নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

CAUTIOUSLY OPTIMISTIC

বিপ্লব06

এই ব্লগের সকল লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।

বিপ্লব06 › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাজা পরিস্থিতি ও আমার ব্যাক্তিগত উপলব্ধি

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

খবরঃ ইজরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ২৭৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪০,০০০ উদ্বাস্তু।



কার দোষ সেটা বিবেচনা না করে, একটু পেছনে ফিরে দেখা যাক। হঠাৎ করে কেন গাজায় ইজরায়েলি হামলা শুরু হল?








কয়েক বছর আগে যখন সিরিয়াতে আসাদবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে তখন পলিটিক্যাল কারণেই হোক আর সো-কল্ড আরব বসন্তের ভাগ নিতেই হোক হামাস সুন্নি বিদ্রোহীদের সমর্থন দেয়। সিরিয়া কিন্তু হামাসকে আর্থিক সহায়তা দিত। সিরিয়া আর ইরান হল রিজিওনাল এলাই। সুতরাং আসাদকে সমর্থন দেওয়া মানে ইরানের বিরোধিতা করা। আর একটা কথা মনে রাখা ভালো, ইরান কিন্তু হামাসের অনেক বড় ফান্ড সাপ্লাইয়ার ছিল। তারা হামাসকে প্রতি মাসে প্রায় বিশ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দিত। সিরিয়ার বিরোধিতা করায় হামাস ইরানের সেই ফান্ড থেকে প্রায় বঞ্চিত। এর মানে এই নয় যে ইরান হামাসকে সাপোর্ট করছে না। যাহোক, ফান্ডের সঙ্কট হামাসের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়ায়।



আরেকটা বড় সমস্যা হল, মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডের পতন। এখানে বলে রাখা ভাল যে, হামাসের জন্মই হয়েছে মুসলিম ব্রাদারহুডের হাত ধরে। সিসি সরকার মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে ঘোষণা দেওয়ায়, হামাসও ইজিপশিয়ান সরকারের রোষানলে পড়েছে। । এর উপর মিশর রাফা ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ায় হামাসের বাইরের সাহায্য পাবার উপায়ও অনেকটা লিমিটেড হয়ে গেছে। মিশর আর একটা কাজ করেছে সেটা হল গাজা থেকে মিশরের টানেল গুলো বন্ধ করে দিয়েছে যেটা হামাসের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে এসেছে। আর সবার উপর ইজরায়েলি ব্লকেড তো আছেই। ফলে আর্থিক সঙ্কট এতটাই তীব্র হয়ে দাড়ায় যে, হামাসকে ইসমাইল হানিয়ার পশ্চিম তীরের সাথে ন্যাশনাল ইউনিটি সরকারের নামে হাত মেলাতে বাধ্য হতে হয়। তারা মনে করেছিল, ইসমাইল হানিয়ার সরকার তাদের আর্থিক সহায়তা দিবে। কিন্তু সেটা মনে হয় আর হয়ে উঠেনি বরং ইসমাইল হানিয়া এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে গাজার উপর পুনরায় নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের পাঁয়তারা করে।



আর্থিক দুর্বলতার কারণে, হামাস নাগরিকদের ভালমত সেবা দিতে পারছিল না। ফলে গাজায় তাদের জনপ্রিয়তায় ধস নামে। রিসেন্ট একটা পোলে গাজানরা বলে তাদের ৪০% ভোট ইসমাইল হানিয়া পাবে আর হামাস পাবে ৩২%। আর এর মধ্যে হামাসের ভেতরে এবং গাজায় আরও কিছু ছোট ছোট সেল গড়ে ওঠে, তারা উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য হামাসকে দায়ী করা শুরু করে এবং নিজেরা রকেট ছোড়া শুরু করে। এরপর তিনজন ইজরায়েলি কিশোরকে কিডন্যাপ করা হয়। তাদের মৃত পাওয়া যায়। ইসমাইল হানিয়ার সরকার পশ্চিম তীর থেকে প্রায় ২০০ হামাস অপারেটিভকে ধরতে ইজরায়েলকে সহায়তা করে। আর হামাস পলিটিকালি কিছুটা আইসোলেটেডও হয়ে পড়ে।



এই অবস্থায় সবদিক থেকে কোণঠাসা হামাসের সামনে একটা রাস্তাই খোলা ছিল, সেটা হল, "ফাইট ব্যাক"। আর হামাসের একটা বড় প্লাস পয়েন্ট হল, গাজায় কিছু হলে (বেশি মানুষ মারা গেলে) ইন্টারন্যাশনাল সাপোর্ট হামাসের পক্ষে যাবে যেটা অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। তারা সেই পথটাই বেছে নিয়েছে। এজন্যই তারা ইজিপ্টের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। হামাস চায় তাদের বরদার ক্রসিঙ গুলো খুলে দেয়া হোক।



আর ইজরায়েলও হামাসকে সিস্টেমে ফেলে ক্রাশ করার একটা চান্স পেয়েছে।



বিঃ দ্রঃ আমার লেখার উদ্দেশ্য কোনভাবেই ইজরায়েলি বর্বরতার পক্ষে সাফাই গাওয়া নয়। ইজরায়েল যা করছে সেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।



সূত্রঃ

১। বিবিসি Click This Link

২। Kill Khalid: The Failed Mossad Assassination of Khalid Mishal and the Rise of Hamas

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.