নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

CAUTIOUSLY OPTIMISTIC

বিপ্লব06

এই ব্লগের সকল লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।

বিপ্লব06 › বিস্তারিত পোস্টঃ

এন ইডিয়ট ইন লাভ!!! (দুই)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯

(এই সিরিজের পোস্টগুলা শুধু বিনুদনের জন্য! এইখানকার কোন ইনফরমেশন লেখকের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করা যাইবে না।



এইবারের কাহিনীটা হইল প্রথম ক্রাশের কাহিনী। ক্রাশ শব্দটার মানে আসলে আম্রিকা আসার আগে কখনো বুঝি নাই।ক্রাশ বলতে রাস্তায় বাস-ট্রাকের ক্রাশ বুঝতাম! কাহিনীটা শুরু করার আগে একটু ব্যাকগ্রাউন্ড না দিলেই না!

ক্লাস ফাইভ থেকেই প্রাইভেট পরতাম এক স্যারের কাছে! এই ভদ্রলোক বহুত আজগুবি গল্প শুনাইত! পিরিতের গল্পও ছিল বেশুমার! যদিও পিরিত সম্পর্কে ভাসা ভাসা গিয়ান লাভ করছিলাম তখনকারআমলে ৪০-৫০ পেজের সস্তা উপন্যাস (চটি না কিন্তুক) পড়ে! ব্যাপারটা তখন আসলে ঠিক বুঝতামনা তখন, এখনো ঠিকমত বুঝি কি না সন্দো আছে! যাহোক, সেই স্যার একবার গল্প বলতে বলতে একটা কথা বলছিলেন। কথাটা ছিল এরকম, “পিরিত করবা ইন্টারমিডিয়েটের পর, তখন একটু বুজতে শিখবা। লাইফ, লাইনে উঠে গেলে তেমন সমস্যা হবে না”। স্যার মুলত কোথাগুলা বলছিলেন যেন ছেলেপেলে গুলা ৯-১০ বছরেই পিরিতে উস্তাদ না হইয়া যায়! যদিও এই কথাগুলোর থোড়াই কেয়ার করত আমার ফ্রেন্ডরা।ক্লাস সিক্সে পড়া বান্ধবীদের সাথে লাইন মারতে আসত কলেজে পড়া বড় ভাইরা!!! এই কথাটা ক্যামনে যেন মাথায় ঢুকে গেছিল সেই সময়। আর এই ব্যাপারটা ঠিক বুঝতামও না, ক্রিকেট খেলতাম আর স্কুল-প্রাইভেট শেষে বাসায় যাইতাম! এর মধ্যে আমার চোখের সামনে আমার ফ্রেন্ডগুলা আস্তে আস্তে পিরিতের উপ্রে পি এইচ ডি নিচ্ছিল। একজনের নাইন-টেনের পিরিত এখনো চলতিছে! আমি বাসায় যাইয়া আমার আব্বারে বইলে দেই কিনা এই ভয়ে এই ব্যাটারা আমার সাথে ব্যাপারগুলা ভুলেও শেয়ার করত না। মাঝে মাঝে দুয়েকটা কথাকানে আসতো না যে তাও না, কিন্তু আমার কাছে ঐগুলার কোন সিগনিফিকেন্স ছিল না। তবে, একবার (ক্লাস এইটএ মনে) আমার এক ফ্রেন্ডের পিরিতের-চিঠি আমার সম্মুখে গুপনে খোলা হইছিল! সেই চিঠির উচ্চমারগিয় ভাষা পইড়া এই অধমের কালা গাল লাল হয় নাই ঠিক, কিন্তু কান গরম হইয়া ঠিকই ধুয়া বাইর হইতেছিল! এরপর এস এস সি কইরা দিনাজপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হইছিলাম। পড়ালেখার মাথা খাইয়া বিঞ্জ রিডিঙের অভ্যাস তখনি গইড়া উঠছিল। মাসুদ রানা, ফেলুদা, তিন গোয়েন্দা (পার্ট), শারলক হোমস, সাইমুম, ক্রুসেড, হিমু সহ বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্রের লাইব্রেরীতে যত্তগুলা মুক্তিযুদ্ধের বই ছিল শব পড়ে শেষ করে দিছিলাম! বাপে টাকা দিত প্রাইভেট পরার জন্য আর আমি ওই টাকা দিয়া বই কিনতাম! বিল ক্লিনটনের “মাই লাইফ” পড়ার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু মাথায় কিচ্ছু ঢুকে নাই। খালি আরকান্সাস আর হিলারি শব্দ দুইটা মনে আছে!

এই আকামের ফলাফলঃ টেস্টে ম্যাথে ৩০ পাইয়া ফেইল (সেকেন্ড ইয়ারে উঠার সময় দুইটা সাবজেক্ট পরীক্ষাই দিই নাই! আমারে "প্রমোটেড অন্য কন্সিডারেশন" কইরা সেকেন্ড ইয়ারে উঠাইছিল)। ফকরুদ্দিন সরকার আইসা কয় টেস্টে ফেইল করলে পরীক্ষা দিতে দিব না! কমার্সের ছেলেগুলা গণ্ডগোল না লাগাইলে আমার লাইফ থেকে এক বছর হারাই যাইত। আমার বাপে তো আমার উপ্রে আশাই ছাইড়া দিছিল, মনে করছিল ছেলে পুরাই নষ্ট হইয়া গ্যাছে। যদিও আমার হলে গিয়া সেই আমলের ছবিগুলা দেখা ছাড়া আর কুনো বাজে অভ্যাস ছিল না।

মেসে ছিলাম পুরা ইন্টারের সময়টা। ফেল টেল মাইরা এরপর বাপের কাছে ফাইনাল আব্দার, মেসে থাকলে পড়া হইত না, একলা রুম নেওয়া লাগবে, নাইলে পাশ করতে পারতাম না। বাপে কিছু না বইলা রাজি, “বলে আর কি লাগবে বলিস। পরে যেন আমারে দোষ দিতে না পারিস এই বলে যে, কোন কিছুর অভাবে আমি ফেইল মারছি”। সেইসময় আব্বা আমার সাথে রাগে (মনের দুঃখে) ঠিকমত কথাও বলত না। আই ডোন্ট ব্লেইম হিম ফরদিস। ওই জায়গার আমি হইলে আমিও তাই করতাম।

এরপর শুরু হইল সিঙ্গেল রুম খুঁজার যুদ্ধ। তখন টের পাইছি ব্যাচেলর হওয়াটা কি কষ্টের! সবকিছু ঠিকঠাক, যখন শুনে ব্যাচেলর, ডিল ক্যান্সেল। অনেক খুঁজাখুঁজি করে একটা বাসায় রুম পাইলাম, বাসার মালিকের গ্রামের বাসা ছিল আবার আমাদের পাশের গ্রামে। ওই জন্যই মনে হয় আমাকে রুমটা দিছিল। কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই উঠছিলাম ওই বাসায়। বাসার মালিকের তিন মেয়ে এক ছেলে! বড়টা মেয়ে, দিনাজপুর সরকারি গার্লসের টিচার, তারপর একমাত্র ছেলেটা, একটা এবসলিউট জ্যাক-অ্যাস, তারপরের মেয়েটা হাজী দানেশে ফিসারিজ পড়তো, এখন ওখানেই লেকচারার।
আর ছোটটা????
মাইয়া একটা! ওইটারে নিয়াইতো যত ফ্যাঁকড়া!!!

(চলপে.........।)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২০

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: পিলাচ লন ভ্রাতা +++++++

অনেক কিছুই মনে পরে যাচ্ছে ;)

সিরিচ চলুক ।

অনেক শুভকামনা :)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৩

বিপ্লব06 বলেছেন: পিলাচ তুইলা রাকলাম যতন কৈরা!!!

মনে করেন আর পিচিক পিচিক কইরা হাসেন :P

আপনেরা অভয় দিলে সিরিজ থামানোর সাধ্য কার :)

আপনারেও ভালা কামনা............।

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৩

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: পোস্ট পড়িয়া কমেন্ট প্রদান করিব ভাবিয়া আগমন করিয়া ছিলাম , কিন্তু উপরের সতর্কীকরণ দেখিয়া চলিয়া যাইতে হইতাছে. , , , /:)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৬

বিপ্লব06 বলেছেন: ওইটা একটা ফান লিগ্যাল নোটিশ!!! কেউ যেন যখন তখন এইগুলা দিয়া আমারে পারসোনাল লেভেলে সিস্টেমে B-)) B-)) B-)) ফেলাইতে না পারে! মানে ইডিয়টের ফিউচার লাভের ক্ষেত্রে আরকি!!! ওইটার সাথে কমেন্টের কুনো সম্পর্ক নাই!

আপনার সাথে বেশ অনেকদিন পর দেখা! ছবি বলগ দেন না ক্যান?

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৩

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: লেখক ফান নোটিশ টানাবে আর পাঠক কি চুপচাপ বসে থাকবে! !!!! ??? ।ইহাও ইডিয়টিক পোস্টে কমেন্টের দায় থেকে বাচার লিগ্যাল ফান আপিল B-) :)

হুম অনেক দিন ব্লগে আসার সুযোগ হয়নি তেমন.

ছবি তোলাই হয়না আজকাল আর পোস্ট দেওয়ার আগ্রহ ও হারিয়ে ফেলেছি..

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

বিপ্লব06 বলেছেন: হুমম!!! বুঝতে পারছি! :D :D

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: লেখার ভঙ্গী চমতকার। ভালো লাগছে পড়তে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫

বিপ্লব06 বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ! আপনার ভালো লাগছে জেনে আমারও ভালো লাগতেছে!

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ফ্যাকরা রে জানার আগে ফুল ফ্যামিলির পরিচয় জাইন্না বইস্যা আছি /:)
হিন্দি সিরিয়াল দেখতাম তার থিকা।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৩৮

বিপ্লব06 বলেছেন: ওই ফ্যাঁকড়া নিয়াই তো যত ফ্যাঁকড়া! কইছিলাম না সাসপেন্স!!! B-))

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

আলী বলেছেন: যদিও আমার হলে গিয়া সেই আমলের ছবিগুলা দেখা ছাড়া আর কুনো বাজে অভ্যাস ছিল না।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৯

বিপ্লব06 বলেছেন: নিজেরে কি ধুয়া তুলসী পাতা মনে করছেন?

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

আলী বলেছেন: আর ছোটটা????
মাইয়া একটা! ওইটারে নিয়াইতো যত ফ্যাঁকড়া!!!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

বিপ্লব06 বলেছেন: হা... হা... ইয়ে মানে কি আর বলি?

ভালো থাকবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.