![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সব সময় নিজের ইচ্ছা কে প্রাধান্য দেই। আমি স্বাধীনতা চাই, স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই। স্বাধীন ভাবে উড়তে চাই, স্বাধীন ভাবে ঘুরতে চাই। হোঁচট খেয়ে পড়তে চাই, সেখান থেকে শিখতে চাই।
#ঘটনা_১
রাত আনুমানিক ৯.৪৫ মিনিট।
ব্যাগ হাতে করে একাই হাসপাতালে চলে আসলাম। সকালে ডাক্তারের কাছে আসলে তিনিই তাড়াতাড়ি হাসপাতালে ভর্তি এবং ৭টা চ্যাকআপ করতে বলেন। তাই রাতেই ব্যাগ গুছিয়ে হাসপাতালে চলে আসা।
#ঘটনা_২
হাসপাতালে ডুকতেই এক অজানা ভয় করতে লাগলো মনের ভিতর। হাসপাতালের কম্পউণ্ডারের খুঁজে এক রুমের ভিতর ডুকে গেলাম এবং তাকে পেয়েও গেলাম। কম্পউণ্ডারের সাথে কথা বলে আমার সিট টা কোথায় জানতে চাইলাম। কম্পউণ্ডার সিট দেখিয়ে রাতে খাবার খাইছি কিনা জিজ্ঞেস করলো। আমি জবাবে বললাম আমি খেয়ে এসেছি। কম্পউণ্ডার বললো তাহলে আজকের সিট ভাড়াটা দিতে হবে নাহ।
আমি এক পলক হাসপাতালের রুমটা দেখে নিলাম। আমার মত আরো অনেকেই এখানেই আছে তারা সবাই বিমুর্ষ হয়ে কেউ জেগে আছে আবার কেউ ঘুমিয়ে আছে।
আমার হাতে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনটা দেখে কম্পউণ্ডার বললো - দেখি আপনার প্রেসক্রিপশনটা। প্রেসক্রিপশনটা দেখে বললো আপনার তোহ অনেক চ্যাকআপ করতে হবে।
চ্যাকআপের কথা শুনতেই মাথায় আসলো বড় বড় সুঁই আর ইঞ্জেকশনের কথা। (আমার আবার ছোট কাল থেকেই সুঁই আর ইঞ্জেকশনের কথা শুনলেই ভয়ে ঠুট মুখ শুকিয়ে আসে। )
#ঘটনা_৩
হঠাৎ করেই ঘুমের মধে্য দড়জায় ঠক ঠক আওয়াজে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। আমি আধো ঘুমে বললাম কে? তখন দরজার ওপাশ থেকে উত্তর আসলো আমি 'ইমরান'। (ইমরান আমাদের কাজের ছেলে)
আমি আবার বললাম কি চাস ??
সে বললো ইলেক্ট্রেশিয়ান মিস্ত্রি আসছে ফ্যান ঠিক করতে। (আমার রুমের ফ্যানটা কয়েক দিন যাবত অনেক আওয়াজ দিয়ে প্যাড়া দিতেছিলো। তাই আব্বারে বলে ইলেক্ট্রেশিয়ান মিস্ত্রিকে আনা)
#ঘটনা_৪
ঘুম থেকে উঠে দরজাটা খুলে চিন্তা করতে থাকলাম, আমি নাহ এতোক্ষন হাসপাতালে ছিলাম!!! তাহলে কি আমি এতোক্ষন ঘুমের ঘোরে সপ্নের জগতে ছিলাম!!??
লম্বা একটা নিঃস্বাস নিলাম এই ভেবে যে আমি সুস্থ আছি, আর কোন সুঁই আর ইঞ্জেকশনের গুতা খেঁতে হবে নাহ :-)।
#সপ্নের_সারমর্ম: ঘুমের মাঝে দুঃসপ্নগুলো দেখে ঘুমের মধ্যেই অনেক ভয় লাগে, মনে হয় সব সত্তি। কিন্তু যখন ঘুম ভেঙ্গে দেখি সপ্নের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই তখন সত্তিই অনেক ভালো লাগে।
©somewhere in net ltd.