নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মানুষ। ভালো মানুষ হয়তো এখনও হতে পারিনি তবে মন্দ কিছু করি না- কারো মন্দ কিছু করাতে বিশ্বাসও করি না। উপকার করতে না পারলেও কারো ক্ষতি অন্ততঃ করি না!!

বীরেশ রায়

সবার উপরে মানুষ সত্য! চেষ্টা করি সেই সত্যকে অনুসরণ করতে।

বীরেশ রায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবিছ-কবচ, পানিপড়া, ঝাড়ফুঁক!!

০২ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:১০

জীবনযাপনে মানুষকে কোন না কোনভাবে কোন না কোন বিশ্বাসকে গ্রহণ করতেই হয়। আর তাই সেই বিশ্বাসকে আধুনিক বিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণালদ্ধ জ্ঞান দ্বারা পরিশোধন করেই আমাদের সবার গ্রহণ করা উচিত। তা না হলে জীবনের চলার গতি হয়ে পড়বে মন্থর ও ছন্দহীন। এমনকি জীবনে আসতে পারে হাজারও দুঃখকষ্ট ও বিপদ-আপদ। চলার পথে মানুষ প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হয় হাজারও সমস্যার। কখনো কখনো কোন কোন সমস্যা এতোই জটিল আকার ধারন করে যে তাতে মানুষ হয়ে পড়ে নিরুপায় ও অসহায়! কোন কোন সমস্যা অর্থনৈতিক অবস্থার নিরিখে সমাধান করা গেলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমাধান করা সম্ভব হয়ে ওঠে না সমস্যার ধরন ও গভীরতার কারণে। অনেক ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান থাকলেও সমস্যা সমাধানের পথটা মানুষের জানা থাকে না। আবার অনেক সময় আর্থিক সামর্থ না খাকায় মানুষ নিরুপায় হয়ে আশ্রয় নেয় চারপাশের অপেক্ষাকৃত সস্তা ও সহজলভ্য বিকল্প অবৈজ্ঞানিক বিশ্বাসের উপর। তাবিছ-কবচ, পানিপড়া কিংবা ঝাড়ফুঁক হল এমন সব অবৈজ্ঞানিক বিশ্বাস যেগুলো যুগযুগ ধরে মানুষকে উপকারের আশ্বাস দিয়ে বোকা বানিয়ে প্রতারিত করছে নিরবে নিভৃত। এই তাবিছ- কবচ, পানিপড়া, ঝাড়ফুঁক- এগুলোর মর্মমূলে যেমন আছে নিরুপায় হয়ে বিশ্বাসের ধারনা তেমনি আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সেবা, কবিরাজি, হাকিমি, হোমিওপ্যাথি থেকে শুরু করে সর্বাধুনিক এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসারও প্রাথমিক ভিত্তি শুরু হয় বিশ্বাসের আশ্রয় দ্বারাই। কিন্তু অবৈজ্ঞানিক বিশ্বাস আর বৈজ্ঞানিক বিশ্বাসের মধ্যে পার্থক্য হল বৈজ্ঞানিক বিশ্বাস গুলোতে যেখানে দৃশ্যমান কার্জকরী ফলাফল দেখা যায় সেখানে অবৈজ্ঞানিক বিশ্বাসের তেমন কোন দৃশ্যমান কার্জকরী ফলাফল দেখা যায় না। কেবল ন্যূনতম যেটুকু মানুষ মনে করে তা একান্তই মনোজতাত্ত্বিক ভ্রান্ত ধারনা কিংবা দেহের নিজস্ব কাজের ফল। বৈজ্ঞানিক বিশ্বাসগুলো আধুনিক বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণালদ্ধ জ্ঞানের দ্বারা সুপ্রতিষ্ঠিত ও পরিশোধিত হয়েছে। ফলে মানুষের জীবনযাপন যেমন হয়েছে উপভোগ্য ও সুখ-স্বাচ্ছন্দময় তেমন সমাধান হচ্ছে মানুষের অধিকাংশ সমস্যার। অন্যদিকে মানুষের সমস্যা সমাধানের কিছু কিছু অবৈজ্ঞানিক বিশ্বাসের পন্থা বিশেষ করে তাবিছ-কবচ, পানিপড়া, ঝাড়ফুঁক ইত্যাদির প্রয়োগ আমাদের মতো গরিব দেশে ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হলেও এর কার্জকরী সুফলের প্রমাণ আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নয়। তবুও কি শিক্ষিত কি অশিক্ষিত অনেক লোকই শত শত বৎসর ধরে এখনও এগুলোর উপর ভরসা করে সমস্যা সমাধানের উপায় হিসেবে গ্রহণ করে থাকে এক অজানা মনোজতাত্ত্বিক কারণে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সময়ের পরিক্রমায় এই তাবিছ-কবচ, পানিপড়া, ঝাড়ফুঁক আমাদের ধর্মীয় দর্শনের কিছু কিছু ঘটনা বা কিছু কিছু পুস্তকের সাথে সম্পৃক্ত আছে বলে অনেকে মনে করেন।বিধায় এগুলোর উপর মানুষের বিশ্বাস অনেকটা ধর্মীয় বিশ্বাসের মতোই গেড়ে বসেছে যা মানুষের মন থেকে দূর করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ! তবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, দারিদ্র্য ও অর্থনৈতিক পঙ্গুত্বই অবৈজ্ঞানিক বিশ্বাসগুলোর মূল নিয়ামক যা দারিদ্র্যের সমানুপাতিক হারে বাড়বে বৈ কমবে না!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.