নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মানুষ। ভালো মানুষ হয়তো এখনও হতে পারিনি তবে মন্দ কিছু করি না- কারো মন্দ কিছু করাতে বিশ্বাসও করি না। উপকার করতে না পারলেও কারো ক্ষতি অন্ততঃ করি না!!

বীরেশ রায়

সবার উপরে মানুষ সত্য! চেষ্টা করি সেই সত্যকে অনুসরণ করতে।

বীরেশ রায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেবল কথা ও কথার পসরায় মৌখিক জ্ঞান দান নয় কাজের মাধ্যমে সমাজটাকে পজিটিভলি বদলানোর প্রয়াস চালান!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০১

আমাদের সমাজে বোধহয় জ্ঞানী ও নীতিবান লোকের সংখ্যাটা নেহায়েত কম নয়। আমার ধারণা- শিক্ষার হার যা, তার থেকেও জ্ঞানী ও ধার্মিক লোকের সংখ্যা অনেক অনেক বেশি। অবশ্য এটা আমার অনুমান, তবে বিভিন্ন টু-পাই কামানো এনজিও’র মতো কোন পরিসংখ্যানগত তথ্য প্রমাণ আমার হাতে নেই। যদিও আমি পরিসংখ্যানের শিক্ষক বা ছাত্র নই। হয়তো চেষ্টা করলে সেই প্রমাণও দিতে পারবো, তবে আপাততঃ ইচ্ছে নেই। “আমার ধারণা- শিক্ষার হার যা, তার থেকেও জ্ঞানী ও ধার্মিক লোকের সংখ্যা অনেক অনেক বেশি” এই ধারণা বা অনুমান এই কারণেই করছি যে- আপনি মন্দির কিংবা মসজিদে যান, দেখবেন উপচে পড়া ভিড়! বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ভর্তি করাতে যান ‘ঠাঁই নাই ওরে ঠাঁই নাই’ অবস্থা। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে লক্ষ লক্ষ ছেলে-মেয়ে বের হচ্ছে বিভিন্ন ডিগ্রী নিয়ে! এছাড়াও বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে বের হচ্ছে লক্ষ লক্ষ ধার্মিক ও নীতি ও ধর্ম কথায় পারদর্শী যুবক! বিভিন্ন পীড়-দরবেশ, সাধু-সজ্জন তো আছেন’ই। আজকের এই প্রযুক্তির যুগে হাল ফ্যাসানের ফেসবুক, ব্লগিং ওয়েবসাইট যেখানে জ্ঞানী-গুণী ও জ্ঞান প্রসবকারী লোকের অভাব নাই। জ্ঞানে গর্ভবতী হয়ে প্রসব বেদনায় কেবল ছটফট করছে জ্ঞান প্রসব করার জন্য! তাহলে আমাদের এই সমাজের আজকে এই অবস্থা কেন? তনুরা ধর্ষিত হয় রাস্তা-ঘাটে, চলন্ত বাসে, এমনকি চার দেয়ালের মাঝেও!! ছোট-খাট ব্যবসায়ী, চাকুরজীবি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার সব বড় বড় মানুষ সবার ভিতরে এত অসৎ চিন্তা কেন? পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র- সামাজিক এই কাঠামো গুলো এত নড়বরে হয়ে যাচ্ছে কেন? এর কারণ বোঝা খুব বেশি কঠিন নয়। মূলতঃ আমাদের শিক্ষা, নৈতিক জ্ঞান ও ধর্মের অধিকাংশই বাক ও আচার সর্বস্ব হয়ে পড়েছে। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? তবে সমাজকে ভাল দেখতে চাইলে, দেশকে ভাল রাখতে চাইলে কাউকে না কাউকে তা করতেই কবে! তাছাড়া এর থেকে বেড়িয়ে আসার কোন উপায় যে নেই! তাই আমি বলি আসুন, আমরা জ্ঞান দানের পাশাপাশি আগে একটু কর্তব্য পরায়ণ হই, ধার্মিক হওয়ার আগে একটু নীতি পরায়ণ হই! আমাদের ভাই , বোন, সন্তান গুলোকে আগে মানবিক করে তুলি, নৈতিক জ্ঞান দান করি; সততা, নিষ্ঠা ও কর্তব্য পরায়ণ করে তুলি। অবুঝ হৃদয়ে, অপরিপক্ক মস্তিস্কে ধর্মের জ্ঞানের থেকে নৈতিক জ্ঞান , সততা, নিষ্ঠা ও কর্তব্য পরায়ণ জ্ঞান দরকার আগে। এগুলো দিন বড় হলে আপনার সন্তান এমনিতেই ভাল ধার্মিক হয়ে উঠবে, ভাল দেশ প্রেমিক হয়ে উঠবে! এটা আমার কেবল অনুমান নয়, এটা আমার একজন শিক্ষক হিসেবে ২৭০০+ ছেলেমেয়েদের উপর পর্যবেক্ষণের ফসল!
আমি, এই সমাজে পেশাগত দিক থেকে একজন শিক্ষকের ভূমিকায় আসলেও মূলতঃ আমার ক্লাসে আমি পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি সমাজের ত্রুটি-বিচ্যূতি ও মানুষের জীবন যাপনে নৈতিক ও বাস্তবধর্মী জীবনমুখী সৃজনশীল জ্ঞানকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আসা করব আপনারাও যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব ও কর্তব্য বোধ থেকেই কেবল কথা ও কথার পসরায় মৌখিক জ্ঞান দান নয় কাজের মাধ্যমে সমাজটাকে পজিটিভলি বদলানোর প্রয়াস চালাবেন!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৫৮

বিজন রয় বলেছেন: ভাল বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.