![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কত হবে আজিমপুর থেকে বারিধারার দূরত্ব? শুনেছি আমেরিকা, কানাডা কিংবা ইউরোপের কোনো কোনো দেশে নাকি ৭০/৮০ কিলোমিটার জার্নি করে প্রতিদিন অফিস করার ঘটনা জলভাত। কিন্তু আমাদের এই সোনার বাংলায়? আর এই ঢাকা শহরে?
এই গরমে প্রতিদিন আজিমপুর থেকে বারিধারা যাওয়ার এই সংগ্রামে অন্যতম বাহন আমার এই ফাল্গুন বাস। প্রায় প্রতি ৩/৪ মিনিট দূরত্বে পরপর বসানো কাউন্টার এর উপস্থিতি থেকে আপনি হারে হারে টের পাবেন কাউন্টার সার্ভিস কাকে বলে! রাস্তার সিগনাল খোলা আছে তো কাউন্টার এ থামে, আর কাউন্টার ত্যাগ করার সাথে সাথে সিগনাল ক্লোজড। এইভাবে চলে সিগনাল আর কাউন্টারের লোকোচুরি খেলা। সাথে মালিবাগ, মৌচাক এবং রামপুরা-বাড্ডার জ্যামতো আছেই। কোন একদিন জ্যামে না পড়লেই বরং টেনশন লাগে 'আজকে ঘটনা কি'?
আমার কেন জানি মনে হয়, যত সব পুরাতন আর ভাঙাচোরা ব্যবহারের অনুপযোগী বাস গুলা সবই ফাল্গুন বাস কোম্পানী কিনে নেয়। চমৎকার(!) বিজনেস আইডিয়া। অতি উৎসাহী হয়ে একদিন বাসের কন্ডাক্টর মামাকে ভাঙাচোরা বাসের রহস্য জিঞ্জেস করতে মামা যা শুনালেন তা শুনে বড়ই চমৎকৃত(!) হইলাম। ঢাকা কলেজের ছাত্ররা নাকি কারনে অকারনে খালি বাস ভাঙে। তেল গ্যাসের দাম বাড়ার সাথে সাথে বাস ভাড়া প্রায় ৩০% - ৪০% (১৫ টাকার ভাড়া এখন ২০ টাকা ) বৃদ্ধিতে সাধারন জনগনের নাভিশ্বাস উঠলেও 'বিনা ভাড়ায়' বাসে চলাচল করার পরও কারনে অকারনে বাস ভাঙার কোন যুক্তি খুজে পেলাম না। আমি কিন্তু একটুও বাড়িয়ে বলিনাই। ঢাকা কলেজের সামনে থেকে ফাল্গুন বাসে উঠলে কোনো ভাড়া দিতে হয়না এইটা এখন অলিখিত নিয়ম হয়ে গেছে (আপনিও ট্রাই করে দেখতে পারেন একবার!)। বিনা ভাড়ায় ঢাকা কলেজের সামনে থেকে উঠে ছাত্ররা সিট দখল করে বসে থাকেন অথচ তারপর সাইন্সল্যাব, শাহবাগ থেকে অনেক মহিলা, বৃদ্ধ মানুষকে ফুল ভাড়া দিয়ে উঠেও সিটের অভাবে দাড়িয়ে থাকতে হয়। এমনও হয়েছে রাত ৯ টার সময় বারিধারা থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত এসেছেন এক ছাত্র কিন্তু ভাড়া দেন নি। কারন তিনি ঢাকা কলেজের স্টুডেন্ট। এইটা নিয়ে সারা রাস্তায় কন্ডাক্টর এর সাথে ওই ছাত্রের ক্যাচাল ছিল দেখার মত! অথচ তারা একবারও ভাবেননা তাদের এই বাড়তি ভাড়ার চাপ এসে পড়তেছে আমাদের মত সাধারন যাত্রীদের উপর। একবার তর্কের সময় এক ছাত্রকে বলতে শুনেছি, ঢাকা কলেজের সাথে নাকি চুক্তি আছে বাস ওয়ালাদের! ভাবতে ভালই লাগে, আমাদের দেশে ইদানীং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই ছাত্রদের বাস ভাড়া দিয়ে দিচ্ছে। ঢাকা কলেজ কবে থেকে না আবার ছাত্রদের রিক্সা ভাড়াও দেয়া শুরু করে কে জানে!
গতকাল। যচ্ছিলাম আরামেই। আমার পাশের সিট ছিল খালি। সায়েন্স ল্যাবের মোড়ে একজনকে সিট দিতে জানালার পাশের সিটে সরে যেতেই বুঝতে পারলাম সিটের এপাশটা ভিজা (ফাল্গুন বাসের জানালার কাঁচ বেশীরভাগই নষ্ট একথতো আগেই বলেছি) ! নব উপবিষ্ট মোটা ভদ্রলোককে এইটা বলতেই উনি এমন চিকন হাসি দিলেন যেটা দোখে যে কারও মেজাজ ৪২০ হয়ে যাবার কথা। একটু চেপে বসার পরও বুঝতে পারলাম আমার একপাশ একটু ভিজা ভিজা লাগতেছে। এখন কি হবে? ক্লাস নেয়ার সময় বোর্ডে লিখতে গেলে স্টুডেন্টরা দেখবে স্যার এর পিছনে একপাশ ভিজা
! ফ্যান এবং এসির সমন্বিত বাতাস থেরাপিতে অবশ্য সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলাম
।
২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:৫২
িবমূর্তমানব বলেছেন: জি ভাই, ঠিকই কইছেন....
২| ২৯ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩৯
শিপন মোল্লা বলেছেন: সোনার বাংলা দেইখ্যাই এ রকমডা অইছে বুনার বাংলা অইলে ছাএদের পাচা দ্যাখাইতে কৈই ডর থাকতো না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:৩৯
রিক্তের বেদন২০১০ বলেছেন: মানির মান আল্লাহ রাখে !