নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বীর মুজাহিদ

আমি বাংলাদেশী,আমি বাংলাকে ভালোবাসি।আমার ধর্মধর্ম

বীর মুজাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পেট্রোলবোমার শুরু হয়েছে ১৪৯২ সালের ১লা এপ্রিলে। এপ্রিল ফুলের ঘটনা থেকে মুসলমানগণ কী শিক্ষা নিবেন না? বিশ্বায়ন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার সনদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা ইত্যাদির নামে এপ্রিল ফুলের মতোই অব্যাহত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে কুচক্রী বিধর্মীরা।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫


সব প্রশংসা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত পবিত্র দুরূদ শরীফ ও পবিত্র সালাম মুবারক।
আজ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পহেলা এপ্রিল। মুসলিম উম্মাহর জন্য যা ঐতিহাসিকভাবে অন্যতম শোকাবহ দিন।
প্রসঙ্গত, পেট্রোলবোমার ব্যবহার ও বীভৎসতা সম্পর্কে এদেশবাসী এ বছরই সম্যক অবগত হয়েছে। কিন্তু এ পেট্রোলের মাধ্যমে মুসলমানগণ উনাদেরকে পুড়ানোর প্রবর্তন করেছিল খ্রিস্টানরা ১৪৯২ সালের এদিনে, পাঁচশ তেইশ বছর আগে। এদিনে প্রতারক যালিম খ্রিস্টান রাজা ফার্ডিন্যান্ড বিশ্ব ইতিহাসের ঘৃণ্যতম প্রতারণার মাধ্যমে স্পেনের রাজধানীতে ৩০ লাখ মুসলমান নারী-পুরুষকে পেট্রোলের মাধ্যমে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছিল। নাঊযুবিল্লাহ!
ইতিহাস পাঠে জানা যায়, বিশ্বসভ্যতার তদানীন্তন কেন্দ্রস্থল মুসলিম শাসিত স্পেনকে পুনরায় নিজেদের দখলে নেয়ার অপপ্রয়াসে সন্ত্রাসবাদী যালিম খ্রিস্টানরা অত্যন্ত সন্তর্পণে রিকনকয়েস্টা অর্থাৎ পুনর্জয় বা পুনর্দখল আন্দোলন চালাতে থাকে। ক্রমান্বয়ে তারা ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে, এমনকি তারা শাহী মহলেও বিরোধিতার ও বিদ্রোহের আগুন প্রজ্বলিত করতে সমর্থ হয়।
১৪৬৯ সালে এরাগন রাজা ফার্ডিন্যান্ড সে পর্তুগীজ রানী ইসাবেলাকে বিবাহ করে। এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল যৌথ খ্রিস্টান শক্তির মাধ্যমে স্পেন দখল করে মুসলমানগণ উনাদের নিকট থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়া। তাই বিয়ের পর থেকেই উভয় রাজা-রানী যৌথ সৈন্যবাহিনী গঠন করে, মুসলমানগণ উনাদের নিকট থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকে। অবশেষে তারা মুসলমানগণ উনাদের অসতর্কতার সুযোগে স্পেনের রাজধানী গ্রানাডায় অতর্কিত হামলা চালায় এবং শহীদ করতে থাকে নিরীহ মুসলমানগণ উনাদেরকে। সন্ত্রাসবাদী যালিম খ্রিস্টান সৈন্যরা অবরোধ করে রাখে মুসলিম জনপথগুলো। কিংকর্তব্যবিমূঢ় মুসলমানগণ উনারা চতুর্দিকে ছুটাছুটি করতে থাকে। বাঁচার মরণপণ চেষ্টা চালায়। মুসলমানগণ উনাদের মহাবিপর্যয় পর্যবেক্ষণ করে ধূর্ত যালিম প্রতারক রাজা ফার্ডিন্যান্ড। সে মুসলমানগণ উনাদের উদ্দেশ্যে প্রতারণামূলক ঘোষণা দেয় যে- যেসব মুসলমান অস্ত্র সমর্পণপূর্বক গ্রানাডার মসজিদসমূহে আশ্রয় নিবেন উনাদেরকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়া হবে এবং যাঁরা সমুদ্রের জাহাজসমূহে আশ্রয় নিবেন উনাদেরকে অন্যান্য মুসলিম দেশে পৌঁছে দেয়া হবে। অসহায় নিরস্ত্র মুসলমানগণ উনারা সরলমনে প্রতারক খ্রিস্টানদের কথা বিশ্বাস করে আশ্রয় নেন বিভিন্ন মসজিদ ও জাহাজসমূহে। ফলে হিংস্র নরপিশাচ ফার্ডিন্যান্ডের উদ্দেশ্য সফল হলো। সন্ত্রাসবাদী যালিম খ্রিস্টান সৈন্যরা মসজিদসমূহ তালাবদ্ধ করে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় ও মুসলমানগণ উনাদের আশ্রিত জাহাজগুলো গভীর সমুদ্রে ডুবিয়ে মুসলমানগণ উনাদেরকে করুণভাবে শহীদ করে। নাঊযুবিল্লাহ! এ বর্বর ঘটনায় প্রায় ৩০ লাখ মুসলমান শাহাদাতবরণ করেন। মুসলমানগণ উনাদেরকে করুণভাবে প্রতারিত হতে দেখে মহাপ্রতারক রাজা ফার্ডিন্যান্ড উল্লাসচিত্তে স্বীয় স্ত্রী ইসাবেলাকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে- “হায় মুসলিম! তোমরা এত বোকা।” সে মুসলমানগণ উনাদেরকে প্রতারণার মাধ্যমে শহীদ করার ঘটনা ঘটিয়ে এর নাম দিলো: ‘এপ্রিল ফুল’; অর্থ- ‘এপ্রিলের বোকা’। নাঊযুবিল্লাহ!
কিন্তু গভীর পরিতাপের বিষয়, এক শ্রেণীর অজ্ঞ মুসলমান নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে অন্ধভাবে পালন করে যাচ্ছে ‘এপ্রিল ফুল’ (তথা এপ্রিলের বোকা দিবস)। নাঊযুবিল্লাহ!
বলার অপেক্ষা রাখে না, খ্রিস্টানসহ সব বিধর্মীই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিস্তারে মুসলমানগণ উনাদের প্রতি জন্মলগ্ন এবং স্বভাবগতভাবে প্রতিহিংসাপরায়ণ।
এটা যেমন অতীতে ছিল, তেমনি আজকেও বিদ্যমান। এটা যেমন স্পেনের ক্ষেত্রে, তেমনি আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া সবার ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে গণতন্ত্র, মানবতাবাদ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ, ধর্মনিরপেক্ষতা সবই মহাভুয়া, মহাধোঁকা।
‘বিশ্বসভ্যতার সহযাত্রী’ অথবা ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক’ সবই এখানে মিথ্যা, ছলনা, প্রতারণা, প্রবঞ্চনা ও শঠতার সবকিছু। বরং এরও ঊর্ধ্বে। বরং আজকের বিশ্বায়ন, বিশ্বপল্লী, বৈশ্বিক চেতনা- এসবই এপ্রিল ফুলের আদলে একইভাবে মুসলিম চেতনা দূরীভূত করার মহা-ছলনা। নাঊযুবিল্লাহ!
বিশেষভাবে স্মর্তব্য যে, ১৪৯২ ঈসায়ী সনের পহেলা এপ্রিলে সন্ত্রাসবাদী যালিম খ্রিস্টানরা যে ঘৃণ্য, বর্বর ঘটনা ঘটিয়েছিল; সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি তারা বারবার ঘটাতে চায়। তাই তো ১৯৯৩ ঈসায়ী সালের পহেলা এপ্রিলে ‘গ্রানাডা ট্রাজেডী’র ৫০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্পেনে এক বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘হলি মেরি ফান্ড’ গঠন করেছে সন্ত্রাসবাদী মহাযালিম প্রতারক খ্রিস্টানরা। লেখাবাহুল্য, সন্ত্রাসবাদী মহাযালিম প্রতারক খ্রিস্টানরা আবারো বিশ্বের যেসব দেশে মুসলিমগণ উনাদের আধিপত্য আছে, সেসব দেশকে করায়ত্ত করতে চায়। নাঊযুবিল্লাহ! এবং যেসব দেশে অপেক্ষাকৃত কম মুসলমান আছেন তাদেরকে এখনো অব্যাহত কঠিন নির্যাতন করছে এবং শহীদ করছে। নাঊযুবিল্লাহ! মহাযালিম খ্রিস্টানদের মিশনের সে ধারাবাহিকতায় খ্রিস্টানরা ও ইহুদীরা এক হয়ে ঠুনকো অজুহাতে আফগানিস্তান, ইরাক, ফিলিস্তিন, মিশর, লিবিয়া, সিরিয়া, পাকিস্তানসহ অনেকগুলো মুসলিম দেশকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে, দিচ্ছে এবং মুসলমানগণ উনাদেরকে তাদের তাঁবেদারীর গোলামে পরিণত করতে চাইছে। নাঊযুবিল্লাহ!
সঙ্গতকারণেই মহাযালিম খ্রিস্টানদের সব ষড়যন্ত্রের বিপরীতে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ এবং রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের উচিত- অবিলম্বে গোটা বিশ্বে খ্রিস্টানসহ সব যালিম বিধর্মীদের কুটষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সক্রিয় হওয়া ও শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তাদেরকে মহাশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা এবং প্রতিহত ও পর্যুদস্ত করার কঠিন প্রয়াস নেয়া। ইনশাআল্লাহ!
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। এই অনুভূতি ও প্রজ্ঞা আসে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী পালন উনার ইলম ও জজবা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারকেই কেবলমাত্র সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। আর ইতিহাসে তিনিই সর্বপ্রথম দিচ্ছেন অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মহামহিম নিয়ামত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.