![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের চালকলগুলো থেকে বছরে ৩৭ লাখ টনের বেশি ধানের কুঁড়া থেকে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ টন তেল উৎপাদিত হচ্ছে।
বার্ষিক উৎপাদন হয় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টন তেল।
স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় ধানের কুঁড়া থেকে তৈরি ভোজ্যতেলের (রাইস ব্রান অয়েল) চাহিদা দেশে ক্রমেই বাড়ছে। সয়াবিন তেলের পাশাপাশি মানুষ এখন এই তেলের দিকে ঝুঁকছেন। সব মিলিয়ে দেশীয় কুঁড়ার তেল বিশ্ববাজারে সম্ভাবনাময় বলে বিবেচিত হচ্ছে।
দেশীয় ধানের কুঁড়ার তেল উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ টন কুঁড়ার তেল উৎপাদিত হয়। বছরে উৎপাদিত হয় ৯০ হাজার থেকে এক লাখ টন তেল। প্রতিবছর এ তেলের চাহিদা বাড়ছে ৫ থেকে ১০ শতাংশ। বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত ভোজ্যতেলের মধ্যে কুঁড়ার তেলের অবদান সোয়া দুই থেকে আড়াই শতাংশ। আর সয়াবিন ও পাম তেলের চাহিদা ১৪ লাখ টন।
কুঁড়ার তেল উৎপাদনকারীরা বলছেন, এই তেল যেমন স্বাস্থ্যসম্মত, তেমনি সাশ্রয়ীও। এক লিটার সয়াবিন তেলে যে খাবার রান্না করা যায়, তা পৌনে এক লিটার কুঁড়ার তেলেই করা সম্ভব।
বর্তমানে কুঁড়ার তেল উৎপাদন খাতে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের। বিনিয়োগ হয়েছে আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকা।
ধানের তুষ তুলে ফেললে যে চাল পাওয়া যায় তার পর একটি লালচে খোসা থাকে। ওই খোসাই কুঁড়া বা রাইস ব্রান। ধান থেকে চাল তৈরি করলে ৭ থেকে ৮ শতাংশ কুঁড়া পাওয়া যায়।
কুঁড়ার তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, কুঁড়ায় ২০ থেকে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত অপরিশোধিত তেল পাওয়া যায়। সেটাকে পরিশোধনের পর বোতলজাত করে বিপণন করা হয়। সাড়ে ছয় কেজি কুঁড়ায় এক লিটার তেল হয়।
তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিদিনের কুঁড়ার চাহিদা এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টন। দেশের চালকলগুলো থেকে বছরে ৩৭ লাখ টনের বেশি কুঁড়া উৎপাদিত হয়।
কুঁড়ার তেলের খাদ্যগুণ সম্পর্কে বাংলাদেশ শিল্প ও বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থার (বিসিএসআইআর) সাবেক চেয়ারম্যান এ আই মোস্তফা বলেন, খাবার তেলে যেসব খাদ্যগুণ থাকা উচিত তার সব দিক বিবেচনায় অলিভ অয়েলের (জলপাই থেকে তৈরি তেল) পর সবচেয়ে ভালো ধানের কুঁড়ার তেল। আর সয়াবিন তেলের চেয়ে এ তেল অনেক ভালো ও স্বাস্থ্যসম্মত।
©somewhere in net ltd.