![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১ এপ্রিল, ২০১৫
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যমীনে এবং পানিতে যত ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হয়ে থাকে সব মানুষের হাতের কামাই।’
বর্তমানে মুসলমানগণ উনারা যে সারাবিশ্বে যুলুম ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তার একটাই কারণ-
মুসলমানগণ উনারা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যদি তোমরা অর্থাৎ মুসলমানগণ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের উপর ইস্তিকামত থাকো এবং হাক্বীক্বী মুত্তাক্বী হও, তবে কাফির-মুশরিক অর্থাৎ ইহুদী, নাছারা, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসীসহ সমস্ত বিধর্মীদের কোনো ষড়যন্ত্রই তোমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।’ সুবহানাল্লাহ!
অতএব, মুসলমান উনাদের জন্য ফরয হচ্ছে- খালিছ তাওবা-ইস্তিগফার করে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের উপর ইস্তিকামত বা দৃঢ়চিত্ত থাকা এবং হাক্বীক্বী মুত্তাক্বী হওয়া।
তাহলে মুসলমান উনাদের উপর থেকে এই চরম অশান্তি দূর হয়ে যাবে এবং সমস্ত কাফির-মুশরিকরা সম্মানিত মুসলমানগণ উনাদের গোলাম হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ!
যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ, মুজাদিদ্দে আ’যম, ইমামে আ’যম, আওলাদে রসূল, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যমীনে এবং পানিতে যত ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হয়ে থাকে সব মানুষের হাতের কামাই।” আর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি তোমাদের মাঝে দুটি সম্মানিত বিশেষ নিয়ামত মুবারক রেখে যাচ্ছি। যতদিন পর্যন্ত তোমরা এই দুটি সম্মানিত বিশেষ নিয়ামত মুবারক আঁকড়িয়ে ধরে রাখবে, ততদিন যাবৎ তোমরা গুমরাহ হবে না, পথভ্রষ্ট হবে না, ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। আর সেই দুটি সম্মানিত বিশেষ নিয়ামত মুবারক হচ্ছেন, এক. পবিত্র কুরআন শরীফ ও দুই. পবিত্র সুন্নাহ শরীফ।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্তমানে মুসলমানগণ উনারা যে সারা বিশ্বে যুলুম-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তার একটাই কারণ মুসলমানগণ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের থেকে অনেক দূরে সরে গেছেন। তাই মুসলমানগণ উনাদের জন্য ফরয হচ্ছে- খালিছ তাওবা-ইস্তিগফার করে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের উপর ইস্তিকামত বা দৃঢ়চিত্ত থাকা এবং হাক্বীক্বী মুত্তাক্বী হওয়া । তাহলে মুসলমানগণ উনাদের উপর থেকে এই চরম অশান্তি দূর হয়ে যাবে এবং সমস্ত কাফির-মুশরিকরা মুসলমানগণ উনাদের গোলাম হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘আবূ দাঊদ শরীফ, দালাইলুন নুবুওওয়াহ লিল বাইহাক্বী শরীফ, শরহুস সুন্নাহ শরীফ, মুসনাদে শামিয়্যীন শরীফ, দায়লামী শরীফ, জামিউল উছূল শরীফ, মিশকাত শরীফ’ ইত্যাদি কিতাবের বরাত দিয়ে বলেন, হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিকট ভবিষ্যতে মুসলমানগণ উনাদের বিরুদ্ধে, মুসলমানগণ উনাদের ক্ষতিসাধন করার জন্য বিশ্বের অন্যান্য জাতিরা তথা ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজূসী, মুশরিকরা একে অপরকে আহ্বান করবে; যেমন খাদ্যগ্রহণকারী খাবারের পাত্রের দিকে অন্যান্যদেরকে আহ্বান করে থাকে (অর্থাৎ তারা মুসলমান উনাদের পরিপূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাইবে)। নাউযুবিল্লাহ! বর্ণনাকারী বলেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এরূপ বাণী মুবারক শুনে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্য থেকে একজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি এই জন্য হবে যে, মুসলমানগণ উনারা সেই সময় সংখ্যায় কম হবেন? সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন- না, বরং মুসলমান সেই সময় সংখ্যায় অনেক বেশি হবে। কিন্তু মুসলমানগণ উনাদের অবস্থা হবে স্রোতে ভেসে যাওয়া পানির বুদ বুদের ন্যায়। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি মুসলমানগণ উনাদের আমলের কারণে অর্থাৎ মুসলমানগণ উনারা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণে শত্রুদের অন্তর থেকে মুসলমানগণ উনাদের প্রতি শত্রুদের যে ভয়-ভীতি ছিল তা দূর হয়ে যাবে। এবং মুসলমানগণ উনাদের অন্তরে ‘ওয়াহন’ পয়দা হবে। তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্য থেকে একজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ‘ওয়াহন’ কী? তিনি বললেন, দুনিয়ার মুহব্বত এবং মৃত্যুকে অপছন্দ করা (অর্থাৎ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার আকাঙ্খা)।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্তমানে সেটাই দেখা যাচ্ছে যে, সমস্ত কাফির, মুশরিক, ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজূসী, মুনাফিকরা সম্মানিত মুসলমানগণ উনাদেরকে দুনিয়ার যমীন থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য একত্রিত হয়েছে। যার কারণে তারা একত্রিত হয়ে সারা বিশ্বের মুসলমানগণ উনাদের উপর একের পর এক অবর্ণনীয় কঠিন যুলুম-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে এবং একটার পর একটা মুসলিম দেশে আক্রমণ করে সেখানে নানান ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! বর্তমানে আমাদের দেশে যে কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এটাও তাদের সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রেরই ফসল। তারা চেয়েছিল- ১৪৪৫ হিজরী আসার পূর্বেই সারা পৃথিবী দখল করে নিবে। নাউযুবিল্লাহ! কিন্তু তাদের এই স¦প্ন কস্মিনকালেও পূর্ণ হবে না ইনশাআল্লাহ। বর্তমানে তারা একের পর এক খোদায়ী আযাব-গযবে পড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে এবং অতিশীঘ্রই তারা পরিপূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ! শুধু তাই নয়, তারা সম্মানিত মুসলমান উনাদের গোলামে পরিণত হবে। ইনশাআল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমানগণ উনাদের জন্য ফরয হচ্ছে- খালিছ তাওবা-ইস্তিগফার করে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের উপর ইস্তিকামত বা দৃঢ়চিত্ত থাকা এবং হাক্বীক্বী মুত্তাক্বী হওয়া। তাহলে মুসলমান উনাদের উপর থেকে এই চরম অশান্তি দূর হয়ে যাবে এবং সমস্ত কাফির-মুশরিকরা সম্মানিত মুসলমানগণ উনাদের গোলাম হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ!
©somewhere in net ltd.