নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

CAUTIOUSLY OPTIMISTIC

বিপ্লব06

এই ব্লগের সকল লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।

বিপ্লব06 › বিস্তারিত পোস্টঃ

এন ইডিয়ট ইন লাভ!!! (এগার)

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

(এই সিরিজের পোস্টগুলা শুধু বিনুদনের জন্য! এইখানকার কোন ইনফরমেশন লেখকের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করা যাইবে না।)




(আগের পুস্টের পর.........)
তার পরদিন রাইতে মাইয়া কল দেয়, আমি তো আর ধরি না! পিরিত না করার ধনুক ভাঙ্গা পণ করছি বলে কথা! ফুন সাইলেন্ট কইরা দিছি!মাইয়া খালি ঘন ঘন কল দেয় দেইখা আর্লি আর্লি ঘুমায়া যাবার ডিসিশন লইলাম ওই রাতে! ফুনটা সাইলেন্ট কইরা বালিশের তলায় দিয়া বিন্দাস ঘুমায়া গেলাম!

ভোর চারটার দিকে কি মনে করে আমার ঘুম ভাইঙ্গা গেল! এরাম হয় না নরমালি। চিন্তা করলাম সকাল হইয়া গেল নাকি! ফুনের ঘড়ি দেখতে এতটাই অভ্যাস্ত হইছিলাম যে হাতঘড়ি পড়াই বন্ধ কইরা দিছিলাম! ঘড়ি দেখতে যাইয়া তো তড়াক কইরা লাফ দিয়া উঠলাম! দেখতেছি মাইয়া ইজ কলিং! কলটা শেষ হইতে দেখি তিনশ পঞ্চাশটার মত কল জমা হইছে! সংখ্যাটা দেইখা তো পুরাই ভিরমি খাইলাম! তাড়াতাড়ি কইরা ফুনটা অফ কইরা দিয়া বালিশের তলায় মাথা দিয়া ধুমাই ঘুমাই গেলাম আবার! আমি আবার ঘুমের ব্যাপারে কম্প্রোমাইজ করি না! এইখানে আমারে দেখতে পুরা হারামি মনে হইতে পারে কিন্তু, আমার ইজ্জত লুটের সিনটা মাথায় আইলে আমার শইলে আইজকেও “গুজ-বাম্প” উঠে! ডিপজলের লুটপাটের ছবি সামনে চলে আসে!

তার পরদিনটা কুনো রকম ভেজাল ছাড়াই পার হইল! আমিও মনে মনে আরাম পাইলাম এই ভাইবা যে মাইয়া মনে হয় মেসেজটা পাইছে! কিন্তু কাহিনীটা মোচড় খাইতেছিল অন্যভাবে! দুই তিন দিন পর একটু মুভমেন্ট টের পাইলাম! মেসের সেই ছোট ভাইয়ের কাছ থেইকা খবর পাইলাম! সে আমারে সিস্টেমে সাইজ করার ধান্দায় আছে! আস্তে আস্তে আমার ফ্রেন্ডের মেসের সবাই জানল। কাছের আরও বন্ধু বান্ধপ গুলা জানল। সবাই আমারে দোষ দেয়। কয় মাইয়ারে ইউজ কইরা এখন ছুইড়া ফেলাই দাও? তুমি মিয়া খুব খ্রাপ!

আমি অগোরে ক্যামনে বুঝাই যে আমি কিছু লুটি নাই,বরং ওই মাইয়াই উল্টা আমার ইজ্জত লুটার ধান্দায় ছিল! কিরা কসম কাইটা কইছি, কিন্তু কাউরে বিশ্বাস করাইতে পারি না! আসলে কাহিনীটা হইল, আমার জাগায় যদি অন্য কেউ হইত, আর আমারে গল্পটা শুনাইত, তাইলে আমিও ওরে বিশ্বাস করতাম না! অগোরে আমি অবশ্য আগের নোটের ডিটেইল গুলা দেই নাই। ওইগুলা দিলে ওরা আমারে আরও বিশ্বাস করত না। বন্ধুসমাজে আমাকে মধ্যবর্তী প্রজাতির বইলা ঘোষণাও করা হইত! সেই চাপে পইড়া আমারে র‍্যাডিক্যাল কিছু করা লাগত।

সপ্তাহখানেক পরে খবর পাইলাম মাইয়া নাকি আবার শহরে আস্তেছে! আমি শুইনা চিন্তা করলাম কেন? আমার কি দোষ! কিচ্ছু তো করি নাই! এরপর বিভিন্ন সূত্রে গুপন খবর পাইলাম মাইয়া নাকি আমারে বিয়াও করতে চায়! এই লিকড খবর শুইনা একরকম বাধ্য হইয়া মাইয়ারে কল দিলাম! কল না ধরার কুনো অজুহাত তো দিতে পারলাম না। জাস্ট ভঙ্গ চং আলাপ করতেছিলাম! অবাক করা ব্যাপার হইল মাইয়া আমারে একটা সিম্পল ঝাড়িও দেয় নাই! পরে শাপের মত ঠাণ্ডা কণ্ঠে কয়, আমারে বিয়া করতে হইব নাইলে তুমারে নারী নির্যাতন কেসে ঢুকাই দিমু! শুইনা তো আমিভয়ে অস্থির! এখন কি করতাম? শেষ পর্যন্ত পুলিশের ডলাই কি ছিল কপালে!

তারপর কয়, কিন্তু তার আগে তুমার বাসায় যামু! তুমার বাপের কাছে বিচার দিমু! নারী নির্যাতন কেসের চেয়ে আমার কাছে ভয়ঙ্কর ছিল আমার বাপের আমার পিরিতের কাহিনী বলাটা! বাড়িত না জানার জন্য এত্ত দুরে পিরিত করছি, বাপে যদি জানে তাইলে আমারে গাছের সাথে ঝুলাইয়া পিটাবে! আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপারটা হইল আমার বাপের মাথা হেঁট হইয়া যাবে। যেইটা আমি কোনভাবেই হইতে দিতে পারি না!

তবে এই হুমকিটারে আমি কুনো পাত্তাই দিলাম না! আমি মাইয়ারে ভুলেও কুনদিনো আমার বাসা ঠিক কই এইটা কই নাই! ক্যামনে যাইবে? কইলে হইল নাকি?

যাইহোক, একদিন কল পাইলাম আমার এক ফ্রেন্ডের কাছ থেকে, ব্যাটা বলে কিনা মাইয়া নাকি শহরে আইসা পরছে! বাড়ি থেইকা ভাগ! আমার তো অবস্তা খারাপ!কি করি কি করি? আমার এক বড় ভাইকে আমার বাসার উপর নজর রাখতে কইয়া উধাও হইয়া গেলাম! মাইয়ারে ফেস করাটা আমার সাহসে কুলায় নাই! আবার যদি!!!!! আর মাথাও ঠিক কাম করতেছিল না! এক্টুপর মাইয়া কল দিছে! দিয়া জিগায় তুমি কই? আমি কইলাম আমি শহরের বাইরে! তুমি কই? মাইয়া কয় তুমারে বিয়া করতে আইছি!!!!

কিছুক্ষণ পরে সেই বড় ভাই কল দিয়া আমারে লাইভ আপডেট দেয়, মাইয়া তুমার বাসায়! সাথে সেই ছোট ভাই, সম্ভবত আমার সেই ফ্রেন্ড আরও কয়েকজন ছেলেপেলে! আমারে বাসায় না পাইয়া দরজা খটখটাইয়া একটু পর প্রস্থান করছে! পাইলে ওইখানেই ধইরা তিনবার কবুল বলাইয়া লায় এমন অবস্থা!

এইদিক আমার আর এক ফ্রেন্ড আছে যে ভুং চুং হুমকি ধামকি দেয়ার দিক থেকে ভালোই পারঙ্গম! ওরে আমি আমার প্রতিনিধি বানাই ওদের কাছে নেগোশিওশেনের জন্য পাঠাইলাম! যাওয়ার সময় অয় আমারে সাবধান কইরা দিয়া কইছে আমি কল দিলেও কইবি না তুই কই আছিস! ঘণ্টা খানেক পরে আমার নেগোশিওটর ফ্রেন্ড কল দিয়া কয় কই তুই! আমি তো আর কই না! খালি আবুল তাবুল কথা কই! আমার ফ্রেন্ডে কয় যেইখানেই থাকিস তাড়াতাড়ি সরকারি কলেজের মাঠে চইলা আয়!

আমি এইবার ভয়ে আধমরা হয়ে গেলাম! আমার ফ্রেন্ড আমারে যাইতে কইছে মানে কাহিনী কমপ্লিকেটেড হই গেছে! যাওয়াই লাগবে। মনে মনে চিন্তা করতেছিলাম,এইবার তাইলে বিয়া করাই লাগবে! কেউ বিয়াটা ঠেকাইতে পারলো না! বিয়া করার কন্সিকোয়েন্সগুলা চিন্তা করতে করতে নিত্যদিনের সঙ্গী সাইকেল খানা নিয়া সরকারি কলেজের দিকে রওয়ানা দিলাম! যাইয়া দেখি ওইখানে এক বড় ভাই (নাম রিডাক্টেড), আমার নেগোশিওটর ফ্রেন্ড, ওই ফ্রেন্ড,ওই ছোটভাই, আরো একজন বইসা আছে! মাইয়ার দিকে যাইয়াই তো একটা বিটার লুক দিয়া বইলাম ঘাসের মধ্যে! আশপাশে সবাই যেইভাবে বিয়ার কথা শুরু করছে তাঁতে তো আমি পুরাই বিচলিত! হাজার হইলেও মন একটা ক্ষীণ আশা ছিলই, যে বিয়াটা মনে হয় হইবে না!
কিছুক্ষণের মধ্যে ডিফেন্স মেকানিজম কাজ করা শুরু করল! আমি একসেপ্ট কইরা লাইলাম যাক শালা, বিয়া করতে হইবে তো কইরা লামু! জাস্ট গেট ইট ওভার উইথ! মাইয়ারে বুঝানোর বহুত চেষ্টা করলাম যে কেন বিয়া করা ঠিক না!

মাইয়া তো কথা শুনে না। ওই বড় ভাই কইল আমরা বহুত চেষ্টা করছি, ওরে বুঝাইতে পারি নাই! এই বার তুমার পালা। তুমি যদি ওরে বুঝাইতে পার, তাইলে বাচবা। নাইলে আইজকেই বিয়া! তারপর কয় যাও একলা দুইজনে মিল্লা আলাপ কর! আমি একদিকে খুশি যে একটা চান্স আছে কিন্তু ওইদিনের কথা চিন্তা করতেই আমার মুখ শুকাই আমসির মত হইয়া গেল! মাইয়ার লগে আমারে একা যাওয়া লাগবে! কলেজের মাঠে ফাকা জায়গা বলে বুকে একটু বল পাইলাম! তার উপ্রে আশেপাশে এত্ত লোক! নিজেরে বুঝ দিয়া ওর সাথে একটু দুরে যাইয়া বইলাম! আসলে যাওয়া ছাড়া আমার কুনো উপায় নাই! "পড়েছি মুগলের হাতে খানা খাইতে হইপে সাথে!!!"


(চলপে.........।)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: B-))

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৫

বিপ্লব06 বলেছেন: B-)) B-)) B-))

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: ইউ আর সাচ এ পেইন ইন দ্যা এস, বাট আরাম আরাম পেইন

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৯

বিপ্লব06 বলেছেন: এইটা শুনলে মেজাজ বিলা হইয়া যায়! মাগার, এখন কমপ্লিমেন্ট মনে হইতেছে!

আপনার কমেন্টের কিন্তু ডুয়াল মিনিং হয়!!! :P :P :P

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: দ্যা এর বদলে ইওর ঔন পড়তে অনুরোধ করা হইলো।এইবার বুমেরাং এর চান্স নাই।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

বিপ্লব06 বলেছেন: না হইত না! আপনি ভুয়া! খেলা বন্ধ! B-)) B-)) B-))

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

কামের কথা কন!! বলেছেন: আপনার এই লেখাটাতে অনেক দিন থেকে চোখ রাখতেছিলাম। ভালই লাগছে পড়তে । আশাকরি ইডিয়ট লাভ শেষ পর্যন্ত চলবে। ভাল থাকবেন.।।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৬

বিপ্লব06 বলেছেন: তাই নাকি? গুপ্তচরবৃত্তি করতেছিলেন হাহ? আপনার ভালো লাগছে শুনে আমারও ভাল লাগতেছে!


গুপন খবরঃ ইডিয়টের এই পিরিত পরের পর্বে শেষ! মাগার পিরিত চলতে থাকপে!!!

ভালো থাকবেন! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.