নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

CAUTIOUSLY OPTIMISTIC

বিপ্লব06

এই ব্লগের সকল লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।

বিপ্লব06 › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভীতিকর খবরঃ বাচ্চা আসলে আপনার হইলেও দেখতে আপনার ওয়াইফের আগের পিরিতের পাবলিকের মত হইতে পারে!!!

২০ শে মে, ২০১৫ ভোর ৪:৪৩

বেশ ইন্টারেস্টিং এই সায়েন্টিফিক ব্যাপারটা বাংলায় সহজ করে লেখার চেষ্টা করতেছি। আমি সিউর অনেকের কাছে ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য মনে হবে। ।

গত বছরের থার্টি ফার্স্ট নাইটে কয়েকজন মিলে রোড ট্রিপে গেছিলাম। বহুত রকমের আলাপ আলোচনার মধ্যে এক নতুন ফ্রেন্ড কয় যে, তুমি যদি বিয়া কর আর তুমার ওয়াইফ যদি আগে কারো লগে আকাম করে তাইলে বাচ্চা আসলে তুমার হইলেও দেখতে তার পিরিতের পাবলিকের মত হইতে পারে। আমি তো পারলে তারে ধমক দিয়া চুপ করাই দিই। এইটা ক্যেমতে হয়? তাইলে কি বায়োলজি কি আমাগোরে ভুল শিখাইতেছে নাকি? তাছাড়া "লাইক ফাদার লাইক সান" কথাগুলা তো এমনে এমনে আসে নাই। তারপর সে কয় সে নাকি প্রমাণ দিতে পারবে। আমিও কইলাম ঠিক আছে, তাইলে মাইনা নিমু।

এরপরদিন দেখি হ্যায় আমারে ফেসবুকে একটা নিউজের পোস্টে ট্যাগ দিছে। দেখি অকি!!! ব্যাপারটারে সত্যই মনে হইতেছে। মাগার সায়েন্সের নিউজগুলা মাঝে মাঝে ভুয়া টাইপ হয়। হয়ত জার্নালের আর্টিকেলে স্টিফেন হকিং লিখছে যে, খোদা যে নাই সেইটা আমরা একশ ভাগ সিউর না কিন্তু পেপারগুলার হেডলাইন হবে “স্টিফেন হকিং খোদার অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন”। আর হাজার হোক ব্যাপারটারে ভুল প্রমাণ করতে পারলে আমি অরে বুক ফুলাই কইতে পারমু যে নাহ এইটা স্টিল ভুয়া। সুতরাং খুঁজাখুঁজি করতে করতে আমি নিউজের ইনফরমেশনগুলা দিয়া অরিজিনাল আর্টিকেলটা বাইর কইরা লাইলাম। পইড়াতো আমি তব্দা খাইয়া গেলাম। দেখি ঘটনা আসলে সইত্য।

অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ সাউথ ওয়েলসএর এক বিজ্ঞানী গবেষণা কইরা এইটা আসলেই বাইর করছেন। উনারা প্রথমে একই জাতের কিছু পুরুষবাচ্চা মাছিরে দুই ভাগ করছেন। এক ভাগরে ভাল ভাল খাবার দিয়া বড় করছে আর এক ভাগরে খারাপখাবার দিয়া বড় করছে। রেজাল্ট হইল, যারা ভাল খাইছে তারা সাইজে বড় হইছে আর যারা খারাপখাইছে তারা সাইজে ছোট হইছে। আর একটা ব্যাপার হইল মাইয়া মাছির ডিম এক সপ্তাহ বয়সে ম্যাচিউরহয় না, তিন সপ্তাহ বয়সে হয়

তারপর আমাদের সায়েন্টিস্ট মশাই এক সপ্তাহ বয়সের মাইয়া মাছিরে এক গ্রুপের (সাইজে বড়) পুরুষ মাছি দিয়া আকাম করাইছে তারপর তিন সপ্তাহ বয়সে অন্য গ্রুপের (সাইজে ছোট) পুরুষ মাছিরে দিয়া আকাম করাইছে। সেইম কামটা রিপিট করছে সাইজে ছোটরে আগে দিয়া আর সাইজে বড়রে পরে দিয়া। তারপর ওরা দুই গ্রুপের নতুন জন্ম হওয়া মাছিগুলার সাইজ মাপছে।


এক্সপেরিমেন্টাল ডিজাইন (উপ্রে)

মজার ব্যাপার হইল ওরা দেখছে যে মাইয়া মাছির ডিম ম্যাচিউর নাহইলেও প্রথমে যেই গ্রুপের পুরুষ মাছিরে দিয়া আকামটা করানো হইছে বাচ্চাগুলার সাইজ সেই গ্রুপের মতনই হইছে। আর বাচ্চাগুলারে সবাইরেসেইম খাবার দেওয়া হইছে।


এইটা হইল রেজাল্ট High:ভাল খাবার। Low: খারাপ খাবার

এখন মাথার মধ্যে একটা ব্যাপার আইতে পারে সেইটা হইল, “এহহ... আগের গ্রুপের মাছিগুলাই যদি আসল বাপ হয় তাইলে বাচ্চা গুলা তো বাপের মতন হবেই”। মজার ব্যাপার হইল, এই সায়েন্টিস্ট শালারা ব্যাপারটা চিন্তা কইরা সবগুলা মাছির ডীএনএ টেস্ট কইরা কনফার্ম করছে যে পরের গ্রুপের পুরুষ মাছিগুলাই আসল বাপ মাগার খালি সাইজগুলা হইছে আগের গ্রুপের মাছিগুলার মতন।

তাইলে ব্যাপারটা কি দাড়াইল? আর ক্যামনেই বা কি হইল?
উত্তরঃ
ওই সায়েন্টিস্টগুলাও ঠিক জানে না ক্যেমতে কি হইছে!!! তবে হ্যারা মনে করতেছে সেমিনাল ফ্লুইডের (সিমেন) মধ্যে এমন কিছু আছে যেইটা এই আকামটা করাইতেছে। হ্যারা ব্যাপারটারে আরও ঘাঁটাইয়া দেখতেছে।

*** অনেকের কাছে মনে হইতে পারে ব্যাপারটা তো মাছিতে, আমরা কি মাছি নাকি? আপনি এই দলের হইলে আপনার একটু বেশি পড়াশুনা করা লাগবে।

আসল আর্টিকেলের লিঙ্ক

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৫ ভোর ৬:১২

সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: ভাই আপনি আজজগুবি একটা জিনিস লিখছেন। আপনি বলছেন খাবারের অভাবে বড় হয় নাই। তারমানে এটা তাদের জ্বীনগত বৈশিষ্ট্য না। এরকম হলে দেখা যেত আপনারে ধইরা কেউ পা ভাইংগা দিসে। আপনি যখন বিয়া করছেন আপনার পুলাপাইন হইব পা ভাংগা। সো বিজ্ঞান বিষয়ে নিশ্চিত কি ছু না জেনে ওমুকে বলছে তমুকে বলছে টাইপ আর্টিকেল না লেখাই ভাল।

২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:০৮

বিপ্লব06 বলেছেন: আপনার রিয়্যাকশনে আমি মোটেও অবাক না। ইনফ্যাক্ট আমার ইনিশিয়াল রিয়্যাকশনটাও সিমিলার ছিল।
আর হ্যা..। আপনি রাইট। ব্যাপারটা জিনগত না। ডিনাই করতেছেন ভালো কথা, একটু দেখে শুনে করেন। আপনার লিঙ্কটা ফলো করে দেখা উচিত ছিল যে, ব্যাপারটা আসলে কতটা সত্য। এইখানে অনেক কিছু সময়ের অভাবে লেখা হয়ে উঠেনি।

আর আর্টিকেলটা কিন্তু ১৩.০৪ ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর ওয়ালা একটা জার্নালে পাবলিশ হইছে।

২| ২০ শে মে, ২০১৫ ভোর ৬:১৭

সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: বিজ্ঞানীরা এখনো কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেন নাই। তাই আপপনার এ আর্টিকেল এখন অনেক মানুষের রাতের ঘুম হারাম করে দিবে। আমার পুলাটা এতু মোডা অইল কেমনে??যাই হোক সঠিকভাবে অনুবাদ করে তথ্যটি উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ। ++

২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:১৪

বিপ্লব06 বলেছেন: জিনিসটা অনেকটা নতুন। সামনের বছরগুলাতে জিনিসটা একটু ক্লিয়ার হবে আশা করছি।

হাহা......। কথা সত্য! কিন্তু যারা জেনেটিক্স মোটামুটি জানে তারা ব্যাপারটা ডিনাই করবে কারন এইটা প্রচলিত নলেজের বাইরে। মজার ব্যাপার হইল, ওয়াইফ যে আকাম করছিল এইটা প্রচলিত নলেজে প্রমাণ করার কোন রাস্তা দেখতেছি না।

থ্যাঙ্ক ইউ!

৩| ২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ৭:৪৬

কৃষ্ণবিবর বলেছেন: তাইলে ব্যাপারটা কি দাড়াইল? মানুষের চেহারা নন-জেনেটিক?

২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:১৮

বিপ্লব06 বলেছেন: আমি কিন্তু ওইটা বলি নাই। ;) তবে হইতে পারে যে ব্যাপারটা নন জেনেটিক(জিনিসটা অতটা সিম্পল না)!
তবে সবকিছু কিন্তু জেনেটিক না। নেচার-নারচার নিয়া ব্যাপক মতভেদ আছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে!

৪| ২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

২১ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:৫৫

বিপ্লব06 বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ প্রামানিক সাহেব।

৫| ২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

জনাব মাহাবুব বলেছেন: দিলেন তো মিয়া সবার মধ্যে সন্দেহ ঢুকাইয়া। ;)

এহন সবাই তার বাচ্চার দিকে তাকাইবো একবার আবার আয়নার দিকে তাকাইয়া নিজেরে দেখবো একবার। মিলানোর চেষ্টা করবো, তার চেহারার সাথে বাচ্চার চেহারার মিল আছে কিনা? মিল থাকলেও মনে মনে ভাববো, "না পোলাডা তো আমার লাহান লাগে না, তাইলে আমার বউ কার সাথে পিরিত করছিলো"। তারপর শুরু হইবো সংসারে অশান্তি। B-)

আপনার সাথে সাথে আমিও চিন্তায় পইড়া গেলাম। :||

২১ শে মে, ২০১৫ রাত ১:০০

বিপ্লব06 বলেছেন: খালি ব্যাপারটা চেহারার মধ্যে লিমিটেড এইটা আপনারে কে কইল? হাইট, ওয়েট, কালার, বুদ্ধি, চরিত্র বহুত কিছু এইটা মধ্যে পড়তে পারে! আর ব্যাপারটারে যতটা সহজ মনে হইতেছে ব্যাপারটা তেমন না। অনেকগুলা ফ্যাক্টর আছে। রোদে বেশিক্ষণ রাখলে সাদা লোকও কালা হইয়া যাইতে দেরী নাই।

চিন্তা কইরা মাথা খারাপ করনের দরকার নাই (কপালের লিখন না যায় খণ্ডন ;) )। খালি জাইনা রাখেন!

৬| ২০ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:২২

সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: আমি ভাই কথাটা আপনাকে আক্রমণ করার জন্য বলি নি।দু:খ পেলে নিজ গুণে মাফ করে দেন

২১ শে মে, ২০১৫ রাত ১:০২

বিপ্লব06 বলেছেন: টেনশন লইয়েন না। লেখায় মন দেন। বেশ ভালো লিখতেছেন কিন্তু।
আরও ভালো ভালো কিছু লেখা লিখেন। :)

৭| ২১ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:২৮

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: কমেন্ট পড়লাম। স্ত্রী আকাম করছিলো এইটা প্রমান করার উপ্নায় নাই তাও কিন্তু না। যতটা জানি যদি কোন নারীর স্পর্শকাতর অঙ্গের ভেতর থেকে নমুনা নিয়ে ডিএনএ তেস্ট করা হয়, তবে সে বহুগামী না হলে নিজের আর স্বামীর দুইজনের ডিএনএ স্যাম্পলের সাথে ম্যাচ করবে। নাইলে ৫,১০,২০ যেকোন ধরনের স্যাম্পল পাওয়া যাইতে পারে তার চরিত্র কতটা উন্নত তার উপর নির্ভর কইরা।

বিজ্ঞানীরা এখনো এইটা জানেনা একটা শুক্রানু ডিম্বানুরে ফুইড়া ভিতরে ঢুকতে পারলে বাকী গুলা ক্যামনে সিগনাল পাইয়া অটো অফ যায়। কেমিক্যাল সিগন্যালের কোন ব্যাপার স্যাপার থাকতে পারে। ভুল কইছু নাকি কে জানে। আমার জ্ঞানের দৌড় গোড়ালি লেভেলের।

২১ শে মে, ২০১৫ রাত ১:২৬

বিপ্লব06 বলেছেন: আপনি মনে হয় রাইট! তবে স্যাম্পলগুলা কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকে না। আমি যেইটা জানি মাসে একবার ক্লিনআপ হয়। আর হেলমেট ইউজ করলে কিন্তু আপনার মেথড ফেঈল করবে। তবে সেক্ষেত্রে পোস্টের লেখা ইফেক্টও থাকার কথা না।

আর পরের ব্যাপারটা একটু আলাদা। আমাদের সৈন্যরা অটো অফ হইয়া যায় না, মরার আগ পর্যন্ত ট্রাই মারতেই থাকে। একজন ভিত্রে ঢুকা মাত্র ডিমের মেমব্রেন শক্ত হইয়া যায় (আমি যেইটা জানি আরকি!)। কেউ আর চান্স পায় না। তবে আমাদের সৈন্যরা কিন্তু বেশ রিজিলিয়েন্ট!!! পাঁচদিন পর্যন্ত বাইচা থাকতে পারে!!!

থ্যাঙ্ক ইউ আপনারে। সিরিজের পরের পুস্ট গুলা কই?

৮| ২১ শে মে, ২০১৫ ভোর ৬:৪৩

নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে বলেছেন: ছিঃ তুমরা দুষ্ট লোক =p~ =p~ =p~

২১ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

বিপ্লব06 বলেছেন: হা হা...। চোরে চোরে মাসতুতো ভাই!!!

৯| ২১ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:০৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: না মনে হয়, আমি যতটুক জানি খোলস সজক্ত হোক আর যাই হোক, বাকীরা ট্রাই করেনা। আর ভিতরে ঢুইকা যাওয়া মাত্র খোলস শক্ত হইয়া যাওয়ার সিগনালটা ক্যমনে আসে?

আর এইসব কাহিনী হয়তো কাকতালীয়। আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষের অনেক বৈশিস্ট্য ধারন করি যেইটা ৩-৪ প্রজন্ম পরেও কারো মধ্যে হুট কইরা প্রকাশ হইতে পারে। এইটার সাথে পুর্বের আকামের কোন সম্পর্ক নাই।

গল্প লিখতে টাইম লাগেনা বেশি, কিন্তু লেখার কথা চিন্তা করলে ঘুম ধরে। :(

২১ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

বিপ্লব06 বলেছেন: ট্রাই মারার ব্যাপারটা নিয়া আরেক্টু ঘাইটা আপনারে একটা সলিড রিস্পন্স দিমু (আপনার রাইট হবার ব্যাপারটা কিন্তু উড়াই দিতাছি না ;) )।

আমি মনে করিনা ব্যাপারটা কাকতালীয়। কাকতালীয় একটা দুইটা হইতে পারে এতগুলা না। লিঙ্কটা ফলো কইরা ওদের রেজাল্ট সেকশনটা দেখেন।

তবে আপনার লজিকটা ঠিক আছে ;)

লিক্ষা ফালান সময় কইরা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.