা দিয়েন
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৩৭
বিলাশ বিডি বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি বাঞ্জি জাম্পিঙ্গকে আমার স্কাই ডাইভিং এর চেয়ে বেশি ভয় লাগে
১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৫৮
হ্যাজাক বলেছেন: আমার তো এখনি উড়াল দিতে মুঞ্চায়
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৩৭
বিলাশ বিডি বলেছেন: সুযোগ পেলেই উড়ালটা দিয়ে দিয়েন!
১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:১৫
কেতাদুরস্ত বলেছেন: একটানে পড়লাম। দারুন । ++
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৩৭
বিলাশ বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:১৯
মৃত্তিকা মন বলেছেন: ওয়াও! দারুন অভিজ্ঞতা! পাখি হবার সাধ পূর্ণ হয়ে গেল আপনার
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৩৮
বিলাশ বিডি বলেছেন: হ্যাঁ, অনেকটা পাখির মতোই উড়া এটা!
১৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৩৮
জিন্নাহ্ বলেছেন: আমার প্রচন্ড স্কাই ডাইভিং করার। সময়-সুযোগের অভাবে হয়নি। গত দু-মাস আগে নিউইয়র্ক থেকে আ্যরিজোনা আ্সলাম। এখানে দেখি অনেক প্রতিষ্ঠান স্কাই ডাইভিং অফার করছে। ২০০০০ ফিট উপর থেকে ঝাঁপ হয়তো সহসা দিয়েই ফেলবো।আপনার ফোন নম্বরটা দেবেন প্লিজ। কথা বলে একটু সাহস নিতে চাই। আমি একা ডাইভ দিতে চাই। সবাই দোয়া করবেন!
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৪১
বিলাশ বিডি বলেছেন: পুরো ব্যাপারটা একটা মানসিক এক্সারসাইজ। স্কাই ডাইভিং খুবই নিরাপদ একটা স্পোর্টস, শুধু সাহস লাগে।
আমার ইমেইল [email protected]।
১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৪৫
Ali Khan Russell বলেছেন: চরম গুরু। কত খরচ পরছে।
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:০০
বিলাশ বিডি বলেছেন: খরচের ব্যাপারটা এখানে পাবেনঃ http://www.skydivelongisland.com/Rates
১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৪৬
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: ভাই, অসাধারন অভিজ্ঞতা এবং একি সাথে অসাধারন লেখা, প্রকাশ ভঙ্গিমা। পড়তে পড়তে যেন আমিও আপনার মত ঠীক একই উত্তেজনা অনুভব করছিলাম।
আমারও প্রচন্ড উচ্চতা ভীতি আছে, কিন্তু একবার চেরাপুঞ্জিতে ২০০০ ফিট উচু ঝরনার মুখ পর্যন্ত ট্রেকিং করেছিলাম, সেই মুখের ছবি তোলার সময় উত্তেজনায় কোথায় যে দাড়িয়েছিলাম উচ্চতা ভীতি ভুলে, এখন ভাবলেও গা শিরশির করে !!
পোস্টে +
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:০১
বিলাশ বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ, আগ্রহ নিয়ে পড়ার জন্যে।
এই উত্তেজনার জন্যেই মানুষ এতো ঝুঁকি নেয়!
২০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৫৬
ইভা লুসি সেন বলেছেন:
আমার তো উচ্চতা ভীতি আছে । আমি কি জাম্প দিতে পারব ?
ট্রেনিং সহ মোট খরচ পড়লো কত ? (আপনারটা বলেন । )
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:০২
বিলাশ বিডি বলেছেন: আমি যদি জাম্প দিতে পারি তাহলে যে কেউই পারবেঃ)
খরচের জন্যে এখানে দেখুনঃ http://www.skydivelongisland.com/Rates
২১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৫৮
arefinsyeed বলেছেন: ওসাম ছালা...
কঠিন দেখাইছেন ভাই... মনে বড় সাধ জাগে এমুন এক্কান ফাল দেওনের
২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:২৩
বিলাশ বিডি বলেছেন: ফাল দেওয়ার ইচ্ছে থাকলে দিয়ে ফেলুন সুযোগ পেলে
২২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:০৩
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: জীবনকে উপভোগ করার কত উপাই না মানুষ বানিয়েছে!!
এই ৫-৭ মিনিটের উত্তেজনার জন্য আপনি খরচ করেছেন প্রায় ৫০০ ডলার, বাংলাদেশের টাকায় ৪০,০০০ টাকা।
বাংলাদেশে পিয়ন/দাড়োয়ান/ড্রাইভার/মেকানিক শ্রেনীর শ্রমিকের বেতন গড়ে ১০,০০০ টাকা যা দিয়ে গড়ে ৫ জনের একটা পরিবার চলে। তার মানে ২০ জন মানুষের একমাস চলার খরচ দিয়ে আপনি উপভোগ করলেন ৫-৭ মিনিটের রোমাঞ্চ!!
কত ভাগ্যবান আপনি!! আমারতো রীতিমত হিংসে হচ্ছে।
২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:৩১
বিলাশ বিডি বলেছেন: আপনি যে ব্যাপারটা উল্লেখ করলেন সেটা নিয়ে অনেক কথা বলা যায়, কিন্তু বলতে ইচ্ছে হচ্ছেনা। অহেতুক তর্ক করতে হবে তাহলেঃ)
তবে মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
২৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৪৮
অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: দারুণ ব্যাপার।
কিন্তু অনেক খরচ দেখাইলেন তো
২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:৩৩
বিলাশ বিডি বলেছেন: খরচের একটা বড় কারণ মনে হয় উড়োজাহাজের খরচ, প্লাস এটা কিন্তু একটা বিপজ্জনক ক্রীড়া - বিশেষ করে যারা দিনে ২০ বার জাম্প করছে আমার মতো নতুনদের সাথে তাদের জন্যে।
২৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৫৭
আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: পড়ার পর থেকে তো লোভ লেগ গেল। জীবনে যদি সুযোগ হয় আর করলে অবশ্যই Tandem skydiving
২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:৩৪
বিলাশ বিডি বলেছেন: অবশ্যই!
২৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:২৯
রাফাত নুর বলেছেন: ওয়াও । অচাম , চুপার হইছে।
২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:৩৪
বিলাশ বিডি বলেছেন: দইন্যা পাতা
২৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১১
শুভ রহমান বলেছেন: যিনি খরচের তুলনাটার কথাটা তুললেন উনি কেন ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, ব্লগিং করছেন বুঝলাম না।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:২৬
বিলাশ বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ।
এটা নিয়ে নানাভাবে তর্ক করা যায়, কিন্তু সেই তর্ক অর্থহীন মনে হয় আমার কাছে।
আমার ধারণা, আমাদের চারদিকের এতো সমস্যার কারণে আমরা কিছুটা দুঃখবিলাসী হয়ে গিয়েছি। আনন্দ লাভের জন্যে কোনো কিছু করতে গেলে অনেকেরই ঘুরে ফিরে দুঃখ-কষ্টের কথাগুলো মনে হয়ে যায়। আমরা ভুলে যাই যে দুঃখ কষ্টের সাথে সুখ-আনন্দও জীবনের অংশ। সবারই জীবনের বিভিন্ন সময়ে সবকিছুর ভেতর দিয়ে যেতে হয়।
২৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৩৪
হাম্বা বলেছেন: বর্ণনায় মজা লাগলেও পড়েই হাটু কাপতে ছিল...
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:২৮
সায়েদ তানজিদ বলেছেন: ভাইজান তো দেখি ভালাই এঞ্জয় করছেন।। আমারে ডাক দিলেন না ্কেন? পাশেই তো থাকি।
লোভ লাগছে। একবার জাম্প দিমু নাকি চিন্তা করতাছি।