নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

CAUTIOUSLY OPTIMISTIC

বিপ্লব06

এই ব্লগের সকল লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।

বিপ্লব06 › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইডিয়টস জার্নি টু আম্রিকা (দশ)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১১



আগের কাহিনীর পর.........।

বাইরে দেখি দালাল মামারা খাড়াইয়া আছে। দৌড়াইয়া আইসা জিগাইল, কি খবর মামা? আমি কইলাম কাইলকা ভিসা আন্তে আইতে কইছে! মামারাও তো খুশি! তারপর ওইখান থেইকা আমার ফ্রেন্ডের বাসায় (মেসে) গেলাম। যাইয়া রাইতটা থাইকা তারপরদিন ভিসা আন্তে আইলাম বারটার মধ্যেই! যাইয়া বইসা আছি আছি কুনু খবর নাই। তবে বেশ অনেকক্ষণ পরে ভিসাটা পাইলাম, তারপর নাচতে নাচতে বাইর হইয়া গেলাম।

বাইরে যাইয়া দেখি আবারো মামারা খাড়ায়া আছে। অগোর কাছে যাইতেই কয়, কই মামা দেখি, ভিসাটা কই? আমি ভিসাটা দেওয়াতেই ওদের একজন ওইটা লইয়া এলাকা ছাড়া হইয়া গেল। অবশ্য ওদের সাথে আমার চুক্তি ছিল, ভিসা হইলে ওরা ওইটা লইয়া যাবে। টাকা দিয়া ওইটা অগোর কাছ থেইকা লওয়া লাগবে। এরপর আমরা এক হোটেলে (খাবার) বইসা ব্যাপারটারে সেলেবেরেট করলাম। এই সময় আমি কইলাম, মামারা আমারে ভিসার তিনটা কালার ফটোকপি দেওয়া লাগবে। ওরা কইল কোন সমস্যা নাই। খাওয়া শেষ হইতে হইতেই ওদের একজন তিনটা কালার কপি আইনা দিল।

এই সময় আমি মোটেও কোন চিন্তা করি নাই যে ওরা আমার ভিসা নিয়া কোনরকম গোলমাল করবে। যেহেতু ওদের সাথে আমার ডিলই ছিল সেরকম, সো আমার কোন মাথাব্যাথাই ছিল না। আর একটা ব্যাপার হইল, এই পর্যন্ত যত খরচ হইছে সবকিছুই ওরা দিছে। পুরা ইনভেস্টমেন্টটাই ওদের। ওরা পাসপোর্ট বানানোর টাকা পর্যন্ত আমারে দিছে। আমি যদি ভিসাটা না নেই তাইলে আমার চেয়ে ওদের বড় লস (আপাতদৃষ্টিতে)।

এরপর আমি ফুন কইরা খবরটা বাড়িতে দিলাম। কে খুশী ছিল আর কে ছিল না এইটা আমার দেখার টাইমই ছিল না। খুশিমনে বাড়ী আইসা খবরটা চাউর করলাম। হলে আমার কিছু ফ্রেন্ড আমারে ম্যারিকা বিপ্লব বইলা খেপাইত সেই খ্যাপানিটাও বন্ধ হইয়া গেল। পড়াশুনা ছাইড়া দিলাম। সেকেন্ড সেমিস্টারের ফাইনালটাও দিলাম না। দেইখা মনে হইতে পারে আমার সুখের সময় শুরু হইয়া গেল। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই সেরকম ছিল না। আসলে এই সময়টা আমার লাইফের সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং এবং কঠিন সময়।

আমার আব্বা হইল হাইস্কুলের একজন স্কুলমাস্টার। আমার দাদার সহায় সম্পত্তি খুব বেশি ছিল না। আমার তিন চাচার মধ্যে একমাত্র আমার আব্বাই পড়াশুনা করে একটা চাকরি জোগাড় করে গ্রামের মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হইছে। আমাদের চারজনের পরিবারে আব্বার চাকরির বেতনটাই ছিল জীবনযাপনের মুল সম্বল, আর সাথে নিজের কেনা কিছু জমি। আমার চাচারা আরও খারাপ অবস্থায় আছে। আমার আব্বা দাদার ভাগের জমিগুলা আমার চাচাদেরকে চাষাবাদ করে খাইতে দিছে। বলে না দিলে ওরা ক্যামনে বাঁচবে? ছোটবেলা থেকে প্রাচুর্য আর বড়লোকির মধ্যে থেকে বড় হই নাই আমি। বেশ স্ট্রাগল করেই বড় হইছি। একটা মজার ব্যাপার হইল, আমি টাকা গোনা শিখছি বাড়িতে জন্মানো লাল শাক বেচে। ছোটখাটো জিনিস বিক্রি করে আম্মার হাতে টাকা আনে দিতাম। আম্মা ওইগুলা টাকা জমা করে সংসারের ছোটখাটো জিনিস কিনত।

বড় হয়ে (আসলে অনেক ছোট ছিলাম) যখন দিনাজপুরে থাকা শুরু করলাম, তখন আমাকে মাসে প্রায় তিন হাজার করে টাকা দেওয়া লাগত সেই টাকা কোত্থেকে আসত সে ব্যাপারটা চিন্তা করলে আমার এখন খারাপ লাগে, যদিও তখন ব্যাপারটা বুঝতাম না। আমাদের ফ্যামিলিকে অনেক কস্ট কাটিং মেজার যে নিতে হইছিল সে ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহই নাই কারণ একজন স্কুলমাস্টারের বেতন সব ব্যাপারগুলা সামলানোর জন্য নেহাতই কম ছিল।

যাই হোক, এখন ব্যাপারটা হইল টাকা জোগাড় করা লাগবে আম্রিকা যাইতে হইলে। আমার আব্বা সব সেভিংস ঝেড়ে টেরে ম্যাক্সিমাম দেড় লাখ টাকা যোগাড় করতে পারবে আর এই দালাল ব্যাটারা চাইছে ছয় লাখ। মোটামুটি দর কষাকষির মাধ্যমে এই জিনিসটা ঠিক হইল যে ওদেরকে তিন লাখ টাকা দেওয়া লাগবে। এই টাকার মধ্যে ওরা ভিসা ফি দিছে, মেডিকেল চেকাপ করার খরচ দিছে, পাসপোর্ট করার খরচ দিছে আর আনুসঙ্গিক কিছু খরচও দিছে। আর ব্যাপারটা হইল তার উপরে টিকেট করা লাগবে আর সাথে করে আম্রিকায় হাত খরচের জন্য কিছু টাকা নেওয়া লাগবে। মুটামুটি পাঁচ লাখ টাকার একটা ধাক্কা!

এত্ত টাকা কোথায় পাওয়া যায়? আমাদের আত্মীয় স্বজনরা অনেকেই উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে পড়ে। আমার খালুরা সবাই ধনী, আমার নানাও বেশ পয়সাওয়ালা মানুষ। আমার আব্বার মামাও তাই। মনে করছিলাম, ব্যাপারটা অতটা কঠিন হবে না। আব্বাও তাই ভাবছিল। আমরা মনে করছিলাম এদের যা অবস্থা তাতে সবার কাছ থেকে কিছু করে ধার নিলে যদি আর কিছু বাকি থাকে তাহলে নাহয় আমাদের কিছু জমি বন্ধক দিয়ে দিলাম। আর একবার আম্রিকায় গেলে নাকি সাত ডলার করে ঘণ্টায় ইনকাম করা যাবে!!! এত্ত টাকা কই রাখব এই চিন্তায় বাঁচি না! কয়েক মাসের মধ্যে সবাইকে সব কিছু দিয়ে দেওয়া যাবে। সো আম্মাকে দিয়ে সিস্টেমে আমার খালাদের কাছে টাকা ধার চাওয়া হইল।

আমার মায়েরা পাঁচ বোন। আমার মা সবার বড়। অর্থনৈতিকভাবে আমরাই সবার চেয়ে দুর্বল ছিলাম। আমার আম্মার ছোট (দুই নাম্বার) বোন মারা গেছিলেন প্রায় বছর খানেক আগে। তাতে অবশ্য আঙ্কেলের সাথে আমাদের সম্পর্কের এতটুকু হেরফের হয়নি। এই ভদ্রলোক বললেন তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ হাজার টাকা দিবেন। সপ্তাহ কুন্দিক দিয়ে পার হয়ে গেল টাকার আর কোন খোজ পাওয়া যায় না। এই ভদ্রলোক খালি জিজ্ঞেস করত কত টাকা জোগাড় হইছে!

আমার তিন নম্বর খালারা বেশ বড়লোক মানুষ। ওদের ফ্যামিলি বেশ খান্দানি। আমার খালুর জমাজমি আছে অনেক প্লাস উনার দুইটা টিন আর সার-বিষের বেশ বড়সড় ব্যাবসা আছে। কোটি কোটি টাকার বিজনেস তাদের। ধরেই নিয়েছিলাম ওঁদের কাছ থেকে বেশ বড় অঙ্কের টাকা ধার করা যাবে। আর এতে উনাদের কিছু যাবে আসবে না। কিন্তু উনারা বললেন উনাদের হাতে কোন টাকা পয়সা নাই। “বিষ” কেনার টাকা পর্যন্ত নাকি উনাদের হাতে নাই। যদি আমাদেরকে টাকা দেওয়া লাগে তাহলে নাকি দোকানের মূলধন থেকে টাকা আমাদেরকে। তাতে উনাদের দোকানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। আমরা কি ওঁদের দোকানের ক্ষতি করে টাকা নিতে চাই? এইটার ডিফল্ট উত্তর হইল না। অথবা কয়েক মাস পরে মাঠ থেকে গম উঠবে। গম ভাল হলে ওরা আমাদেরকে টাকা দিতে পারবে। কিন্তু এইটাও যে সময় ক্ষেপণের একটা উপায় মাত্র, এইটা আমাদের সবার কাছেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল।

আমার চার নম্বর খালারা আবার অনেক বড়লোক মানুষ। ওঁদের প্রায় একশত বিঘার উপর জমি আছে। কয়েক ধরনের ব্যাবসা তাদের। কিন্তু উনাদের কাছেও নাকি টাকা নাই ধার দেবার মত। উনারা নাকি একসাথে পনের-বিশ বিঘা জমি কিনল বেশ রিসেন্টলি, সো তাদের কাছে টাকা নাই। পারলে যেন আমরাই ওদেরকেই টাকা দিয়ে উদ্ধার করি এমন অবস্থা আরকি!

এইবার আমার ছোট খালার পালা! আমার চেয়ে প্রায় পাঁচ-ছয় বছরে বড় হওয়াতে আমার সাথে বেশ আলাদা রকমের সম্পর্ক এর সাথে। আমি যখন হলে ছিলাম, তখন আমার মা এই খালার সাথে আলাপ করছিল পসিবল টাকা ধার করা নিয়ে। তখন আমার খালা নাকি আমার আম্মাকে বলছিল, যে ওঁদের একটা ডিপিএস ম্যাচিউর হয়ে হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি। ওখান থেকে উনারা চাইলেই খুব সহজে আমাদেরকে প্রায় দেড় লাখ টাকা ধার দিতে পারবে। আমরাও মুটামুটি নিশ্চিত ছিলাম যে এই দেড় লাখ টাকার কোন মিস হবে নাহ! কিন্তু যখন টাকার দরকার, তখন আমার খালা বলে কোন কারনে ওরা হিসাবে ভুল করছিল ম্যাচিউর হইতে আরও অনেক সময় লাগবে। আমার আম্মা আগ বাড়িয়ে প্রস্তাব দিছিল যে ইম্ম্যাচিউর অবস্থায় ওটা যদি ওটা ভেঙ্গে ফেলে টাকাটা আমাদেরকে তুলে তাইলে ওঁদের যে ফাইন্যান্সিয়াল লসটা হবে, ওইটা আমরা বেয়ার করবো! কিন্তু নাহ! সেটাও আর ওঁদের পক্ষে করা হয়ে উঠে নাই।

আমার আব্বার মামা আছেন একজন, বেশ টাকা পয়সার মালিক। আমার আব্বার সাথে উনার আলাপ হইলে উনার কাছে টাকা চাওয়ার আগেই উনি নিজে থেকেই নাকি বিশ-ত্রিশ হাজার টাকা দেবার প্রস্তাব দিছিলেন। কিন্তু এই লোকও পুরা পল্টি খাইছে। পরে বলল আমি কোন টাকাই দিতে পারবো নাহ!

এই রকম অবস্থা হবে এইটা আমরা চিন্তাও করি নাই। পুরাই অথৈ সাগরে পইড়া গেল আমাদের আমাদের ছোট্ট পরিবারটা। কাছের লোকগুলার কাছে না পাইয়া এইবার আমার আব্বা তাঁর বন্ধুদের দিকে নজর দিল। বন্ধু হবার সুবাদে মোটামুটি জানা ছিল কার হাতে এক্সট্রা টাকা আছে কার কাছে নাই। ওঁদের কাছে টাকা চাওয়াতে ওরাও নাকি মুখের উপ্রেই বলে দিল টাকা নাই! আবার এই লোকগুলাই আবার পিছনে বলে বেড়াইতে লাগল যে, হুহ…,ওর তো ডায়াবেটিস হইছে। হুট কইরা ও যদি মইরা যায় আমদের টাকা কে দিবে? আমাদের কাছে টাকা আছে মাগার দিমু নাহ!

টাকার জন্য বেশ বিপদে আমরা। শুধুমাত্র টাকার জন্য আমার কি আম্রিকা যাওয়া হবে না নাকি ফ্যান্টাসি হইয়াই থাকবে ব্যাপারটা?


(চলতে থাকপে......।)

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অল্প কয়েক লাইনে যে দুঃসহ সময়ের কথা লিখে ফেলনে ভাইজান, এত দ্রুত কি সেই সময় পার হয়েছে। আমি জানি হয় নি!

জলদি পরের পর্ব লিখুন, সেই কবে থেকে অপেক্ষায় আছি।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

বিপ্লব06 বলেছেন: এই টাইমটা মোস্টলি আমার ফ্যামিলি সাফার করছে। ওরা আমাকে অনেক ব্যাপারে অন্ধকারে রাখছিল, অনেকগুলা ব্যাপার আমি অনেক পরে জানছি আমার আম্মার কাছ থেকে। এই ব্যাপারটা অনেকটা হিউমিলিয়েসনের মত মনে হয় আমার কাছে। বাট এই ইভেন্টগুলা অনেকটা আই ওপেনারের মত আমার কাছে। শিক্ষা নিছি।

থ্যাংক ইউ কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই।

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩

ডাঃ মারজান বলেছেন: অসাধারণ। চলতে থাকুক আপনার গল্প। দুঃসহ সময় সবার জীবনেই আসে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

বিপ্লব06 বলেছেন: থ্যাংক ইউ ডাক্টার! আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

ভাল থাকবেন!

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪

কেএসরথি বলেছেন: হায়রে টাকা, হৃদয় করলি ফাঁকা।

টাকা চাইতে গেলে সবার কাহিনী একই। যাদের কোটি টাকা আছে, এরাও হাজার টাকা দিতে ধানাই পানাই করে। যেন ঐ হাজার টাকায় এরা গরীব হয়ে যাবে। অতচ মাস শেষেই এই হালার আবার কোটি টাকাই কামাবে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

বিপ্লব06 বলেছেন: আমার থিওরিটিকাল নলেজ ছিল এইরকম, কিন্তু তখন প্র্যাক্টিকাল হয়ে গেছে তখন। কিন্তু তারপরেও কিছু লোকের উপর বিশ্বাস ছিল, আপন মনে করতাম, বিশ্বাসটা নষ্ট হইয়া গেছে। ফ্যামিলি পলিটিক্স!!!

৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫

হামিদ আহসান বলেছেন: দারুন লেখনি অাপনার৷ চলতে থাকুক ....।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

বিপ্লব06 বলেছেন: ধন্যবাদ হানিফ আহসান ভাই।

ভাল থাকবেন।

৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

জুন বলেছেন: বিপদে বন্ধুর পরিচয়ের মতই সংকটে আত্মীস্বজনের পরিচয় জানা যায়।আশাকরি সকল সমস্যা কাটিয়ে উঠেছেন এত দিনে। সৎ পিতার সন্তানরা অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ লাভ করে এটা আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা। আরো এগিয়ে যান, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০০

বিপ্লব06 বলেছেন: "বিপদে বন্ধুর পরিচয়ের মতই সংকটে আত্মীস্বজনের পরিচয় জানা যায়।" পুরাপুরি একমত। হ্যাঁ সমস্যার সমাধান অনেকটা আনেকপেক্টেডলি হয়ে গেছিল, পরের পর্বে আসতেছে সমাধানটা। আপনার অভিজ্ঞতাটা মনে হয় আমার ক্ষেত্রেও রাইট।

ধন্যবাদ আপনাকে। আপনিও ভাল থাকবেন।

৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০০

মনুমনু বলেছেন: ওনেকে এ অবস্হায় সুদের উপর টাকা ধার করেন।
যদি বলতেন টাকা নিব সুদ সহ আসল ফেরত দিব.....কিচুটা সঃহজ হত।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৫

বিপ্লব06 বলেছেন: ওই ব্যাপারটা সেইভাবে কন্সিডারই করা হয় নাই। আসলে এতগুলা ধনাঢ্য আত্মীয় থাকতে যদি সুদে টাকা ধার করা লাগে তাইলে ব্যাপারটা কেমন না। এক আত্মীয় অবশ্য ব্যাপারটা সাজেস্ট করছিল! কিন্তু আমার আব্বা তারে জাগার উপর বেরেক করাই দিছিল।

লাইফ ইজ বিউটিফুল!

৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২০

পাঠক মানব বলেছেন: কেএসরথি টাকা চাইতে গেলে সবার কাহিনী একই। যাদের কোটি টাকা আছে, এরাও হাজার টাকা দিতে ধানাই পানাই করে। যেন ঐ হাজার টাকায় এরা গরীব হয়ে যাবে। অতচ মাস শেষেই এই হালার আবার কোটি টাকাই কামাবে।
:(

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৬

বিপ্লব06 বলেছেন: কথা সত্য!
ধন্যবাদ আপনাকে :)

৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: শেষ পর্যন্ত টাকাটা মনে হয় কোন দুরের মানুষের থেকে জোগাড় হবে। এরকমই হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে যাদের কথা মাথাতেই থাকেনা তারাই উদয় হয় ত্রানকর্তা হিসেবে।

আমার পরিবারের অবস্থ্যা একটূ ভিন্ন। চরম বিপদে নিকটাত্মীয়দের প্রায় সবারই এবং বন্ধু, কলিগ প্রতিবেশী সহ সবার ব্যাপক সাহায্য পাই। আর সাহায্যের মাত্রাটাও অস্বাভাবিক এবং প্রায় সম্প্রদান কারকে। তবে বিপদে মানুষ চেনা যায়। আমাদেরও চেনা হইছে। আমার নিজের অবশ্য মনে হইছে মানুষজনের সম্পর্কে আমার আগের ধারনা ঠিক ঠাকই ছিলো।

এই পর্বে বাস্তবতার আরেক রুপ উঠে আসছে। ভালোলাগা রইলো। :)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১০

বিপ্লব06 বলেছেন: এই প্রশ্নের উত্তর পরের পর্বে দিচ্ছি! ;)

আপনই হয়ত একটু লাকি। বিপদে যে মানুষ চেনা যায় এইটা খুবই সত্য।

ধন্যবাদ ভায়া!

৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আজকের পর্বে মনে হইতেছে দুঃখ বেশি

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৯

বিপ্লব06 বলেছেন: সুক-দুঃখ মিলাই তো গেবন রে ভাই! একটারে বাদ দিলে আরেকটার অস্তিত্ব নাই!

থ্যাংক ইউ।

১০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আহঃ আবারো মাল্টি টুইস্টের দিকে নাকি? তবে একটা বিষয় খুবই পরিষ্কার যে সময় বড়ই নিষ্ঠুর। বাস্তবতা মানুষকে বাপের নাম ভুলিয়ে ছাড়ে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০১

বিপ্লব06 বলেছেন: গেবন টুইস্টে টুইস্টময়!
হ্যা তখন সময়টা একটু খারাপ আছিল। বাট এট দ্যা এন্ড অব দ্যা ডে, লাইফ ইজ বিউটিফুল!

থ্যাংক ইউ!

১১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

স্পর্শ বলেছেন: বাস্তব আর অবাস্তবের মাঝেই চালিয়ে যেতে হবে আমাদের জীবন যুদ্ধ ,শুভকামনা রইল ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৪

বিপ্লব06 বলেছেন: লাইফরে যুদ্ধ হিসাবে দেখি না, নিজেরে যোদ্ধা হিসেবেও দেখি না, নিজেরে অলস মনে করি অনেকটা। রিলাক্স টাইপ।

আপনার জন্যও শুভকামনা রইল। থ্যাংক ইউ!!!

১২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: কষ্টি পাথর দিয়ে যেমন সোনা যাচাই করা যায়, তেমনি টাকা ধার চেয়ে মানুষ চেনা যায়।
অবশ্য তার জন্য চড়া মূল্য দিতে হলেও অলক্ষ্যে একজন অচিন্ত্যনীয় একটা সমাধান তৈরী করে রাখেন।

দুঃসময়ের বর্ণনা গুলো মন ছুঁয়ে গেছে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৪

বিপ্লব06 বলেছেন: ব্যাপারটা সত্য। আমি অনেক চেষ্টা করছি ওরা কেন আমাদেরকে ডিনাই করছিল, আমার ক্যাল্কুলেশন মোতাবেক ওরা তখনো বিশ্বাসই করতে পারি নাই যে আমার ভিসা কনফার্ম হয়ে গেছে। ওরা হয়তো চিন্তা করতেছিল যে এদেরকে টাকা দেওয়া মানে টাকা নষ্ট। শুধুমাত্র দালালের খপ্পরে পড়ে সব হারাবে। তখন আমাদের টাকার কি হবে?

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে শামছুল ইসলাম ভাই!

১৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

এই পর্বে এসে একটুখানি আহত হলাম। দমে গেলাম।
অবশ্য মধ্যবিত্তের সংগ্রাম এর চেয়েও কঠোর হয়!

আপনি যে এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন, সেটিই স্বস্তির বিষয়।
সফল হোক স্বপ্ন :)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৯

বিপ্লব06 বলেছেন: আহত আমিও কম হই নাই। বিশেষ করে আমেরিকা আসার পরে আমার আম্মা যখন ভেতরের কাহিনীগুলা বলতেছিল তখন। এই ক্রাইসিস আমাকে অনেক বদলাইছে, ইভেন আমার আব্বার মেন্টালিটিতেও ড্রামাটিক চেঞ্জ আসছে এর পর। বাট এইটা ছিল অন্যান্য সেটব্যাকগুলার মতই জাস্ট আর একটা মাইনর সেটব্যাক।

থ্যাংক ইউ মাঈনউদ্দিন ভাই :)

১৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: গরীব আত্মীয়দের কেউ বিশ্বা করে না, বিশেষ করে টাকার ব্যাপারে।
আশা করি, আমেরিকায় এখন আপনার অবস্থা বেশ ভাল।
এখন আপনি কোন একটা কারণ দেখিয়ে সেই সমস্ত ধনী আত্মীয়দের কাছে ধার চান, আমি ৯৯% নিশ্চিত তারা আপনাকে খুশী মনে ধার দেবে।

আপনি ধারের সমাধানটা এই পর্বে না দেওয়াটা আমার কাছে বুদ্ধিমানের কাজ মনে হয়েছে- একটা সাসপেনস সৃষ্টি করে লেখক উধাও।

বিপ্লব ভাই, দূর প্রবাসেও ভাল থাকুন। সবসময়।


০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৫৭

বিপ্লব06 বলেছেন: হাহা ধার? আরও? আর ধার করার দরকার হবে না। এইখানে ক্রেডিট কার্ডের একটা ভাল সিস্টেম আছে, টাকা লাগলে আমি কারেন্টলি পঞ্চাশ হাজার ডলার পর্যন্ত ধার নিতে পারবো। এখন আমি বসে মজা নিব যখন ওরা টাকা ধার চাইতে আসবে!

আপনিও ভালো থাকবেন শামছুল ইসলাম ভাই!

১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২২

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: অফলাইনে পড়ে গিয়েছিলাম ভাইয়া। খুবই রাগ লাগছিল তখন :(

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০১

বিপ্লব06 বলেছেন: রাগ আমারও অনেক লাগছিল তখন, কিন্তু এখন আর ওদের উপর রাগ নাই কোন। রাগ করে তো কোন লাভ নাই। বাট ইটস অক্কে।

অনেক ধন্যবাদ

১৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কঠিন বাস্তবতা বোঝা যায় টাকার প্রয়োজন সামনে এসে দাড়ালে। আত্মীয়তা পরম বন্ধু স্বজন সবার আসল রুপ বেরিয়ে আসে!!!

অসাধারন লিখছেন। +++

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৯

বিপ্লব06 বলেছেন: একদম খাটি কথা। সবাই অজুহাত নিয়া হাজির হবে। দেখে মনে হবে পারলে উল্টা তারে টাকা দেন!

থ্যাংক ইউ। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.