নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মানুষ। ভালো মানুষ হয়তো এখনও হতে পারিনি তবে মন্দ কিছু করি না- কারো মন্দ কিছু করাতে বিশ্বাসও করি না। উপকার করতে না পারলেও কারো ক্ষতি অন্ততঃ করি না!!

বীরেশ রায়

সবার উপরে মানুষ সত্য! চেষ্টা করি সেই সত্যকে অনুসরণ করতে।

বীরেশ রায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় জনপ্রিয়তা লাভের উপায় ও পরিণতি!!

০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৪৯

আমাদের মতো দেশে অনেকেই লেখক/শিল্পী(কণ্ঠ বা অভিনয় বা চিত্র)/পরিচালক/প্রযোজক হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জনে কতগুলো সহজ কৌশলকে বেঁচে নিচ্ছে। লেখকের ক্ষেত্রে যেটা দেখা যায় তা হল – গল্পের আবহে যৌনতাকে একটু সস্তা ও খোলামেলাভাবে উপস্থাপন কিংবা ধর্মের আচারবিচার ও অনুষ্ঠানকে গদগদ ভাবে উপস্থাপন অথবা একটু-আধটু আতলামি বা ছেবলামি টাইপের কমেডি। যে গুলোতে প্রগতি ও মননশীল চিন্তা বা শিক্ষণীয় তেমন কিছু থাকে না বললেই চলে। যদিও বা একটু আধটু থাকেও সেটুকু সস্তা যৌনতা, ধর্মের গদগদভাব অথবা আতলামির ভীরে হারিয়ে যায়, তা থেকে মনভোলা আমজনতা শিক্ষা নিতে পারে না। তবে সবচেয়ে উদ্বেগের জায়গা হল বর্তমানের সংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নাটক-ছিনেমা-গানে এই সস্তা যৌনতা, ধর্মের গদগদভাব অথবা আতলামি বা ছেবলামির উপস্থাপন। এর থেকেই সমাজের আনাচে-কানাচে সংক্রমিত হচ্ছে অস্থিতিশীল, উগ্র ও অশালীন চিন্তা-চেতনা ও কর্মকাণ্ড । যার ঢেউয়ের আঘাত গিয়ে লাগছে দেশের সর্বোচ্চ প্রগতিশীল বিদ্যাপীঠ গুলোতেও । এই সংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নাটক-ছিনেমা-গানে বিশেষ করে মেয়েরা নিজের ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়নি এমন মেয়ের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। যারা বাইরে থেকে রাতারাতি সেলিব্রেটি খেতাব ও জনপ্রিয়তা অর্জন করতে যায় তারা তো পদে পদে প্রতারিত হয়। আর একবার ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হলে তো আর অনেকেরই প্রতারিত হওয়ার বোধ থাকে না, তখন কেবল সেলিব্রেটি হওয়ার দূর্নিবার বাসনা, জনপ্রিয় হওয়ার গভীর স্বপ্ন! যদিও কেউ কেউ শুরুতে প্রতারিত হয়ে দ্বিতীয় বার আর ওপথে পা বাড়ান না। এরই সুবাদে ধর্মীয় উগ্র সংগঠনগুলো তাদের মার্কেটিং পলিছিতে জায়গা করে নিচ্ছে সাধারণ কিছু মানুষের মাঝে। আর মার খাচ্ছে আমাদের প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনা ও মননশীল প্রতিভা । এভাবে যদি চলতেই থাকে হয়তো একদিন হুমকির মুখে পড়বে আমাদের উদার নৈতিক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। এর ফল যে বড়ই তেতো তা আমরা অতীতে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। আমরা প্রকৃতিগত ভাবে কেউই এড়িয়ে যেতে পারি না এই যৌনতা, ধর্ম বা হাস্যরসের খোরাক ভাঁড়ামি, কৌতুক, ঠাট্টা–মসকরা। তবে এগুলোরও যে একটা শৈল্পিক মার্জিত উপস্থাপন আছে সেটা আমরা অনেকেই আমাদের বোধশক্তিতে আনিই না। যদিও শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির উদ্দেশ্যই হল চিত্তবিনোদনের পাশাপাশি প্রগতিশীল চিন্তা ধারণ করে শিক্ষা অর্জনের দ্বারা নিজেরা যেমন শান্তিপূর্ণ আনন্দময় উন্নত জীবনযাপন করবো তেমনি আমাদের নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও আনন্দময় উন্নত জীবনযাপনের পরিবেশ রেখে যাওয়া।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.