নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মানুষ। ভালো মানুষ হয়তো এখনও হতে পারিনি তবে মন্দ কিছু করি না- কারো মন্দ কিছু করাতে বিশ্বাসও করি না। উপকার করতে না পারলেও কারো ক্ষতি অন্ততঃ করি না!!

বীরেশ রায়

সবার উপরে মানুষ সত্য! চেষ্টা করি সেই সত্যকে অনুসরণ করতে।

বীরেশ রায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাশ্মির স্বাধীন হয়ে পাকিস্থানের সাথে মিশে গেলে তাদের কি হতে পারে? পূর্ব পাকিস্থানের পরিণতি কি হয়েছিল? পাকিস্থানে কি হচ্ছে!!!

১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩০

১৯৪৭ সালে ভারত বর্ষ যখন স্বাধীন হল তখন মুসলিম লীগের ( মুসলিমদের) দাবির মুখে ভারত বর্ষের একটা অংশ ছেড়ে দেয়া হল মুসলিমদের স্বাধীনভাবে ইসলামী জীবন যাপনের জন্য। জন্ম হল পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্থানের! কিন্তু মুসলিমদের লাভ কি হয়েছে? পূর্ব পাকিস্থানের জনগণ হয়েছে শাসন- শোষণ ও বঞ্চনার শিকার! যদিও সেই শোষণের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব পাকিস্থান আর থাকতে চায়নি সেই পাকিস্থানী শোষকদের সাথে, মৌলবাদী আগ্রাসী চেতনার সাথে! তাই জন্ম হয়েছে নতুন একটি স্বপ্নের, নতুন একটি দেশের! অসম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ! যদিও আজ সেই অসম্প্রদায়িক মুক্ত চেতনার উপর নেমে এসেছে জঙ্গিবাদের খড়গ! অন্য দিকে পাকিস্থান হয়েছে আজ জঙ্গি ও মৌলবাদের আঁতুড়ঘর! প্রতিদিন বোমার আঘাতে নয়তো আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাতে কেঁপে কেঁপে উঠছে একটি জনপথ, একটি একটি নিরপরাধ সাধারণ মানুষের হৃদয়! আজ কাশ্মীরের যে সব বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য কাশ্মিরকে অস্থির করে তুলছে , মূলতঃ পাকিস্থানের গোপন মিশনে তাদের আকাংখা পাকিস্থানের সাথে মিশে যাওয়া! কিন্তু সেই মূর্খদের চোখের ঠুলি সরিয়ে বোঝা উচিত এই পশ্চিম পাকিস্থানই পূর্ব পাকিস্থানকে বছরের পর বছর কিভাবে শোষণ করেছিল, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে দিনের পর দিন কিভাবে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে রেখেছিল! অবশেষে শাসন শোষণে অতিষ্ঠ এদেশের স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষকে দমিয়ে রাখতে শেষ চেষ্টা হিসেবে ১৯৭১ সালে নির্বিচারে চালিয়েছিল গণহত্যা, ধর্ষণ! “ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীর একটি ব্যতিক্রমী রাজ্য - কারণ প্রতিরক্ষা-পররাষ্ট্র বা যোগাযোগের মতো কয়েকটি বিষয় ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রে সেখানে ভারতের কোনও আইন প্রয়োগ করতে গেলে রাজ্য সরকারের সম্মতিও জরুরি। নাগরিকত্ব, সম্পত্তির মালিকানা বা মৌলিক অধিকারের প্রশ্নেও এই রাজ্যের বাসিন্দারা বাকি প্রদেশের তুলনায় বাড়তি কিছু সুবিধা ভোগ করেন, আর ৩৭০ ধারাই তাদের সে অধিকার দিয়েছে।” ভারত সরকার কাশ্মিরকে যে সুযোগ -সুবিধা দিয়েছে, ১৯৭১ পূর্ববর্তী সময়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্থান তার অর্ধেকও পূর্ব পাকিস্থানকে দেয়নি, বরং বাঙ্গালীর উপর ছড়ি ঘুরিয়ে করেছে শোষণ! আজ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পূর্ব পাকিস্থান পরিণতি থেকে শিক্ষা না নিয়ে যে মোহে নিজেদের ভূলে কাশ্মিরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্রের নলায় রক্ত ঝরাচ্ছে , পাকিস্থানের সেই হিংস্র জাতির সাথে যুক্ত হলে রক্ত ঝড়বে আরও হাজারগুণে বেশি! আর সবচেয়ে কঠিন বাস্তবতা হল বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী সেনাবাহিনী হিসেবে ফের উঠে এল ভারতীয় সেনাবাহিনীর নাম। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া আর চীনের পরই ভারত। সৈন্যদলের আকারের দিক থেকে অবশ্য ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়াকে ভারত ছাপিয়ে গেছে। সেই হিসেবে গোটা পৃথিবীতে ভারতের চেয়ে এখন এগিয়ে শুধুমাত্র চীন। সৈন্যসংখ্যার বিচারে পাকিস্তান পঞ্চম স্থানে থাকলেও সেনাবাহিনীর অন্যান্য দক্ষতার বিচারে পিছিয়ে থাকায় শক্তিশালী সেনাবাহিনীর তালিকায় প্রথম দশেও ঠাঁই হয়নি দেশটির। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর ১০টি দেশের তালিকায় প্রথম স্থানে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় রাশিয়া, তৃতীয় চীন এবং চতুর্থ ভারত। প্রথম পাঁচে থাকা অপর দেশ হলো ব্রিটেন। এর পর যথাক্রমে রয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি। অষ্টম, নবম ও দশম স্থানে রাখা হয়েছে তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে। তবে, প্রথম দশে থাকা দেশগুলোর মধ্যে চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া কিন্তু সৈন্য সংখ্যার বিচারে অন্য ছয়টি দেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। এই দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে চীন। সে দেশের সেনাবাহিনীতে যোদ্ধার সংখ্যা ২২ লাখ ৮৫ হাজার। এ ছাড়াও আধাসামরিক বাহিনীতে রয়েছেন প্রায় ২৩ লাখ কর্মী। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ৪৬ লাখের কাছাকাছি। ভারতের সেনাবাহিনীতে এই মুহূর্তে কর্মীর সংখ্যা ১৩ লাখ ২৫ হাজার। সঙ্গে আধাসামরিক বাহিনীতে রয়েছেন আরো প্রায় ২২ লাখ। সব মিলিয়ে ৩৫ লাখের মতো। রাশিয়ার সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক ফৌজ মিলিয়ে মোট সৈন্যসংখ্যা ৩২ লাখের কিছু বেশি। আর মার্কিন সেনাবাহিনীতে এখন কর্মীর সংখ্যা ১৪ লাখের মতো। আধাসামরিক বাহিনী বা রিজার্ভ ফোর্সে রয়েছে আরো প্রায় ৮ লাখ। মোট ২২ লাখ। ভারতের চেয়ে এই হিসেবে রাশিয়া সামান্য পিছিয়ে। বেশ খানিকটা পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্র । কাজে বাংলাদেশের সেসব বুদ্ধিজীবি (বুদ্ধিবেশি) কাশ্মিরের স্বাধীনতা নিয়ে ত্যানা পাঁচানো যুক্তি ও মানবতার কথা বলছেন তারা ১৯৭১ সালের পূর্ব পাকিস্থানের কথা ভাবুন! এখন এই সময়ে বাংলাদেশের কথা ভাবুন ; কারা পূর্ব পাকিস্থানকে শোষণের নাগপাশ পড়িয়েছিল, কারা বাংলাদেশকে জঙ্গি বাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, কারা বাংলাদেশের স্নিগ্ধ শ্যামল শহর ও গ্রাম্য পরিবেশে মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদের শিকড় রোপণ করেছে, করছে ! নগরে আগুন লাগলে দেবালয় যেমন পুড়ে ছাই হবে, তেমনি মসজিদ কিংবা গীর্জা রেহাই পাবে না লৌকিক বা অলৌকিক ক্ষমতার জোরেও !!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:৩২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: পয়েন্টা কি???
কাশ্মীরের উপর ভারতের আধিপত্যবাদ জায়েজ??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.