![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে বাদশাহ আকবর নিজে বাঙালি বা বাংলাদেশী বা তার মাতৃভাষা বাংলা ছিলো না। আর বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সন প্রকৃতপক্ষে মোগল বাদশাহ আকবর কর্তৃক প্রবর্তিত ফসলী সন। তাহলে কি করে তার প্রবর্তিত ফসলী সনটি বাংলা সন ও বাঙালিদের সন হতে পারে? ফসলী সন গণনা শুরু হয় ৯৬৩ হিজরীতে। আর উদ্ভব ঘটে ৯৯৩ হিজরীতে। যা ৫০০ বছরও অতিবাহিত হয়নি। তাহলে তা কি করে হাজার বছরের ঐতিহ্য হতে পারে? উল্লেখ্য, মূর্খতা ও অজ্ঞতার একটা স্তর থাকা উচিত। এই শ্রেণীর মূর্খ ও অজ্ঞ লোকদের দ্বারা গুমরাহী ব্যতীত আর কি আশা করা যেতে পারে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে মোগল সম্রাট আকবর (শাসনকাল ১৫৫৬ হতে ১৬০৫ ঈসায়ী সন) ইসলামবিদ্বেষী হওয়ার কারণে পবিত্র ইসলামী সন অর্থাৎ পবিত্র হিজরী সন থেকে মুসলমানগণ উনাদেরকে সরিয়ে দেয়ার জন্য বর্ষপঞ্জি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। দিল্লির সম্রাট আকবর ৯৬৩ হিজরীর ২রা রবীউছ ছানী, রোজ জুমুয়াবার, ইংরেজি ১৪ এপ্রিল ১৫৫৬ সন থেকে পহেলা বৈশাখ গণনা শুরু করে। ওই দিন সম্রাট আকবরের সিংহাসনে অভিষেক হয়। সে দিনটিকে স্মরণ রাখার জন্য সম্রাট আকবর তার সাম্রাজ্যে সর্বত্রই পবিত্র হিজরী সনের পরিবর্তে সৌর বৎসর পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিভাবে দিনটির ক্ষণ শুভ হবে তা গণনার জন্য রাজসভার অন্যতম নবরতœ সদস্য ও রাজ জ্যোতিষী আমীর ফতেউল্লাহ সিরাজীর উপর দায়িত্ব পড়ে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বাদশাহ আকবর চেয়েছিলো ‘মৌসুমী ফসলের খাজনা আদায়ে সুবিধা হবে’- একথা বলে হিজরী সনের পরিবর্তে ঋতুভিত্তিক সৌর সনকে ‘ফসলী সন’ হিসেবে চালু করা। যাতে মুসলমানগণ পর্যায়ক্রমে হিজরী সন ভুলে এই ফসলী সনের দিকে রুজু হয়। নাউযুবিল্লাহ! পরবর্তীতে কিছু অজ্ঞ ও মূর্খ লোক সে ফসলী সনকে বাংলা সন হিসেবে প্রচার ও প্রচলন করে। এতদ্বসংক্রান্ত বাদশাহ আকবরের নির্দেশনামা জারি হয় ৯৯৩ হিজরী, ৮ই পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মুতাবিক ১০ মার্চ ১৫৮৫ ঈসায়ী সনে এবং তা কার্যকর করা হয় সম্রাটের সিংহাসন আরোহণের স্মারক বর্ষ ১৫৫৬ ঈসায়ী মুতাবিক হিজরী ৯৬৩ চন্দ্র সনকে ৯৬৩ বাংলা সৌর সনে রূপান্তরিত করার মধ্য দিয়ে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে- বাদশাহ আকবর এদেশীয় বাঙালি ছিলো না বা বাংলাভাষীও ছিলো না; এমনকি বাংলাদেশীও ছিলো না। সে ছিলো মোগল বংশোদ্ভূত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পরবর্তীতে হিন্দুরা তাদের মনগড়া হিন্দুধর্মের ধর্মীয় ভাবধারার সাথে পহেলা বৈশাখকে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত করে নেয়। অর্থাৎ হিন্দুরা ফসলী সনকে হিন্দুয়ানী সন হিসেবে গ্রহণ করে তাদের পূজাগুলিকে ফসলী সনের সাথে সংযুক্ত করে নেয়। যে কারণে তারা পহেলা বৈশাখের আগের দিন চৈত্রসংক্রান্তি পালন করে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এরপর এর সাথে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত হয়ে পড়ে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, একজন মুসলমান পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিকোণ থেকে শুধু পহেলা বৈশাখ কেন কোনো নববর্ষই পালন করতে পারে না। কারণ মুসলমানগণ উনাদের জন্য কাফির, মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী, ইহুদী ও নাছারাদের অনুসরণ ও অনুকরণ করা কাট্টা হারাম ও শক্ত কুফরী। তাই মুসলমানরা নববর্ষ হিসেবে পহেলা মুহররম শরীফও পালন করে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমানগণ উনাদের জন্য ফরয হচ্ছে- পহেলা বৈশাখের নামে অনুষ্ঠিত সর্বপ্রকার অনুষ্ঠান ও তার মধ্যে অনুষ্ঠিত সর্বপ্রকার পাপাচার থেকে বিরত থাকা। পাশাপাশি মুসলমানগণকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে সন্ত্রাসবাদ, বোমা হামলাসহ সব ধরনের নাশকতা থেকেও বিরত থাকতে হবে। কারণ এগুলোও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে শক্ত ও কঠিন হারাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের মধ্য থেকে যারা বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব বা মুহব্বত রাখবে, তাদের তর্জ-তরীক্বা অনুসরণ করবে তারা তাদেরই অন্তর্ভুক্ত বলেই গণ্য হবে। নাউযুবিল্লাহ!
©somewhere in net ltd.