![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্কুল, কলেজ, মাদরাসা যেখানেরই বই খোলা হোক সেখানেই অপসংস্কৃতি আর ইসলামবিদ্বেষী লেখক ও লেখনীর সমাহার। পহেলা বৈশাখের মতো একটি হিন্দুয়ানী কালচারকে পাঠ্যবইগুলোতে উপস্থাপন করা হয়েছে- বাঙালি সংস্কৃতি মানেই পহেলা বৈশাখ, বাঙালি সংস্কৃতি মানেই ভূত-পেঁচার ছবি নিয়ে যাত্রা করা, বটগাছ তলায় পান্তা খাওয়া, রবীন্দ্র ঠগের সুর বাজানো, কপালে টিপ দেয়া ইত্যাদি। নাউযুবিল্লাহ
কিন্তু এসবকিছু যে মূলত ভারতীয় হিন্দুদের কালচার (পূজা) এটা এসব স্কুল কলেজ পড়–য়ারা কখনো কি জানতে পারে? হ্যাঁ, পারে। তবে সেটা কখন? যখন সে ইতিহাসের গভীরে পৌঁছায়, তার মধ্যে আত্মোপলব্ধির জন্ম নেয় তখন। কিন্তু তখন জেনে কি হবে? সময় তো পেরিয়ে গেছে। তার কচি মনে তিল তিল করে যে অপসংস্কৃতির পাঠ প্রবেশ করানো হয়েছে, তা যে আর মোছার নয়। সে বাঙালি সংস্কৃতির নামে হিন্দুয়ানি এসব হুজ্জোতির আগাগোড়া জানলেও তার পক্ষে সম্ভব হয় না তা পরিত্যাগ করার।
এদেশে কোটি কোটি মুসলমান থাকার পরও এদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় কি করে এভাবে ধারাবাহিকভাবে হিন্দুয়ানি ও ইসলামবিদ্বেষের বীজ প্রবেশ করেছে তা বিস্ময়কর হলেও নতুন কিছু নয়। সেই ১৭৫৭ সালের পূর্ব থেকে যেভাবে ব্রিটিশ ইংরেজ লুটেরাদের দল সুঁই হয়ে প্রবেশ করে এই ভারতীয় উপমহাদেশের ইসলামী শাসনকে তছনছ করে দিয়ে খ্রিস্টবাদ চালু করেছিলো- ঠিক সেভাবেই আজ ভারতীয় হিন্দু ও কিছু নাস্তিক-মুরতাদরা বাংলাদেশের প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে স্তরে সুঁই হয়ে প্রবেশ করে আজ তারা বটের মতো শাখা-প্রশাখা গজাচ্ছে। ‘শিক্ষাই একটি জাতির মেরুদ-’। তাই তারা প্রথমেই নজর দিয়েছে এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে। আস্তে আস্তে করে তছনছ করে দিচ্ছে সম্পূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থাকে।
অতি দ্রুততার সাথে যদি প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা তথা পাঠ্যপুস্তককে হিন্দু মালউন ও ধর্মদ্রোহী মুরতাদদের হাত থেকে রক্ষা করা না হয়, তাহলে এই বাংলা থেকে বাঙালি মুসলমানদের ইতিহাসের পরিসমাপ্তি ঘটতে বাধ্য। নাউযুবিল্লাহ!
(পাঠ্যপুস্তকে কিভাবে পহেলা বৈশাখকে ‘বাঙালির অনন্য উৎসব’ ও ‘বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক উৎসব’ হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে- এটি তার দুটি নমুনা মাত্র। চিত্র দুটি ৯ম-১০ম শ্রেণীর বাংলা সাহিত্য বই থেকে নেয়া)
©somewhere in net ltd.