নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুরুষ ও শিশু নির্যাতন নিয়ে কথা বলি

তুফান মেল

তুফানের মত মন চাইলে লিখবো না চাইলে খালি লিখা পরবো

তুফান মেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্যাসিবাদের সামাজিক সংজ্ঞা ও জাতিসসংঘের ফ্যাসিবাদীতা Facist UNITED NATION

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৬


রাজনীতিকে না টেনে ফ্যাসিবাদের সামাজিক সংজ্ঞা বললে বলতে হয়, ফ্যাসিবাদ হচ্ছে একটা একপক্ষিক চরমপন্থী, কর্তৃত্বপরায়ন মতাদর্শ। এই দর্শন সবকিছুকেই একপক্ষের নামে সেই এককপক্ষের অধীন বলে মনে করে। ফ্যাসিবাদে ভিন্নমতের বা অন্যপক্ষের অধিকারের কোন ঠাঁই নেই। এ জন্য ফ্যাসিবাদে ভিন্নমতকে সহ্য না করে কঠোর আইন ও আইন শৃংখলা বাহিনী দিয়ে দমন করা হয়। মনে রাখা ভালো এখানে ফ্যাসিবাদকে সামাজিক মতাদর্শ দিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই সামাজিক মতাদর্শই পরে রাষ্ট্রের রাজনীতি ও আইনে প্রবেশ করে ভিন্ন মতালম্বীর মানুষকে কঠোর আইন দিয়ে নির্মূল করে। এই নির্মূলের অংশ হিসাবে ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা যায় হিটলার কর্তৃক সাট লক্ষ ইহুদি হত্যার কথা আর হিটলারের বর্বরাতার কথা আমাদের সবার জানা আছে । বর্তমান সমাজ ব্যাবস্থায় ফ্যাসিবাদ নানা ভাবে জায়গা করে নিয়েছে। মডার্ন ফ্যাসিজম বা আধুনিক ফ্যাসিবাদীরা কুশলতার মাধ্যমে সমাজে এককপক্ষ অধিকারকে প্রতিষ্ঠা ও ভিন্নমতকে কঠোর হস্তে মানে একপেশে আইন দিয়ে দমনের চেষ্টা করছে। হিটলারের গণ হত্যার পরে বর্তমান সমাজ ফ্যাসিবাদকে প্রত্যাক্ষাণ করায় ফ্যাসিবাদ তার নিজের রূপ পরিবর্তন করে একনায়কতন্ত্র থেকে দূরে সরে এসে মাইক্রো ফ্যাসিবাদের মাধ্যমে ভিন্ন মতালম্বীর জনগোষ্ঠীকে নিপীড়ন করছে। আর হিটলার একই ফ্যাসিবাদ তার রূপ পাল্টে মাইক্রো ফ্যাসীবাদে রূপ নিয়ে গ্যাস চেম্বারে গণহত্যা না করে সামাজিক ও মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে ভিন্ন মতালম্বীর মানুষকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করছে আর যারা আত্মহত্যা করতে অক্ষম তারা নিজের স্বাধীনতাকে বলি দিয়ে মাইক্রো ফ্যাসিবাদের নির্যাতনকে সহ্য করে নিতে বাধ্য হচ্ছে। ফ্যাসিবাদ ও মাইক্রো ফ্যাসিবাদের মধ্যে ম্যাক্রো ফ্যাসিবাদ মাইক্রো-ব্যাকটেরিয়ার মতো সমাজকে ভিতর থেকে চিরে খাচ্ছে বিধায় মাইক্রো ফ্যাসিবাদ বেশি ভয়ঙ্কর। মাইক্রো-ব্যাকটেরিয়ার কার্যক্রম যেমন পরীক্ষা ছাড়া চিহ্নিত করা কষ্টকর ঠিক তেমনি মাইক্রো ফ্যাসিজমের নির্যাতনও চিহ্নিত করা কঠিন। ম্যাক্রো ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন শুধুই গ্যাংগ্রিন হলে পরীক্ষা ছাড়া বুঝা যায় কিন্তু গ্যাংগ্রিন হয়ে গেলে গ্যাংরিনের অংশ কেটে ফেলে দিতে হয়। ঠিক একইভাবে মাইক্রো ফ্যাসিজম পৃথিবীর অনেক দেশেই সামাজিক ব্যাবস্থায় পচন বা গ্যাংগ্রিন ধরিয়াছে এবং বাংলাদেশেও পচন ধরাচ্ছে। দেশ ম্যাক্রো ফ্যাসিজমের কাছে আত্মসমর্পনের আগে আমাদেরকেই দেশ ও সমাজ রক্ষা করতে হবে। আবার তার মানে এই নয় যে দেশ ও সমাজ রক্ষার নামে আমরা নিজেরাই ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠি। সব মতালম্বীর মানুষকে মর্যদা দিয়ে এবং সবার অধিকারকে সুরক্ষা করেই আমাদেরকে সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: বুঝলাম। কিন্তু আপনার বক্তব্য কি?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২০

তুফান মেল বলেছেন: আমার পরের ভিডিওতে আমি ফ্যাসিবাদী আইন ও জাতিসংঘের ফ্যাসিবাদী নিয়ে প্রতিবেদন করবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.