![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হারাম বস্তু থেকে সংগৃহীত উপাদানসমূহের উপস্থিতির কারণে খাদ্যদ্রব্য ও প্রসাধনী দ্রব্যসমূহ কখনো হারাম হয়ে থাকে; আবার কখনো হালাল হয়ে থাকে। হারাম থেকে সংগৃহীত উপাদান দ্বারা প্রস্তুতকৃত কোনো খাদ্যদ্রব্য বা প্রসাধনী দ্রব্য হারাম হবে; এটাই স্বাভাবিক- কিন্তু কখন হালাল হয়- সেটা বুঝলেই সব বোঝা হয়ে যাবে এবং আমাদের জীবন ধারণ সহজ হয়ে যাবে।
সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে বর্ণিত আছে- যখন কোনো লবণের খনিতে কোনো বেড়াল বা কুকুর বা অন্য কোনো প্রাণী পড়ে মরে থাকে আর যখন সেটা এক সময় লবণে পরিণত হয়, তখন সে লবণ হালাল, যদিও উৎসটি হারাম। কারণ হচ্ছে- সেই লবণের মধ্যে হারাম প্রাণীর কোনো গুণাগুণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
এখান থেকে যে সূত্র তৈরি হয়েছে তা হচ্ছে- “কোনো হারাম উৎস থেকে কোনো উপাদান প্রস্তুত হলে যদি তার গুণগত পরিবর্তন এমন হয় যে সেখানে মূল উৎস বা বস্তুর কোনো গুণাগুণ থাকে না, তবে সেই হারাম বস্তু থেকে সংগৃহীত উপাদানটি হালাল।”
একটি চিত্র আপনাদের তুলে ধরছি। ধরুন কেউ অসুস্থ, জ্বর থাকায় সকালের নাস্তা খেলেন পাউরুটির মধ্যে জেলী লাগিয়ে। তারপর খেলেন জ্বরের ট্যাবলেট। দুপুরে ডাক্তার বললেন সুপ খাওয়াতে। আজকাল ইনস্টেন্ট সুপ পাওয়া যায়, তাই কিনে খাওয়ানো হলো। কেউ বললো- দই খাওয়ালে পেট ঠাণ্ডা থাকবে। এখন সব শপিং মলে Yoghurt বা দই পাওয়া যায়; রোগীকে সেই দই এনেও খাওয়ানো হলো।
এই রোগী যতগুলো আইটেম খেলেন, যেমন- জেলী, ট্যাবলেট, সুপ, দই এই প্রতিটি আইটেমে থাকতে পারে বা অধিকাংশ সময় রয়েছে জিলাটিন। তাহলে আপনিই বলুন- সে রোগী কি তাহলে সব হারাম খেয়েছে? কারণ, জিলাটিন তৈরি হয় প্রাণীর হাড়ের কোলাজেন থেকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শূকর এবং গরুর হাড় থেকে। আপনি যদি ভাবেন গরু হলে সমস্যা নেই, তা কিন্তু নয়। হালাল উপায়ে যবেহকৃত গরু থেকে নেয়া জিলাটিন আলাদা করে পাওয়া কঠিন। আর ব্যবসায়ীরা মুনাফার জন্য সস্তা সোর্স ব্যবহার করতে পছন্দ করে, ফলে শূকরের হাড় থেকে তৈরি জিলাটিনে বাজার সয়লাব।
অনলাইনে লেখা পড়ে আপনি কিন্তু কোনো সমাধান পাবেন না। সমাধান হচ্ছে জিলাটিন হালাল। কারণ হাড়ের কোলাজেন থেকে যে পদ্ধতিতে জিলাটিন প্রস্তুত করা হয় পরবর্তীতে জিলাটিনের মধ্যে Intramolecular Change আসে। অর্থাৎ সেখানে কোলাজেনের কোনো বৈশিষ্ট্য উপস্থিতি থাকে না। ফলে জিলাটিন শূকর থেকে প্রস্তুত হলেও তাতে হারাম উনাদানের অস্তিত্ব না পাওয়ায় তা হালাল হিসেবে গণ্য হয়।
©somewhere in net ltd.