নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

CAUTIOUSLY OPTIMISTIC

বিপ্লব06

এই ব্লগের সকল লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।

বিপ্লব06 › বিস্তারিত পোস্টঃ

এন ইডিয়ট ইন লাভ!!! (তের)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৪

(এই সিরিজের পোস্টগুলা শুধু বিনুদনের জন্য! জ্যান্ত কিম্বা মৃত কিছুর সাথে কাহিনী মিল্লা গেলে কাউকে দায়ী করা যাইবেক না!)









(আগের পুস্টের পর......)

এই ঘটনার পর আমি নিজে নিজেই ডিনাই করতেছিলাম যে আমি আসলে পিরিত করছি! মনে করতেছিলাম যে বাচ্চাপাইনের মত আবুলামি করছি! আসলে পিরিত লইয়া যেই কাহিনী গুলা হইছে এই গুলারে বালিচাপা দিয়া তাড়াতাড়ি ভুইলা যাইতে চাইছিলাম। স্পেশালি মাইয়া যদি অ্যান্টি টাইপ না হইত তাইলে হয়ত কাহিনী আলাদাভাবে লেখা লাগত! এক মাসের মধ্যে আমি নিজেরে কনভিন্স কইরা ফেলাইছিলাম যে আসলে পিরিত হয় নাই, জাস্ট মুপাইলে কথা কইতে যাইয়া একটু কমপ্লিকেশনে জড়াই গেছিলাম আরকি!!



এই এক মাসের মধ্যে আমার হাজী দানেশের এডমিশন টেস্টের রেজাল্ট হইছে আর আমার ভেটেরিনারিতে (ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স) চান্সও হইছে! আমি এত্ত খুশি হইছিলাম যে, বি এ ইউ তে আর এক্সাম দিতেও যাই নাই। রেজাল্টের কয়েকদিন পরেই ভর্তি!



প্রথম আলোতে ভার্সিটির পুলাদের ছবি দেইখা আমার মনে হইত ব্যাটারা খালি পিরিত করে আর হাসে। মহা শান্তিতে আছে, কুনু কাজ কাম নাই খালি পিরিত করে আর মাইয়া লই আড্ডা দেয়! আমিও ভার্সিটিতে যাইয়া আসল পিরিত করার জন্য মেন্টালি প্রস্তুত হইয়া গেছিলাম!



ভর্তির দিন আমার ভর্তির জন্য আমার আব্বাজান আর আমি ক্যাম্পাসে গেলাম। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা কইরা যখন ভর্তি শুরু হইল, তখন আমিই সিস্টেমে ভিত্রে আগে ঢুইকা পরলাম। ফলাফল আমার আইডি ছিল ০০১!!! ভিত্রে দেখি আমার সাথে আরও দুইটা মাইয়া ভেটেরিনারিতে ভর্তি হইতেছে! এই শুভক্ষণে এডমিনিস্ট্রেটিভ জটিলতার কারণে আমরা সবাই ১৫ মিনিটের জন্য আটকা পরলাম ভিতরে! ওই দুইটার একটা মাইয়ারে দেইখা তো আমি পুরাই উলাল্লা হইয়া গেছি! যাইনাও যাইয়া জিগাইলাম, আপনি কিসে ভর্তি হইতেছেন? কয় ভেটেরিনারিতে! যদিও যানতাম তারপরেও উত্তর শুইনা তো আমি ওইখানেই পারলে নাচানাচি শুরু কইরা দেই! আমি তখন কইলাম মি টু!!! মি টু!!!

তারপর জিগাইলাম কুন কলেজ থেইকা আপনে?

কয় দিনাজপুর সরকারি কলেজ!

আমি আবার কই মি টু!!! মি টু!!!

এরপর কইলাম আমি বিপ্লব, আপনি?

কয় **(রিডাক্টেড)। নামটা শুইনাই পছন্দ! আহা!!!

আমারে কয় কুন সালের ব্যাচ?

আমি কই ২০০৮!

মাইয়া কয় আমিও তো!!!

তারপর কয় আমারে চেন না? তুমারে তো কলেজে দেখি নাই! এক লাফে আপনি থেইকা তুমিতে!!! আমি তো মনে মন একইতাছি আল্লা আইজকা কার মুখ দেইখা উঠছি!!!

আমি কই আমি একটু কলেজে কম যাইতাম তো তাই তুমি আমারে দেখ নাই! আসলে তো আমি কলেজে গেছিই হাতে গুণা কয়েকদিন!!!

এরপর একটু ভং চং আলাপ করলাম। মাইয়া তো খালি মুচকি মুচকি হাসে আর কথাকয়! আমিও মুন্না ভাই এম বি বি এসের মত মনে মনে কইতাছি, “হাসি তো ফাঁসি”।

আনন্দে আর আমার মুখেও হাসি ধরে না! খালি হাসতেই আছি! আমি মনে করতেছিলাম ভার্সিটি শুরুই হয়নাই এর মধ্যেই পিরিত শুরু। লাব গুরু হই গেলাম না তো?



একবার কি মনে কইরা রুমের বাইরে বারান্দার দিকে তাকাইলাম! দেখি আমার আব্বা জানালার বাইরে দাঁড়াইয়া আমারে দ্যাখে আর পিচিক পিচিক কইরা হাসে!!!

শরমের চোটে আমার হাসি ওইখানেই হার্ড বেরেক কইরা বন্ধ হইয়া গেছিল! যদিও আমার বাপে আমারে পরে কিছু কইয়া শরম দেয় নাই নাই! এরপর সব কাজ ঠিকঠাক মত কইরা ফেরত গেলাম।বাসায় যাইয়া মনে মনে খালি মাইয়ার কথাই চিন্তা করতেছিলাম! আমার আর দিন কাটেচ্ছিলনা। খালি মনে হইতেছিল কুন্দিন ক্লাস শুরু হইবে, কুন্দিন তাহার দেখা পামু।



ক্লাস শুরুর দিন যাইয়া একটা শরমযুক্ত হাই দিয়া শুরু করলাম। একটু পর লক্ষ করলাম একটা দিলে চোট পাবার মত জিনিস। ক্যামনে কি? মাইয়া সবার দিকে তাকাইয়াই হাসে? কেনু? আরেক্টু খিয়াল কইরা দেখি মাইয়ার মুখ খানাই হাসি হাসি! ও যার দিকে তাকাইব ওই মনে করব যে আমারে ফিরি হাসি দিতাছে! যাইহোক মনে মনে ফন্দি আটা শুরু করলাম ক্যামনে কি করমু! এই ফন্দি আঁটা আর অবজারভেশনের মধ্যেই দেখি এক হারামি ক্লাসমেট ওর লগে ভাব জমাই লাইছে! খালি কথা কয় আর হাসে! আমার মেজাজ বিলা হইলেও আর কিচ্ছু কইতাম না। পনের দিনের মত পার হইয়া গেল কেমন কেমন কইরা, কিন্তু কুনো প্রোগ্রেস নাই! কারো হেল্প চাইমু তাও ওয়াইজ না! সবাই নতুন। একজন আরেকজনের কম্পিটিটর!!!! আর কাউরে তখন চিনতামও না ভালোভাবে! আর ক্যাম্পাসের বড় ভাইরা তো আগে থেকেই ফান পাইতা বইসা ছিল! আমাগোরে খালি জিগাইতকে সিঙ্গেল আছে? নাম্বারটা আইনা দিতে পারবা??? নাম্বার আইনা দিলে তুমারে র‌্যাগ দিমু না!



কয়েকদিন পরেই দেখি মাইয়া আর ক্লাসেই আইয়ে না! কাহিনিডা কি? একজনে এক্সপিলিন কইরা দিয়া কয়, মাইয়া নাকি সেকেন্ড টাইম মেডিকেলের জন্য চইলা গেছে! আমি তো এক রকম বিনা পিরিতে ছ্যাকা খাইয়া ব্যাকা হইয়া গেলাম! মনে মনে চাইতেছিলাম ওর যেন মেডিকেলে না হয়, ও যেন আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসে। তাইলে নেক্সট টাইমে আর ট্রাই দিতে দেরী করমু না!



মাইয়ার নেক্সট টাইমে আসলেই মেডিকেলে হয় নাই (শকুনের দুয়ায় আসলেই গরু মরছিল!)। মাইয়া ফেরতও আইছিল মাগার এইবার আমি নিজেই ছিলাম না! ডিভি পাই আম্রিকা চইলা আসছিলাম যখন আমাদের পরের ব্যাচটা ক্লাস শুরু করছিল!



দেশে যাইয়া আমি আবার ক্যাম্পাসে গেছিলাম! হলে ফিস্ট হইতেছিল ওই দিন! মাইয়ারে আবার দেখছিলাম! কি যে সাজা সাজছিল। দেখতে এত্ত খুপসুরাত লাগতেছিল। কি যে বলবো মাইরি! মনে হইতেছিল আবার হারানো জিনিসটারে পিকাপ করি! কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি। এর মধ্যে অবশ্য জানছিলাম মাইয়া নাকি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারীনি!



মাইয়ারে আমি কিছুদিন আগে ফেসবুকে পাইছি। এখন সে আমার ফ্রেন্ডলিস্টে!!! ওরে এড দিছিলাম ওর রিসেন্ট ছবিগুলা দেখার জন্য! মেয়েটা এখনো সেরকমই আছে! কোন চেঞ্জ হয় নাই! আমি যেহেতু আমার ফিলিং/ক্রাশের কথা তারে কই নাই, সো সে টের পাবার কথা না, আনলেস কাহিনী পইড়া মেমরি হাতড়ানো শুরু করে! ! এখন অবশ্য আমি তারে একটা বেটার ফিউচার উইশ করি! আর খারাপ দুয়া করতাম নাহ!



(ইডিয়টের দেশের পিরিতের কাহিনী শেষ! ইডিয়ট এইবার আম্রিকান পিরিতের কাহিনী শুনাইবে!)



(চলপে.........)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মোবাইল কাহিনী র শেষ আপডেট কি ? ...
হাহাহা বিনা ... ছ্যাকা খেয়ে ব্যাকা =p~ =p~ =p~ =p~

আমেরিকান কাহিনি র অপেক্ষায় থাকলাম ...

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৮

বিপ্লব06 বলেছেন: ওই পিরিতের লেটেস্ট কুনো আপডেট আমার কাছে নাই! বিয়া হইয়া গ্যাছে ওইটাই লাস্ট আপডেট! এখন নতুন কইরা খুচাইতে যাইয়া মাইয়ার সংসারে অগ্নুৎপাতের (পরকীয়ার) দরকার নাই! এতদিনে বাচ্চা দৌড়াদৌড়ি করে বেড়ানোর কথা!

হ আসলেই বিনা পিরিতে ছ্যাকা খাইয়া ব্যাকা হইয়া গেছিলাম!

আম্রিকান পিরিতের কাহিনী আসিতেছে.........।

থ্যাঙ্ক ইউ আপনাকে

ভালো থাকবেন!

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: ওহ! মজার তো। বেটার লাইফ উইশ করছেন এটা জেনে ভালোলাগলো।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪২

বিপ্লব06 বলেছেন: থ্যাংক ইউ!!! আগের গুলা পড়ে দেখতে পারেন, ভালো লাগবে :)

বেটার লাইফ উইশিং ঈজ দি বেস্ট থিং আই ক্যান ডু ফর হার।

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৪৪

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: সবই পড়েছি। শুরু থেকে নং তেরো।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬

বিপ্লব06 বলেছেন: এইবার চৌদ্দ পড়েন!!! :)

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪০

শায়মা বলেছেন: এই পর্বও মজার!
ভাইয়া তোমার লেখা দেখছি শুধু আপুরাই পড়ছে ভাইয়ারা পড়ছে না কেনো বুঝতে পারছিনা!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৪

বিপ্লব06 বলেছেন: অবশ্যই কিছু ভাইলোগ আইসা চুপচাপ পইড়া চইলা যায়, অনেকে অফলাইনে পড়ে!

*** আপনার প্রশ্নের উত্তরঃ "শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য" ট্যাগটা লাগাইলে ভাইলোগের সংখ্যা আরও বাড়বে!

আর আপুরা কেন পরেচ্ছে এইটা এই অধমের ঘিলুর মইদ্দে হান্দেচ্ছে নাহ! :P :P :P

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

শায়মা বলেছেন: হা হা

ভাইয়া দিনাজপুরের মানুষের এমন ভাষা জানতাম না


হান্দেছে না মান্দেছে না পরেচ্ছে মরেচ্ছে এইসব কি তুমি আবিষ্কার করেছো??? :P

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৪

বিপ্লব06 বলেছেন: হাহা!
আপনার কি মনে হয় আমি দিনাজপুরের ভাষায় লিখেচ্ছি????

ভাষা আবিষ্কার আমি ক্যামনে করবো, ইস্টাইল গুলা সংগৃহীত! যার তার কাছ থেকে পিকাপ করা!

৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫

আলী বলেছেন: এক রকম বিনা পিরিতে ছ্যাকা খাইয়া ব্যাকা হইয়া গেলাম! মনে মনে চাইতেছিলাম ওর যেন মেডিকেলে না হয়, ও যেন আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসে। তাইলে নেক্সট টাইমে আর ট্রাই দিতে দেরী করমু না!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২২

বিপ্লব06 বলেছেন: বিচিত্র সব চাওয়া!!!

ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.