![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহান আল্লাহ পাক প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য ইলম অর্জন করা ফরয তথা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। আর সমস্ত ইলমের প্রধান উৎস হচ্ছেন পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ। যেখানে বিন্দু পরিমাণ কোনো ভুল নেই এবং অসত্য-অবাস্তব কিংবা অবান্তর কোনো কথা নেই। সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গত, অনেক মুসলমান অজ্ঞতাবশত, পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার ইলম থেকে দূরে থাকার কারণে অমুসলিম তথা বিধর্মীদের সাথে সম্প্রীতি বজায় রাখায় বিশ্বাস করে। দ্বীনি ইলমশূন্য হওয়ার কারণে তারা কোনো দলিল দিতে পারে না, তবে তারা যুক্তি প্রদর্শন করে বলে যে, ‘যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে, বন্ধুত্ব করতে সমস্যা কোথায়? ইসলামে কি কোথাও নিষেধ করা আছে?’ অনেকে মনগড়াভাবে একথাও বলে থাকে যে, ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম সকল ধর্মের লোকদের সাথে সম্প্রীতি বজায় রাখার শিক্ষা দেয়।’ অথচ ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ কথাটি কেবলমাত্র পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার থেকে দূরে থাকা, কাট্টা দুনিয়াদার, ফাসিক-ফুজ্জাররাই বলে থাকে। কিন্তু এ সম্পর্কে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে কি ফায়সালা রয়েছে, তা তাদের অনুসন্ধান করা দরকার।
বিধর্মী বা কাফির-মুশরিকদের সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘তোমরা আমার শত্রুদের এবং তোমাদের শত্রুদের (কাফির-মুশরিক) বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না।’
(১) “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মু’মিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের ক্ষতিসাধনে কোনো ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাকো, তাতেই তাদের আনন্দ।” নাউযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৮)
(২) “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।” নাউযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫১)
(৩) “(হে ঈমানদারগণ) দেখো, তোমরাই তাদের ভালোবাস, তারা (কাফিররা) কিন্তু তোমাদের প্রতি মোটেও মুহববত পোষণ করে না।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৯)
পবিত্র কুরআন শরীফে উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মুসলমানদের শত্রু কাফির-মুশরিকদের সম্পর্কে সাতশ’ পবিত্র আয়াত শরীফ রয়েছে। এরমধ্যে কোনো একটি পবিত্র আয়াত শরীফ অস্বীকার, অবজ্ঞা কিংবা সন্দেহ পোষণ করলে ঈমান থাকবে না, কাফির হয়ে যেতে হবে।
এরপরেও কি মহান আল্লাহ পাক উনার শত্রুদের সাথে কথিত ‘সম্প্রীতি’ বজায় রাখবেন? বন্ধুত্ব করবেন? তাদের প্রতি মুহব্বত রাখবেন? তাহলে এর অর্থ দাঁড়াবে, আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার শত্রুদের সাথে বন্ধুত্ব করে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে বিদ্রোহ করছেন। মহান আল্লাহ পাক উনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন।
তাই এখনো সময় আছে, তওবা করে হিন্দু-খ্রিস্টান তথা কাফির-মুশরিকদের সাথে সমস্ত সম্পর্ক, বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব থেকে সরে আসুন, তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করুন। নিজের জান বাঁচান, ঈমান বাঁচান। পরকালের কঠিন শাস্তি থেকে বাঁচুন।
©somewhere in net ltd.