নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

ও বিষের বাঁশী শুনে ঘরে থাকা দায়

বিষের বাঁশী

বিধাতার মতো নির্ভয়, প্রকৃতির মতো সচ্ছল, বন্ধন-হীন, জন্ম-স্বাধীন, চিত্ত মুক্ত শতদল!

বিষের বাঁশী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন যেখানে যেমন

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৩

ব্লগিং, ফেইসবুকিং করে দেশ, জাতি উদ্ধার করা যায় কিনা জানি না, তবে আমাদের মতো নগন্য জনসাধারণের জন্য এগুলো একেকটা জানালা, যা দিয়ে আমরা বাইরের জগতের মানুষের সাথে কথা বলি, হাসি ঠাট্টা করি, একটু আড্ডা মারি, মাঝে মাঝে হঠাত ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা মনে আলোড়ন তোলে, বুকের ভিতরে কথামালাগুলো গুমরাতে থাকে... উগরে দেই এলোমেলোভাবে এখানে এসেই, কোন সাজসজ্জা নেই, তেমন কোন তথ্যসম্ভার নেই, কেবলি নিজের মনের দুটো কথা বলি।



দেশে আজ নানাকিছু ঘটছে, তবে সবচেয়ে বেশি বিপন্ন দেখতে পাচ্ছি দুই দল মানুষকে। একদল হলো হিন্দু জাতিগোষ্ঠী, অকারণে তাদের বাড়ি ঘর পুড়ছে, মন্দির, প্রতিমা ভাংচুর হচ্ছে, দোকানপাট পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। সবসময়ে তারা আতংকে থাকে নিজের দেশে। আরেক দল মানুষ হলো জামাত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। ৭১ এ তাদের নেতাদের কৃত মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে তারা আজ বিপন্ন, প্রতি মূহুর্তে আতংকে কাটায়। একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবীতে দেশবাসী সোচ্চার, অন্যদিকে একদল তরুণ যারা সাংগাঠনিকভাবে ইসলামকে চর্চা করার চেষ্টা করে, ইসলামকে জানার চেষ্টা করে একেবারে পাঠ্যপুস্তকের পড়াশোনার মতো, তারা প্রতি মূহুর্তে গ্রেফতার আতংকে দিন কাটায়, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হবার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত দিন কাটায়, প্রতি মূহুর্তে ঘরের বাইরে তাদের মুখোশ পরে কথাবার্তা বলতে হয়, নিজের দেশে তারাও নিরাপদ নয়।



এদিকে শোলাকিয়ার ইমাম এখন জামাতের বিরুদ্ধে প্রচারণায় নেমেছেন, ইসলামের বিভিন্ন দলের মাঝে ছোটখাট নানারকম মতবিরোধ আছে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে জামাত নেতাদের বিচার চাওয়া এক ব্যাপার, আর ইসলামের নানা খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ইসলামী দলগুলোর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ভিন্ন ব্যাপার। যেখানে জামাত শিবির এখন তাদের দলীয় অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই হিমশিম খাচ্ছে, যেখানে সারাবিশ্বে মুসলিমরা নানাভাবে নিপীড়িত হচ্ছে, সেখানে এইভাবে একটা ইসলামী দলের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো কতটা বিবেচনাপ্রসূত সেটা ভেবে দেখতে ইমামসাহেবকে অনুরোধ করি। জানি না আমার এই স্ট্যাটাস উনার চোখে পড়বে কিনা। তবে এটা সঠিক যে ইসলাম জানতে হলে বা মেনে চলতে হলে যে জামাত করাই লাগবে, শিবির করাই লাগবে এমন কোন কথা নয়, কিন্তু জামাত শিবিরের কর্মীরা একত্রে একটা গ্রুপ ইসলাম চর্চা করছে, সেই সাথে আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করছে, এটা প্রশংসনীয় ব্যাপার।

এদিকে এক থাবা বাবার সূত্র ধরে এরপর আমার দেশ পত্রিকার সিলেক্টিভ কিছু প্রচারণায় সাধারণ মুসল্লি যারা ব্লগ, ফেইসবুক কোনদিন পড়েইনি তারা ধরে নিয়েছে এখানে সবাইই নাস্তিক। অথচ ইসলামের লেখা বহু ব্লগ বা লেখাই ব্লগ, ফেইসবুকে আছে। শুনেছি আদালতে একজন হুজুর নাকি কয়েকজন ব্লগারের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেছেন। সত্য মিথ্যা জানি না, যাচাই করার সুযোগ নেই, তবে তিনি নাকি কেবল শুনেই এসেছেন মামলা করতে, কোনদিন ব্লগ বা ফেইসবুকের কোনকিছু পড়েননি।

সরকার এসব সরলপ্রাণ মুসল্লিদের সান্তনা দিতেই হোক, বা ইসলামী মূল্যবোধের ব্যাপারে সত্যিকার অর্থে গুরুত্ব দিতেই হোক একটা কমিটি নাকি করেছে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো কোন লেখালেখির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। তবে আমার মনে হয় কেবল ইসলাম নয়, সব ধর্মের প্রতিই বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে এই কমিটি কাজ করতে পারে। ধর্মকে অপব্যবহার করে কোন ক্ষতিকর ঘটনা ঘটলে তার বিরুদ্ধে যে কেউই সমালোচনা করতে পারে, কিন্তু ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো অনুচিত। আবার কেউ নাস্তিক হতে পারে, ধর্ম না মানতে পারেন তার ব্যক্তিগত জীবনে, কিন্তু তিনি নিজের এই ধর্মবিশ্বাস হারানোর কারণ শেয়ার করতে গিয়ে ঘৃণা ছড়াতে পারেন না। এটা মনে রাখা দরকার পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষই কোন না কোন ধর্মে বিশ্বাসী, আর এই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষদেরকে বোকা মূর্খ মনে করা ঠিক নয়।

তবে এখানে আরেকটা কথা নাস্তিকেরা কেবল লিখে লিখে নিজেদের ঘৃণা ছড়ান, কিন্তু কিছু উগ্র আস্তিক হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে অন্য ধর্মের বা নাস্তিকদের উপর আক্রমণ করে বসেন, মেরেও ফেলতে যান, এখানেই বিপত্তি!

আল্লাহতাআলা আমাদের সবাইকে প্রয়োজনীয় বিবেক বুদ্ধি, এবং বোধ শক্তি দিক। আমীন!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.