![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সব সময় নিজের ইচ্ছা কে প্রাধান্য দেই। আমি স্বাধীনতা চাই, স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই। স্বাধীন ভাবে উড়তে চাই, স্বাধীন ভাবে ঘুরতে চাই। হোঁচট খেয়ে পড়তে চাই, সেখান থেকে শিখতে চাই।
আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আর আমিও চাই কোটা সংস্কার হোক এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের সবার সাথে সংহতি প্রকাশ করছি।
তবে লজ্জা হয় যখন দেখি জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অনেকেই ট্রল করে মজা নিচ্ছে, অপমান করছে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের যোগ্যতা নিয়েও কথা বলছে। মনে রাখতে হবে কোটা সংস্কার আন্দোলন করা হচ্ছে শুধুমাত্র সরকারের সিদ্ধান্তের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নয়।
মুক্তিযোদ্ধারা কখনোই এসব কোটা এবং যাবতীয় সুযোগ সুবিধার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেননি। মুক্তিযোদ্ধারা শুধুমাত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌম মানচিত্রের জন্য ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে পরাধীনতার কবল থেকে দেশকে স্বাধীন করেছিল।
আজ বাংলাদেশ স্বাধীন না হয়ে যদি পাকিস্তান’ই আমাদের রাষ্ট্র হতো তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার, দেশদ্রোহী এবং যুদ্ধাপরাধী উপাধি দিয়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করে ফাঁসি কার্যকর করা হতো। আর আজ আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তখন আমাদের রাজাকার, দেশদ্রোহী এবং যুদ্ধাপরাধীর সন্তান বলে ডাকা হতো।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তারা আমাদের অহংকার। বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি।
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: ছাত্রদের কেউই মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে না ।মুক্তিযুদ্ধকে প্রতি মুহুর্তে অবমাননা করছে আমাদের রাজনীতিবিদেরা।মুক্তিযোদ্ধা কোটা যে মুলত দলীয় নিয়োগ কর্মিদের নিয়োগ কোটা সেটা সবাই জানে। তাই ছাত্ররা সরাসরি শ্লোগানে বলেই দিয়েছে যে ''দলীয় কামলা নয় মেধাবি আমলা চাই''। মুক্তিযুদ্ধকে সাইনবোর্ড বানিয়ে আমাদের ্প্রধান দুই রাজনৈতিক দল লুটপাঠের এক একচেটিয়া ব্যবসা করে চলেছে বিগত ৪৭ বছর ধরে। ১৯৭১ এ পাকিস্তান থেকে আলাদা হতে সেসিন লাখো বাঙ্গালী অস্ত্র হাতে নিয়েছিল, দুই লুটেরা পরিবারের হাতে দেশকে বর্গি দিতে নয়। দুই পরিবার ও তাদের দালালেরা প্রতিটা কথায়, প্রতিটা কাজে প্রতি নিয়ত মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করে চলেছে।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১
বিপ্লবের সাগর বলেছেন: আমি অনেকগুলা পোষ্ট দেখেই লেখাটা লিখেছি। যারা মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করে পোষ্ট দিয়েছে তারা বেশির ভাগই ছাত্র ছিল।
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
জাতির যেই পরিমাণ সম্পদ আছে, তা ব্যবহার করলে, দেশে কোন বেকার থাকর কথা নয়, কোন কোটার দরকার হওয়ার কথা নয়।
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কোটা প্রথা তুলে দেয়া হোক।
৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২
দি রিফর্মার বলেছেন: প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা কোন প্রতিদান ব্যতিরেকে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে প্রস্তুত আছে। যারা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করছে তারা কতাটা মেধাবী সেটাও একটি প্রশ্ন।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: দেশের এই অবস্থা দেখলে খুব কষ্ট লাগে।
সংকটের সময় কিছু মানুষের মুখোশ উন্মোচন হয়। আন্দোলনের জন্য ছাত্রছাত্রীরা দায়ী নয়, দায়ী কর্তৃপক্ষ। কোটা কোন সমাধান নয়, ইহা অদক্ষদের মাথা-মুন্ড ও অকেজো মগজের কর্মকান্ড। সমাধান হলো সবার জন্য চাকুরীর ব্যবস্থা করা। মানুষের ও জাতির যে পরিমান সম্পদ, পড়ালেখা ও দক্ষতা আছে, শেখ হাসিনার যে পরিমাণ ক্ষমতা আছে- এক বছরের মাঝে সবার জন্য চাকরী বের করা সম্ভব।
আজকে যারা আন্দোলন করছে, কালকে সরকারী চাকুরী পাওয়ার পর চুরি শুরু করবে। এটাই বাস্তবতা। কিন্তু বাস্তব সত্য অনেকের কাছে খুব তিতা লাগে।
দরকার সবার জন্য চাকুরী সৃষ্টি করা। তাহলেই দেশ অতি দ্রুত এগিয়ে যাবে। শেখ হাসিনা চাইলে এক বছরে সবার জন্য চাকুরী বের করতে পারবেন। চাকুরী সৃষ্টি করা কঠিন নয়। সামনে নির্বাচন। বেগম জিয়ার লোকদের পতন হয়েছে, শেখ হাসিনার হাতে সময় আছে, মানুষের জন্য চাকুরী সৃষ্টি করলে জাতি দাঁড়ায়ে যাবে। সবাই কাজ করলে সম্পদের পাহাড় গড়া সম্ভব।
(ব্লগ থেকে কপি পেস্ট)