![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজুকে খুবই ভালো পান আকবর বৈদ্য। ছেলেটা অন্যদের চেয়ে আলাদা। তার শিষ্যদের মধ্যে সেই একমাত্র মনোযোগী ছাত্র। যেমন
মেধা তেমন বুদ্ধি। তিনি ঠিক করে রেখেছেন মরার আগে চিকিৎসা শাস্ত্রের কিছু গোপন কথা রাজুকে শিখিয়ে পড়িয়ে যাবেন।
এমন ভালো ছেলেও কখনো হয়! তিনি প্রায়ই ভাবেন। বাড়ি গেলেই সে তার জন্য ফল মূল নিয়ে আসবে। তিনি কয়েকবার নিষেধ করেছিলেন। ছেলেটা শুনেনি। বরং বলেছে, আমি যদি শিক্ষকের মর্যাদা না রাখি তাহলে আমি মানুষ না।
আকবর এরপর আর কিছু বলেন নি। ছাত্র মন থেকে করছে তাই আপত্তি কিসের।
'স্যার, রাজু অসুস্থ। আপনি একবার দেখে আসেন।'
'কি অসুখ?' আকবর অবাক হলেন।
'বলতে পারছিনা। ওর বাড়ি থেকে খবর এসেছে।'
আকবর আর দেরি না করে রওনা হয়ে গেলেন। রাজুর বাড়ি রানীরহাট থেকে বেশ দূরে নয়। মাত্র পাঁচ কিলো। গরুর গাড়িতে বেশি সময় লাগবে না।
রাত আটটার সময় আকবর পৌছালেন।
তিনি আগে কখনো এ এলাকায় আসেন নি।
তবে রাজুর কাছে বর্ণনা শুনতে শুনতে তার এলাকাটা মুখস্ত হয়ে গেছে। সুনসান এলাকা। এখনও পর্যন্ত তিনি কোন মানুষের দেখা পান নি। গ্রাম এলাকা বলে কি সবাই এত তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছে। গাড়ির চালকই বা কেন এ এলাকায় ঢুকতে চায়নি তা রাজুকে জিজ্ঞাসা করতে হবে।
'স্যার আসেন।'
ঐতো রাজু দাড়িয়ে। রাজুকে দেখে তিনি খুশি হলেন।
'তোমার শরীর কেমন?'
'ভালো না।'
'তাহলে বাইরে ঘুরে বেরাচ্ছ কেন? চল ঘরে যাই।'
'চলুন।'
রাজুর বাড়িটা দেখে তিনি চমকে গেলেন। চারদিকে বিশাল মাঠ, তার মাঝখানে রাজুর বাড়ি। হাটতে হাটতে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন,
'একা থাক কেন?'
রাজু নির্লিপ্ত গলায় বলল, 'ভয় পায় যে।'
'কে ভয় পায়?' আকবর বললেন।
'আপনার মত মানুষেরা।' রাজু হাসল।
আকবর মুগ্ধ হয়ে গেলেন। অনেকদিন পর তিনি একটা সুন্দর হাসি দেখলেন।
দুই ঘন্টা পর:
রাজু আকবর বৈদ্যর ঘুমন্ত শরীরটার
দিকে তাকাল। এ শরীরটাকে প্রচুর খাবার
দিয়েছে সে। ঠিক ফার্মের মুরগির মত। এখন তা ফুলে ফেপে উঠেছে। সপ্তাহটা ভালোই কাটবে বোঝা যাচ্ছে।
ছুরিটা নিয়ে সে এগিয়ে গেল।
(গল্পটি পূর্বে আমার ফেবু একাউন্টে প্রকাশিত। কেমন হল জানাবেন।)
©somewhere in net ltd.