নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মানুষ। ভালো মানুষ হয়তো এখনও হতে পারিনি তবে মন্দ কিছু করি না- কারো মন্দ কিছু করাতে বিশ্বাসও করি না। উপকার করতে না পারলেও কারো ক্ষতি অন্ততঃ করি না!!

বীরেশ রায়

সবার উপরে মানুষ সত্য! চেষ্টা করি সেই সত্যকে অনুসরণ করতে।

বীরেশ রায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামাজিক লেখক বা ব্লগারদের কাজ কি হওয়া উচিত?

১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:১৮

সামাজিক লেখক বা ব্লগারদের কাজ হওয়া উচিত ব্যক্তি, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের অনিয়ম, অনাচার, কুসংস্কার, আবর্জনা, জঞ্জাল পরিস্কার করে ব্যক্তি, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রকে পরিচ্ছন্ন করা। সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের মানুষগুলোকে সভ্যতার মানদ্বন্ডে একটি নৈতিক অবকাঠামোতে যৌক্তিক জীবন-যাপনে উৎসাহিত করা। সমাজের আষ্ঠে-পৃষ্ঠে, অলিতে-গলিতে, রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে জাপটে থাকা অনিয়ম, অনাচার, কুসংস্কার, আবর্জনা, জঞ্জাল কিংবা ভূল গুলোকে একটি যৌক্তিক সমাধানে নিয়ে আসা।
আমাদের ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় ডাক্তাররা চিকিৎসার কয়েকটি উপায় অবলম্বন করেন রোগের প্রকোপ কিংবা রোগীর বয়স অথবা অন্য কোন বিষয় বিবেচনায়। আমার জানা মতে আপাতঃ আবিষ্কৃত চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে হল কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ও সার্জারী। এখন ডাক্তার তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার আলোকে উপরোক্ত কোন একটি পদ্ধতি বেছে নিতেই পারেন রোগীকে ভালো করার নিরিখে। কিন্তু চিকিৎসা পদ্ধতিতে কেমোথেরাপি দিতে গিয়ে ডাক্তার যদি ড্রাগের মাত্রাকে বিবেচনায় না আনেন কিংবা রোগীকে ভালো করার মতো ড্রাগের মাত্রা জ্ঞান না রাখেন, তাহলে রোগীর পরিণতি কি হবে? অথবা রেডিওথেরাপি দিতে গিয়ে রোগীকে যদি কাবাব বানিয়ে ফেলেন কিংবা সার্জারীর দ্বারা ক্যান্সার সেল কাটতে গিয়ে পুরো অরগ্যানকে করেন ক্ষত-বিক্ষত? তাহলে ফলাফল কি হবে? রোগীর পরিণতি আরও ভয়াবহ নয় কি! কাজেই হাতুড়ে ক্যান্সার চিকিৎসকের মতো কোন লেখক কিংবা ব্লগার (যারা নিজেকে নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দেন, যদিও নাস্তিকতা বিষয়টিকে আমি খারাব অর্থে কখনোই নেই না, হতে পারে সেটাও একটা বিশ্বাস) যদি মনে করেন যে, সমাজটাকে তারা ইমারত বানানোর কংক্রিট তৈরির মতো ওলট-পালট করে ঢেলে আমূল পরিবর্তন করে নিজেদের মতো অবয়ব দেবেন, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন! সমাজের কোন কিছুই মানুষের এক প্রজন্মে এতটা শক্ত অবস্থান পায়নি, সব কিছুই হয়েছে ক্রমান্বয়ে সামাজিক বিবর্তনে! ভালো-মন্দ, ধর্ম, দর্শন, আচার-অনাচার, সংস্কার-কুসংস্কার সব কিছুই। কাজেই ধর্মের নামেই হোক আর সামাজিক আচার-বিচার-নিয়ম-কানুনের নামেই হোক অনাচার, অনিয়ম কিংবা কুসংস্কার বিলুপ্তও হবে ধীরে ধীরে বিবর্তনের দ্বারাই! এতে আস্তিকদের ধর্ম গেল, ধর্ম গেল বলে বিচলিত হয়ে কোন লাভ যেমন হবে না, তেমনি অনাচার, অনিয়ম কিংবা কুসংস্কার দূর করার জন্য নাস্তিকদের তাড়াহুড়ো করেও লাভ হবে না। তবে কাজের কথা হল সংস্কারবাদী লেখক-ব্লগারদের লেখনির এই যাত্রা যা একদিন আমাদেরকে এনে দেবে সত্য সুন্দর জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত আলোকিত মানব সমাজ!!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩

সুখী পৃথিবীর পথে বলেছেন: ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

এ.আর.বাহাদুর (বাহার) বলেছেন: সুন্দর গঠনমূলক পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭

নতুন বিচারক বলেছেন: সত্য কথা বলেছেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.