![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা কঠিন এক অবস্থার সম্মুখীন। দেশের প্রধান জনগোষ্ঠি ৯৮ ভাগ মুসলমান উনাদের চাওয়া পাওয়া অধিকারকে চরমভাবে অবজ্ঞা করে সম্পূর্ণ ইসলামবিরোধী একটি শিক্ষানীতিতে চলছে সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থা। শিশু শ্রেণী থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সিলেবাস, পাঠ্যপুস্তক সবকিছুতেই অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে প্রবেশ করানো হয়েছে হিন্দুত্ববাদ, নাস্তিক্যবাদ। যারা জাতি ধ্বংসকারী এই শিক্ষানীতি প্রণয়নে কাজ করে যাচ্ছে- তারা যে কত সূক্ষ্ম কৌশলের সাথে মনস্তাত্ত্বিক মগজ ধোলাই-এর ব্যবস্থা করেছে তা পাঠ্যপুস্তকগুলোর প্রচ্ছদ থেকে শুরু করে প্রতিটি পাতায় পাতায়, লাইনে লাইনে নজর দিলেই বুঝা যায়। যেমন-
১) বইগুলোর শুরুই হয়েছে কট্টরপন্থী হিন্দু মুশরিক লেখকদের রচনা বা কবিতা দিয়ে। সূচিপত্রগুলো সাজানোই হয়েছে হিন্দু মুশরিক ও নাস্তিকদের প্রাধান্য দিয়ে। নাউযুবিল্লাহ!
২) দেশের ৯৯ ভাগ শিক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রী মুসলমান হলেও- ইসলামী ভাবধারার মুসলিম কবি সাহিত্যিকদের বাদ দিয়ে কট্টরপন্থী হিন্দু বা চিহ্নিত নাস্তিক ও চরম গুমরাহ লেখকদের রচনা, গল্প, কবিতাকে পাঠ্যবইয়ের অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
৩) হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট রচনা, বিধর্মীদের অপসংস্কৃতি, মানবধর্ম নামক নাস্তিকতার শিক্ষা, ইসলাম ও মুসলমানদের অবজ্ঞা করে লিখিত প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাগুলোকেই সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
৪) পাঠ্যবইয়ের ‘লেখক পরিচিতি’ অংশে কট্টর মুসলিমবিদ্বেষী হিন্দু, চিহ্নিত ইসলামবিরোধী নাস্তিক ও গুমরাহ লেখকদেরকে বিভিন্ন বিশেষণ ও উপাধি দিয়ে ব্যাপক প্রশংসা করা হয়েছে।
৫) বইয়ের বিভিন্ন পৃষ্ঠাগুলো সাজানো হয়েছে পহেলা বৈশাখের ছবি, হিন্দুদের মন্দির, কিশোর কিশোরীদের অবাধ চলাফেরার চিত্রসহ আরও বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত ছবি দিয়ে। নাউযুবিল্লাহ!
৬) স্বাস্থ্য শিক্ষা ও শারিরীক শিক্ষা বইয়ে চিত্রসহ একান্ত ব্যক্তিগত গোপন বিষয়গুলোকে খোলামেলাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
পাঠক! পাঠ্যপুস্তকগুলোর এ নিদারুণ অবস্থার বিবরণ দিতে গেলে লেখা বাড়তেই থাকবে। তবে পাঠকের নিকট প্রশ্ন- এ ধরনের হিন্দুয়ানী, নাস্তিকতা ও ইসলামবিরোধী বইগুলো যারা পড়াবে ও পড়বে তারা কি ঈমানদার মুসলমান থাকতে পারবে? যে শিক্ষানীতিতে এ ধরনের বিষয় অর্ন্তভুক্ত সে শিক্ষানীতিকে ‘কুফরী শিক্ষানীতি’ বলা ছাড়া কি কোনো উপায় আছে?
নিজের দেশ, নিজের জাতিকে বাঁচাতে, সর্বোপরি নিজের ঈমান নিজের মুসলমানিত্বকে টিকিয়ে রাখতে শিক্ষানীতি পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই। অতএব, অবিলম্বে এই ইসলামবিরোধী কুফরী শিক্ষানীতি পরিবর্তনের জোর দাবি তুলতে হবে।
©somewhere in net ltd.