নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

CAUTIOUSLY OPTIMISTIC

বিপ্লব06

এই ব্লগের সকল লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।

বিপ্লব06 › বিস্তারিত পোস্টঃ

এন ইডিয়ট ইন লাভ!!! (চার)

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

(এই সিরিজের পোস্টগুলা শুধু বিনুদনের জন্য! জিন্দা কিম্বা মুর্দা কারুর সাথে কাহিনী মিল্লা গেলে কেউ দায়ী নহে!!!)



(আগের পুস্টের পর............। )
এরপরের ঘটনা খুব সিম্পল! মানে কোন কিছুই হয় নাই! আমি শুধু চাইয়া চাইয়া দেখছি! তবে একটা ব্যাপার লক্ষণীয় ছিল,মেয়েটার চোখের দিকে আমি কখনো তাকাই নাই! যেন আমার চোখে ওর চোখ পড়লে সব গোপন কথা সে জেনে ফেলবে।

মজার ব্যাপার হইল, এই মেয়াটার সাথে আমি একবার ও কথা বলি নাই! একবার অর সাথে কথা বলতে গেছিলাম মোটামুটি দরকারে, কিন্তু আমার গলায় কথা আটকাইয়া গেছিল! কাহিনী টা এরকম ছিল! আমি মেইন গেঁটের খুব কাছে থাকাতে, প্রায়ই এলাকার লোকজন ওদের মনে করে আমার দরজা ঠকঠকাইত। আমি তখন ওদের ডাইকাও দিতাম মাঝে মাঝে! এরকম একবার এক লোক আসছিল ওদের কাছে। বরাবরের মত আমার দরজায় ধাক্কা! আমি তখন বেল চাপ দিলাম নিচ তলা থেকে। উপর থেকে কয়েক সেকেন্ড পর গ্রিলের ফাঁক দিয়া ওই মাইয়া!!!! কয়, কে???? আমি আবুলের মুখ দিয়া কুনো কথা আর বাইর হয় না। মিনিট খানেক পর ওই লোক কয় আমি! ওই দিন আমার মনে হইতেছিল ধরণী তুমি দ্বিধা হও, আমি অন্দরে প্রবেশ কইরা লুকাই! এর পর থেইকা কুনো দিন ওই মাইয়ার সাথে কথা বলার চেষ্টা করি নাই!

এই ক্রাশ এর ব্যাপারটা আমি মোটামুটিভাবে চেপে রাখতে পারছিলাম! কিন্তু এক ইস্মাট বড় ভাই ক্যামনে ক্যামনে যাইনা ফেলাইছিল! তবে উনি আমারে মেন্টালি বিপদে ফেলেন নাই ব্যাপারটা নিয়া!

আম্রিকা আসার পর, দুইবার দেশে গেছি, দুইবারই ওদের বাসায় বেড়াইতে গেছি! এক্সপ্লিসিটলি আংকেল আন্টির সাথে দেখাকরতে, ইমপ্লিসিটলি অরে দেখতে! অরে দুইবারই অর ছায়া/ পশ্চাৎদেশ দেখে সন্তুষ্ট থাকতে হইছে!

আসলে মান-সম্মান হারানোর ভয়ে কোন দিন কারোর পিছনে লাগা হয় নাই! কোন কোন সময় আমি রিগ্রেট ও করছি কত্ত! সবসময় ইমোশনের উপ্রে রিয়েজন কে স্থান দিতে যাইয়া লাইফে অনেক কিছু চোখের সামনে থেকে হারাইতে হইছে। আই উইশ আই কুড সে “ফাক ইট” এন্ড ইন্ডালজ ইন থিংস দ্যাট ইজ আদারওয়াইজ আনরিয়েজনেবল, জাস্ট লাইক মিঃ ক্রিস্টিয়ান গ্রে ডিড ইনসাইড দি এলিভেটর ইন “দি ফিফটি শেডস অফ গ্রে”।

আপডেটঃ
আমি যদি শেখ মুজিব হইতাম, তাইলে কইতাম, “আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি”! কাহিনীটা লিখতে লিখতে হঠাত মনে হইল, মেয়েটার এইবার ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার কথা, কি খবর হইল জানা যাক। তো একজন ইনফরম্যান্টকে কল দিলাম। এই ভদ্রলোক আমাক বলে, কিরে এইদিক তো কাহিনী হইয়া গেছে, এতদিন ফোন দিস নাই ক্যান? আমি গেস করতেছিলাম, কি হইছে, মাইয়া ইন্টারে ফেইল মারে নাইতো? ফের মনে হয় নাহ ক্যামনে হয়, এস এস সি তে গোল্ডেন পাইছে! উনারে জিগাইতে কইল, নাহ হাজি দানেশে চান্স পাইছে! তারপর উনি আমারে কইলেন মাইয়ার বিয়া হইয়া গ্যাছে! মাসখানেক আগে! আমি তো পুরাই শকড! ক্যামনে হয়?ক্যামনে পসিবল? মাইয়া খালি ইন্টার পাশ করছে! পুলাও নাকি হাজি দানেশে পড়ে! কাহিনী নাকি পিরিতের ফের বাসা থেইকাই নাকি বিয়াটা দিছে?ডিটেইলস নাকি ওনারও জানা নাই! তারপর আরও শুনলাম মাইয়ার নাকি কি যেন সমস্যা হইছে, আন্ডারট্রিটমেন্ট!

এইগুলা শুইনা মেজাজটা বিলাহইয়া গেল! খিচুড়ি রান্না করছিলাম মেলা দিন পর। হলে থাকতে রেগুলার সকালে খিচুড়ি রান্না কইরা খাইতাম আর ক্লাসে যাই ঝিমাইতাম! সেই একই ফর্মুলার খিচুড়ি আজকে তিতা লাগতেছে!

এই কাহিনীটা আরও এটলিস্ট দুইটা পার্ট লিখতে পারতাম! কিন্তু আপডেট শুইনা আর একটা জিনিসও মাথায় নাই! ধুর বালছাল। আইজকে একটা পেপার লেখার পিলেন ছিল আর কি হইল। মনে হইতেছে এই চ্যাপ্টার টা তাড়াতাড়ি ক্লোজ করতে পারলেই বাচি!

যাইহোক, প্রথম ক্রাশের সলিল সমাধি হইয়া গ্যাছে! ওদের বাসায় যাওয়ারও আর কুনো ইনসেন্টিভ থাকল না! আর মাইয়াও একটা ইউনিভারসিটিতে চান্স পাইছে, পুলাও স্টিল অধ্যয়নরত। দুইজনেরেই ভারচুয়াল হ্যাপি লাইফ উইশ কইরা এই চ্যাপ্টার ক্লোজ! এই ক্রাশের কথা নিজে নিজে আনমনে মনে কইরা পিচিক কইরা হাসি দেওয়া আইজ থেইকা বন্ধ! মনে হইলে নিজেরে খামোশ!!! কই চুপ করাই ফেলমু!

পরে যদি লিখতে মন চায় তাইলে ইডিয়টের ওয়ান এন্ড অনলি পিরিত লইয়া লিখমু!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: সমবেদনা ভ্রাতা।
একই অভিজ্ঞতায় ও তাহা পুনরায় আপনার বর্ণনায় পাইয়া আমিও পুনরায় ব্যাথিত হইলাম!

কি আর করবেন, জতদিনে বুঝিয়াছি যে ক্ষুধা লাগিলে না কান্দিলে মাতাও দুগ্ধ সেবন করাইবে না, ততদিনে অনেককিছু নিয়া রিগ্রেট করা ব্যাতিত আর কি ই বা করিতে পারি!

যাহা হউক, পরবর্তী নতুন চ্যাপ্টারের অপেক্ষায় থাকিলাম :)

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

বিপ্লব06 বলেছেন: আমাদের পাস্ট হিস্টোরি মিলিয়া গিয়াছে!!! B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) আসেন কুলাকুলি করি!!!

ক্ষুধার ব্যাপারটা একশভাগ সত্য! কিন্তু ব্যাপারটা আসলে ক্ষুধার আছিল না! নতুন চ্যাপ্টারে ব্যাপারটা কিলিয়ার হইয়া যাইবে!!!

ধন্যবাদ ভ্রাতা! উৎসাহ দিয়া সিরিজখানা চালু রাখার জন্য!

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আগুনে ছাইচাপা দিলেন মুনে লয়
আসুবিধা নাই....

আপনার রিয়েল এর গল্প শুনি

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৪২

বিপ্লব06 বলেছেন: হ! আপনি মেলা ইসমাট!!! যেইদিন লিখছিলাম ওইদিন আসলেই ছাইচাপা দিছি! পরে আর ব্যাপারটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করার ইচ্ছা হয় নাই! সেরাম ই রাইখা দিছি!

আপনি এতগুলা কমেন্ট একলগে দিছেন দেইখা আমার কিন্তু বেশ লাগতেছে! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.