নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

CAUTIOUSLY OPTIMISTIC

বিপ্লব06

এই ব্লগের সকল লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।

বিপ্লব06 › বিস্তারিত পোস্টঃ

এন ইডিয়ট ইন লাভ!!! (সতের)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭

(এই সিরিজের পোস্টগুলা শুধু বিনুদনের জন্য! জ্যান্ত কিম্বা মৃত কিছুর সাথে কাহিনী মিল্লা গেলে কাউকে দায়ী করা যাইবেক না!)



(আগের পুস্টের পর.........)
এরপরে ট্রান্সফার হবার সুবাদে কাহিনী শিফট হইছে সিটি কলেজে! কলেজে যাইয়া এত্ত সুন্দরি দেইখা তো আমার মাথা খালি খালি একটু পর পর হ্যাং হইয়া যাইত আর একটু পর পর মনে মনে কইতাম ড্যাএএম!!! এত্ত সুন্দরী একলগে কুথাও দেকছি বইলা মনে পড়ে না। খালি ক্রাশ খাইতে মুন চায়! ইন ফ্যাক্ট খাইছিও কয়েকটা! এই মুহূর্তে একসাথে আমার তিনজনের উপ্রে ক্রাশ আছে! সব কয়টার কাহিনী লেখার পিলেন আছে।

ব্রুকলিন থেইকা সিটি কলেজে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন আমারে দুই ঘণ্টা বদুই ঘণ্টা চার ঘণ্টা আলাদা কইরা রাখা লাগে! নরমালি দেড় ঘণ্টা লাগে মাগার ট্রেইন ট্রাফিক খাইলে বলা যায় না ঠিক কতক্ষণ লাগে! যদিও এইজন্য MTA ব্যাটাদেরকে ট্রেনের মধ্যে মনে মনে বহুত গালি দেই কিন্তু চিন্তাভাবনা করলে আসলে মনে হয় ওঅগোরে আসলে ধইন্যবাদ দেওয়া উচিত! ওরা না থাকলে এই সিটিতে নেভিগেট করাই বেসম্ভব একটা ব্যাপার হইয়া যাইত!

ট্রেনের মধ্যে একটা মজার বিষয় হইল যে ট্রেনের মইদ্ধে এত্ত লোক তারপর কেউ কারো দিকে তাকাইয়া থাকলে ওইটারে ক্রিপি মনে করা হয়। এইজন্য কেউ কেউ কানে হেডফোন লাগাই গান শুনে, কেউ আবার ট্রেনের একই এড বারবার কইরা পরে, কেউ বই লইয়া পড়ে আবার কেউ কেউ এমনিতেই গম্ভীর ভাব লইয়া বইয়া থাকে! আমি নরমালি কানের মধ্যে হেডফোন গুইজা দিয়া একটু বেশি ভলিউম দিয়া মিউজিক ছাইড়া দিই আর চোখগুলাকে গল্পের বইয়ের উপ্রে বিজি কইরা দিয়া ভাব লই যে আমার মত ব্যাস্ত পাবলিক দুনিয়াতে আর কেউ নাই!!! MTA আর ট্রেনের কাহিনী টাইনা আনলাম এই জইন্নে যে এই কাহিনীটাই হইল ট্রেনের! প্রথম প্রথম আমি কিউ ট্রেন থেইকা ওয়ান ট্রেনে ট্রান্সফার লইতাম টাইমস স্কয়ারে তারপর কলেজে যাইতাম! আর এই আকামডা ঘটছিল কিউ ট্রেনের মইদ্দে!

ট্রেনের মইধ্যে প্রায়ই চোখ ধাঁধানো কিছু সুন্দরী দেখা যায়! দেইখা মনে হয়, কুনো কাজ কাম না থাকলে এই অস্বাভাবিক রকম সুন্দর মুখগুলার দিকে তাকাইয়া লাইফ পার কইরা লাইতে পারমু। কিন্তু এখন এই ধারনাডা আস্তে আস্তে বদলাইয়া যাইতেছে! কারণ ইদানীং একটা ব্যাপার লক্ষ করতাছি, সেইটা হইল যে যতবেশি সুন্দর (!) তার মুখের মধ্যে ময়দা আর কালিঝুলির পরিমাণ তত বেশি।

যাই হোক আর ত্যানা না প্যাচাইয়া মুল কাহিনীতে অবতরণ করি। বরাবরের মতই আমি ট্রেনের দরজার পাশের সিটটাতে বইসা কানের মদ্ধে হেডফুন গুইজা দিয়া উচ্চ ভলিউমে গানা শুনিতেছি আর একই সাথে মুপাইলে একখান বইয়ের পাতা কমাইতেছি। ফোরটিন স্ট্রিট (ইউনিয়ন স্কয়ার) স্টেশনে টের পাইলাম যে আমার পাশের ছিটের যাত্রী উইঠা গেল। তারপরই টের পাইলাম ওই প্লেসে আর একজন যাত্রী বসল। এইগুলা সব টের পাইলাম মুপাইলের স্ক্রিনের থেইকা চোক না তুইলাই! একখান বই সাথে থাকলে আমি নরমালি চোক উপ্রে তুলি না,বইয়ের লেখার সাথে চোকের দৃষ্টিরে গুলু মাইরা দেই। কিন্তু কি মনে কইরা যেন একটু মনে হইল যে, পাশে কে বসল একটু দেখা দরকার! মুপাইল থেইকা নজর সরাইয়া পাশের যাত্রীর উপ্রে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলাম। আর এই আকামটা করামাত্রই টের পাইলাম যে দিলটা মাত্রই ছ্যাদা হইয়া গেল! দেইখা মনে হইল স্বর্গ থেইকা এই দুনিয়ায় নাইমা আসা কুনো অপ্সরী! সেমি-অফিসিয়াল গেট আপ লইয়া বইসা আছে! মুখের মধ্যে তেমন কাদা নাই, খুব হাল্কা একটা ময়দার আস্তরণ, নিখুঁতভাবে প্লাক করা ভ্রূ, আর সামান্য আই-লাইনারের কারসাজি! আর সবার উপ্রে একখান ভুবন ভুলানো হাসি! আহা!!! এই সবকিছু দেকতে আমার সময় লাগল ম্যাক্সিমাম দুই সেকেন্ড! নরমালি আমি এইগুলা ব্যাপারে কখনো চোক দিই না মাগার ওইদিন এই ঘটনাটা হওয়াতে আমার চোকও যে শারলক হোমসের মত সেই লেভেলের স্ক্যানার হইতে পারে সেইটা টের পাইছিলাম!

সুন্দরীরে দেখা মাত্রই শইলের মইদ্দে বায়ো-ম্যাগনেটিক স্পার্ক শুরু হইয়া গেল। হঠাৎ কইরা ভীষণ রকমের ঠাণ্ডা লাগা শুরু করল। মানে পুরা বডি ঠক ঠক কইরা কাঁপে এমুন অবস্তা আরকি! বইসা আছিলাম তাও ডেকি হাঁটু কাপ্তাছে! দাঁড়াই থাকলে যে কই হইত!!!! একটু পর সেইটা কন্ট্রোলে আইনা দেখি অকি!!! এইবার উল্টা অবস্তা! কয়েক সেকেন্ডের মইদ্ধে পুরা ঘামা শুরু করলাম। হাতের তালু থেইকা শুরু কইরা মাথার তালু, সব জায়গায় ঘাম!!! কি করমু খুইজা পাইতেছি না! নিয়ম ভাইঙ্গা মাইয়ার লগে আলাপ শুরু করমু? নাকি নিজেরে “ডীপ ব্রেথ” লইয়া কাম ডাউন করমু কিচ্ছু মাতায় আইতেছে না। কয়েক মিনিট পর টের পাইলাম আমি আমার ফুনের স্ক্রিনের দিকে আবুলের মতন কইরা খালি চাইয়াই আছি কুনো পড়া হইতেছে না। এরমধ্যে আর একবার চোরা চাহনি দিয়া সুন্দরীরে দেইখা লাইলাম। দেইখা তো হার্ট বিট রেসের ঘোড়ার মতন দৌড়ান শুরু কইরা দিল। থামাইতেই পারতেছিলাম না। কি যে করি!!!

পরের মুহূর্তে মাথার মধ্যে মধ্যে নিজেই নিজের সাথে তুমুল বিতর্কে জড়াইয়া গেলাম। ব্রেনের সিমুলেটর বেশ কয়েক রকমের পসিবল সিনারিও প্লে করতাছে একই সাথে! ইভেন মাইয়ার সাথে সিমিউলেটেড কনভারসেশনও হইতাছে!!! দিল বলতাছে হারামজাদা মাইয়ার লগে কথা ক। মুবাইল নাম্বারটা সিস্টেমে দখল কইরা লা, একটু পাম্পট্টি দে! নাইলে তোর অবস্তা অপরিবর্তিত থাইকা যাইব! ইহ-জীবনে আর পিরিত করন লাগত না। আর ব্রেন কইতাছে, খামোশ!!! একবার এই কথা মুখে আনলে গুল্লি কইরা খুল্লি উড়াই দিমু! দেকিস না মাইয়া কি সুন্দর, এরাম সুন্দর মাইয়ার ডেফিনিটলি বয়ফ্রেন্ড আছে! আর যদি নাও থাকে এরে পটানো তোর মতন আবুলের কাম না। আর যদি পটাইতেও পারিস, হ্যাপি এন্ডিং হইত না। তোর দিলরে দুমড়াই মুচড়াই দশ টনি ট্রাকের নিচে ফালাই দিয়া অন্য পুলার লগে ভাগবো! সেই রিস্কটা কেমনে লইবা? যার তার হাতে মনের ঘরের চাবি দিয়া লাইবি? অ্যাঁ??? সবার চাইয়ে বড় কতা হইল আর পিরিত কইরা কি করবি, কয়টা দিন পরে তো তর বাপে তর কান ধইড়া বিয়া দিয়া লাইব। কি দরকার পিরিত কইরা ভ্যাজাল বাড়ানোর? এরাম ডিবেট করতে করতে দেকি ট্রেন থার্টি ফোরঠ স্ট্রিট (হেরাল্ড স্কয়ার) স্টেশনে চইলা আইল। দেখি অকি!!! মাইয়া উইঠা যাইতেছে। আমার ডিবেটের স্পিড আরও বাইড়া গেল। “শুড আই গো আফটের হার অর লেট হার গো”? এই বালের চিন্তা করতে করতে মূল্যবান সাত-আট টা সেকেন্ড নষ্ট কইরা ফালাইলাম! পরের মুহূর্তে দেখি, আমার চোখের সামনে দরজাটা বন্ধ হইয়া গেল!!! আর মাইয়াও পশ্চাৎদেশে ঢেউ তুলতে তুলতে চইল্লা গেল (এই লাইনটা মাসুদ রানা পইড়া শিকছি)! সেইদিন শিক্ষা হইল কিচ্ছু না করাটাও আসলে কিছু একটা করা!

এই এক্সপেরিয়েন্সটার টোটাল টাইমস্প্যান হবে আনুমানিক চার থেইকা পাঁচ মিনিট কিন্তু এরাম ইন্টেন্স এক্সপেরিয়েন্স আমার লাইফে আর একটাও নাই। আল্লাহ যদি কুনোদিন আমারে অফার দিয়া কয় বিপ্লব তুমারে সেই এক্সপেরিয়েন্সটা আবার দিমু বিনিময়ে তোমার লাইফ থেইকা এক বছর কাইট্টা রাখমু। নিবা? আমি নাচতে নাচতে অফারটা লমু!


(চলপে......।)

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

শায়মা বলেছেন: হা হা ভেবেছিলাম তোমার পোস্টে আর জীবনেও কোনো কমেন্ট করবোনা!


কিন্তু তোমার লেখা পড়তে পড়তে সেই প্রতিজ্ঞা ভুলে গেলাম ভাইয়া! ইউ আর গ্রেট!

আমি তোমার ফ্যান হয়ে গেছি!

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৩৫

বিপ্লব06 বলেছেন: কেনু এই রকম করে "ভেবেছিলেন" কেনু? জীবনেও????


প্রতিজ্ঞা কওরাই হয় ভাঙ্গার জন্য! আপনার পিলেন ভণ্ডুল করে দিতে পেরেছি দেখে আমুদিত ফিল করেচ্ছি! ;)

আরে নাহ! আমি তো এক আম-পাবলিক" (মনে মনে, ধইন্যবাদ)।

আর ফ্যান হউয়া ভালা কাম না! কারো ফ্যান হইলে ওই লোকের দোষ-ত্রুটি চোখে পড়ে না।

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: :)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৩৬

বিপ্লব06 বলেছেন: গ্যালারিতে বইয়া মজা লইতেছেন না? :):) খাড়ান, আপনের মজা লওন বন্ধ করতেছি!!!

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৮

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: মন কি যে চায় বল, যারে দেখি লাগে ভালো।

আপনে নিজেকে এই ক্যাটাগরির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৪১

বিপ্লব06 বলেছেন: এইটা হইল পিরিত না কইরা মজা লওনের বেস্ট উপায়! আর এই ফিলিং এ যে যায় নাই, তারে আসলে ব্যাপারটা বইলা বুঝান সম্ভব নাহ!

পিলেন করছি, এখন থেইকা প্রত্যেক কিলাসে, একজন কইরা পছন্দ করমু আর ক্রাশ খামু (শরম পাওনের ইমু হইবেক)!!!!

দুয়া করেন এই ক্যাটাগরিতে অধমের যেন উন্নতি হয়!

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

শায়মা বলেছেন: প্রতিজ্ঞা কওরাই হয় ভাঙ্গার জন্য! আপনার পিলেন ভণ্ডুল করে দিতে পেরেছি দেখে আমুদিত ফিল করেচ্ছি! ;)


এই প্রবাদবাক্য আমার বেলায় খাঁটে না ভাইয়া। আমার প্রতিজ্ঞা আমি কখনও ভাঙ্গিনি। মানে সত্যিকারে যদি কখনও করে থাকি।


তবে অকারণে করা প্রতিজ্ঞাগুলো ফেক্সিবল থাকে। :)

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৪৯

বিপ্লব06 বলেছেন: "মানে সত্যিকারে যদি কখনও করে থাকি।/অকারণে করা প্রতিজ্ঞাগুলো ফেক্সিবল"

এইগুলা হইল বিশাল আকারের লুপহোল! এরাম লুপহোল আমিও রাখি। ভবিষ্যতে কামে লাগে (বিনুদন লইবার ইমু হইবেক)!

৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: বিপ্লব সফল হোক।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৫০

বিপ্লব06 বলেছেন: শরম পাইয়া কালা গাল লাল হইয়া হাত কচলানোর ইমু হইবেক!

৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩০

কামের কথা কন!! বলেছেন: আল্লাহ যদি কুনোদিন আমারে অফার দিয়া কয় বিপ্লব তুমারে সেই এক্সপেরিয়েন্সটা আবার দিমু বিনিময়ে তোমার লাইফ থেইকা এক বছর কাইট্টা রাখমু। নিবা? আমি নাচতে নাচতে অফারটা লমু! হাহা =p~ =p~

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:২৭

বিপ্লব06 বলেছেন: আপনি শিয়ালের চাইয়েও এক চিমটা বেশি ধূর্ত!!!
সিস্টেমে, একখান সিরিয়াস কথা কইছি আর ওই জাগাটাই আপনার চোখে পরছে???

ইজ্জত লই টানাটানি করেন কেনু? :P :P :P :P

৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: =p~

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

বিপ্লব06 বলেছেন: :) ;)

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৮

আলী বলেছেন: কুনো কাজ কাম না থাকলে এই অস্বাভাবিক রকম সুন্দর মুখগুলার দিকে তাকাইয়া লাইফ পার কইরা লাইতে পারমু।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৮

বিপ্লব06 বলেছেন: এখনো সেইম অপিনিওয়ন আছে!

৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

আলী বলেছেন: তুমারে সেই এক্সপেরিয়েন্সটা আবার দিমু বিনিময়ে তোমার লাইফ থেইকা এক বছর কাইট্টা রাখমু। নিবা? আমি নাচতে নাচতে অফারটা লমু!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩০

বিপ্লব06 বলেছেন: আমি নিশ্চিত আপনার লাইফেও সিমিলার এক্সপেরিয়েন্স আছে যার জন্য আপনি এক বছর এক্সচেঞ্জ করতে রাজি হবেন!

ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.